মোহাম্মদ আলী (নোয়াখালীর রাজনীতিবিদ)
মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।[১][২][৩]
মোহাম্মদ আলী | |
---|---|
নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | বোরহান উদ্দিন |
উত্তরসূরী | ওয়ালী উল্লাহ |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ ফজলুল আজিম |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ ফজলুল আজিম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৬ জানুয়ারি,১৯৫৫ হাতিয়া উপজেলা, নোয়াখালী জেলা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আয়েশা ফেরদাউস |
সন্তান | ৩ |
পিতামাতা | আবদুল মালেক |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ আলী ৭ এপ্রিল ১৯৬১ সালের সালে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরকৈলাশ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।[৪] তার পিতা আবদুল মালেক ছিলেন আইনজীবী। তিনি (আবদুল মালেক) নোয়াখালীতে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে হাইকোর্টে আইন পেশায় শুরু করেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়।[৫]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ আলী ছাত্রজীবনে বামপন্থী রাজনীতিবিদ ছিলেন। পরে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলে। এর পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।[৬] তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।[১] এর পর ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদে একই আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টি সমর্থনে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন।[২] ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] উল্লেখ্য,২০০১ পরবর্তী সময়ে হাতিয়ার চরাঞ্চলে র্যাব-পুলিশ কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে টেলিভিশন টকশোতে সরব ভূমিকার জন্য তিনি প্রশংসিত।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস স্বতন্ত্র নির্বাচন করে হেরে যান। আয়েশা ফেরদাউস ২০১৪ ও ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[৭] সর্বশেষ ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে।পরবর্তীতে সরকার পতন হলে তিনি পদ হারান।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্যের স্বামী মোহাম্মদ আলীর"। www.natun-barta.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "শোক সংবাদ অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক"। DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "সাবেক এমপি'র 'অবৈধ' শত কোটি টাকা ও সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০২০-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "স্ত্রী শুধুই প্রার্থী, বাকি সব স্বামীর"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।