বাগেরহাট

বাংলাদেশের একটি শহর

বাগেরহাট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্তর্গত বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত একটি শহর। প্রশাসনিকভাবে শহরটি বাগেরহাট জেলা এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার সদর। এটি বাগেরহাট জেলার সবচেয়ে বড় এবং প্রধান শহর। এ শহরটি মসজিদের জন্য বিখ্যাত। ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট এ শহরেই অবস্থিত।

বাগেরহাট
প্রাচীন নাম: খলিফাতাবাদ
শহর
ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ
বাগেরহাট বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বাগেরহাট
বাগেরহাট
বাংলাদেশে বাগেরহাট শহরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৯′২০″ উত্তর ৮৯°৪৫′৫৮″ পূর্ব / ২২.৬৫৫৪৫২° উত্তর ৮৯.৭৬৬১৫৩° পূর্ব / 22.655452; 89.766153
দেশ বাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাবাগেরহাট জেলা
উপজেলাবাগেরহাট সদর উপজেলা
মসজিদের শহর১৫শ শতাব্দী
মহকুমা শহর১৮৬৩
পৌরশহর১৯৫৮
জেলা শহর১৯৮৪
সরকার
 • ধরনপৌরসভা
 • শাসকবাগেরহাট পৌরসভা
 • পৌরমেয়রখান হাবিবুর রহমান
আয়তন
 • মোট১৫.৯০ বর্গকিমি (৬.১৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা
 • মোট১,২৫,১৭৪
 • জনঘনত্ব৭,৯০০/বর্গকিমি (২০,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬)

শহরটির সবচেয়ে নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর যথাক্রমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং যশোর বিমানবন্দর। বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে বাগেরহাট শহরের দূরত্ব ৪২.৩ কি.মি.।[]

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

বাগেরহাট শহরের মোট জনসংখ্যা ১২৫,১৭৪ জন যার মধ্যে ৬৩,১১৭ জন পুরুষ এবং ৬২,০৫৭ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ৯৫। শহরে মোট হোল্ডিং সংখ্যা রয়েছে ৭৮৭০ টি।

ভৌগোলিক উপাত্ত

সম্পাদনা

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৩৯′২০″ উত্তর ৮৯°৪৫′৫৮″ পূর্ব / ২২.৬৫৫৪৫২° উত্তর ৮৯.৭৬৬১৫৩° পূর্ব / 22.655452; 89.766153। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১০.৬৯ মিটার[]

প্রশাসন

সম্পাদনা

১৯৫৮ সালে বাগেরহাট শহরের নাগরিকদের পৌরসেবা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার উদ্দেশ্যে বাগেরহাট পৌরসভা নামক একটি স্থানীয় সরকার সংস্থা(পৌরসভা) গঠিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ১৭টি মহল্লায় বিভক্ত । ১৫.৯০ বর্গ কি.মি. আয়তনের বাগেরহাট শহর এলাকাটি বাগেরহাট পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয়।[]

শিক্ষা ব্যবস্থা

সম্পাদনা

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫৮.৭%; পুরুষ ৬০.৮%, মহিলা ৫৬.৫%। কলেজ ৪৪, কারিগরি কলেজ ২, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৪১, কারিগরি বিদ্যালয় ২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৭৩, কিন্ডার গার্টেন ১০, কমিউনিটি স্কুল ৩, মাদ্রাসা ২২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চিরুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ (১৯১৭), রামপাল ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৮), খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৮), শরণখোলা ডিগ্রি কলেজ (১৯৭৮), শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৩), কচুয়া ডিগ্রি কলেজ, কচুয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ, হোমিওপ্যাথিক কলেজ, পিসি কলেজ (১৯১৮),বাগেরহাট কামিল মাদ্রাসা (১৯৬০), মোংলা সরকারি কলেজ (১৯৮১), সরকারি মহিলা কলেজ, খানজাহান আলী কলেজ, শারীরিক শিক্ষা কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, মংলা বন্দর স্কুল ও কলেজ (১৯৮৭), মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, অন্ধ বধির ইনস্টিটিউট, মুলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৫৭),মোবাইদুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৯৮), বাগেরহাট বহুমুখী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৭৮), বাহিরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯২), নলধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৮৯৫), দৈবজ্ঞহাটি বিশ্বেশ্বর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৫), মসনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৫), গোয়ালহাট রসিকলাল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), সাচিয়াদহ চুনখোলা এমবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), প্রফুল্ল চন্দ্র রায় মহাবিদ্যালয় (১৯১৮), চিংড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২০), খানজাহানীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৩), এসি লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৪), কচুবুনিয়া রহমাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৭), গিলাতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), সুগন্ধি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (১৯৩০), ফয়লা হাট কামালউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৭), পেড়িখালি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৯), ডাকরা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪০), এসএম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৫), সেন্ট পলস্ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৪), আরকেডিএস বালিকা বিদ্যালয় (১৯৬৮), চরলাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯০৪), বড়বাড়িয়া হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১২), আংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯১৮), মাদারতলী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯২৮), মাধবকাঠী আহমদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা (১৯১৫)। বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,চিতলমারী ১৯৪১। টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোংলা (১৯২৭)।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Distance from Khulna-to-Bagerhat"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-২১ 
  2. "latitude, longitude and elevation of Bagerhat, Bangladesh"। distancesto.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৬ 
  3. "এক নজরে পৌরসভা"। ২০১৮-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৬