শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি

শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে অবস্থিত মুঘল শাসনামলের এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি, যা স্থানীয়দের কাছে মিয়া বাড়ি নামে পরিচিত।[১]

শ্রীরামপুর জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
স্থাপত্য রীতিমুঘল
অবস্থানদুমকী , পটুয়াখালী
ঠিকানাশ্রীরামপুর গ্রাম
শহরদুমকি উপজেলা, পটুয়াখালী জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৮০০ শতকে
বন্ধ১৮০০ শতকে
স্বত্বাধিকারীশিবল খাঁ মিয়া
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

ইতিহাস

সম্পাদনা

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে জমিদারী প্রতিষ্ঠিত হয় মুঘল শাসনামলের বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদকুলী খাঁন এর শাসনামলে। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা শিবল খাঁ ছিলেন একজন হিন্দু ধর্মালম্বী। তখন তার নাম ছিল শ্রী শিব প্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি এবং তার ভাই শ্রী ভব প্রসাদ মুখোপাধ্যায় নবাব মুর্শিদকুলী খাঁনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। শ্রী শিব প্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে নাম রাখেন শিবল খাঁ। আর এতেই নবাব মুর্শিদকুলী খাঁন খুশি হয়ে তাকে জমি এবং মিয়া উপাধি প্রদান করেন। নবাব তাকে যে জমি দান করেন, তার পরিমাণ ছিলো এক ভাটায় যতদূর যাওয়া যায় তার সমান। পরবর্তীতে জমিদার শিবল খাঁর ছেলে কালে খাঁ জমিদারীর আওতায় আরো অনেক মৌজা যোগ করেন। মোট ৫৬টি মৌজা এই জমিদারীর আওতায় ছিলো।

বর্তমান অবস্থা

সম্পাদনা

জমিদার বাড়িটির প্রবেশমুখে কয়েকটি গেইট বা প্রবেশদ্বার রয়েছে। ভিতরে জমিদারদের তৈরি করা বাসস্থান বা প্রাসাদ রয়েছে। একটি অন্ধকার কূপ রয়েছে। তবে এখন সবগুলোই প্রায় ধ্বংসের মুখে। জমিদার বাড়িটিতে মুঘলিয় নকশায় তৈরি করা একটি মসজিদ এবং জমিদার কালে খাঁ মিয়া ও তার স্ত্রী জুলেখার জোড়া কবর। জমিদার বাড়ির পাশেই মুঘল আমলে খালের উপর তৈরি করা একটা ব্রিজও রয়েছে। এছাড়াও এই জমিদার বাড়ির আওতাধীন এলাকায় এখনো কিছু মুঘল আমলের স্থাপনা রয়েছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা