খুলনা সিটি কর্পোরেশন
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (সংক্ষেপে কেসিসি) ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিভাগীয় সিটি কর্পোরেশন। ১৯৮৪ সালে এটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ৪৫ বর্গ কিলোমিটার[১] এবং ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ছিল পনেরো লক্ষ[২] খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতা।[৩] খুলনা সিটি কর্পোরেশন স্থানীয় সরকার আইন দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান। বর্তমান স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।[৪] প্রতি পাঁচবছর অন্তর খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | |
মেয়াদসীমা | ৫ বছর |
ইতিহাস | |
শুরু | ৬ আগস্ট ১৯৯০ |
নতুন অধিবেশন শুরু | ১১ অক্টোবর ২০২৩ |
নেতৃত্ব | |
পদ শূন্য | |
লস্কর তাজুল ইসলাম | |
গঠন | |
আসন | ৪১ (নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি আসন-সহ) |
রাজনৈতিক দল | পদ শূন্য |
নির্বাচন | |
ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট ভোটদান | |
সর্বশেষ নির্বাচন | ২০২৩ |
পরবর্তী নির্বাচন | ২০২৮ |
সভাস্থল | |
নগর ভবন, খুলনা | |
ওয়েবসাইট | |
http://www.khulnacity.org/ |
ইতিহাস
সম্পাদনাসর্বপ্রথম ১৮৮৪ সালে খুলনা নগরের মর্যাদা পায়। কলকাতা গেজেট অনুযায়ী ১৮৮৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর খুলনাকে মিউনিসিপাল বোর্ড ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৩ ডিসেম্বর রেভারেন্ড গগন চন্দ্র দত্ত প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। সেসময়ে টুটপাড়া, শেখপাড়া, চারাবাটি, হেলাতলা এবং কয়লাঘাট এলাকায় সমন্বয়ে খুলনা পৌর সরকার যাত্রা শুরু করে। মিউনিসিপ্যালিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্ডিন্যান্স (পৌরসভা প্রশাসন অধ্যাদেশ)-এর দ্বারা খুলনা মিউনিসিপাল বোর্ডের নাম পালটে খুলনা মিউনিসিপাল কমিটি করা হয়, পাশাপাশি পৌর এলাকাকে ৪.৬৪ বর্গমাইল থেকে উন্নীত করে ১৪.৩০ বর্গমাইল করা হয়। তখন মিউনিসিপাল কমিটির সদস্য ছিলেন ২৮ জন এবং শহর ১৪ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ছিলো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ লোকাল কাউন্সিল অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল কমিটি (ডেসোলেশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট) অর্ডার - ১৯৭২ এর ক্ষমতা বলে খুলনা মিউনিসিপালিটির নাম বদলে খুলনা পৌরসভা করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা শহরের শতবর্ষপূর্তিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ খুলনাকে মিউনিসিপাল কর্পোরেশন হিসেবে উন্নীত করেন। ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট খুলনাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়।
ওয়ার্ডসমূহ
সম্পাদনাখুলনা সিটি কর্পোরেশনে এখন ৩১ টি ওয়ার্ড রয়েছে। খুলনা জেলার লবণচরা, টুটপাড়া, বানিয়া খামার, হেলাতলা, ছোট বয়রা, বয়রা, মুজগুন্নী, গোয়ালপাড়া, রায়ের মহল, পাবলা, দেয়ানা(আংশিক), দৌলতপুর, মহেশ্বরপাশা এবং মীরেরডাঙ্গা মৌজা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্র গঠিত।
সম্প্রতি সিটি করপোরেশন এর আয়তন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে বর্তমান বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গা, হরিণটানা, খোলাবাড়িয়া, ডুবি, আলুতলা, সাঁচিবুনিয়া(আংশিক), কৃষ্ণনগর, ঠিকরাবন্দ, ডুমুরিয়া উপজেলার চক মথুরাবাদ, চক আসানখালী(আংশিক), বিল পাবলা(আংশিক), দিঘলিয়া উপজেলার দেয়ানা(আংশিক), আড়ংঘাটা, তেলিগাঁতী, যুগীপোল, ফুলতলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ, গিলাতলা(আংশিক) এবং আটরা(আংশিক) মৌজাকে নতুন অধিক্ষেত্র এলাকার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিভাগসমূহ
সম্পাদনা- পৌরকার্য বিভাগ
- স্বাস্থ্য বিভাগ
- পার্ক ও বিনোদন
- রেভিনিউ বিভাগ
- সড়ক বাতি বিভাগ
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- সংরক্ষণ বিভাগ[৫]
মেয়র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সীমানা দ্বিগুণ হচ্ছে - দৈনিক জনকন্ঠ (১৪ মে, ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত)
- ↑ খুলনা শহরে মানুষ কমছে (আবাসনবিষয়ক জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএন হ্যাবিট্যাট এর প্রতিবেদন; ২০১৫ খ্রিঃ) - "দৈনিক প্রথম আলো (০২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত)"
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;চার সিটিতেই বিএনপির জয়
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ http://www.lgd.gov.bd/
- ↑ http://www.khulnacity.org/Content/index.php?pid=42&id=26&page=Administrative_office