খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর

খুলনার একটি জাদুঘর

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর খুলনা জেলার শিববাড়ী ট্রাফিক মোড়ের জিয়া পাবলিক হলের পাশে অবস্থিত একটি জাদুঘর। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] জাতীয় জাদুঘরের আওতায় ও প্রত্নতত্ত অধিদপ্তরের তত্তাবধানে জাদুঘরটি পরিচালিত। আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জাদুঘর। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত নানান প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন বিশেষ করে ঝিনাইদহের বারবাজার, যশোরের ভরত ভায়ানা এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলী সমাধিসৌধ খননের ফলে প্রাপ্ত নানান দুর্লভ নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে এ জাদুঘরে।

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত১৯৯৮
অবস্থানশিববাড়ী মোড়, খুলনা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২২°৪৯′১৬″ উত্তর ৮৯°৩৩′০৭″ পূর্ব / ২২.৮২১১২° উত্তর ৮৯.৫৫১৮৮° পূর্ব / 22.82112; 89.55188

সংগ্রহ সম্পাদনা

এ জাদুঘরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্য খ্যাত আলোকচিত্র দেখা যাবে, তার মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য খ্যাত ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ, নয়গম্বুজ মসজিদ, রনবিজয়পুর মসজিদ, জিন্দা পীরের মসজিদ, সোনা বিবির মসজিদ, সিঙ্গারা মসজিদ, দীদার খার মসজিদ, আনোয়ার খার মসজিদ, আহমদ খার মসজিদ, চিল্লাখানা, খানজাহান আলী (র.) এর বসতভিটা ও দীঘি, কোতয়ালী, কালোদীঘি, বিবি গোগিনীর মসজিদ এবং দশ গম্বুজ মসজিদসহ বৃহত্তর খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর অঞ্চলের। এছাড়াও সারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনার আলোকচিত্র দেখা যাবে এখানে।

আলোকচিত্র ছাড়া জাদুঘরে দেখা যাবে গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল ও ব্রিটিশ আমলের নানা রকম পুরাকীর্তির নিদর্শন, পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি, কষ্টি পাথরের মূর্তি, কালো পাথরের মূর্তি, তামা, লোহা, পিতল, মাটি ও কাচের তৈজসপত্র, বিভিন্ন ধাতুর তৈরি অস্ত্র, লিপি, বিভিন্ন খেলনা, নানা রকম ব্যবহার্য সামগ্রী, মোগল আমলের স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রাসহ বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের পুরনো নিদর্শনসমূহ।

টিকিট ও পরিদর্শনের সময় সম্পাদনা

জাদুঘরের প্রবেশমূল্য প্রতিজন ১০ টাকা। তবে বিদেশি দর্শনাথীদের জন্য প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৬টা প্রর্যন্ত জাদুঘর খোলা থাকে। রবিরার পূর্ণদিন ও সোমবার অর্ধদিন জাদুঘরের সাপ্তাহিক বন্ধ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১