কে এম আব্দুস সালাম
কে এম আব্দুস সালাম একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২]
কে এম আব্দুস সালাম | |
---|---|
সিনিয়র সচিব জাতীয় সংসদ | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৮ জুলাই ২০২১ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
পূর্বসূরী | ড. জাফর আহমেদ খান |
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ – ১৭ মে ২০২০ | |
উত্তরসূরী | মহসিনা ইয়াসমিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | তাড়াশ উপজেলা, সিরাজগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | সরকারি কর্মকর্তা, সচিব |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকে এম আব্দুস সালাম সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের নাঙ্গলমোড়া তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুস সাত্তার মাস্টার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে বিএসএস (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে তিনি ফরাসি ভাষা কোর্সও অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাকে এম আব্দুল সালাম ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরিজীবনে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা ও জেলায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সচিব পদেও দায়িত্ব পালন সহ যুগ্মসচিব হিসেবে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে টেকসই এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডিএ) সদস্য, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[১]
১৮ জানুয়ারি ২০১৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২]
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে অবসর গমনের সুবিধার্থে আব্দুস সালামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সচিব) হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়।[৩] ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে আব্দুস সালামের অবসরোত্তর ছুটি ও তদসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিতের শর্তে পরবর্তী এক বছরের জন্য একই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।[৪][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "K.M. Abdus Salam, Secretary, Ministry of Labour and EmploymentBangladesh Secretariat, Dhaka"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক (১৭ মে ২০২০)। "শ্রম ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব"। রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "কে এম আব্দুস সালাম (৫৩৯৫) | জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়" (পিডিএফ)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২৩-০৯-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৮।
- ↑ "কে এম আব্দুস সালাম (৫৩৯৫) | চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়" (পিডিএফ)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২৩-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৮।
- ↑ "সংসদ সচিবালয়ে সিনিয়র সচিব পদে আরও এক বছর থাকছেন সালাম"। কালবেলা। ২০২৩-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |