নবরত্ন মন্দির
নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মন্দির ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার হাটিকুমরুল গ্রামে অবস্থিত বলে একে হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির নামেও ডাকা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এটি দোলমঞ্চ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত নবরত্ন মন্দিরসমূহের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।[১]
নবরত্ন মন্দির | |
---|---|
স্থানীয় নাম হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির | |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | হাটিকুমরুল, উল্লাপাড়া উপজেলা |
অঞ্চল | সিরাজগঞ্জ জেলা |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
ইতিহাস
সম্পাদনানবরত্ন মন্দিরটি আবিষ্কারের সময় এখানে কোন শিলালিপির অস্তিত্ব ছিল না বলে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি অনুসারে, মন্দিরটি ১৬৬৪ সালের দিকে রামনাথ ভাদুরী নামে স্থানীয় এক জমিদার নির্মাণ করেছিলেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন আরও পরে, মন্দিরটি বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খানের সময়কাল ১৭০৪ থেকে ১৭২৮ সালের মধ্যে কোন এক সময় নির্মাণ করা হয়েছিল।[২]
কিংবদন্তি অনুসারে, রামনাথ ভাদুরী দিনাজপুরের তৎকালীন রাজা প্রাণনাথের বন্ধু ছিলেন। ভাদুরী তার বন্ধুকে তার রাজ্যের রাজস্ব পরিশোধে একবার সাহায্য করেছিলেন। তারই ফলস্বরূপ প্রাণনাথ দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দিরের অদলে সিরাজগঞ্জে এই মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন ভাদুরী তার নিজস্ব অর্থ ব্যয় করেই এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।[৩]
অবকাঠামো
সম্পাদনানবরত্ন মন্দিরটি তিনতলাবিশিষ্ট ও এর দেয়ালে প্রচুর পোড়ামাটির নকশা করা রয়েছে। শক্ত একটি মঞ্চের উপর স্থাপিত মন্দিরটির আয়তন ১৫ বর্গমিটার এর উপর। যে স্তম্ভগুলোর মাধ্যমে মন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে তার প্রতিটি স্তম্ভের দৈর্ঘ্য ১৫.৪ মিটার ও প্রস্থ ১৩.২৫ মিটার।[২] নবরত্ন নামটি এসেছে মন্দিরের উপর বসানো নয়টি চূড়া থেকে যেগুলো বর্তমানে প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
নবরত্ন মন্দিরটি ৭টি বারান্দা ও ৫টি দরজার সমন্বয়ে গঠিত। নবরত্ন মন্দিরের পাশাপাশি আরও তিনটি মন্দির রয়েছে। [৩]
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরে"।
- ↑ ক খ Ittefaq, The Daily। "নবরত্ন মন্দির :: দৈনিক ইত্তেফাক"।
- ↑ ক খ "১৭ শতকের নবরত্ন মন্দির"। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬।