আসাদুল্লাহ আল-গালিব

বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং গবেষক আলেম

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (জন্ম ১৫ জানুয়ারি ১৯৪৮) হলেন বাংলাদেশের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক। তিনি ধর্মীয় সংগঠন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও আমীর।[][] তিনি মাসিক আত-তাহরীক নামক একটি ইসলামী পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার পরিচালক।[] ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। [] তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে তিনি ধর্ম ও নৈতিকতা সম্বলিত ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বাসী।[][][] সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সামাজিক অবিচার প্রতিরোধ ও নৈতিকতার উন্নয়নের জন্য তিনি মানব রচিত আইনের পরিবর্তে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলে থাকেন।[]

ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৫ জানুয়ারী , ১৯৪৮ খ্রি. (৭৭ বছর)
বুলারাটি (সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকাকডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদরাসা,সাতক্ষীরা
আরামনগর কামিল মাদরাসা,জামালপুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅধ্যাপনা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
যে জন্য পরিচিতইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ
ধর্মইসলাম

পারিবারিক পরিচিতি

সম্পাদনা

মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাতক্ষীরা সদর থানার বুলারাটি গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা আহমাদ আলী (১৮৮৩-১৯৭৬) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একজন খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেম ছিলেন। তার বড় ভাই আব্দুল্লাহিল বাকী (১৯১৩-২০২০) ছিলেন মুসলিম লীগের বিশিষ্ট নেতা। যিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ।

তার বংশ পরিক্রমা- আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিন আহমাদ আলী বিন মুনশী যীনাতুল্লাহ বিন আলহাজ্জ যমীরুদ্দীন বিন রফী মাহমূহ বিন আব্দুল হালীম বিন উযির আলী মণ্ডল বিন সৈয়দ নযীর আলী আল-মাগরেবী। তার ঊর্ধ্বতন ৭ম পুরুষ সৈয়দ নাযীর আলী আল-মাগরেবী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মরক্কো থেকে এদেশে আগমণ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলাধীন বারাসাত মহকুমায় বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

তার মাতা বছীরুন্নেছা (১৯১১-১৯৮৪) ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী বিদুষী নারী। নানা পণ্ডিত বাহার আলী খান ওস্তাদজী ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার অন্তর্গত প্রসিদ্ধ অঞ্চল ঘোড়ারাসের একজন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা, যিনি ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমানে ঘোড়ারাসে প্রতিষ্ঠিত সালাফিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্সের বীজ রোপিত হয় তারই হাতে।

১৯৭৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার শ্বশুর ছিলেন প্রাক্তন সরকারী কর্মকর্তা (তৎকালীন সার্কেল অফিসার/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার) জনাব আকবার আলী (মৃ. ১৯৮৬ইং), যিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে একজন বাঙালী ছাত্র হিসাবে ইংরেজী সাহিত্যে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছিলেন। সহধর্মীনী তাহেরুন্নেছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। তিনি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহতাবুদ্দীন (মৃ. ১৯৮০ইং)-এর নাতনী এবং খান বাহাদুর মোবারক আলী (খান বাহাদুর আহছানউল্লাহর ভ্রাতা)-এর প্রোপৌত্রী। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক। একমাত্র কন্যা ডা. তামান্না তাসনীম একজন খ্যাতনামা নারী চিকিৎসক ও কলোরেক্টাল সার্জন। অন্য সন্তানরা হলেন ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যিনি হাদীছ ফাউণ্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব, যিনি খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থা হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ-এর একজন পরিচালক এবং হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত।

শিক্ষা

সম্পাদনা

তিনি সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল এবং জামালপুরের আরামনগর কামিল মাদরাসা থেকে ১৯৬৯ সালে কামিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা বোর্ডে আলিম ও কামিল পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৬তম এবং ৫ম। পরবর্তীতে তিনি কলারোয়া সরকারী কলেজ, সাতক্ষীরা থেকে আইএ এবং সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা থেকে বিএ পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অত:পর ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৮৪ সালে তিনি ইংল্যান্ডে পিএইচডি গবেষণার জন্য ‌কমনওয়েলথ স্কলারশীপ[] লাভ করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত গমন করেননি। ১৯৯২ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। মাতৃভাষা বাংলাসহ আরবী, ইংরেজি, উর্দূ এবং ফার্সী ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে।[]

পেশাজীবন

সম্পাদনা

১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। অত:পর একই বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‌'আরবী ও ইসলামী শিক্ষা' বিভাগের লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অতঃপর ২০১৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।[] পেশাগত কাজে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন। ২০০০ সনে তিনি সঊদী সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসাবে হজ্জব্রত পালন করেন। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এটিএন বাংলায় প্রচারিত হাদীছ ভিত্তিক রিয়েলিটি শো হাদ্দাসানা (সিজন-২)-এর পক্ষ থেকে সুদীর্ঘকাল হাদীছের খেদমতে ব্যাপৃত থাকার স্বীকৃতি হিসাবে তাকে শায়খুল হাদীছ হিসাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ও সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

সম্পাদনা
  • বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ (১৯৭৮)[১০]
  • আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা (১৯৮১)।
  • তাওহীদ ট্রাস্ট (১৯৮৯)।[১১]
  • হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (১৯৯২)।[১১][১২]
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ (১৯৯৪)। [][][১২][১৩]
  • সোনামণি (১৯৯৪)। জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন।
  • মাসিক আত-তাহরীক (১৯৯৭)। [][১৪]
  • সালাফিয়া ট্রাস্ট (২০০২)।
  • ইসলামিক কমপ্লেক্স (২০১০)।
  • আল-আওন (স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান সংস্থা) (২০১৭ইং)।
  • পেশাজীবি ফোরাম (২০২৩)

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ

সম্পাদনা

তিনি ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকায় নিয়মিত সম্পাদকীয়, দরসে কুরআন, দরসে হাদিস, বিভিন্ন প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় তার প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধের সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি এমফিল, পিএইচডিসহ একাডেমিক গবেষণাকর্মসমূহ তত্ত্বাবধান ও নিরীক্ষণ এবং গবেষণা জার্নাল সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোমধ্যে তার রচিত ও অনুদিত প্রায় ৯০টি গ্রন্থ ও পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে।[১৫][১৬]

কুরআন মাজীদের অনুবাদ ও তাফসীর

সম্পাদনা
  • কুরআন অনুধাবন (২০১৮)
  • তরজমাতুল কুরআন (২০২৩) - আল-কুরআনের পূর্ণ বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ।
  • তাফসীরুল কুরআন - ১ম পারা (২০২৫)
  • তাফসীরুল কুরআন - ২৬ - ২৮তম পারা (২০১৮)
  • তাফসীরুল কুরআন - ২৯তম পারা (২০১৮)
  • তাফসীরুল কুরআন- ৩০তম পারা (২০১৩)
  • দরসে কুরআন - সিরিজ-১ (২০২৫)

হাদীস/সুন্নাহ

সম্পাদনা
  • হাদীছের প্রামাণিকতা (২০০৪)
  • দরসে হাদীছ - সিরিজ-১ (২০২৪)
  • ছালাতুর রাসূল (ছা) (১৯৯৮) : বাংলা ভাষায় লিখিত এ গ্রন্থটি ইংরেজি ছাড়াও ২০২০ সালে ভারতের আসাম থেকে অসমীয়া ভাষায় অনূদিত হয়েছে ।
  • ছালাতুর রাসূল (২০১০) (ইংরেজি)
  • ছিয়াম ও ক্বিয়াম (২০২০)
  • মীলাদ প্রসঙ্গ (১৯৮৬)
  • শবেবরাত (১৯৯০)
  • হজ্জ ও ওমরা (২০০১)
  • আক্বীদা ইসলামিয়াহ (২০০০)
  • মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীকা (১৯৮৭)
  • আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয় (২০০৪)
  • তাওহীদের শিক্ষা ও আজকের সমাজ (২০২০)
  • তাক্বদীরে বিশ্বাস: গুরুত্ব ও কতিপয় সংশয়ের জবাব (২০২৫)
  • এলাহী গযব: নাযিলের বিধি, কারণ ও করণীয় (২০২৫)
  • হায়াতুন্নবী (ছা) (২০২৩)- সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (স) কবরে দুনিয়াবী দেহের মত জীবিত কিনা, সর্বত্র হাজির-নাজির ও গায়েব জানেন কিনা-এসব বিষয় নিয়ে বইটিতে আলোচনা পেশ করা হয়েছে।[১৭]
  • মারেফাতে দ্বীন: ছূফিদের ভ্রান্ত আক্বীদা অপনোদন (২০২৫)

ইসলামী জীবন দর্শন ও সমাজ

সম্পাদনা
  • ফিরক্বা নাজিয়াহ (২০১৩)
  • জীবন দর্শন (২০১৩)
  • দিক দর্শন-১ (২০১৬)
  • দিক দর্শন-২ (২০১৬)
  • ইনসানে কামেল (২০০৯)
  • উদাত্ত আহ্বান (১৯৯৩)
  • বিবর্তনবাদ (২০২০)
  • এ্যাক্সিডেন্ট (পৃথিবীর উৎপত্তি) (২০২০)
  • নৈতিক ভিত্তি ও প্রস্তাবনা (১৯৯৩)
  • ছবি ও মূর্তি (২০১০)
  • হিংসা ও অহংকার (২০১৫)
  • মানবিক মূল্যবোধ (২০১৮)
  • মৃত্যুকে স্মরণ (২০১৮)
  • সমাজ পরিবর্তনের স্থায়ী কর্মসূচী (২০১৮)
  • আমানতদারিতা (২০২৪)

রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা

সম্পাদনা
  • সমাজ বিপ্লবের ধারা (১৯৮৬)
  • তিনটি মতবাদ (১৯৮৭)
  • ইসলামী খেলাফত ও নেতৃত্ব নির্বাচন (২০০৩)
  • ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (২০০৩)
  • ইক্বামতে দ্বীন : পথ ও পদ্ধতি (২০০৪)
  • জিহাদ ও ক্বিতাল (২০১৩)
  • জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ এবং চরমপন্থীদের বিশ্বাসগত বিভ্রান্তির জবাব (২০১৬)
  • ইসলামে বাক স্বাধীনতা (২০২৪)

অর্থনীতি

সম্পাদনা
  • বায়'এ মুআজ্জাল (২০১৮)[১৮]
  • যাকাত ও ছাদাক্বা (২০২৩)

ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন

সম্পাদনা
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষিতসহ (১৯৯৬) - এটি একটি ডক্টরেট থিসিস। আহলেহাদীছ আন্দোলনের পরিচয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় এ আন্দোলনের বিস্তৃতি সম্পর্কে অভিসন্দর্ভ রচনা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন ।
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? (বাংলা) (১৯৭৯)।
  • দাওয়াত ও জিহাদ (১৯৯৩)
  • আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন? (২০১২) English[১৯]

দাম্পত্য জীবন ও নারী

সম্পাদনা
  • তালাক ও তাহলীল (২০০১)
  • পোষাক ও পর্দা (২০২৩)[২০]
  • বিবাহ পরিবার ও সন্তান প্রতিপালন (২০২৪)

সীরাত ও ইতিহাস

সম্পাদনা
  • নবীদের কাহিনী-১ (২০১০) । পবিত্র কুরআন মাজীদে বর্ণিত ২৫ জন নবী-রাসূলের মধ্যে হযরত আদম (আ) হতে হযরত শোআয়েব (আ) পর্যন্ত মোট ১৩ জন নবী-রাসূলের জীবনালেখ্য এতে উল্লেখ করা হয়েছে ।[২১]
  • নবীদের কাহিনী-২ (২০১০)। হযরত মুসা (আ) হতে হযরত ঈসা (আ) পর্যন্ত মোট ১০ জন নবী-রাসূলের জীবনী এতে রয়েছে ।[২২]
  • সীরাতুর রাসূল (ছা.) (নবীদের কাহিনী-৩) (২০১৫)। পবিত্র কুরআন মাজীদে বর্ণিত ২৫ জন নবী-রাসূলের জীবনালেখ্য নবীদের কাহিনী সিরিজের সর্বশেষ সিরিজ এটি । এ গ্রন্থে শেষনবী মুহাম্মাদ (স)-এর জীবনেতিহাস আলোচনা করা হয়েছে ।[২৩]

শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্য

সম্পাদনা
  • আরবী ক্বায়েদা (১৯৯৮)
  • আরবী ক্বায়েদা-১ (২০১৮)
  • আরবী ক্বায়েদা-২ (২০১৮)
  • তাজবীদ শিক্ষা (২০১৮): আরবী ক্বায়েদা তৃতীয় ভাগ এটি।
  • প্রাথমিক বাংলা শিক্ষা (২০২১)
  • শিক্ষা ব্যবস্থা: প্রস্তাবনাসমূহ (২০২১)
  • মাদরাসার পাঠ্যবইয়ের অন্তরালে (২০২১)[২৪]
  • আধুনিক আরবী সাহিত্যে তায়মূর পরিবারের অবদান (২০২২)
  • বাংলা বানান রীতি ও আমাদের প্রস্তাবনা (২০২৩)[২৫]
  • শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কর্তব্য (২০২৩)[২৬]

অনুবাদ

সম্পাদনা

সম্পাদিত গ্রন্থ

সম্পাদনা
  • ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাদেকপুরী পরিবারের আত্মত্যাগ (২০২৩)[৩৩]
  • ভারতবর্ষে জিহাদ আন্দোলন : আহলেহাদীছ ও হানাফী আলেমদের ভূমিকা (২০২৩)

সমাজ সংস্কার

সম্পাদনা

৫০ ও ৬০-এর দশকে এ দেশে আহলেহাদীছ আন্দোলনের নেতা আল্লামা আব্দুল্লাহেল কাফী আল-কোরায়শী সামাজিক ও সাংগঠনিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সে আন্দোলনকে আরো সুপ্রতিজ্ঞ ও সুসংহত করে তুলেছেন মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। গোষ্ঠীগত গণ্ডির ঊর্ধ্বে উঠে তিনি আহলেহাদীছকে একটি ব্যাপকভিত্তিক ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলনে রূপদানের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন বলা হয়।[৩৪] তার মতে, মানবরচিত যাবতীয় মতবাদ পরিত্যাগ করে একমাত্র অহির বিধানের প্রতি নি:শর্ত আত্মসমর্পণের মধ্যেই মানুষের ইহকালীন মঙ্গল ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। যা তিনি শ্লোগান আকারে তার বিভিন্ন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, "সকল বিধান বাতিল কর, অহির বিধান কায়েম কর"।[৩৫][৩৬] তিনি মনে করেন, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া কেবল শাসন ক্ষমতা ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি, সুদ,ঘুষ, খুন, ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা, অশ্লীলতা, মাদক এবং ক্রমবর্ধমান অন্যান্য সামাজিক অনাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য তিনি শিক্ষার প্রতিটি স্তরে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য মনে করেন।[৩৭] তিনি পূর্বর্তী আলেমদের তাক্বলীদের বিরোধিতা করেন এবং ইজতিহাদের নামে প্রচলিত কুরআন ও হাদীস বিরোধী ফতোয়া সমাজ থেকে বাদ দিতে চান।[৩৮] তিনি মনে করেন, রাষ্ট্র ও সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচলিত গণতন্ত্র এবং জঙ্গীবাদ পরিত্যাজ্য। বরং মানুষের আক্বীদা-আমলের সংস্কারের মাধ্যমে সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধনকে তার লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।[][৩৯][৪০][৪১] এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে "ইমারত ও বায়‌আত" ভিত্তিক সংঘবদ্ধ আন্দোলনকে তিনি বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে আবশ্যক মনে করেন। [৪২] [৪৩]

কারাবরণ

সম্পাদনা

২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি জঙ্গীবাদের অভিযোগে গ্রেফতার হন। একই দিনে ১০টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর কারাভোগের পর অবশেষে ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট তিনি মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে সকল মামলায় তিনি বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত হন। [৪৪][৪৫][৪৬]

মতাদর্শ

সম্পাদনা

রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা

সম্পাদনা

ড. গালিব গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবহুত্ববাদকে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের আবিষ্কৃত বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসেবে বিশ্বাস করেন। তিনি বিদ্যমান গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল ও প্রার্থী ভিত্তিক নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থার ঘোরতর বিরোধী। তার মতে, বর্তমানে প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল ও প্রার্থী ভিত্তিক নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের নামে জনগণের অধিকার হরণ চলছে । ইসলামের সার্বজনীন অনুশাসন, ন্যায়বিচার, ক্ষমা ও মহত্ত্বকে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাস্তবায়নের জন্য খোলাফায়ে রাশেদার আদলে ইসলামী খেলাফত ভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী । ইনসাফ ও মানবতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে তিনি সংবিধানে ইসলামকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলেন । তিনি যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রচলিত পপুলার গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তে শূরা বা পরামর্শভিত্তিক ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য জোর আহ্বান জানান।[৪৭][৪৮][৪৯]

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে

সম্পাদনা

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নামে যারা কবীরা গোনাহগার মুসলমানকে ‘কাফের’ বলে এবং তাদের রক্ত হালাল গণ্য করে বিভিন্ন দেশের মুসলিম সরকার ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালায় তাদেরকে তিনি চরমপন্থী আক্বীদায় বিশ্বাসী হিসেবে মনে করেন । এছাড়াও তিনি জিহাদের নামে আত্মঘাতী হামলা জায়েয মনে করেন না। তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের উত্থানকে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদেশী আধিপত্যবাদীদের চক্রান্ত ও তাদের অস্ত্র ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে সাব্যস্ত করেন। [৫০]

অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

সম্পাদনা

তিনি অমুসলিমদের ধর্মীয় ও অন্যান্য স্বাধীনতা এবং আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের আলোকে মুসলিম-অমুসলিমদের মাঝে পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক সৃষ্টি করার কথা বলে থাকেন।[৫১] তার মতে, ধর্মীয় বিষয় হল হৃদয়ের বিষয়। সেখানে কোন জবরদস্তি বা জুলুম করে সম্প্রীতি রক্ষা করা যায়না। তিনি অন্য ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ, সাম্প্রদায়িক হামলা ও তাদের উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করার বিরোধী। রাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অমুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ সকল ধরনের অধিকার দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। ধর্মীয় কারণে কারো উপর নির্যাতন, ধর্মীয় বিষয়ে জবরদস্তি ও অমুসলিমদের উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার নেপথ্যে তিনি রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মতলববাজদের দুরভিসন্ধিকে দায়ী করেন।[৫১]

আহমদীয়া সম্প্রদায়

সম্পাদনা

ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স) কে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হিসেবে স্বীকার না করায় তিনি আহমদীয়া সম্প্রদায় তথা কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে মুসলিম হিসেবে স্বীকার করেন না। তিনি তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণার দাবী করে আসছেন।[৫২] তার মতে, আহমদীয়া সম্প্রদায় মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কার্যক্রমে জড়িত। তবে তিনি তাদেরকে অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে অন্যদের ন্যায় বাংলাদেশে বসবাস করতে দেওয়ার পক্ষপাতী।[৫৩][৫৪]

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. রাজশাহী, দুলাল আবদুল্লাহ (১৪ আগস্ট ২০১৬)। "জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণায় সেই আসাদুল্লাহ গালিব"বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  2. রাজশাহী ব্যুরো (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "দুনিয়াবী স্বার্থে নয়, পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করুন -আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩ 
  3. মাসিক আত-তাহরীক
  4. রাজশাহী ব্যুরো (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "মূর্তি-ভাস্কর্যের মত শিরকী সংস্কৃতির প্রসার থেকে বিরত থাকুন- প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  5. "রাবিতে 'শিক্ষার মৌলিক লক্ষ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত"দৈনিক রাজশাহী প্রতিদিন (Bangla ভাষায়)। ৯ এপ্রিল ২০২৩। ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  6. মাহিন, মনির হোসেন (৯ এপ্রিল ২০২৩)। "রাবিতে 'শিক্ষার মৌলিক লক্ষ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত"বাংলাদেশের বার্তা (Bangla ভাষায়)। ঢাকা। ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  7. "আল্লাহর বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করুন প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ২৫ আগস্ট ২০২৩। ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  8. ডেস্ক, প্রথম আলো। "কমনওয়েলথ বৃত্তি পেতে যা যা করতে হবে, দরখাস্ত আহ্বান ইউজিসির"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. "আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"। ১৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৩ 
  10. "আহলে হাদিস আন্দোলন ও অঙ্গ সংগঠন যুব সংঘের সংবাদ সম্মেলন" (Bangla ভাষায়)। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১২ আগস্ট ২০১৬। ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৪ 
  11. রাজশাহী ব্যুরো (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "রাজশাহীতে হাদিস ফাউন্ডেশনের ভবন দখলে নিলেন ড. গালিব"দৈনিক সমকাল (Bangla ভাষায়)। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  12. নিজস্ব প্রতিবেদক (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "রাজশাহীর হাদীছ ফাউন্ডেশন ঘুমন্ত ছাত্রদের বের করে ভবন দখল আহলে নেতার"দৈনিক কালের কণ্ঠ (Bangla ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  13. "আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ"ahlehadeethbd.org। ২০২১-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০ 
  14. At-tahreek, Monthly। "মাসিক আত-তাহরীক"মাসিক আত-তাহরীক । ধর্ম, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ক গবেষণা পত্রিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০ 
  15. "আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ - প্রকাশনা কার্যক্রম"। ১৬ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৩ 
  16. "Salatur Rasul (SM) -মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৩  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |2= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  17. "হায়াতুন্নবী (ছা:)" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  18. "বায়'এ মুআজ্জাল" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  19. "The Ahle Hadeeth Movement, What & Why?"ashabulhadeeth.com (English ভাষায়)। ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৪ 
  20. "পোষাক ও পর্দা"hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  21. "নবীদের কাহিনী-১" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  22. "নবীদের কাহিনী-২" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  23. "সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) (নবীদের কাহিনী-৩)" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  24. ">হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ও পরিবেশিত বইসমূহ"ahlehadeethbd.org। ২০২১-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০ 
  25. বাংলা বানান রীতি ও আমাদের প্রস্তাবনা (পিডিএফ)রাজশাহী: হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ। ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  26. "শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের কর্তব্য" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.comরাজশাহী: হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  27. "সালাফী দাওয়াতের মূলনীতি" (পিডিএফ)Hadeethfoundation.com (Bangla ভাষায়)। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩ 
  28. "Bangabandhu Study Center (e-Library)"bcsadminacademy.gov.bdIslamic Foundation Bangladesh। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  29. আরব বিশ্বে ইসরাঈলের আগ্রাসী নীলনকশা (পিডিএফ) (Bangla ভাষায়)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১৯৮৭। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  30. "আরব বিশ্বে ইস্রাঈলের আগ্রাসী নীল নকশা" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  31. "নয়টি প্রশ্নের উত্তর" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ জুন ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  32. "অছিয়ত নামা" (পিডিএফ)hadeethfoundationbd.com। হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ১২ জুন ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৪ 
  33. "বৃটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাদেকপুরী পরিবারের আত্মত্যাগ"www.hadeethfoundationbd.comরাজশাহী: হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  34. "উদাত্ত আহ্বান" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ। 
  35. "শিরক থেকে বাঁচতে হবে সাতক্ষীরায় প্রফেসর ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব"দৈনিক ইনকিলাব (Bangla ভাষায়)। ১১ জানুয়ারি ২০২২। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  36. "নৈতিক ভিত্তি ও প্রস্তাবনা" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ। 
  37. যুগান্তর রিপোর্ট (২০ জুলাই ২০১৯)। "আহলে হাদিসের কর্মী সম্মেলন ধর্মীয় অনুশাসন ছাড়া ধর্ষণ-মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়"দৈনিক যুগান্তর (Bangla ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  38. "বিজাতীয় রাজনৈতিক মতবাদের অনুসারী আহলে হাদীস থাকে না-ড. আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। 
  39. "সংস্কৃতি চর্চা নয় বরং বিশ্বাসগত ভ্রান্তি দূর করার মাধ্যমেই জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব"দৈনিক ইনকিলাব। ২৭ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  40. "সশস্ত্র প্রশিক্ষণে জিহাদ নয়, সন্ত্রাস করছে"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  41. "জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার ডাক"। বহুমাত্রিক.কম (অনলাইন গণমাধ্যম)। ২৩ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  42. "সমাজ বিপ্লবের ধারা" (পিডিএফ)। হাদীছ ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ। 
  43. "Ahmad, Mumtaz. "Ahl-e-Hadith Movement in Bangladesh: History, Religion, Politics and Militancy." (2006)." (পিডিএফ) 
  44. "Police hold Bangladesh professor", BBC News, Published on Wednesday, 23 February, 2005.
  45. ফাঁসকৃত উইকিলিক্সের তারবার্তার তথ্য || 'ড. গালিবের জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা কোন সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি'[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সিএনএনবাংলা অনলাইন নিউজ, প্রকাশিত তারিখ : শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১২।
  46. বগুড়ায় হত্যা মামলায় ড. গালিব নির্দোষ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে, দৈনিক নয়াদিগণ্ত, প্রকাশিত তারিখ:২১-১১-২০১৩।
  47. "'গণতন্ত্র কিংবা বহুত্ববাদ নয়, ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই একমাত্র পথ'" (Bangla ভাষায়)। দৈনিক কালবেলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  48. রাজশাহী ব্যুরো (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)। "ইনসাফ ও মানবতাপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুন: ড. গালিব"দৈনিক যুগান্তর (Bangla ভাষায়)। সালমা ইসলাম। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  49. রাজশাহী ব্যুরো (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)। "সংবিধানে ইসলামকে মূলনীতি করতে হবে: ড. গালিব"দৈনিক যুগান্তর (Bangla ভাষায়)। সালমা ইসলাম। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 
  50. আল-গালিব, মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ (১৮ জুলাই ২০১৬)। "সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের উপায়"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  51. দে, সমীর কুমার (১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "'মতলববাজদের দুরভিসন্ধিতে সাম্প্রদায়িক হামলা'" (Bangla ভাষায়)। ঢাকাডয়চে ভেলে। ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২৪ 
  52. রাজশাহী ব্যুরো (৩ মার্চ ২০১৯)। "অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করুন প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ২৯তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা শেষ"দৈনিক ইনকিলাব (বাংলা ভাষায়)। ২ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২৩ 
  53. "পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্মেলন অবিলম্বে বন্ধ ও তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করুন! -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব" (Bangla ভাষায়)। দৈনিক সংগ্রাম। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ৮ মার্চ ২০২৩ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২৩ 
  54. "অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে পঞ্চগড়ের কাদিয়ানী সম্মেলন বন্ধ করুন"দৈনিক ইনকিলাব। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
পূর্বসূরী
দল প্রতিষ্ঠা
আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর
১৯৯৪ - বর্তমান
উত্তরসূরী
দায়িত্ব/অবশ্য কর্তব্য