মিল্কভিটা
মিল্কভিটা হলো বাংলাদেশের সরকারি দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এর মালিক “বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড”, যা বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি সমবায় সমিতি।[১] কোম্পানিটির মূল উদ্দেশ্য হল দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সামগ্রী উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।[২] ২০২১ সালে, মিল্কভিটার অধীনে বাংলাদেশের তরল দুধের ৪০ শতাংশ বাজার দখলে রয়েছে।[৩][৪] বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে কোম্পানিটির কারখানা রয়েছে।
গঠিত | ১৯৭৩ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান | অধ্যাপক আবু সাইয়িদ |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড |
ওয়েবসাইট | milkvita.portal.gov.bd |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৭৩ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউ এন ডি পি) ও ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্সী (ডানিডা )-এর সহযোগিতায় এদেশের দুগ্ধ নিয়ে নিয়ে স্টাডি করানো হয় । তারা ভারতের ''আমূল'' পদ্ধতি গ্রহণের সুপারিশ করে
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার “সমবায় দুগ্ধ প্রকল্প” নামে একটি দুগ্ধশিল্প উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করে।[৩] দুগ্ধ উৎপাদনকারী কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ঋণ সহায়তায় দেশের পাঁচটি এলাকায় দুগ্ধ কারখানা স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে “বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড” (মিল্কভিটা) নামে এর নামকরণ করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন পাবনা জেলার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার) বাঘাবাড়ি ঘাটে মিল্কভিটার সর্ববৃহৎ প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী।
২০২২ সালে, আইসক্রিম পণ্যে বাজারের অংশীদারত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে মিল্কভিটা মাদারীপুরে আইসক্রিম কারখানা তৈরির আবেদন করে।[৫]
পণ্য
সম্পাদনাএর মূল পণ্য হল তরল দুধ, যা “মিল্কভিটা” নামে বিক্রয় করা হয়। তরল দুধের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ঘি, মাখন, আইসক্রিম, মিষ্টি দই, টক দই, ক্রিম, চকলেট ও লবঙ্গ বিক্রি করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "মিল্ক ভিটা"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "আমাদের লক্ষ্য" (পিডিএফ)। মিল্কভিটা। বাংলাদেশ সরকার। ২৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ মলি, জেসমিন (১৬ ডিসেম্বর ২০১৬)। "পুষ্টিহীনতা দূরীকরণের অভিপ্রায় মিল্ক ভিটার"। বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Corporatisation of dairy in Bangladesh"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২২।
- ↑ "Milk Vita eyes a bigger share in ice-cream market"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৩-২২।