ব্রজমোহন কলেজ
ব্রজমোহন কলেজ বা বি.এম কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বরিশাল শহরে অবস্থিত। ১৮৮৯ সালে প্রখ্যাত সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী অশ্বিনীকুমার দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ছিল। সেসময়ে এ কলেজের মান এতই উন্নত ছিল যে অনেকে একে দক্ষিণ বাংলার অক্সফোর্ড বলে আখ্যায়িত করেন। [১] ১৯৬৫ সালে কলেজটির জাতীয়করণ করা হয় ও বর্তমানে কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত। কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ২২টি বিষয়ে ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ১৯টি বিষয়ে পাঠদান করে থাকে।কলেজে ছাত্রদের জন্য ৩টি (মুসলিম হোস্টেল, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার হোস্টেল, কবি জীবনানন্দ দাশ হিন্দু হোস্টেল) এবং মেয়েদের জন্য চারতলা ভবনের ১টি হোস্টেল (বনমালী গাঙ্গুলী মহিলা হোস্টেল) রয়েছে। কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০,০০০। এখানে ১টি বাণিজ্য ভবন, ২টি কলা ভবন, একটি অডিটোরিয়াম, ৪টি বিজ্ঞান ভবন ও ৩টি খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়া দুই প্রান্তে দুটি দিঘি কলেজের সৌন্দর্যকে করে তুলেছে মনোমুগ্ধকর
![]() | |
নীতিবাক্য | সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা |
---|---|
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ১৮৮৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত |
অধ্যক্ষ | ড.মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২২ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৯৮ |
শিক্ষার্থী | ২৭০০০ (প্রায়) |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহরে (৬০ একর) |
সংক্ষিপ্ত নাম | বিএম কলেজ |
অধিভুক্তি | বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
শিক্ষা কার্যক্রমসম্পাদনা
অবকাঠামোসম্পাদনা
প্রশাসনসম্পাদনা
কলেজ ভবনসম্পাদনা
ছাত্রাবাসসম্পাদনা
গ্রন্থাগারসম্পাদনা
সংগঠনসম্পাদনা
রাজনৈতিক দলসমূহসম্পাদনা
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ছাত্র মিশন
- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
- বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
মিডিয়া সংগঠনসম্পাদনা
শিক্ষা-সহায়ক কার্যক্রমসম্পাদনা
- বাংলাদেশ রোভার স্কাউট
- বাংলাদেশ জাতীয় ক্যাডেট কোর (সুন্দরবন রেজিমেন্ট)
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীসম্পাদনা
- নলিনী দাস (১ জানুয়ারি ১৯১০ - ১৯ জুন, ১৯৮২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান, গবেষক, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক।
- আইউব আলী খান, শিক্ষক, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা।
- বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সাহসিকতার জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
- জীবনানন্দ দাশ, প্রথিতযশা কবি
- আলতাফ মাহমুদ, সুরকার, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা
- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, খ্যাতনামা সাহিত্যিক
- ড.স্বদেশ বসু, বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক
- তারকেশ্বর সেনগুপ্ত, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও শহীদ
- রওশন আরা বাচ্চু, বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সংগ্রামী।
চিত্রমালাসম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "বিএম কলেজ - আমাদের বরিশাল"। ১৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৫।
স্থানাঙ্ক: ২২°৪২′৪৪″ উত্তর ৯০°২১′১৮″ পূর্ব / ২২.৭১২১° উত্তর ৯০.৩৫৫১° পূর্ব