ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাজনীতিবিদ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[১][২] এছাড়া সিরাজগঞ্জ-২ এর প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু | |
---|---|
প্রাক্তন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | মীর্জা মুরাদুজ্জামান |
কাজের মেয়াদ ১ আক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ নাসিম |
উত্তরসূরী | রুমানা মাহমুদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় পার্টি |
সম্পর্ক | এম এ মতিন (ভগ্নীপতি) |
পিতামাতা | আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (পিতা) |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কয়েলগাঁতী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্প ও প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী ছিলেন। সাবেক উপ প্রধানমন্ত্রী এম এ মতিন তার ভগ্নীপতি।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি ৭ মে ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ৩ মার্চ ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৩][৪] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে তিনি ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫]
তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৬] ২০০৭ সালের ২১ শে মার্চ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা দায়ের করে, অবৈধ উপায়ে ২৫ কোটি টাকা আদায় করার অভিযোগ আনা হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর তাকে এই মামলায় বিশেষ আদালত নয় বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত করে। তিনি ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ১৬ জুন ২০১১-তে তাকে বাংলাদেশ হাইকোর্ট খালাস দেওয়া হয়। ৪ ডিসেম্বর ২০১১-এ দুর্নীতি দমন কমিশন এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ২৭ জানুয়ারী ২০১৪-এ আপিল বিভাগে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছিল [৭] । তিনি একটি আপিল দায়ের করেছিলেন যা ২০১৬ সালে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল এবং আপিল বিভাগে একটি নতুন শুনানির আদেশ দেওয়া হয়েছিল [৮] ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Minister Mosharraf asked to surrender"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "Tuku jailed for 9yrs for ill-gotten wealth"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Father does not believe it"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "SC scraps Tuku's acquittal in graft case"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "BNP leader Tuku has to go for fresh HC hearing in graft case"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।