কামানখোলা জমিদার বাড়ি
কামানখোলা জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কামানখোলা নামক স্থানে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।[১][২]
কামানখোলা জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা |
ঠিকানা | কামানখোলা |
শহর | লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্বত্বাধিকারী | রাজেন্দ্র নাথ দাস |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
সম্পাদনাকবে নাগাদ এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির সৃষ্টি তার সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জমিদার রাজেন্দ্র নাথ দাস তা জানা গেছে। মূলত তাদের জমিদারী ছিল লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। আর এখানের জমিদারী ছিল দালাল বাজার জমিদারদের। তবে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় তারা কামানখোলায় জমিদার বাড়ি তৈরি করতে দেন এই ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। জমিদার পরিবাদের ভাষ্যমতে জমিদার যদুনাথ দাসের কোন পুত্র না থাকায় তিনি এক পুত্র দত্তক নেন। দত্তক নেবার বিষয়ে এক চমকপ্রদ কথা প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে তিনি পুত্র দত্তক নেবার সময় পুত্রের সমান স্বর্ন ও সম্পদ বিনিময় হিসেবে দেন।পরে তিনি যোজ্ঞ করে পুত্রের নাম গোত্র পরিবর্তন করেন।যার নাম হরেন্দ্র নারায়ন দাস। দালাল বাজার জমিদার এবং কামানখোলার জমিদাররা মূলত একই বংশ। পরিবার বেশ কিছু সদস্য ভারতে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে যায়। এবং দালাল বাজারের জমিদার বাড়িটি বেশ পুরানো হয়ে যাওয়াতে বাড়ি স্থানান্তর করে চলে আসেন কামানখোলা। পর্যায়ক্রমে এখানে জমিদার বংশের ক্ষেত্রনাথ দাস, যদুনাথ দাস এবং হরেন্দ্র নারায়ন দাস এখানে জমিদারী পরিচালনা করেন। অনেকে মনে করেন এই বংশের কেউ বুঝি আর নেই। ভারতে,বাংলাদেশের কিছু জায়গায় এবং কামানখোলাতে এখনও তাদের বেশ কিছু বংশধর বসবাস করেন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাজমিদার বাড়িটিতে প্রবেশাদ্বার, একটি দ্বিতল বিশিষ্ট্য ভবন, রক্ষী বাহিনীর ঘর, জল টংগী, পূজা মণ্ডপ, নৃত্য, সালিশী কক্ষ, দিঘী ও মঠ রয়েছে।
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাএখানে এখনও লোকজনের বসবাস থাকাতে মোটামুটিভাবে জমিদার বাড়ির সকল অবকাঠামো বেশ ভালো অবস্থাই আছে। বাড়ির ভেতরের অংশে এখনও জমিদার পরিবারের বেশ সদস্য বসবাস করেন
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের যত দর্শনীয় স্থান | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০১৯-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১০।
- ↑ BanglaNews24.com। "চট্টগ্রাম বিভাগে দেখার মতো স্থান আছে ১৮৩টি !"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |