তালিপাম
তালিপাম (বৈজ্ঞানিক নাম: Corypha taliera) পৃথিবীর বন্য পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত উদ্ভিদ। এটি Arecaceae গোত্রের সদস্য। আকৃতিগত ভাবে তাল গাছ এর সাথে এর সাদৃশ্য আছে। তালিপাম জীবনে মাত্র একবার ফুল ও ফল দেয়। তারপর এর মৃত্যু ঘটে। এই প্রজাতির উদ্ভিদটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯১৯ সনে। ব্রিটিশ অরণ্যতরু সন্ধানী উইলিয়াম রক্সবার্গ ভারতের পূর্বাঞ্চলে এই প্রজাতির গাছের সন্ধান পেয়েছিলেন। তিনি তখন এদের নাম দেন করিফা তালিয়েরা (Corypha taliera)। রক্সবার্গের নাম জুড়ে দিয়ে পরে এর বৈজ্ঞানিক নামকরণ করা হয় কারিফা তালিয়েরা রক্সবার্গ।[১]
তালিপাম Corypha taliera | |
---|---|
Corypha taliera | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Monocots |
শ্রেণীবিহীন: | Commelinids |
বর্গ: | Arecales |
পরিবার: | Arecaceae |
গণ: | Corypha |
প্রজাতি: | C. taliera |
দ্বিপদী নাম | |
Corypha taliera Roxb. DC. |
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনের কাছে অবস্থিত তালিপাম গাছটি ১৯৭৯ সালে কেটে ফেলার পর ২০০১ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানিরা বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত তালিপামকে পৃথিবীর সর্বশেষ বন্য তালিপাম হিসেবে চিহ্নিত করেন। ১৮ অক্টোবর, ২০০৮-এ দৈনিক প্রথম আলো এক প্রতিবেদন করে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছটিতে ফুল আসার উপক্রম হয়েছে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, ফুল আসার পরে ফল দিয়েই গাছটি মারা যায়।[৩] গাছটি ২০০৮ সালে ফুল ও ফল দিয়ে ২০১২ সালে মারা যায়। আইইউসিএন তালিপামকে বুনো দশায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। তবে মৃত্যুর আগে অনেক ফল উৎপাদন করায় সেগুলো থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ চারা। ২০১০ সালে বিতরণ করা হয় ১২০টি চারা। এর মধ্যে ১০০ চারা বন বিভাগের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোপণ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সাতটি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি,সরকারি কেসি কলেজ ঝিনাইদহে দুইটি, বেইলি রোডের সামাজিক বন বিভাগকে দুটি করে চারা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম ২টি চারা লাগানো হয়েছে ও মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে তালিপামের চারা লাগানো আছে । চারা উৎপাদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের বাসভবনের মালি জাহাঙ্গীর আলম বীজ রোপণ পদ্ধতিতে সক্ষম হওয়ায় গাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।[১]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "শত বছরে আবার ফুটবে 'মরণফুল': Reports"। prothom-alo.com। অক্টোবর ০৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ০৫, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫৩৮
- ↑ তালি পামের শেষ বংশধর. পৃথিবীর একমাত্র গাছটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে? মঞ্জরি এসেছে, ‘মরণ-ফুল’ ফুটলে চিরবিদায় নেবে তালি পাম[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], by Anu Anwar, Daily Prothom Alo, October 18, 2008.
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |