কাইতলা জমিদার বাড়ি

কাইতলা জমিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।

কাইতলা জমিদার বাড়ি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
অবস্থান
অবস্থাননবীনগর উপজেলা
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীবিশ্বনাথ রায় চৌধুরী

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রায় দুইশত বছর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামে এই জমিদার বাড়িটির অবস্থান। প্রথমে ত্রিপুরার রাজা বিরেন্দ্র কিশোর মানিক্যের রাজত্বের অধীনে এই জমিদারি প্রতিষ্ঠিত হয়। কাইতলার জমিদারি ও জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বিশ্বনাথ রায় চৌধুরী। তিনি ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিমগাঁওয়ের বাসিন্দা। জমিদার বিশ্বনাথ রায় চৌধুরীর তিন ছেলে ছিল। তারা হলেন তিলকচন্দ্র রায় চৌধুরী, অভয়চন্দ্র রায় চৌধুরী ও ঈশানচন্দ্র রায় চৌধুরী। বিশ্বনাথ রায়ের মৃত্যুর পর তার তিন পুত্র যথাক্রমে জমিদারির দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম দুজন নিঃসন্তান থাকায় ঈশানচন্দ্র রায় চৌধুরীর পর জমিদারির দায়িত্ব পান তার পুত্র যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুুরী। কিন্তু তিনিও ছিলেন নিঃসন্তান। ফলে পরবর্তী জমিদার হন যজ্ঞেশ্বর রায়ের পোষ্যপুত্র প্রফুল্ল বর্ধন ওরফে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। তিনি সেসময় বেশকিছু জনহীতকর কাজ করেন। এরমধ্যে ছিল পালক পিতা যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুুরীর নামে কাইতলা গ্রামে একটি মাইনর বিদ্যাদলয় প্রতিষ্ঠা করা (বর্তমানে কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়) এবং মাতা সুখমণি রায় চৌধুরানী ওরফে সুখ দেবীর নামানুসারে গ্রামের উওর পশ্চিমে প্রায় ৪০একর আয়তন বিশিষ্ট "সুখ সাগর" নামে একটি দীঘি খনন করা।

নবীনগর উপজেলায় এখনো এই কাইতলা জমিদারদের কিছু স্মৃতি রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, অভয়নগর গ্রাম, যা অভয় চন্দ্র রায় চৌধুরীর নামানুসারে করা হয়েছে। তারপর মেহেরী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম ঈশান নগর, যা ঈশান চৌধুরীর নামানুসারে করা হয়েছে। এবং কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, যা ঈশান চৌধুরীর ছেলে যজ্ঞেশ্বরের নামানুসারে করা হয়েছে। আবার যজ্ঞেশ্বরের স্ত্রী সুখমনি রায়ের নাম একটি দীঘি রয়েছে। দীঘিটি চল্লিশ একর জায়গা নিয়ে করা হয়েছে। এই দীঘিটির নাম হলো সুখসাগর দীঘি। এখন জমিদার বাড়ির জমিদারি না থাকলেও এইরকম আরো অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই কাইতলা জমিদার বাড়ির। [১] [২]

বর্তমান অবস্থা

সম্পাদনা

বর্তমানে এখানে জমিদার বাড়ির প্রাসাদের ভগ্ন ইমারত, নহবত খানা আর মন্দিরের সৌধমালার ধ্বংসাবশেষ অবশিষ্ট আছে। এছাড়াও রয়েছে একটি দিঘী ও একটি জলাশয় রয়েছে।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা