পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষিপ্তরূপ: পাবিপ্রবি বা পাস্ট) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৮ সালের ৫ জুন প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে এখানে ৪ বছর মেয়াদী স্নাতক প্রোগ্রামের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়।
![]() | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ৫ জুন ২০০৮ |
ইআইআইএন | ১৩৬৬৩০ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল |
শিক্ষার্থী | ৫,০০০(আনু.) |
স্নাতক | ৩,০০০ |
স্নাতকোত্তর | ২,০০০ |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
পোশাকের রঙ | নীল এবং সাদা |
সংক্ষিপ্ত নাম | পাবিপ্রবি বা পাস্ট |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। এখানকার ক্যাম্পাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন আবাসিক হলের ব্যবস্থা।
পাবিপ্রবি বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের মাধ্যমে বিজ্ঞান, প্রকৌশল, ব্যবসা, ও মানবিক বিষয়ে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদান করে। এটি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, ও উদ্ভাবনী দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অবস্থান
সম্পাদনাপাবনা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রাজাপুর নামক স্থানে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে ৩০ একর জমির উপর স্থাপিত হয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালের ১৫ জুলাই "পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১" প্রণয়ন করার মাধ্যমে পাবনা জেলার নগরবাড়ী মহাসড়কের উত্তর পাশে গয়েশপুর ধোপাঘাটা নামক স্থানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর জারি করা হয় এসআরও (নং ২৭৮)। শুরুতে রাজাপুরের টিটিসি ক্যাম্পাসকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে পাবনা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রাজাপুর নামক স্থানে মূল ক্যাম্পাস চালু করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম উদ্বোধন করেন তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার, বীর উত্তম। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মূল ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউজিসি-র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।
উপাচার্যগণ
সম্পাদনানিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:
ক্রম | নাম | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব হস্তান্তর |
---|---|---|---|
১ | অধ্যাপক ড. আমিন উদ্দিন মৃধা | ২০০৮ | ২০০৯ |
২ | অধ্যাপক ড. মোজাফফর হোসেন | ২০০৯ | ২০১৩ |
৩ | অধ্যাপক ড. আল-নকীব চৌধুরী | ২০১৪ | ২০১৮ |
৪ | অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী | ২০১৮ | ২০২২ |
৫ | অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন | ২০২২ | ২০২৪ |
৬ | অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল | ২০২৪ | বর্তমান |
অনুষদ ও বিভাগ
সম্পাদনামোট ৫টি অনুষদে মোট ২১টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ | স্নাতক প্রোগ্রাম | বিভাগ | আসন |
---|---|---|---|
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ | বি.এসসি. (ইঞ্জিনিয়ারিং) | কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল | ৪০ |
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল | ৪০ | ||
তড়িৎ, ইলেক্ট্রনিক ও যোগাযোগ প্রকৌশল | ৪০ | ||
তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল | ৪০ | ||
পুরকৌশল | ৪০ | ||
বি. আর্ক. | স্থাপত্য | ৩০ | |
বি. ইউআরপি | নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা | ৪০ | |
বিজ্ঞান অনুষদ | বি.ফার্ম. (প্রফেশনাল) | ফার্মেসি | ৪০ |
বি.এসসি. (অনার্স) | পদার্থবিজ্ঞান | ৪০ | |
রসায়ন | ৪০ | ||
গণিত | ৫০ | ||
পরিসংখ্যান | ৪০ | ||
জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ | ভূগোল ও পরিবেশ | ৫০ | |
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ | বি.বি.এ. | ব্যবসায় প্রশাসন | ৫০ |
পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা | ৪০ | ||
কলা ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ | বি.এ. (অনার্স) | বাংলা | ৫০ |
ইংরেজি | ৫০ | ||
বি.এস.এস (অনার্স) | ইতিহাস | ৫০ | |
অর্থনীতি | ৫০ | ||
সমাজকর্ম | ৫০ | ||
লোকপ্রশাসন | ৫০ | ||
মোট আসন | ৯২০ |
স্থাপনা
সম্পাদনাএই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, স্বাধীনতা স্তম্ভ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার,পরিবহন ব্যবস্থা, ২টি একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, মুক্তমঞ্চ রয়েছে। এছাড়াও চার তলা বিশিষ্ট অডিটরিয়াম, বারো তলা বিশিষ্ট দুটি একাডেমিক ভবন, দশ তলা বিশিষ্ট দুটি হল এবং টিএসসি ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে।
ক্যাম্পাস
সম্পাদনাপাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাবনা শহরের রাজাপুর নামক স্থানে অবস্থিত। এটি পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। এর মূল আয়তন ৩০ একর।
-
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
-
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
আবাসন ব্যবস্থা
সম্পাদনাছাত্র হল
সম্পাদনা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (২ টি ব্লক)।
- শেখ রাসেল হল (নির্মাণাধীন)।
ছাত্রী হল
সম্পাদনা- শেখ হাসিনা হল।
- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (নির্মাণাধীন)
যাতায়াত ব্যবস্থা
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ১০টি এবং ২টি বিআরটিসি দ্বিতল বাসসহ মোট ১২টি বাস সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাস হতে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করে। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলাদা যাতায়াত ব্যবস্থা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দুটি এম্বুলেন্স।
ক্যাফেটেরিয়া
সম্পাদনাস্বাধীনতা চত্বরের পাশে একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।
মেডিক্যাল সেন্টার
সম্পাদনাপ্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় মেডিক্যাল সেন্টারটি অবস্থিত। চারজন এমবিবিএস ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে মেডিক্যাল সেন্টার পরিচালিত হয়
সংগঠন
সম্পাদনা- সাংস্কৃতিক সংগঠন
- অনিরুদ্ধ নাট্য দল
- কণ্ঠস্বর আবৃত্তি দল
- পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি
- পাস্ট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
- রোভার স্কাউট গ্রুপ
- পাঠকবন্ধু (আজকের পত্রিকা)
- জোনাকি
- আগামীর সূর্য
- দক্ষতা উন্নয়নমূলক সংগঠন
- প্রগতি কলম সমাজ
- সলভার গ্রিন
- ফার্মা ক্যারিয়ার ক্লাব
প্রকাশনা
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও তথ্য নিয়ে জনসংযোগ দপ্তরের উদ্যোগে ত্রৈমাসিক সাময়িকি 'পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বার্তা' প্রকাশিত হয়। এছাড়াও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন সংবাদ পোর্টাল রয়েছে।
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
কেন্দ্রীয় মসজিদ
-
ক্যাফেটেরিয়া
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |