কাইতলা জমিদার বাড়ি
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ২২ দিন আগে WikitanvirBot (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
কাইতলা জমিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।
কাইতলা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
অবস্থান | |
অবস্থান | নবীনগর উপজেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
সৃষ্টিকারী | বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী |
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রায় দুইশত বছর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামে এই জমিদার বাড়িটির অবস্থান। প্রথমে ত্রিপুরার রাজা বিরেন্দ্র কিশোর মানিক্যের রাজত্বের অধীনে এই জমিদারি প্রতিষ্ঠিত হয়। কাইতলার জমিদারি ও জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী। তিনি ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিমগাঁওয়ের বাসিন্দা। জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরীর তিন ছেলে ছিল। তারা হলেন তিলকচন্দ্র রায় চৌধুরী, অভয়চন্দ্র রায় চৌধুরী ও ঈশানচন্দ্র রায় চৌধুরী। বিশ্বনাথ রায়ের মৃত্যুর পর তার তিন পুত্র যথাক্রমে জমিদারির দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম দুজন নিঃসন্তান থাকায় ঈশানচন্দ্র রায় চৌধুরীর পর জমিদারির দায়িত্ব পান তার পুত্র যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুুরী। কিন্তু তিনিও ছিলেন নিঃসন্তান। ফলে পরবর্তী জমিদার হন যজ্ঞেশ্বর রায়ের পোষ্যপুত্র প্রফুল্ল বর্ধন ওরফে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। তিনি সেসময় বেশকিছু জনহীতকর কাজ করেন। এরমধ্যে ছিল পালক পিতা যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুুরীর নামে কাইতলা গ্রামে একটি মাইনর বিদ্যাদলয় প্রতিষ্ঠা করা (বর্তমানে কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়) এবং মাতা সুখমণি রায় চৌধুরানী ওরফে সুখ দেবীর নামানুসারে গ্রামের উওর পশ্চিমে প্রায় ৪০একর আয়তন বিশিষ্ট "সুখ সাগর" নামে একটি দীঘি খনন।
বিবরণ ও বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাজমিদার বাড়ির সম্মুখেই ছিল বিশালাকৃতির তোরণযুক্ত প্রবেশদ্বার। এর উপরেই ছিল নহবত খানা। প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢুকার পর নুড়ি পাথরে আবৃত পথ চলে যায় নাটমন্দির সংলগ্ন মাঠ পর্যন্ত। মাঠের উত্তর পাশেই ছিল সেই নাটমন্দির। নাটমন্দিরের সামনের বসার জন্য সিঁড়ির মতো করে তৈরি আসন আজও টিকে আছে। মাঠের দক্ষিণ দিকে ছিল জমিদারি বৈঠকখানা এবং প্রশাসনিক কার্যালয়ের ভবন। প্রশাসনিক ভবনটি পরবর্তীতে কাইতলা সাব পোষ্ট অফিসের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। মাঠের পূর্ব দিকে রয়েছে একটি দীঘি। দীঘির দুদিকে ছিল শান বাঁধানো পাকা ঘাট ও একপাশে একটি ছোটো মঠ। মাঠের পশ্চিম দিকে ছিল একটি বিরাট প্রাসাদ এবং কয়েদ খানা।
উত্তর পাশে একটি ভগ্ন তিনতলা ভবন এখনো টিকে আছে। ভবনের মাঝামাঝিতে রয়েছে অনন্দরমহলে ঢোকার জন্য একটি দরজা ছিল। দরজার পূর্ব পাশে ছিল নাটমন্দির আর পশ্চিম পাশে ছিল পারিবারিক বৈঠকখানা। পূর্বপাশের অংশ এখন সম্পূর্ণ বিলুপ্ত। পশ্চিম পাশটুকু দুতলা পর্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় টিকে আছে। দরজা পার হলেই ছিল অন্দরমহল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুখমণী রানী দেবীর বিশ্রামাগার ও প্রমোদ ভবন। এর উওর পূর্বে দাস দাসীদের কক্ষ। এছাড়া ভিতরে পূজোরঘর সহ আরো বেশ কিছু কক্ষ রয়েছে। অন্দরমহলের স্থাপনাগুলো এখনো অনেকাংশে টিকে আছে।
জমিদারি বিলুপ্তির পরেও জমিদারের পরিবারেরা এই বাড়িতেই বসবাস করতে থাকে। ক্রমে ক্রমে বাড়ির মালিকানা ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। ২০০৩ সালের পূর্বেই বাড়ির ৩ ভাগের ২ অংশ ওয়ারিশেরা বিক্রি করে দেয়। বাকি অংশের মালিক ছিলেন অতিন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী। মৃত্যুর পূর্বে তিনিও তার অংশ বিক্রি করে ফেলেন।
স্মৃতি
সম্পাদনানবীনগর উপজেলায় এখনো এই কাইতলা জমিদারদের কিছু স্মৃতি রয়েছে। জমিদার অভয় চন্দ্র রায় চৌধুরীর নামানুসারে কসবা উপজেলার মেহেরী ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের পশ্চিমাংশকে অভয় নগর নামে অভিহিত করা হয়। এছাড়া একই ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম ঈশান নগর, যা ঈশান চৌধুরীর নামানুসারে করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে পূর্বোক্ত কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় এবং সুখসাগর দীঘি।[১] [২] কাইতলা গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী কসবা উপজেলাধীন মেহারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মুখে এই জমিদারি ও জমিদার বাড়ি সম্পর্কে নানা কথা ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ছড়া হলো:
“ | ঈশান রায়ের বাড়ি, |
” |
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |