খুলনা
খুলনা হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত খুলনা বিভাগের দশটি জেলার বিভাগীয় সদর দপ্তর। এটি খুলনা বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। এটি বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলার মধ্যে অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা, ভৈরব এবং ময়ুর নদীর তীর জুড়ে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং ব্যস্ততম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা নদী বন্দর অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনাকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। খুলনার সমুদ্র বন্দর মংলা খুলনা নগরীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত যেটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর যার কারণে খুলনাকে চট্টগ্রামের পর ২য় বৃহত্তম বন্দর নগরীও বলা হয়ে থাকে। ইউনেস্কো স্বীকৃতি প্রাপ্ত পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন খুলনা জেলার দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়।[৩][৪] রাজধানী ঢাকা থেকে খুলনা শহরের দূরত্ব সড়কপথে পদ্মাসেতু হয়ে ২১২ কি.মি.। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সংগে স্থলপথ, আকাশপথ, জলপথ ব্যবহার করা যায়। ১৮৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত রেলওয়ে পরিসেবা চালু করা হয় যা ছিল খুলনার প্রথম রেলওয়ে, এই রেলপথ টি খুলনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন-এর মাধ্যমে খুলনায় প্রবেশ করে।রাজধানী ঢাকার সাথে ১৯১২ সালে খুলনা থেকে নদীপথে ঐতিহাসিক স্টিমার চলাচল শুরু করে।অর্থনৈতিক উন্নতি,ভৌগলিক অবস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধার কারণে খুলনা কে বাংলার কুয়েত সিটি বলা হয়।
খুলনা | |
---|---|
মহানগরী | |
ডাকনাম: শিল্পনগরী, সাদা সোনার শহর, সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার,বাঘেদের শহর,বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী,বন্দর নগরী | |
বাংলাদেশের খুলনার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৯′ উত্তর ৮৯°৩৩′ পূর্ব / ২২.৮১৭° উত্তর ৮৯.৫৫০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
প্রশাসনিক জেলা | খুলনা জেলা |
পৌর পদমর্যাদা | ১৯৮৪ |
সিটি কর্পোরেশন | ১৯৯০ |
সরকার | |
• ধরন | মেয়র - কাউন্সিলর |
• শাসক | খুলনা সিটি কর্পোরেশন |
• মেয়র | তালুকদার আব্দুল খালেক |
আয়তন[১] | |
• মহানগরী | ১৫০.৫৭ বর্গকিমি (৫৮.১৪ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৪৫.৬৫ বর্গকিমি (১৭.৬৩ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯.০ মিটার (২৯.৫ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২২) | |
• মহানগরী | ২৩,১৮,৫২৭ |
• জনঘনত্ব | ১৫,০০০/বর্গকিমি (৪০,০০০/বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৭,১৮,৭৩৫ |
• পৌর এলাকার জনঘনত্ব | ১৬,০০০/বর্গকিমি (৪১,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৭,১৮,৭৩৫ জন |
বিশেষণ | খুলনাইয়া |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
জাতীয় কলিং কোড | +৮৮০ |
কলিং কোড | ০৪১ |
শিক্ষার হার | ৭৫.১%[২] |
পুলিশ | খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ |
বিমানবন্দর | খান জাহান আলী বিমানবন্দর(নির্মিতব্য) ও যশোর বিমানবন্দর |
ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | http://www.khulnacity.org |
নামকরণ
সম্পাদনাখুলনা সদরের নামে খুলনা বিভাগের নামকরণ করা হয়েছে। প্রচলিত মতানুসারে খুলনা শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভৈরব নদীর তীরে খুল্লেনেশ্বরী দেবীর মন্দির ছিলো এবং এই দেবীর নামানুসারে খুলনা অঞ্চলের নামকরণ করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন থানা
সম্পাদনাআবহাওয়া ও জলবায়ু
সম্পাদনাগ্রীষ্মকালে খুলনার আবহাওয়া উষ্ণ এবং আর্দ্র। শীতকালে খুলনা নগরীর আবহাওয়া থাকে কিছুটা শীতল ও মনোরম। খুলনার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৩ °সে (৭৯.৩ °ফা) এবং মাসের তাপমাত্রা জানুয়ারিতে ১২.৪ °সে (৫৪.৩ °ফা) এবং মে মাসে ৩৪.৩ °সে (৯৩.৭ °ফা) এর মাঝে থাকে। খুলনায় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১,৮০৯.৪ মিলিমিটার (৭১.২৪ ইঞ্চি)। বছরের মোট বৃষ্টিপাতে ৮০ ভাগ সংঘটিত হয় মে এবং অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
খুলনা-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫.৬ (৭৮.১) |
২৮.৫ (৮৩.৩) |
৩৩.১ (৯১.৬) |
৩৪.৬ (৯৪.৩) |
৩৪.৩ (৯৩.৭) |
৩২.৯ (৯১.২) |
৩১.৮ (৮৯.২) |
৩১.৮ (৮৯.২) |
৩২ (৯০) |
৩২ (৯০) |
২৯.৯ (৮৫.৮) |
২৬.৫ (৭৯.৭) |
৩১.১ (৮৮.০) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১২.৪ (৫৪.৩) |
১৫.৪ (৫৯.৭) |
২০.৫ (৬৮.৯) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
২৫.২ (৭৭.৪) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৬ (৭৯) |
২৬.২ (৭৯.২) |
২৫.৮ (৭৮.৪) |
২৪.১ (৭৫.৪) |
১৯.৬ (৬৭.৩) |
১৩.৬ (৫৬.৫) |
২১.৬ (৭০.৯) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৩.৩ (০.৫২) |
৪৪.৪ (১.৭৫) |
৫২.১ (২.০৫) |
৮৭.৫ (৩.৪৪) |
২০০ (৭.৯) |
৩৩৫.৬ (১৩.২১) |
৩২৯.৮ (১২.৯৮) |
৩২৩.৫ (১২.৭৪) |
২৫৪.৭ (১০.০৩) |
১২৯.৮ (৫.১১) |
৩২.১ (১.২৬) |
৬.৬ (০.২৬) |
১,৮০৯.৪ (৭১.২৪) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় (≥ ০.১ mm) | ২ | ৩ | ৩ | ৬ | ১১ | ১৪ | ১৭ | ১৬ | ১৩ | ৭ | ২ | ১ | ৯৫ |
উৎস: Weather Base |
শিক্ষা
সম্পাদনাখুলনা শহরে ১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত সরকারি বি. এল কলেজ এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার চাহিদা মিটিয়ে আসছে। ১৯৯১ সালে খুলনাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা পূর্বে বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনা নামে পরিচিত ছিল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১২ সালে সর্বপ্রথম নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। ২০১৭ সালে যাত্রা করে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি।এছাড়া নগরীর শিরোমণিতে জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।আরও রয়েছে দৌলতপুর দিবা-নৈশ কলেজ,আজম খান কমার্স কলেজ,মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ,সুন্দরবন কলেজ, শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ,খুলনা পাবলিক কলেজ,বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ খুলনা,মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা(এমসিএসকে),জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ,খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ,সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পল্লিমঙ্গল বয়েজ ও গার্লস স্কুল, খুলনা জিলা স্কুল, পাইওনিয়ার কলেজ, আফিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাইওনিয়ার স্কুল, মন্নুজান স্কুল, রটারি স্কুল,খুলনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সেন্ট জোসেফ্স উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট জেভিয়ারস স্কুল, খুলনা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এছাড়া মাদ্রাসার মধ্যে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা-খুলনা, ডব্লিউ এফ এইচ ফাউন্ডেশন স্কুল এ্যন্ড কলেজ, খুলনা সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা খুলনার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। মাধ্যমিক শিক্ষার পর কারিগরি শিক্ষার জন্য খুলনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও সিটি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট আছে।খুলনা পাবলিক কলেজ এছাড়া সাউথ-ইস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,খুলনা ও অত্র অঞ্চলের বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলার মধ্যে অন্যতম।
চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল
- খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল
- বাংলাদেশ আই হসপিটাল
- খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- পপুলার ডায়াগনস্টিক লিমিটেড
- ডক্টরস পয়েন্ট স্পেশালাইজড হাসপাতাল
- ল্যাবএইড হাসপাতাল
- রাশিদা মেমোরিয়াল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক
- নারগিস মেমোরিয়াল হসপিটাল
- ন্যাশনাল হাসপাতাল
- খুলনা জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
- গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- খালিশপুর ক্লিনিক
- শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা
- খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ইত্যাদি।
শিল্প ও অর্থনীতি
সম্পাদনাখুলনা দেশের অন্যতম শিল্প নগরী। খুলনাকে বলা হয় রুপালি শহর। খুলনা নগরীর হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি শিল্পের কারণে খুলনা এই নামটি দ্বারা পরিচিত হয়েছে।[৬] এখন কৃষির দিক বাদ দিয়ে মানুষের শিল্পের দিকে ঝোক বেশি, তারপরও খুলনার গ্রামাঞ্চলে এখনো নোনা পানি, মিষ্টি পানির বিভিন্ন জাতের চিংড়ি, সাদা মাছ চাষ হচ্ছে। এই কারণে খুলনার গ্রামাঞ্চলে অনেক ঘের দেখতে পাওয়া যায়। খুলনায় বর্তমানে মাছ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে খুলনা মহানগরীতে মংলা সমুদ্র বন্দর যা কিনা দেশের ২য় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর এবং নোয়াপাড়া নদী বন্দর,দেশের সব থেকে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল এবং খুলনার নিজস্ব নদী বন্দরের বদৌলতে এবং পদ্মা সেতুকে ঘিরে খুলনায় একাধিক বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ায় খুলনাঞ্চলের অর্থনীতি শিল্প বাণিজ্য বেশ দ্রুত এগোচ্ছে।
পূর্বে খুলনায় সব থেকে বেশি ছিল পাটপাটজাত উৎপাদন শিল্প, তবে বর্তমানে সারা দেশের ন্যায় খুলনায়তেও পাটশিল্পের অবনতি হচ্ছে যদিও এখনো বড় বড় পাট শিল্পকারখানার মধ্যে সব কারখানা বন্ধ হয়নি,এখনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।কয়েকটি পাট শিল্প কারখানা পিপিপি এর ভিত্তিতে বেসরকারি খাতে দেওয়ার কারণে অত্র অঞ্চলের শ্রমিক ও সাধারণ মানুষেরা নতুনভাবে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।টিকে থাকা বড় পাট কলকারাখানা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্পিনিং মিলস (সেনহাটি) যা তার উৎপাদন রপ্তানি ও বাজারজাতকরণ ধরে রেখেছে সুনামের সাথে। বর্তমানে খুলনার উল্লেখযোগ্য শিল্প হলো বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা রপ্তানীযোগ্য চিংড়ী মাছ এবং হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি শিল্প।দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তারশিল্প কারখানা বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড খুলনায় অবস্থিত। খুলনায় বর্তমানে সহজ উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, বন্দর সুবিধা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং পদ্মা সেতুকে ঘিরে বড় সব প্রকল্প হাতে নেওয়ায় খুলনায় অনেক শিল্প গড়ে উঠছে।নতুন গড়ে ওঠা শিল্পের মধ্যে অন্যতম হলো সিমেন্ট শিল্প ও এক্সপার্ট-ইমপোর্ট শিল্প।
এ ছাড়া খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া তে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম্য শিল্প বিদ্যমান রয়েছে যেমন মৃৎশিল্প,হস্তশিল্প ইত্যাদি।খুলনাঞ্চলের সব থেকে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প হলো মাদুড় বা পাটি, এটি বেতের তৈরী একধরনের কার্পেট যা মাটিতে বসার ক্ষেত্রে কিংবা অন্যান্য হরেক কাজে লাগে।
নদ নদী
সম্পাদনাখুলনায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে:[৭][৮][৯]
- রূপসা নদী
- ভৈরব নদ
- ময়ূর নদী
- শিবসা নদী
- পশুর নদী
- কপোতাক্ষ নদ
- নবগঙ্গা নদী
- চিত্রা নদী
- চিত্রা নদী
- পশুর নদী
- আঠারোবাঁকি নদী
- ভদ্রা নদী
- বুড়িভদ্রা নদী
- শৈলমারী নদী
- কাজিবাছা নদী
- ডাকাতিয়া নদী
- শাকবাড়িয়া নদী
- কাঁকরী নদী
- ঝপঝপিয়া নদী
- তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী
- অর্পণগাছিয়া নদী
- কুঙ্গা নদী
- মারজাত নদী
- মানকি নদী
- বল নদী
- নলুয়া নদী
- ঘনরাজ নদী
রাস্তাঘাট
সম্পাদনাখুলনা শহরের রাস্তাঘাট মোটামুটি ভালো এবং প্রশস্ত।উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বর্তমানে খুলনা মহানগরীতে বিভিন্ন সড়ক প্রশস্তকরণ এবং ড্রেন ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলছে এবং সম্পন্ন হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।
মিডিয়া
সম্পাদনা- সংবাদপত্র
দৈনিক পূর্বাঞ্চল, দৈনিক খুলনাঞ্চল, সময়ের খবর, দৈনিক খুলনা, দৈনিক জন্মভূমি, দৈনিক প্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন, দৈনিক প্রবর্তন, দৈনিক তথ্য, দৈনিক অনির্বাণ, খুলনা টাইমস, দ্য ডেইলি ট্রিবিউন (ইংরেজি)।
- বেতার
- বাংলাদেশ বেতার খুলনা ১০৬.৫ এফএম,
- রেডিও সুন্দরবন ৯৮.৮ এফএম
- রেডিও খুলনা ৮৮.৮ এফএম।
- রেডিও স্ফূর্তি ৮৮.০ এফএম
- রেডিও টুডে ৮৯.৬ এফএম
- খুলনা টিভি
খেলাধুলা
সম্পাদনাবর্তমানে খুলনা শহরের তরুনদের মাঝে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট,ফুটবল এবং ব্যাডমিন্টন। খুলনা বিভাগের খুলনা বিভাগীয় ক্রিকেট দল একটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট দল। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ এ খুলনার প্রতিনিধিত্ব করে খুলনা টাইগার্স। খুলনা আবাহনী ক্লাব খুলনার অন্যতম ফুটবল দল। অধুনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম (প্রাক্তন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম) খুলনার একমাত্র আন্তঃর্জাতিক ক্রীড়া ভেন্যু। এই মাঠকে ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দেশের সপ্তম টেস্ট ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১০] এই মাঠে টেস্ট ক্রিকেট, একদিনের আন্তর্জাতিক এবং আন্তর্জাতিক টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটের আয়োজন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অন্যান্য খেলার আয়োজন করা হয়।
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
- খানজাহান আলী সেতু
- জাহানাবাদ বনবিলাস চিড়িয়াখানা ও শিশু পার্ক
- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
- উল্লাস এমিউজমেন্ট পার্ক
- ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক
- রানা রিসোর্ট এন্ড এমিউজমেন্ট পার্ক
- শহীদ হাদিস পার্ক
- জাতিসংঘ পার্ক
- ভরত ভায়না
- গল্লামারী লিনিয়ার পার্ক
- কেডিএ ময়ূরী আবাসিক এলাকা
- কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ইনস্টিটিউট[১১]
- দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স
- গল্লামারী বধ্যভূমি
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি
- সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক
- শেখ রাসেল ইকো পার্ক
- রানা রিসোর্ট এমিউজমেন্ট ওয়াটার পার্ক
- মংলা বন্দর
- সুন্দরবন
- কুয়েট
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ
সম্পাদনা- খান জাহান আলী মুঘল সাম্রাজ্যের খুলনাঞ্চলের প্রতিনিধি,খুলনাঞ্চলে ইসলাম ধর্মের প্রচারক,শাসক,দার্শনিক।
- খান এ সবুর -আইনজীবী,তৎকালীন ব্রিটিশ আমলের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ,খুলনা অঞ্চলকে ভারতের কবল থেকে মুক্ত করার অন্যতম কারিগর
- মিয়া গোলাম পরওয়ার - সাবেক এমপি, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদ
- এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা - জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সাবেক এমপি ও হুইপ
- নারায়ন চন্দ্র চন্দ- এমপি ও মন্ত্রী
- হারুনুর রশিদ- রাজনীতিবিদ।
- প্রফুল্ল চন্দ্র রায় - বিজ্ঞানী
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী - চর্যাপদের আবিষ্কর্তা
- আশু মহণ শেখ- ইসলাম প্রচারক, ভূস্বামী ও দানবীর
- শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত - নাট্যকার
- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার - কবি
- ইন্দুভূষণ রায় - বিপ্লবী
- মৃণালিনী দেবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী
- এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ - ১৭তম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান
- মৌসুমী - চিত্রনায়িকা
- পপি - চিত্রনায়িকা
- ক্রিকেটার শেখ সালাহউদ্দিন - সাবেক ক্রিকেটার
- ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক - ক্রিকেটার
- রুমানা আহমেদ - একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার
- জাহানারা আলম - একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার
- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় - বাঙালি সাহিত্যিক ও সম্পাদক
- মেহেদী হাসান মিরাজ - ক্রিকেটার
- শুকতারা রহমান - ক্রিকেটার
- আয়শা রহমান - মহিলা ক্রিকেট খেলোয়াড়
- পূজা চেরি - চিত্রনায়িকা
- সালমা খাতুন - ক্রিকেটার
- মুস্তাফিজুর রহমান ক্রিকেটার
আরও পড়ুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Area, Population and Literacy Rate by Paurashava –2001" (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০০১। ২০০৮-১২-১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৮-১৯।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "খুলনা"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Marshall Cavendish Corporation (২০০৭)। World and Its Peoples: Eastern and Southern Asia। Marshall Cavendish। পৃষ্ঠা 491। আইএসবিএন 9780761476313।
- ↑ Girard, Luigi Fusco (২০০৩)। The Human Sustainable City: Challenges and Perspectives from the Habitat Agenda। Ashgate Publishing, Ltd। পৃষ্ঠা 298। আইএসবিএন 9780754609452।
- ↑ "Khulna BNSB Eye Hospital"। Khulna BNSB Eye Hospital (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২০।
- ↑ "খুলনা শিল্পাঞ্চল নিয়ে প্রতিবেদন"। দৈনিক প্রথম আলো।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৮৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬০৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "BPL 2013 to kick off on January 17"। ক্রিকইনফো। ১ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১০-৩১।
- ↑ "কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ইনস্টিটিউট, সেনহাটি, দিঘলিয়া, খুলনা"। জাতীয় ই তথ্যকোষ। ২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৬।