ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি
ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি অন্যনাম মহারাজপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ছোট বনগ্রাম গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। স্থানীয়দের কাছে এটি ভূঁইয়া বাড়ি নামেও বেশ পরিচিত।
ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি | |
---|---|
মহারাজপুর জমিদার বাড়ি | |
![]() | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | মুকসুদপুর উপজেলা |
ঠিকানা | ছোট বনগ্রাম |
শহর | মুকসুদপুর উপজেলা, গোপালগঞ্জ জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৬ শতক |
স্বত্বাধিকারী | রজত দৌলত ভৌমিক |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
সম্পাদনাজমিদার রজত দৌলত ভৌমিক আনুমানিক ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝিতে প্রায় দশ হাজার বিঘা জায়গা জুড়ে জমিদারি বাড়িটি নির্মাণ করেন। জমিদার বাড়িটির প্রবেশদ্বারে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সুবিশাল স্বরসতী মন্দির। যে স্বরসতী মন্দিরের নামকরণ হয়েছে জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক এর উত্তরসূরী স্বরসতীর নাম অনুসারে। যাদের বংশ ইতিহাস ঘেটে জানা যায়। জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক কোথাও যেতে জনশ্রুতি মতে তার দুই সুবিশাল ময়ূরপঙ্কী সাম্পান নৌকা ব্যবহার করতেন। এজন্য ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি অথবা মহারাজপুর জমিদার বাড়ির উত্তর পশ্চিম প্রান্তে জমিদারি বাড়িটির কোল ঘেষে রয়েছে একটি সাম্পান নৌকা ঘাট। যেখান থেকে সাম্পানে চড়ে জমিদার রজত দৌলত ভৌমিক দেশ বিদেশ ঘুরতে যেতেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাবর্তমান ছোট বনগ্রাম জমিদার বাড়ি সকলের কাছেই কমবেশি পরিচিত। বর্তমানে কতগুলো ভাংগা ও পরিত্যক্ত দালান কোটা রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবর্তমানে জমিদার বাড়িটির কিছু অংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে এবং কিছু অংশে সংস্কার কাজ করে স্থানীয় প্রতাপশালী লোকজন সেখানে বসবাস করছে। এদেশ থেকে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর থেকে জমিদারি বাড়িটি তার পূর্বের জৌলুশ হারিয়ে এখন জরাজীর্ণ পুরনো জমিদারি বাড়ির স্মৃতি চিহ্ন বহন করছে। এখানে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটক তাদের চিত্তবিনোদন এর উৎস হিসেবে জমিদার বাড়িটি দর্শন করে এবং এর ঐতিহাসিক কাহিনি সম্পর্কে জানতে পারে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |