ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সরকারি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই।[৭] সূচনালগ্নে ছাত্র-শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি "প্রাচ্যের অক্সফোর্ড" নামে খ্যাতি লাভ করে।[৮][৯]
![]() ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো | |
নীতিবাক্য | সত্যের জয় সুনিশ্চিত |
---|---|
স্লোগান | শিক্ষাই আলো |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯২১ |
অধিভুক্তি | |
বাজেট | ৳ ৮০৪,৪১,০০০০০ (২০২৪-২৫)[১] |
ইআইআইএন | ১৩৬৫৮৪ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | নিয়াজ আহমেদ খান[২] |
ডিন | ১৩ জন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৯৯২[৩] |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪,৪১৭ |
শিক্ষার্থী | ৪৬,১৫০ (২০১৮-২০১৯)[৪] |
স্নাতক | ৩০,০০০+[৫] |
স্নাতকোত্তর | ৯,৩৬২+[৫] |
৯৭৪+[৫] | |
অন্যান্য শিক্ষার্থী | ২৬৯+[৫] |
ঠিকানা | , , ১০০০ , ২৩°৪৩′৫৯″ উত্তর ৯০°২৩′২৮″ পূর্ব / ২৩.৭৩৩০৬° উত্তর ৯০.৩৯১১১° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | নগর, ২৭৫.৮৩ একর (১১১.৬২ hectare) (ঢাবির ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বহিক্যাম্পাস- ২ এ)[৬] |
পোশাকের রঙ | নেভি ব্লু এবং লাল |
সংক্ষিপ্ত নাম | ঢাবি |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৪ টি ছাত্রাবাস এবং বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি মোট ১০৫টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে।[৩] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার।[১০]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য কৃতি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে ১৩ জন রাষ্ট্রপতি, ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এবং একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। এদেশের বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদান ছিল।[৮] এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি পদক লাভ করেছেন।[১১][১২] এছাড়া এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়া উইকের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নেয়।[১৩]

ইতিহাস
সম্পাদনাব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তৎকালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে লিখেছেন,
বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন স্প্লেনডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন। পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।[১৪]
১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নওয়াব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, ঢাকা মোহসিনীয়া মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ. এইচ. আর. জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশচন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়। ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। লর্ড রোনাল্ডসে ১৯১৭ হতে ১৯২২ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর থাকা কালে সৈয়দ শামসুল হুদা কে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন সদস্য ঘোষণা করেন। সৈয়দ শামসুল হুদার সুপারিশে স্যার এ. এফ. রাহমান কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট মনোনীত করা হয়, তিনি ইতঃপূর্বে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যরত ছিলেন।[১৫] পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ।
সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশা প্রকাশ করে। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে সাম্রাজ্যিক বিধান পরিষদে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে [১৬]। এ ৮৭৭ জনের মধ্যে নারী ছিলেন একজন।[১৭]
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়ের ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। এই সহযোগিতা দানের কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি হলের নামকরণ করা হয় ঢাকা হল (বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) ও জগন্নাথ হল।[১৮]
কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি, ইসলামি অধ্যয়ন, ফার্সি ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজি বিভাগ; এমএ-১৯২৩)। যে সব প্রথীতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ.সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি.এইচ. ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ.জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ. এফ. রাহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ অনেকে শহীদ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সরকার প্রবর্তিত অধ্যাদেশ বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ উক্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার-১৯৭৩ জারি করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এই অর্ডার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।[১৯]
প্রাঙ্গণ ও অবকাঠামো
সম্পাদনামূল প্রাঙ্গণ
সম্পাদনা২৭৫ দশমিক ৮৩ একর[২০] নগর এলাকার উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রাঙ্গণ অবস্থিত। এই এলাকার মধ্যে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল ও অন্যান্য অবকাঠামো অবস্থিত। কার্জন হল ও কলা ভবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ও অন্যতম প্রতীকী ভবন।[২১][২২] কার্জন হলে বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিভাগসমূহ, এবং কলা ভবনে কলা বিভাগসমূহের ও সমাজবিজ্ঞানের কয়েকটি বিভাগের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগসমূহ, ব্যবসায় শিক্ষা ভবন ও এমবিএ ভবনে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগসমূহ, এবং চারুকলা ইনস্টিটিউশনে চারুকলা বিভাগসমূহের পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য
সম্পাদনা১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে অবস্থিত।[২৩] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক হিসেবে রয়েছে একাধিক ভাস্কর্য। কলাভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম স্মারক ভার্স্কর্য। ৬ ফুট বেদির ওপর নির্মিত ১২ ফুট উচ্চতা, ৮ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে এবং উন্মোচন করা হয় ১৯৭৯ সালে।[২৪] ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সড়কদ্বীপে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা। ১৯৮৮ সালের ২৫শে মার্চ এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ও উন্মোচন করা হয়।[২৫] ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল ও বুয়েট সংলগ্ন সড়ক দ্বীপে অবস্থিত স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বাঙালির ইতিহাসের সমস্ত বীরত্বগাথাকে ধারণ করে নির্মিত ভাস্কর্যটি ১৯৯৯ সালে উন্মোচন করা হয়।[২৬] ফুলার রোডের সড়কদ্বীপে উপাচার্যের ভবনের পাশে রয়েছে স্মৃতি চিরন্তন। এর নামফলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৪ জন শহীদের নাম রয়েছে। জগন্নাথ হলে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যার শিকার হওয়া ৪ জন শিক্ষক, ৩৬ জন ছাত্র এবং ২১ জন কর্মচারী ও অতিথি স্মরণে নির্মিত হয়েছে গণহত্যা ফলক। কলাভবনের সামনের চত্ত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের নামফলক রয়েছে।[২৭]
কার্জন হলের সামনে অবস্থিত দোয়েল চত্বর বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক, এবং বাঙালি সংস্কৃতির পরিচায়ক।[২৮] দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত তিন নেতার মাজার ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। এটি স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলার তিন রাজনৈতিক নেতা - হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হকের সমাধি। তিনটি উঁচু কলাম দ্বারা নির্মিত এ সমাধির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং সমাপ্ত হয় ১৯৮৫ সালে।[২৯] তিন নেতা মাজারের পাশেই অবস্থিত ঢাকা গেইট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি ঐতিহাসিক মোঘল স্থাপনা।[৩০]
ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত সন্ত্রাস বিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি প্রধান ভাস্কর্য। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা মঈন হোসেন রাজুর স্মরণে এবং সন্ত্রাসবিরোধী চেতনা ধরে রাখার প্রত্যয়ে ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়।[৩১] ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের চত্বরে রয়েছে শান্তির পায়রা ভাস্কর্য। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অন্যান্য ভাস্কর্যসমূহ হল স্বামী বিবেকানন্দ ভাস্কর্য, ঘৃণাস্তম্ভ, মধুদার ভাস্কর্য, সপ্তশহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, বৌদ্ধ ভাস্কর্য ও শহীদ ডা. মিলন ভাস্কর্য।
স্বাস্থ্যসেবা
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, সায়েন্স অ্যানেক্স ভবনের কাছে অবস্থিত, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে রোগগত পরীক্ষা প্রদান করে। এই কেন্দ্রটি সপ্তাহে সাত দিনই চব্বিশ ঘন্টা সেবা প্রদান করে, ৩০ জন ডাক্তার শিফটে কাজ করেন। কেন্দ্রটিতে একটি ডেন্টাল ইউনিট, একটি চক্ষু ইউনিট, একটি এক্স-রে বিভাগ এবং দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।[৩২]
ক্যাফেটেরিয়া
সম্পাদনাক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়া আছে, যার মধ্যে কিছু ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যিক আকর্ষণ বহন করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা মধুর ক্যান্টিন এর মালিককে হত্যা করে।[৩৩]
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর নিজস্ব ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে এবং আরেকটি ক্যাফেটেরিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্ন্যাকস (DUS) চত্বরে অবস্থিত। আরেকটি, বিজ্ঞান ক্যাফেটেরিয়া কার্জন হলের পিছনে অবস্থিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে, এটি ভেঙে একটি নতুন ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামনে ডিইউ হাট নামে আরেকটি নাস্তা এবং মধ্যাহ্নভোজের স্থান রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক ফুড কোর্ট রয়েছে।[৩৪]
কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ মোট ৩০ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও ৩০ তম উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।[২]
অনুষদসমূহ
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়টি ১৩টি অনুষদ এবং ৮৩টি বিভাগ নিয়ে গঠিত।[৩৫]
- ''কলা অনুষদ: বিভাগসমূহ
- বাংলা
- ইংরেজি
- আরবি
- ফারসি ভাষা ও সাহিত্য
- উর্দু
- সংস্কৃত
- পালি
- বৌদ্ধ অধ্যয়ন
- ভাষাবিজ্ঞান
- দর্শন
- ইতিহাস
- ইসলামিক অধ্যয়ন
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- তথ্য বিজ্ঞান এবং গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা
- বিশ্ব ধর্ম এবং সংস্কৃতি
- থিয়েটার এবং পারফরম্যান্স অধ্যয়ন
- সঙ্গীত
- নৃত্য
- 'সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ': বিভাগসমূহ
- অর্থনীতি
- রাজনীতিবিজ্ঞান
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
- নৃবিজ্ঞান
- জনপ্রশাসন
- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
- যোগাযোগ ব্যাধি
- মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন
- টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র
- সমাজবিজ্ঞান
- উন্নয়ন অধ্যয়ন
- অপরাধবিদ্যা
- জাপানি অধ্যয়ন
- নারী ও লিঙ্গ অধ্যয়ন
- শান্তি ও সংঘাত অধ্যয়ন
- 'আইন অনুষদ':
- আইন বিভাগ
- চারুকলা অনুষদ: বিভাগ
- সিরামিক
- কারুশিল্প
- অঙ্কন এবং চিত্রকলা
- গ্রাফিক ডিজাইন
- প্রাচ্য শিল্প
- মুদ্রণ তৈরি
- ভাস্কর্য
- শিল্পের ইতিহাস
- ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (FBS) ১৯৭০ সালে বাণিজ্য অনুষদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দুটি বিভাগ - হিসাববিজ্ঞান বিভাগ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ দিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৪ সালে আরও দুটি বিভাগ তৈরি করা হয় এবং কর্তৃপক্ষ ১৯৭৭-১৯৭৮ সেশন থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করে। ১৯৯৪-৯৫ সেশনে বি.কম এবং এম.কম ডিগ্রির নাম যথাক্রমে বিবিএ এবং এমবিএ করা হয়।[৩৬] ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হিসেবে পুনঃব্র্যান্ডিং করার পর, পরবর্তী তেরো বছরে এই অনুষদে আরও চারটি বিভাগ যুক্ত করা হয়। ১৯৯৫ সালে, বাণিজ্য অনুষদটি তার বর্তমান নাম গ্রহণ করে এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে পরিণত হয়।[৩৭]
মুহাম্মদ আব্দুল মঈন ২০২০ সালের মে মাসে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন হিসেবে নিযুক্ত হন।[৩৮]
বর্তমানে, অনুষদের অধীনে প্রায় ১৫৩ জন শিক্ষক, ১০ জন কর্মকর্তা, ৫৮ জন কর্মচারী এবং প্রায় ৬১০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং বিভাগগুলি নিম্নরূপ।[৩৬]
-
- হিসাব ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা
- বিপণন
- অর্থ
- ব্যাংকিং ও বীমা
- ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা
- আন্তর্জাতিক ব্যবসা
- পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা
- সংস্থার কৌশল এবং নেতৃত্ব
- বিজ্ঞান অনুষদ: বিভাগ
- ফার্মেসি অনুষদ: বিভাগ
- ফার্মেসি
- ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এবং ফার্মাকোলজি
- ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি
- ফার্মাসিউটিক্যাল টেকনোলজি
- জীববিজ্ঞান অনুষদ: বিভাগসমূহ
- মাটি
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণীবিদ্যা
- জৈব রসায়ন এবং আণবিক জীববিজ্ঞান
- অণুজীববিজ্ঞান
- মনোবিজ্ঞান
- চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
- শিক্ষা মনোবিজ্ঞান
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জৈবপ্রযুক্তি
- মৎস্য
- ''পৃথিবী ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদ: বিভাগসমূহ
- ভূগোল ও পরিবেশ
- ভূতত্ত্ব
- মহাসাগর
- দুর্যোগ বিজ্ঞান এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা
- আবহাওয়া
- 'প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ': বিভাগসমূহ
- শিক্ষা অনুষদ'':
- যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগ
- 'মেডিসিন অনুষদ':
- মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ
- স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞান ও গবেষণা অনুষদ'':
- ভাইরোলজি বিভাগ
ইনস্টিটিউট
সম্পাদনা- শিক্ষা ও গবেষণা
- পরিসংখ্যান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ
- ব্যবসা প্রশাসন
- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা
- আধুনিক ভাষা
- তথ্য প্রযুক্তি
- শক্তি
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ঝুঁকিপূর্ণতা অধ্যয়ন
- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান
- স্বাস্থ্য অর্থনীতি[৩৯]
- চামড়া প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
- শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট: দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য যোগ্য শিক্ষক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবিজ্ঞানী গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ইন্সটিটিউটটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ইন্সটিটিউট হিসেবে ইউএসএইড-এর অর্থায়নে কলোরাডো স্টেট কলেজের (বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নর্দার্ন কলোরাডো) টেকনিক্যাল সহায়তায় ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন কোর্সের মধ্যে রয়েছে চার বছরের বি.এড (সম্মান), এক বছরের এম. এড (নিয়মিত), দুই বছরের এম. এড সান্ধ্যকালীন কোর্স, এম. ফিল. ও পিএইচ.ডি.।
- পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট: ইস্টিটিউটটি সাধারণত আই. এস. আর. টি নামে পরিচিত। ১৯৬৪ সালে এই ইস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিসংখ্যানবিদ ডঃ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন এই ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বর্তমানে এর পরিচালক হলেন মোহাম্মদ সোয়াইব। এই ইন্সটিটিউটে ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ে চার বছর মেয়াদি বি.এস(সম্মান) ও এক বছর মেয়াদি এম. এস কোর্সে পাঠদান করা হয়।
- ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউট
- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট
- সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
- আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট
- তথ্য প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট
- ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি
- স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট: গত তিন দশক ধরে স্বাস্থ্য অর্থনীতিতে অর্থনীতির একটি প্রধান শাখা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের শিক্ষাবিদদের স্বাস্থ্যের নির্ধারকদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং আমরা কীভাবে প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি (আইএইচই) ইনস্টিটিউট, ১৯৯৮ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখে, যা দক্ষিণ-এশিয়াতে একমাত্র স্বাস্থ্য অর্থনীতি শিক্ষাদান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আইএইচই শৃঙ্খলা সব অঞ্চলে কাজ করে, পদ্ধতিগত চিন্তাধারা উপর একটি বিশেষ জোর দেওয়া এবং সংক্ষিপ্ত কোর্স/প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন একাডেমিক ডিগ্রী প্রোগ্রাম প্রস্তাব মাধ্যমে উচ্চ নীতি প্রভাব। এটি তার মানের শিক্ষার জন্য এবং স্বাস্থ্যের পরিমাপের পরিমাপ, কর্মক্ষমতা পরিমাপ এবং উত্পাদনশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন, বিকল্প স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচির অর্থনৈতিক মূল্যায়ন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি, রোগব্যাধি পরিমাপের পরিমাপ, এবং অর্থনীতির পদ্ধতিতে কাজ করার জন্যও পরিচিত।
আবাসিক হলসমূহ
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে কোনো না কোনো হলের সাথে আবাসিক/অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৪ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৫ টি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়া চারুকলা অনুষদ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউট এবং
ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশী ছাত্রদের জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস।
- সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
- জগন্নাথ হল
- ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল
- ফজলুল হক মুসলিম হল
- জহুরুল হক হল
- রুকইয়াহ হল
- মাস্টারদা সুরজা সেন হল
- স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল
- হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল
- শামসুন নাহার হল
- কবি জসীমউদ্দিন হল
- স্যার এ.এফ রহমান হল
- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
- মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল
- বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল
- অমর একুশে হল
- বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল
- কবি সুফিয়া কামাল হল
- বিজয় একাত্তর হল
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাভর্তি
সম্পাদনাবছর | ভর্তি পরিক্ষার্থী | আসন |
---|---|---|
২০২১-২২[৪০] | ২,৯০,৩৪৮ | ৬,০৩৫ |
২০২০-২১[৪১] | ৩,২৪,৩৪০ | ৭,১৩৩ |
২০১৯-২০[৪২][৪৩] | ২,৭৬,৩৯১ | ৭,১১৮ |
স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বিজ্ঞান অনুষদের জন্য বিজ্ঞান ইউনিট, মানবিক,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের জন্য 'কলা,আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান' ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য 'ব্যবসায় শিক্ষা' ইউনিট, আইবিএ অনুষদের জন্য 'আইবিএ' ইউনিট এবং চারুকলা অনুষদের জন্য 'চারুকলা' ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৮.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫০), খ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৭.৫০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০), এবং গ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ৭.৫০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে। ঘ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখার মোট জিপিএ মোট জিপিএ ৮.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০), মানবিক ও বাণিজ্য শাখার ক্ষেত্রে মোট জিপিএ ৭.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে এবং চ ইউনিটের জন্য মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.০০ (আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.০০) থাকতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফল ও পছন্দ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচন করতে পারে।[৪১]
শিক্ষাদান ও ডিগ্রি
সম্পাদনাঅধিকাংশ বিভাগেই শিক্ষাবর্ষ দুটি সেমিস্টারে বিভক্ত। একটি সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এবং অপরটি জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেমিস্টারে দুটি মধ্যবর্তী পরীক্ষা ও একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, বাকি বিভাগগুলোতে একটি বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেসব বিভাগে বছরের বিভিন্ন সময়ে টিউটোরিয়াল নেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে চার বছর মেয়াদী এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এক বছর মেয়াদী শিক্ষাদান করা হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগগুলোতে বিভাগ-ওয়ারী নানা ধরনের গবেষণাগার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রতি সেমিস্টারে বা শিক্ষাবর্ষে এক বা একাধিক অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। অধ্যাপকবৃন্দ তাদের পাঠদানের অংশ থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের এই অ্যাসাইনমেন্ট প্রদান করে থাকেন। এছাড়া শেষ বর্ষে শিক্ষার্থীদের কোন একজন তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষকের অধীনে একটি সন্দর্ভ লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়।
বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্তকে কালিনারায়ণ বৃত্তি প্রদান করা হয়। ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় তার পিতা কালিনারায়ণের স্মরণার্থে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি চালু করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর বৃত্তির তহবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।[৪৪] অনুষদ ভিত্তিক বিভাগ ওয়ারি স্নাতক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সরকারি মেধা বৃত্তি ও সরকারি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।[৪৫] এছাড়া স্নাতক পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের দেশের উল্লেখযোগ্য শিক্ষাবিদ ও ব্যক্তিদের স্মরণার্থে প্রদত্ত বিভিন্ন বৃত্তি প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি,[৪৬] মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শফি ট্রাস্ট ফান্ড ও আমেনা-লতিফ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি,[৪৭] রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মুকতাদির স্মারক বৃত্তি।[৪৮]
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্নাতক অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে। অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্যদের নিয়ে আটটি বোর্ড বৃত্তি গ্রহীতাদের নির্বাচন করে।[৪৯] ২০২১ সাল থেকে জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশন এশিয়া এন্ড ওসিনিয়া প্রাইভেট লি. কর্তৃপক্ষ স্নাতক পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর মেয়াদী বৃত্তি চালু করে।[৫০][৫১] ফার গ্রুপ এবং রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পার ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ২৫ ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদানের জন্য অনুদান প্রদান করে।[৫২]
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার আঠারো হাজার বই[৫৩] নিয়ে যাত্রা শুরু করে। গ্রন্থাগারে বর্তমানে নয় লক্ষাধিক বই রয়েছে।[৫৩] তিনটি পৃথক ভবনে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারটি বাংলাদেশের বৃহত্তম। গ্রন্থাগারটিতে ৬,১৭,০০০ এরও বেশি খণ্ডের সংগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সাময়িকীগুলির আবদ্ধ খণ্ড। এছাড়াও, এতে অন্যান্য ভাষার ৩০,০০০ এরও বেশি পাণ্ডুলিপি এবং বিপুল সংখ্যক মাইক্রোফিল্ম, মাইক্রোফিচ এবং সিডি রয়েছে। এটি ৩০০ টিরও বেশি বিদেশী জার্নালের স্বাক্ষর করে।[৫৪]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে তিনটি ভবন রয়েছে: প্রশাসনিক ভবন, প্রধান গ্রন্থাগার ভবন এবং বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ভবন। প্রশাসনিক ভবনে প্রশাসনিক অফিস, একটি বই অধিগ্রহণ বিভাগ, একটি বই প্রক্রিয়াকরণ বিভাগ, একটি পুনঃপ্রণয়ন বিভাগ, একটি বই বাঁধাই বিভাগ, একটি পাণ্ডুলিপি বিভাগ এবং একটি সেমিনার বিভাগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পাশাপাশি একটি ই-লাইব্রেরি রয়েছে যা এশিয়ার মধ্যে এই ধরণের বৃহত্তম।[৫৫] এই উন্নত স্তরের ই-লাইব্রেরিটি বিশ্বের ৩৫টি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন লাইব্রেরি এবং প্রকাশনা সংস্থার সাথে সংযুক্ত। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকরা ই-লাইব্রেরি সুবিধা ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি সহ এই শীর্ষস্থানীয় লাইব্রেরিগুলির সমস্ত জার্নাল, বই গবেষণাপত্র এবং নিবন্ধ পড়তে পারবেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এই ই-লাইব্রেরিটি ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছিল। এতে মোট ১৪০০ শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। ১২,০০০ বর্গফুট আয়তনের এই লাইব্রেরিতে তিনটি বিভাগ রয়েছে: একটি কম্পিউটার বিভাগ, একটি নীরব অঞ্চল এবং একটি আলোচনা অঞ্চল। প্রায় ৭,০০০ শিক্ষার্থী এবং অনুষদের ২০৮ জন শিক্ষক এই সুবিধা থেকে সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন।[৫৫]
প্রকাশনা
সম্পাদনাপ্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এটি বছরে একবার বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে প্রকাশিত হত। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এটি বছরে দুবার অর্ধ-বার্ষিক সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হত। ১৯৮৪ সালে জুন এবং অক্টোবর সংখ্যা হিসেবে দুবার প্রকাশিত হত। ১৯৮৫ সাল থেকে, পত্রিকাটি নিয়মিতভাবে ফেব্রুয়ারি, জুন এবং অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হয়ে আসছে।[৫৬]
র্যাংকিং
সম্পাদনাবিশ্ববিদ্যালয় ক্রম | |
---|---|
বৈশ্বিক – সামগ্রিকভাবে | |
কিউএস বিশ্ব[৫৭] | ৬৯১-৭০০ (২০২৪) |
টিএইচএ বিশ্ব[৫৮] | ১০০১-১২০০ (২০২৫) |
ইউএসএনডব্লিউআর বিশ্ব[৫৯] | ৫২০ (২০২৪) |
আঞ্চলিক – সামগ্রিকভাবে | |
কিউএস এশিয়া[৬০] | ১৪০ (২০২৪) |
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং
সম্পাদনা২০১১-১২ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং দ্বারা 'বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়' তালিকায় স্থান করে নেয়। বিশ্বের ৩০,০০০ এরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে, ঢাবি ৫৫১ তম স্থানে ছিল।[৬১] ২০১৪-১৫ সালে, কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং (পূর্বে টাইমস হায়ার এডুকেশন–কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং) অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৭০১ তম স্থানে ছিল।[৬২] ২০১৫-১৬ সালে, টাইমস হায়ার এডুকেশন এলসেভিয়ার এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ ৮০০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ৬৫৪তম স্থানে স্থান দেয়।[৬৩] ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে, QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংস তাদের ২০১৫/১৬ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের ২০১৫ সংস্করণ প্রকাশ করে এবং এশিয়ায় DU-কে ১২৬তম এবং বিশ্বে ৭০১-৭৫০ নম্বরে স্থান দেয়।[৬৪] টাইমস হায়ার এডুকেশন ২০১৮ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-এ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ১০০১+ স্থানে রয়েছে।[৬৫]
এশিয়ান স্তরের র্যাঙ্কিং
সম্পাদনা২০১৬-১৭ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস এশিয়ান ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং অনুসারে এশিয়ায় ১০৯ তম স্থানে ছিল।[৬২] টাইমস হায়ার এডুকেশন ২০১৬ সালের এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯১-২০০ নম্বরে স্থান দিয়েছে।[৬৬]
১৯৯৯ সালে এশিয়ার (এবং অস্ট্রেলিয়ান) সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির র্যাঙ্কিংয়ে, এশিয়াউইক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩৭তম স্থান দেয়।[৬৭] এবং ২০০০ সালে ৭৭টি র্যাঙ্ক করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৪তম (সামগ্রিক এবং বহু-বিষয়ক বিভাগ)।[৬৮]
২০০০ সালে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ছাত্র নির্বাচনীতার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে উচ্চতর স্থান (২৩তম) অর্জন করে, যেখানে একাডেমিক খ্যাতি (৭৪তম), অনুষদের সম্পদ (৫৯তম), গবেষণা (৬৫তম) এবং আর্থিক সম্পদ (৭৪তম) বিভাগে নিম্নতর স্থান অর্জন করে।[৬৯]
২০১৫ সালের বিষয়ভিত্তিক কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং - ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের বিষয়ভিত্তিক র্যাঙ্কিং অনুসারে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (র্যাঙ্কিং ২৫১-৩০০) সহ দক্ষিণ এশীয় মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় এই র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে। [৭০]
ছাত্রজীবন
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলা এবং অন্যান্য পাঠ্যক্রম বহির্ভূত এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম আয়োজন করে। শারীরিক শিক্ষা পরিচালকের কার্যালয় তিন ধরণের প্রোগ্রাম প্রদান করে:[৭১]
- বাধ্যতামূলক শারীরিক শিক্ষা,
- প্রধান খেলাধুলা প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট কোর্স, এবং
- অভ্যন্তরীণ এবং বহির্মুখী প্রোগ্রাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল স্টেডিয়াম। এখানে আন্তঃনগর এবং জাতীয় পর্যায়ে অনেক আন্তঃকলেজিয়েট এবং আন্তঃকলেজিয়েট ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অভ্যন্তরীণ এবং বহির্মুখী প্রোগ্রাম
সম্পাদনাঅধিদপ্তর আন্তঃবিভাগীয় এবং আন্তঃহল টুর্নামেন্ট, ব্যক্তিগত হল অ্যাথলেটিক্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাথলেটিক্স এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় গেমস এবং ক্রীড়া আয়োজন ও পরিচালনা করে। শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ের গেমস এবং ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে যার জন্য পূর্ব প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ছাত্র ইউনিয়ন। বাংলাদেশে এটি ডাকসু নামে বেশি পরিচিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, জাতীয় উচ্চশিক্ষা নীতি বিতর্কে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করার জন্য এবং ছাত্র সংগঠনকে সরাসরি পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত।[৭২][৭৩][৭৪] এটি ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয় ১৯২৫ সালের ৩০ অক্টোবর সাধারণ সভায়। ১৯৫৩ সালে, এর সংবিধান সংশোধন করা হয় এবং ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন রাখা হয়। ২০১৯ সালে, ২৯ বছর পর শেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকে ডাকসু শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে।
শিক্ষার্থী কার্যক্রম
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ১৯২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৭৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে এর নাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অনেকবার ডাকসু নির্বাচন হলেও ২০০০ সাল পূর্ব থেকেই ডাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ১৮ বছর পর কিছুটা সাংবিধানিক পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালে বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভিপি হন নুরুল হক নুর এবং জিএস গোলাম রাব্বানী।
সংগঠন
সম্পাদনা- বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলো হল
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ)
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন
- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ
- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
- বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী
- এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে
সমাবর্তন
সম্পাদনা১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম নিয়মিত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১৯২৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই (সর্বমোট ২৪ বার) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর। পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। এরপর ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আরও ১৫ বার সমাবর্তন হয়। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ সমাবর্তন হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ; সেটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সমাবর্তন। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো (৪০তম) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে সমাবর্তন উদ্বোধন করার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই ভোররাতে ঘটে যায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি। এরপর ৪০তম সমাবর্তন হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এরপর ২০০১ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। তারপর থেকে নিয়মিত ভাবেই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বশেষ ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে।
বছর | নাম | উপাধি | পরিচয় |
---|---|---|---|
১৯২২ | লরেন্স জন লামলে ডানডাস | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চ্যান্সেলর |
১৯২৫ | ফিলিপ জোসেফ হার্টগ | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর |
১৯২৭ | মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী | ডক্টর অব লিটারেচার | বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগের প্রথম অধ্যক্ষ |
আর্ল অব লিটন | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর | |
১৯৩২ | স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন | ডক্টর অব সায়েন্স | পদার্থবিজ্ঞানী |
স্যার ক্রান্সীস স্ট্যানলি জ্যাকসন | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর | |
১৯৩৬ | স্যার আবদুর রহিম | ডক্টর অব ল'জ | রাজনীতিবিদ |
স্যার জন এন্ডারসন | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর | |
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু | ডক্টর অব সায়েন্স | পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী | |
স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় | ডক্টর অব সায়েন্স | রসায়নবিদ | |
স্যার যদুনাথ সরকার | ডক্টর অব লিটারেচার | ইতিহাসবিদ | |
স্যার মুহাম্মদ ইকবাল | ডক্টর অব লিটারেচার | কবি ও দার্শনিক | |
স্যার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | ডক্টর অব লিটারেচার | কবি ও সাহিত্যিক | |
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | ডক্টর অব লিটারেচার | কথা সাহিত্যিক | |
১৯৩৭ | স্যার এ এফ রহমান | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর |
১৯৪৯ | খাজা নাজিমুদ্দিন | ডক্টর অব ল'জ | পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল |
১৯৫১ | স্যার মোহাম্মদ শাহ আগা খান | ডক্টর অব ল'জ | আগা সুলতান |
১৯৫২ | ড. আবদুল ওয়াহাব আজম | ডক্টর অব ল'জ | কূটনীতিক |
১৯৫৬ | আবুল কাশেম ফজলুল হক | ডক্টর অব ল'জ | রাজনীতিবিদ |
ইস্কান্দার মির্জা | ডক্টর অব ল'জ | পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল | |
চৌ এন লাই | ডক্টর অব ল'জ | গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী | |
মাদাম সুংগ চিং লিং | ডক্টর অব ল'জ | --- | |
১৯৬০ | জামাল আব্দেল নাসের | ডক্টর অব ল'জ | যুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি |
আইয়ুব খান | ডক্টর অব ল'জ | পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি | |
১৯৭৪ | সত্যেন্দ্রনাথ বসু | ডক্টর অব সায়েন্স (মরণোত্তর) | পদার্থবিজ্ঞানী |
মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা | ডক্টর অব সায়েন্স | রসায়নবিদ | |
কাজী মোতাহার হোসেন | ডক্টর অব সায়েন্স | পরিসংখ্যানবিদ | |
হীরেন্দ্রলাল দে | ডক্টর অব সায়েন্স | বিজ্ঞানী | |
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ | ডক্টর অব লিটারেচার (মরণোত্তর) | বহুভাষাবিদ | |
কাজী নজরুল ইসলাম | ডক্টর অব লিটারেচার | বাংলাদেশের জাতীয় কবি | |
আবুল ফজল | ডক্টর অব লিটারেচার | সাহিত্যিক | |
ওস্তাদ আলী আকবর খান | ডক্টর অব লিটারেচার | সঙ্গীতজ্ঞ | |
১৯৯৩ | আবদুস সালাম | ডক্টর অব সায়েন্স | পদার্থবিজ্ঞানী |
১৯৯৭ | ফ্রেডারিকা মায়ার | ডক্টর অব সায়েন্স | ইউনেস্কোর মহাপরিচালক |
১৯৯৯ | অমর্ত্য সেন | ডক্টর অব সায়েন্স | অর্থনীতিবিদ |
শেখ হাসিনা | ডক্টর অব ল'জ | বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী | |
২০০৪ | মাহাথির বিন মোহাম্মদ | ডক্টর অব ল'জ | মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী |
২০০৭ | মুহাম্মদ ইউনূস | ডক্টর অব ল'জ | অর্থনীতিবিদ |
২০০৯ | ইউয়ান ৎসে লি | ডক্টর অব সায়েন্স | রসায়নবিদ |
আবুল হুসসাম | ডক্টর অব সায়েন্স | রসায়নবিদ | |
রণজিত গুহ | ডক্টর অব লিটারেচার | ইতিহাসবিদ | |
২০১০ | আবদুল্লাহ গুল | ডক্টর অব ল'জ | তুরস্কের রাষ্ট্রপতি |
২০১১ | বান কি মুন[৭৭][৭৮] | ডক্টর অব ল'জ | জাতিসংঘের মহাসচিব |
২০১২ | প্যাসকেল ল্যামি[৭৯] | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক |
ইরিনা বোকোভা | ডক্টর অব ল'জ | ইউনেস্কোর মহাপরিচালক | |
২০১৩ | প্রণব মুখোপাধ্যায়[৮০][৮১][৮২] | ডক্টর অব ল'জ | ভারতের রাষ্ট্রপতি |
২০১৫ | ফ্রান্সিস গুরি | ডক্টর অব ল'জ | বিশ্ব মেধাসত্ত্ব সংস্থার মহাপরিচালক |
২০১৭ | অমিত চাকমা | ডক্টর অব সায়েন্স | ভাইস-চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও |
ইউকিয়া আমানো | ডক্টর অব ল'জ | মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষায়তনিক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাদের মধ্যে একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীসহ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, ধর্মীয় ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদসহ নানা পেশায় জড়িত ব্যক্তি রয়েছেন।
রাজনীতি
সম্পাদনাবাংলাদেশের ১৩ জন রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারা হলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদউল্লাহ, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অঘোষিতভাবে রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালনকারী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান বিশ্বাস, জমির উদ্দিন সরকার, ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া আবু সাঈদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
বাংলাদেশের ৭ জন প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারা হলেন তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান, মশিউর রহমান, আতাউর রহমান খান, মওদুদ আহমেদ, কাজী জাফর আহমেদ, এবং শেখ হাসিনা। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী জামাল উদ্দিন আহমেদ এখানে পড়াশোনা করেছেন।[৮৩] এছাড়া শতাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিজ্ঞান
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকারী এ এফ এম ইউসুফ হায়দার ১৯৯৪ ও ২০১৩ সালে [৮৪] এবং শাহিদা রফিক ২০০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৮৫] আব্দুল মতিন চৌধুরী,[৮৬] এ কে এম সিদ্দিক,[৮৭] গোলাম মোহাম্মদ ভূঁঞা[৮৮] বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী ও নোবেল কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া পদার্থবিজ্ঞানী অজয় রায়, আহমেদ শফি, ইমদাদুল হক খান,[৮৯][৯০] এ এম হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ইন্নাস আলী, এম এ ওয়াজেদ মিয়া, এম শমশের আলী, কামরুল হায়দার,[৯১] খন্দকার আব্দুল মুত্তালিব,[৯২] খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী, ফজলে বারী মালিক, ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মুহম্মদ মুনিরুল ইসলাম,[৯৩][৯৪] মোহাম্মদ আতাউল করিম,[৯৫] সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ও সুলতানা নুরুন নাহার এবং ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী শ্রীনিবাস কৃষ্ণণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
রসায়নবিজ্ঞানী ফজলুল হালিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ছিলেন। এছাড়া রসায়নবিজ্ঞানী আব্দুস সাত্তার খান, আবুল হুসসাম, ও আল-নকীব চৌধুরী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী এ কে এম নুরুল ইসলাম, প্রাণিবিজ্ঞানী কাজী ফজলুর রহিম, কলেরার জীবাণু ভিব্রিও কলেরির অগ্রগণ্য গবেষক শাহ মোহাম্মদ ফারুক, জিনবিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী আনোয়ারুর রহমান খান ও আব্দুস সাত্তার খান, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী আব্দুল করিম এবং বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক আলী আজগর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়া পরিসংখ্যানবিদ এম সি চক্রবর্তী, কাজী মোতাহার হোসেন, ও খোন্দকার মনোয়ার হোসেন; গণিতবিদ ভূপতিমোহন সেন; পুরকৌশলী ও স্থপতি ফজলুর রহমান খান এবং জিনতত্ত্ববিদ তাসিন আলম ভূইয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সামাজিক বিজ্ঞান
সম্পাদনাঅর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[৯৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ হলেন অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত, এ. বি. মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম, এম হাফিজ উদ্দিন খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ওয়াহিদুল হক, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ও রেহমান সোবহান; অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ শাহ এ এম এস কিবরিয়া;[৯৭] কূটনীতিবিদ আবিদা ইসলাম, আবুল আহসান, এনায়েত করিম, এম.এম রেজাউল করিম ও মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, ইতিহাসবিদ আবদুল করিম, আবু মোহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ, আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন ও রমেশচন্দ্র মজুমদার; ভাষাবিদ মুহম্মদ আবদুল হাই, মুহম্মদ এনামুল হক, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশারদ আনিসুজ্জামান ও মহামোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
এছাড়া দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ও সরদার ফজলুল করিম; রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আবদুর রাজ্জাক, আলী রীয়াজ, ও এমাজউদ্দিন আহমদ, এবং সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন ও এ কে নাজমুল করিম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
সাহিত্য ও শিল্পকলা
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আনোয়ার পাশা, আবুবকর সিদ্দিক, আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আসকার ইবনে শাইখ, আসহাব উদ্দীন আহমদ, আহমদ ছফা, আহমদ শরীফ, আহমাদ মোস্তফা কামাল, ওমর আলী, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, নুরুল মোমেন, পূরবী বসু, বুদ্ধদেব বসু, মুনীর চৌধুরী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, রাশিদ আসকারী, শহীদুল জহির, শহীদুল্লা কায়সার, শামসুর রাহমান, শাহীন আখতার, সেলিম আল দীন, হুমায়ূন আজাদ, হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন কাদির, আবুল হোসেন মিয়া
অভিনয়শিল্পী আলী যাকের, ইলিয়াস কাঞ্চন, উজ্জ্বল, খান আতাউর রহমান, খালেদ খান, চঞ্চল চৌধুরী, ডলি আনোয়ার, ডলি জহুর, ফেরদৌস আহমেদ, ফেরদৌসী মজুমদার, মাসুম পারভেজ রুবেল, সারা যাকের, সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহেল রানা, বাংলাদেশী ব্রিটিশ কৌতুক অভিনেতা দীনু শফিক, এবং পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, আবু শাহেদ ইমন, আলমগীর কবির, ইবনে মিজান, জহির রায়হান, জাকির হোসেন রাজু, তারেক মাসুদ, নারগিস আক্তার, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মোরশেদুল ইসলাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন।
সঙ্গীতশিল্পী আনোয়ার উদ্দিন খান, আঞ্জুমান আরা বেগম, জাহেদুর রহিম, নাশিদ কামাল, ফৌজিয়া ইয়াসমিন, রথীন্দ্রনাথ রায়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, শাহাদাত হোসেন খান, সাবিনা ইয়াসমিন ও তাহসান রহমান খান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, পটুয়া কামরুল হাসান, চিত্রশিল্পী আমিনুল ইসলাম, মনসুর উল করিম, মোবিনুল আজিম, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ও হাশেম খান; ভাস্কর নিতুন কুন্ডু, সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ ও হামিদুজ্জামান খান; এবং কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
প্রশাসন
সম্পাদনা- উপাচার্যগণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ফিলিপ হার্টগ।[৯৮] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন উপাচার্য ছিলেন। বর্তমান একজন হলেন নিয়াজ আহমেদ খান।[৯৯]
- প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরগণ
- কোষাধ্যক্ষ
আইন
সম্পাদনাবিচারপতি ও আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি এ. বি. এম. খায়রুল হক, এ. টি. এম. আফজাল, সৈয়দ রেফাত আহমেদ; উচ্চ আদালতের বিচারক আমির হোসেন, আশীষ রঞ্জন দাশ, কাশেফা হুসাইন, নাইমা হায়দার, ফারাহ মাহবুব; সুপ্রিম আদালতের আইনজীবী আব্দুর রব চৌধুরী, এবিএম নুরুল ইসলাম এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাধর্ম-বিশারদ ও পণ্ডিতদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, মতিউর রহমান নিজামী, আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া, আব্দুল মালেক, আহমদ আবদুল কাদের, আজিজুল হক, রাবি উপাচার্য মুহাম্মদ আবদুল বারী, ইবি উপাচার্য মুহাম্মাদ মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল হালিম বুখারী।[১০৫]
খেলাধুলা
সম্পাদনাশেখ কামাল, আমিনুল হক মনি, আথার আলী খান, ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ, ও শাহরিয়ার নাফীস, মোশাররফ হোসেন রুবেল; অ্যাথলেট কাজী আবদুল আলীম, এ কে এম মিরাজ উদ্দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবেশ
সম্পাদনাবৃক্ষরাজি
সম্পাদনাপ্রায় ২৫৪.০৮ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নানা রকম বৃক্ষরাজিতে পরিপূর্ণ। এদের মধ্যে দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষও রয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসে রয়েছে রেইনট্রি, মেহগনি, দেবদারু, জারুল, তেলসুর, কৃষ্ণচূড়া ও নাগেশ্বর। ২০১৬ সালের এক গবেষণ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে ৫৪১ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে দেশি উদ্ভিদ মাত্র ৪১ শতাংশ। এই ৫৪১ প্রজাতির উদ্ভিদের ৩৭ শতাংশ বিরুৎ, ২৯ শতাংশ বৃক্ষ, ২১ শতাংশ গুল্ম, ১১ শতাংশ আরোহী, ২ শতাংশ এপিফাইট ও ০.২ শতাংশ পরগাছাজাতীয় উদ্ভিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তত্বাবধানে কার্জনহলে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে। এখানে দুর্লভ ও বিপন্নপ্রায় নানা উদ্ভিদ রয়েছে। এই বাগানে আছে তালিপাম, কুরচি, উদাল, আগর, গর্জন, ম্যাগনোলিয়া, আফ্রিকান বাওবাব, ৭০/৮০ বছর বয়সের তেলসুর, জিমনোস্পার্ম বা বাঁশপাতা বৃক্ষ, উড়ি আম, লতা আম, সুন্দরী বৃক্ষ, বিড়ি পাতা, পালাম, রক্তচন্দন, বিলাতি বেল, রুটি ফল, পলাশ, ডেফল, বাস্কেট বাদাম, পাইন, মেন্দা, মাধবীলতা,[১০৬] অঞ্জন[১০৭]।
পালিত দিবসসমূহ
সম্পাদনাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পালিত দিবসসমূহ :
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস - প্রতি বছর ১ জুলাই[১০৮]
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস - প্রতি বছর ২৩ আগস্ট[১০৯]
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস - প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
বোটানিক্যাল গার্ডেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
-
প্রশাসনিক ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
-
টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১৪।
- ↑ ক খ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ তম নতুন উপাচার্য"। ঢাকা পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ ক খ "University of Dhaka - University at a Glance"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১।
- ↑ "98th Annual Report 2018-2019, University of Dhaka"। www.du.ac.bd। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ "Annual Report 2015"। University of Dhaka। পৃষ্ঠা 95। ২০১৬-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৬।
- ↑ "আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী"। যুগান্তর। ১ জুলাই ২০২৪।
- ↑ হাওলাদার, আসিফ। "গৌরবোজ্জ্বল অতীত নিয়ে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২১।
- ↑ ক খ মিয়া, সাজাহান। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়"। ইসলাম, সিরাজুল। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০২১।
- ↑ ড. খুরশিদ আলম (২২ জুলাই ২০১৫)। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন সম্ভব?"। দৈনিক সমকাল। ২ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯।
- ↑ "Dhaka University Library"। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Academy Gold Medal Award"। bas.org.bd। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১২।
- ↑ munir। "BAS Gold Medal Award Ceremony 2011"। bas.org.bd। ২৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১২।
- ↑ "TIME Magazine -- Asia Edition -- March 10, 2013 - Vol. 183, No. 9"। এশিয়া উইক। ২৮ জানুয়ারি ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "- প্রথম আলো"। prothom-alo.com। ২১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Dr. Rita Ashraf (২০২০-১২-০৫)। "মুসলিম ঐতিহ্য ও নজরুল সাহিত্য"। Bangladesh Journal of Integrated Thoughts। 13 (20)। আইএসএসএন 2788-5925। ডিওআই:10.52805/bjit.v13i20.176।
- ↑ [১]
- ↑ আক্তার, সাইয়েদা (২০২১-০৬-২৭)। "একজন ছাত্রী নিয়ে শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীশিক্ষায় যে ভূমিকা"। বিবিসি নিউজ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৭।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "জগন্নাথ কলেজ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ author., ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ, ১৮৬১-১৯৪১,। কতক কড়ি, কতক কোমল : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১০৮ কবিতা ও গান = a shade sharp, a shade flat : 108 poems and songs of Rabindranath Tagore। ওসিএলসি 871245601।
- ↑ "আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী"। দৈনিক যুগান্তর। ১ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "ঐতিহ্যের প্রতীক কার্জন হল"। দৈনিক সংগ্রাম। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৬।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : ঐতিহ্যবাহী কার্জন হল"। আমার দেশ। ১৮ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৩।
- ↑ মুহাম্মদ আবদুর রহমান আনওয়ারী; শামীমা নাসরিন (২০২০-১১-২৫)। "নারী নেতৃত্বের স্বরূপ: পরিপ্রেক্ষিত ইসলাম"। Bangladesh Journal of Integrated Thoughts। 12 (17)। আইএসএসএন 2788-5925। ডিওআই:10.52805/bjit.v12i17.159।
- ↑ "অপরাজেয় বাংলা :মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য প্রতীক"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৭ জুন ২০১৭। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ খান, মীম নোশিন নাওয়াল (১৩ মার্চ ২০১৪)। "স্বোপার্জিত স্বাধীনতা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "দেশের সবেচেয়ে বড় ভাস্কর্য 'স্বাধীনতা সংগ্রাম'"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "ঢাবি ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার স্মারক"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "দোয়েল চত্বরের তিলোত্তমায় মুগ্ধ পথচারী"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৭ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ ইসলাম, শাহিদুল (১২ মার্চ ২০২০)। "কারা ঘুমিয়ে আছেন 'তিন নেতার মাজারে'"। রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ হাসান, শরিফুল (২০ মে ২০১৬)। "সেই ঢাকা গেট, এই ঢাকা গেট"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ মিয়া, সজীব (১৬ মার্চ ২০১৯)। "যেভাবে শহীদ হলেন রাজু"। দৈনিক প্রথম আলো। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "Dhaka University Medical Center"। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ Yusuf, Ananta। "The Legacy of Madhu's Canteen"। The Daily Star। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Mojo Establishes Food Court at Dhaka University"। The Daily Star। ২৬ নভেম্বর ২০১৩। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "About University of Dhaka"। ২০১৭-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২৪।
- ↑ ক খ "Head of Office: Prof. Shibli Rubayat Ul Islam"। University of Dhaka। ১৫ এপ্রিল ২০১৮। ২২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮।
- ↑ "Faculty of Business Studies"। Department of Marketing। ১০ নভেম্বর ২০১৩। ২২ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৮।
- ↑ "University of Dhaka"। University of Dhaka। ১৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২০।
- ↑ "About IHE"। Institute of Health Economics। ২০১৮-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-২৭।
- ↑ "ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড আজ থেকে"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২২।
- ↑ ক খ "ঢাবিতে ভর্তির আবেদনপত্র জমা শুরু, পরীক্ষা ২১ মে থেকে"। বাংলা ট্রিবিউন। ৮ মার্চ ২০২১। ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "ঢাবি'র পরীক্ষায় আবেদন বেড়েছে ৪ হাজার, প্রতি আসনে ৩৮ জন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ "ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা: সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা 'চ' ইউনিটে, কম 'খ' ইউনিটে"। দৈনিক প্রথম আলো। ৬ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২১।
- ↑ আনসার আলী, মুহম্মদ। "কালিনারায়ণ বৃত্তি"। ইসলাম, সিরাজুল। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "ঢাবিতে স্নাতকের ফলে বৃত্তি পেলেন যারা - দৈনিকশিক্ষা"। দৈনিক শিক্ষা। ১৯ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "ঢাবির তিন শিক্ষার্থী পেলেন নুজহাত জাহাঙ্গীর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বৃত্তি"। এনটিভি অনলাইন। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "মোহাম্মদ শফি ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি পেলেন দুই শিক্ষার্থী"। বাংলা ট্রিবিউন। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "অধ্যাপক আবদুল মুকতাদির স্মারক বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৩ শিক্ষার্থী"। একুশে টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "ঢাবির ৭০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি"। দৈনিক সমকাল। ২৫ জানুয়ারি ২০১৭। ১৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "জাপানের শিক্ষা বৃত্তি পাবেন ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "জাপানের শিক্ষা বৃত্তি পাবে ঢাবির ১০ শিক্ষার্থী"। Bangladesh Journal Online। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে অনুদান দিল দুটি প্রতিষ্ঠান"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ১৫ জুলাই ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ Wedgeworth, Robert (১৯৯৩)। World Encyclopedia of Library and Information Services। American Library Association। পৃষ্ঠা 102। আইএসবিএন 9780838906095। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ "Asia's largest e-Library opens at Dhaka University"। Dhaka Tribune। ১১ আগস্ট ২০১৫। ১৫ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;nrk
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "QS World University Rankings 2024"। QS World University Rankings। ২০২৪-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৮।
- ↑ "University of Dhaka"। Times Higher Education। ১২ অক্টোবর ২০২২। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "University of Dhaka"। U.S. News & World Report। ২০২৩-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯।
- ↑ "Asia"। QS World University Rankings। ২০১৮-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৯।
- ↑ "QS World University Rankings 2011 (501–600) -Top Universities"। University-list.net। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ ক খ "University of Dhaka"। University-list.net। ২৮ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "World University Rankings 2016:University of Dhaka"। timeshighereducation.com। ২০১৬। ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "QS Top University Rankings 2015/16:University of Dhaka"। QS Intelligence Unit। ২০১৬। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "University of Dhaka"। Times Higher Education। ২০১৭-০৯-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৪।
- ↑ "University of Dhaka"। The World University Rankings। ১৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "ASIANOW | The Rankings – Bangladesh"। CNN। ১৫ এপ্রিল ১৯৯৯। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Asiaweek.com | Asia's Best Universities 2000 | Overall Ranking"। CNN। ২২ জুন ২০০০। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Asiaweek.com | Asia's Best Universities 2000 | University of Dhaka"। CNN। ২২ জুন ২০০০। ২৯ এপ্রিল ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "QS World University Rankings by Subject 2015 – English Language & Literature"। QS World University Rankings। ২০১৭-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১৩।
- ↑ "Physical-Education"। web.du.ac.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৮-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "The DUCSU conundrum"। The Daily Star (Opinion) (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ অক্টোবর ২০১৭। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "Make Ducsu centre of all campus activities"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জানুয়ারি ২০১৯। ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ পানি অপসারণে প্রধান অন্তরায় কচুরিপানা ও ভেসাল জাল। The Daily Ittefaq। ২০২৩-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-০৫।
- ↑ রনি, মাহবুব (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "স্মৃতির কঙ্কাল ডাকসু"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৬ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "RECIPIENTS OF HONOURARY DOCTORATES (HONORIS CAUSA)"। ৪ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৫।
- ↑ "প্রকাশ্যে মওদুদকে পেলে যে কারণে ধাওয়া করবে বিএনপি - Hello Today - Page 28060"। hello-today.com। ১৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
- ↑ "বান কি মুনকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেবে ঢাবি"। ১০ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৩।
- ↑ "DU 45th Convocation on January 29"। dhakamirror.com।
- ↑ "45th convocation of Dhaka University"। Demotix। ৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Former deputy prime minister Jamal Uddin Ahmad dies"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Resume AFM Y Haider" (পিডিএফ)। ৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮।
- ↑ "CV Shahida Rafique"। owsd.net। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "চৌধুরী, আবদুল মতিন"। বাংলাপিডিয়া। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Professor A.K.M. Siddiq"। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১২।
- ↑ "গবেষণা অন্তপ্রাণ এক শিক্ষক"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Biography: Dr. Imdadul Haque"। ISKKC। ১৯ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৮।
- ↑ এ, অবিন ক্রিস্টোফার। "Quamrul Haider"। ফোর্ডহ্যাম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Khandker Muttalib c.v."। www.phys.ufl.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Munir M. Islam, University of Connecticut, Department of Physics"। www.phys.uconn.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Professor Muhammad Munir Islam"। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "MOHAMMAD KARIM, ODU RESEARCH VP, IS ELECTED IEEE FELLOW"। ওল্ড ডমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "প্রফেসর ইউনূসের ঝুলিতে নোবেলসহ ১৪৫ পুরস্কার"। দৈনিক মানবজমিন। ১৫ ডিসেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Kibria's life sketch"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৮ জানুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Khan, Muazzam Hussain (২০১২)। "Hartog, Sir Philip Joseph"। Islam, Sirajul; Jamal, Ahmed A.। Banglapedia: National Encyclopedia of Bangladesh (Second সংস্করণ)। Asiatic Society of Bangladesh। ২০১৬-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০৫।
- ↑ "Prof Niaz Ahmed Khan appointed DU VC"। The Daily Star। ২০২৪-০৮-২৬। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৭।
- ↑ ঢাবিতে দুই প্রো ভিসি নিয়োগ। Kaler Kantho। আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৭।
- ↑ প্রজ্ঞাপনঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (পিডিএফ)।
- ↑ প্রজ্ঞাপনঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (পিডিএফ)।
- ↑ ঢাবির উপাচার্য নিয়াজ, ট্রেজারার জাহাঙ্গীর, প্রজ্ঞাপন জারি। Daily Janakantha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-৩০।
- ↑ প্রজ্ঞাপনঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (পিডিএফ)।
- ↑ "যাদের মাধ্যমে লেখালেখি ও উচ্চ শিক্ষায় প্রাণীত হয়েছি: ড. আফম খালিদ হুসাইন"। বাংলানিউজ২৪.কম। ২০২১-০৩-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৩।
- ↑ বিপন্ন উদ্ভিদের বসতবাড়ি, প্রথম আলো, ১৫ মে ২০২২
- ↑ "অপরূপ অঞ্জন ফুল, সমকাল, ২৬ অক্টোবর ২০২১"। ২৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ, ভোরের কাগজ, ১ জুলাই ২০১৯
- ↑ "'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস' আজ, বাংলা ট্রিবিউন, ২৩ আগস্ট ২০২২"। ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২২।