জমিদার বাড়ি

ভারত উপমহাদেশের জমিদারের বাসস্থান

ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে একটি হচ্ছে জমিদার বাড়ি। যা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। এর সাথে এক-একটা জমিদার বাড়ির আছে এক একরকম ইতিহাস।

ভারত উপমহাদেশে মুঘলদের শাসনামল থেকে ব্রিটিশদের শাসনামল পর্যন্ত জমিদারি প্রথা চালু ছিল। তবে ব্রিটিশ শাসনামলের পূর্বে এই জমিদারী প্রথাকে "জায়গীরদারি" প্রথা বলা হতো। ব্রিটিশদের শাসনামলে ভারত উপমহাদেশে জমিদারীর প্রথা চালু হয় অন্যরকম আধুনিকভাবে। কারণ ব্রিটিশরা এই জমিদারী প্রথা দিয়ে ভারত উপমহাদেশকে আরও সহজভাবে শাসন করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। যা তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্নওয়ালিশ "চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত" নামে ১৭৯৩ সালে জায়গিরদারি প্রথা বিলুপ্ত করে জমিদারী প্রথা চালু করেন। যার ফলে এটি "জায়গিরদারি" প্রথা থেকে "জমিদারী" প্রথায় রূপ নেয়। কর্নওয়ালিশ নিজেও ব্রিটিনের একজন জমিদার পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার এই জমিদারী প্রথা চালু করার পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরো ভারতবর্ষ থেকে সহজে সরকারি রাজস্ব আদায় করা। এছাড়াও সহজে ভারতবর্ষের মানুষকে তাদের শাসনকার্যের আওতায় রাখা। মধ্যযুগীয় বা মুঘল শাসনামলের জমিদারী প্রথা এই জমিদারী প্রথার সাথে একদম আলাদা ছিল।

তখনকার সময় ব্রিটিশদের কাছ থেকে যারা জমিদারী ক্রয় করে প্রজাদের উপর তাদের শাসনকার্য চালানোর জন্য একটি নির্ধারিত স্থানে প্রাসাদ তৈরি করে বিচারকার্য পরিচালনা করতেন এবং বসবাস করতেন। ঐ জমিদারদের তৈরি করা ঐ বাড়িকেই জমিদার বাড়ি বলা হতো বা হয়। জমিদাররা প্রজাদের উপর তাদের শাসনকার্য চালাতেন এই বাড়ি থেকেই। তাই জমিদারদের এই বাড়িগুলো প্রজাদের কাছে অর্থাৎ সাধারণ মানুষের কাছে জামিদার বাড়ি নামেই পরিচিতি পায়। তখনকার সময় জমিদাররা ছিলেন অনেক ধন-সম্পদের মালিক। তাই তারা তাদের বাড়িগুলো বানাতেন দালানের মধ্যে অপূর্ব কারুকাজ বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর নকশা করে। যা বিভিন্ন জমিদার বাড়ি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়। নিচে বাংলাদেশে অবস্থিত জমিদার বাড়িগুলোর তালিকা দেখুন।

জমিদার বাড়ির তালিকা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

বহিসংযোগ

সম্পাদনা