নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ি

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার একটি জমিদার বাড়ি

নলডাঙ্গা জমিদার রাজবাড়ী বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জে অবস্থিত একটি পর্যটন স্থান। এই জমিদার বাড়িটি ১৬৫০ সালের দিকের একটি জমিদার বাড়ি ছিলো। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু দর্শনার্থী এই জমিদার বাড়ি দেখতে আসে।

নলডাঙ্গা রাজবাড়ি
রাজধানী
বিকল্প নামনলডাঙ্গা রাজবাড়ি
সাধারণ তথ্য
অবস্থামাহমুদশাহী বরগুনার রাজধানী নলডাঙ্গা
ধরনবাসস্থান, সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দির, শিবমন্দির, রংমহল প্রশাসনিক ভবন
স্থাপত্য রীতিটেরাকুটা অপরূপ সৌন্দর্য স্থাপত্য শৈলী।
অবস্থানবাসস্থান:গুঞ্জনগর, তৈলকুপ, কালীগঞ্জ ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গায় অবস্থিত রংমহল ও মায়ের মন্দির
শহরকালীগঞ্জঝিনাইদহ সদর উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছেআনু. ১৬৫০ শতক
বন্ধ১৯৪৭
স্বত্বাধিকারীবিষ্ণুদাস হাজরা থেকে পরবর্তী সাত পুরুষ।
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

ইতিহাস

সম্পাদনা

নলডাঙ্গা জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা বিষ্ণুদাস হাজরা প্রথমে ছিলেন একজন সন্ন্যাসি। তিনি ধর্মের প্রতি দুর্বল হয়ে এই সন্ন্যাসিনী জীবন বেছে নেন। তিনি তার ফরিদপুর জেলার বসত ভিটা ছেড়ে বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার নলডাঙ্গা নামক এলাকায় এসে এক জঙ্গলে সন্ন্যাসিনী জীবনের তপস্যা শুরু করেন। আর এই সময়ে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তার তপস্যা করা অবস্থায় উক্ত জঙ্গলের পাশের নদী দিয়ে মোগল সাম্রাজ্যের সুবেদার মানসিংহ তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে রাজধানীতে যাচ্ছিলেন। তখন তারা কিছু খাবার সংগ্রহ করার জন্য উক্ত জঙ্গলে প্রবেশ করে। তখন সৈন্যরা বিষ্ণুদাস হাজরাকে তপস্যারত অবস্থায় দেখতে পায়। তখন বিষ্ণুদাস তাদেরকে খাবার যোগাড় করতে সাহায্য করে। আর এতে খুশি হয়ে মোগল সুবেদার তাকে উক্ত জঙ্গলের আশেপাশের মোট পাঁচটি গ্রাম দান করে যান। আর এই থেকেই তার জমিদারীর শুরু। প্রথমত উক্ত জমিদারীর নাম ছিলো হাজরা জমিদারী। পরে নলডাঙ্গা এলাকার নামানুসারে উক্ত জমিদারীর নামকরণ করা হয়। এরপর একের পর এক বংশপরামপণায় এই জমিদার বংশধররা প্রায় তিনশত বছর ধরে এই জমিদারীর জমিদারী পরিচালনা করেন। তাদের শাসনামলে এখানে প্রায় আটটি মন্দির তৈরি করেছিলো। যেগুলো এখনো বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। মন্দিরগুলো হলো কালীমাতা মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, গনেশ মন্দির, দুর্গা মন্দির, তারামনি মন্দির, বিঞ্চু মন্দির, রাজেশ্বরী মন্দির।

অবকাঠামো

সম্পাদনা

বসবাসের জন্য জমিদারী ভবন, শত্রুর আক্রমণ থেকে বাচার জন্য জমিদার বাড়ি থেকে নদী পর্যন্ত সুড়ঙ্গপথ ও ধর্মীয় উপসনার জন্য আটটি মন্দির তৈরি করা হয়।

বর্তমান অবস্থা

সম্পাদনা

বর্তমানে জমিদার বাড়ির তেমন কোনো স্থাপনা আর নেই। সব ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে জমিদারদের তৈরি করা আটটি মন্দিরগুলো কয়েকবার সরকারীভাবে সংস্কার করাতে এখনো বেশ ভালো অবস্থায় আছে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা