বরিশাল বিভাগ

বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ

বরিশাল বিভাগ বাংলাদেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের একটি। ১৯৯৩ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ছয়টি জেলা নিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। এ প্রশাসনিক অঞ্চল পূর্বে ঢাকা বিভাগ (১৮২৯-১৯৬০) ও খুলনা বিভাগ (১৯৬০-১৯৯২) এর অন্তর্গত ছিল।

বরিশাল
বিভাগ
বরিশাল বিভাগের মানচিত্র
বরিশাল বিভাগের মানচিত্র
বরিশালের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩০′ উত্তর ৯০°২০′ পূর্ব / ২২.৫০০° উত্তর ৯০.৩৩৩° পূর্ব / 22.500; 90.333
দেশ বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠিত১৯৯৩
রাজধানীবরিশাল
সরকার
 • বিভাগীয় কমিশনারসাইফুল হাসান বাদল
আয়তন
 • মোট১৩,২২৫.২০ বর্গকিমি (৫,১০৬.২৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারি)
 • মোট৮৩,২৫,৬৬৬
 • জনঘনত্ব৬৩০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
আইএসও ৩১৬৬ কোডBD-A
ওয়েবসাইটbarisaldiv.gov.bd

ভৌগোলিক অবস্থান সম্পাদনা

এই বিভাগের উত্তরে ঢাকা বিভাগ, পশ্চিমে খুলনা বিভাগ, পূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

প্রশাসনিক বিভাজন সম্পাদনা

এই বিভাগের মোট জেলার সংখ্যা ৬ (ছয়) টি; অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহ হলোঃ

  1. বরিশাল জেলা
  2. পটুয়াখালী জেলা
  3. ভোলা জেলা
  4. বরগুনা জেলা
  5. ঝালকাঠি জেলা
  6. পিরোজপুর জেলা

নদ-নদী সম্পাদনা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জালের ন্যায় নদী ছড়িয়ে আছে; বরিশাল বিভাগেও তেমনই নদ-নদীর সংখ্যা প্রচুর। এই বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে কীর্তনখোলা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা নদী.বলেশ্বর নদী।

ধর্ম সম্পাদনা

বরিশাল বিভাগে মুসলিমহিন্দুসহ কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের লোকজন একত্রে বসবাস করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পাদনা

আধুনিক মাদরাসা শিক্ষার এক যুগান্তকারী বিস্ময়, মাদরাসা বোর্ডের শীর্ষে ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদরাসা প্রখ্যাত দার্শনিক, সমাজ সংষ্কারক হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আযীযুর রহমান নেছারাবাদী কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. ১৯৫০ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশে হাফেজ ছাত্রদের জন্য একমাত্র স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান দারুল কায়েদ তাহিলী মাদরাসা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর প্রতিষ্ঠা করেন। চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপীঠ। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯২৪ সালে সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে আলিয়া মাদ্রাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮২ সালে সৈয়দ ফজলুল করিম মাদ্রাসার কওমী শাখা চালু করেন। বর্তমানে উভয় শাখার শিক্ষাদান করা হয়। কওমী শাখার আচার্য সৈয়দ রেজাউল করিম ও আলিয়া শাখার আচার্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীব্রজমোহন কলেজ বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৮৮৯ সালে অশ্বিনীকুমার দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য বরিশাল বিভাগে দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), দুইটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অফ গ্লোবাল ভিলেজ), দুটি সরকারি মেডিকেল কলেজ (শের-এ-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ) একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ) ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। এছাড়াও প্রতি জেলায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বরিশাল বোর্ডে ২০টি সরকারি কলেজ সহ মোট কলেজের সংখ্যা ৩০৯টি।

বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সম্পাদনা

আবুল কাশেম ফজলুল হক]] রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব।

সাংবাদিক :প্রতিষ্ঠাতা ইত্তেফাক পত্রিকা।

  • অশ্বিনীকুমার দত্ত (রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও সাহিত্যিক)
  • অমৃতলাল দে
  • দেলওয়ার হোসাইন সাঈদি(ইসলামী চিন্তাবিদ,সমাজসংস্কারক,মুফাফসির,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব,ইসলামি নেতা)
  • জীবনানন্দ দাশ (কবি)
  • আবুল হাশেম সি.এস.পি। সাবেক সচিব জাতীয় সংসদ সচিবালয়।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা