ফৌজিয়া ইয়াসমিন
এই নিবন্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে অনেকেই নিবন্ধটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অপরিচিত।(জুলাই ২০২০) |
এই নিবন্ধে ব্যবহৃত কিছু তথ্যসূত্র নির্ভরযোগ্য নয়। (জুলাই ২০২০) |
ফওজিয়া ইয়াসমিন (বা ফওজিয়া খান; জন্ম ১৯৪২) হলেন একজন বাংলাদেশি গায়িকা ও সঙ্গীতশিল্পী।
ফওজিয়া ইয়াসমিন | |
---|---|
জন্ম | ১৯৪২ (বয়স ৮১–৮২) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | এমএ (বাংলা) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোবারক হোসেন খান |
সন্তান | রীনাত ফওজিয়া, তারিফ হায়াত খান, তানিম হায়াত খান |
ওয়েবসাইট | fauziayasmin |
প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাফওজিয়া ইয়াসমিনের বাবা ছিলেন লুতফর রহমান, যিনি ব্রিটিশ ভারতের সাবেক প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার মা মৌলুদা খাতুন ছিলেন একজন কণ্ঠশিল্পী, যিনি সুরকার ওস্তাদ কাদের বক্সের নিকট হতে সঙ্গীত শিক্ষাগ্রহণ করেন। ফওজিয়া ইয়াসমিন তার পাঁচ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। তার অন্য তিন বোন ফরিদা ইয়াসমিন, নীলুফার ইয়াসমিন, এবং সাবিনা ইয়াসমিনও বাংলাদেশে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৭১ সাল হতে ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকাস্থ টিএন্ডটি কলেজে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন।
সঙ্গীত জীবন
সম্পাদনাফওজিয়া ইয়াসমিন তার সঙ্গীত জীবনে ওস্তাদ ইউসুফ খান কোরেশী এবং ওস্তাদ মোহাম্মদ ফজলুল হকের নিকট হতে সঙ্গীত শিক্ষাগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মূলত আধুনিক বাংলা গান, নজরুল সঙ্গীত, লোক সঙ্গীত ও ছড়া গান পরিবেশন করতেন। এছড়াও তিনি কিছু উর্দু গীত এবং গজল পরিবেশন করতেন। তিনি একজন প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে বেশ কিছু চলচ্চিত্র সঙ্গীতে কন্ঠপ্রদান করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি কিছু সঙ্গীত সম্মেলন এবং সায়েরিতে অংশগ্রহণ করেন।[১]
তার জনপ্রিয় গান গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, আজ পুতুলের গায়ে হলুদ, মন তো নয় আর আয়না, আমি নূপুর পরা ঝর্ণাধারা ইত্যাদি।
তিনি এবং তার স্বামী মোবারক হোসেন খান একত্রে ২০০৮ সালে এনটিভিতে বাজো এবং বাজাও নামে একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানটিতে মূলত সেতার, সারোদ এবং অন্যান্য শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে রাগ ধারার নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করা হতো।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
সম্পাদনাফওজিয়া ইয়াসমিন ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক গুণীজন সংবর্ধনা[২] এবং ১৯৮৭ সালে অলক্ত সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার লাভ করেন।[৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা১৯৬৩ সালে ফওজিয়া ইয়াসমিন একুশে ও স্বাধীনতাপদক প্রাপ্ত সঙ্গীতগবেষক এবং সুরবাহারশিল্পী মোবারক হোসেন খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক হিসেবে সরকারী চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে রয়েছেন একমাত্র কন্যা রীনাত ফওজিয়া[৪], এবং দুই পুত্র তারিফ হায়াত খান[৫] ও তানিম হায়াত খান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Fauzia Yasmin in Sydney"।
- ↑ সমবারু চন্দ্র মহন্ত (২০১২)। "বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Fauzia Yasmin"।
- ↑ "Reenat Fauzia"।
- ↑ "Tareef Hayat Khan"।