আহমদ ছফা
আহমদ ছফা (৩০ জুন ১৯৪৩ - ২৮ জুলাই ২০০১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী। জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও সলিমুল্লাহ খান সহ আরো অনেকের মতে, মীর মশাররফ হোসেন ও কাজী নজরুল ইসলামের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি মুসলমান লেখক হলেন আহমদ ছফা।[১][২][৩][৪][৫][৬] তার লেখায় বাংলাদেশি জাতিসত্তার পরিচয় নির্ধারণ প্রাধান্য পেয়েছে।
আহমদ ছফা | |
---|---|
জন্ম | গাছবাড়িয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ৩০ জুন ১৯৪৩
মৃত্যু | ২৮ জুলাই ২০০১ ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স ৫৮)
সমাধিস্থল | মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্তান |
পেশা | লেখক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশি |
ধরন | প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | একুশে পদক (২০০২) |
বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে রচিতবুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (১৯৭২) প্রবন্ধগ্রন্থে আহমদ ছফা বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের মানচিত্র অঙ্কন করেন এবং বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবীদের সুবিধাবাদিতার নগ্ন রূপ উন্মোচন করেন তথা বুদ্ধিজীবীদের সত্যিকার দায়িত্বের স্বরূপ ও দিকনির্দেশনা বর্ণনাপূর্বক তাদের সতর্ক করে দিতে বুদ্ধিজীবীদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের কী দুর্দশা হতে পারে তা সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।[৭][৮][৯]
আহমদ ছফা তার বিখ্যাত "বাঙালি মুসলমানের মন" (১৯৭৬) প্রবন্ধে বাঙালি মুসলমানের আত্মপরিচয়ের হাজার বছরের বিবর্তন বিশ্লেষণপূর্বক তাদের পশ্চাদগামিতার কারণ অনুসন্ধান করেছেন।[১০][১১] আনিসুজ্জামান ও সলিমুল্লাহ খানসহ আরো অনেকে ছফার বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৮১) প্রবন্ধসংকলনটিকে বাংলা ভাষায় রচিত গত শতাব্দীর 'সেরা দশ চিন্তার বইয়ের' একটি বলে মনে করেন।[১১][১২][১৩]
ছফা রচিত প্রতিটি উপন্যাসই ভাষিক সৌকর্য, বিষয়বস্তু ও রচনাশৈলীর অভিনবত্বে অনন্য।[১২][১৪] মানসিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থসামাজিক সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুষঙ্গসহ ছফার চরিত্র সৃষ্টির তথা কাহিনিকথনের পারঙ্গমতা অসামান্য। আবুল ফজল ও আরো অনেকের মতে ছফার ওঙ্কার (১৯৭৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বোত্তম সাহিত্যিক বহিঃপ্রকাশ।[১৫][১৬][১৭] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে রচিত গাভী বিত্তান্ত (১৯৯৫) বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাসগুলোর একটি।[১৮][১৯] পুষ্প বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরাণ-এ (১৯৯৬) ছফা ঢাকা শহরের প্রেক্ষিতে ফুল, পাখি, বৃক্ষ তথা বৃহৎ প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের এক নিজস্ব বয়ান হাজির করেন।[২০][২১]
আহমদ ছফা ও তার রচনাকর্ম অনেক লেখক, শিল্পী, চলচ্চিত্রকার ও বুদ্ধিজীবীকে অনুপ্রাণিত করেছে; তাঁদের মাঝে অন্যতম হুমায়ূন আহমেদ[২২][২৩], ফরহাদ মজহার, মুহম্মদ জাফর ইকবাল[২৪][২৫], তারেক মাসুদ[২৬][২৭] এবং সলিমুল্লাহ খান।[২৮] বর্তমানে ছফা স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচিত।[৪][১৭][২৯]
জীবিতকালে আহমদ ছফা তার প্রথাবিরোধিতা, স্পষ্টবাদিতা, স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেখক ও বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ আলোচিত ও বিতর্কিত ছিলেন। জীবদ্দশায় অনেকে তাকে বিদ্রোহী, বোহেমিয়ান, উদ্ধত, প্রচলিত ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাহীন ও বিতর্কপ্রবণ বলে অভিহিত করেছেন।[৩০][৩১]
প্রতিষ্ঠানবিরোধী আহমদ ছফা ১৯৭৫ সালে লেখক শিবির পুরস্কার ও ১৯৯৩ সালে বাংলা একাডেমির সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[৩২] ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সাহিত্যে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করেন।[৩৩]
জন্ম
সম্পাদনাআহমদ ছফা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ শে জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর পিতা হেদায়েত আলী এবং মাতা আসিয়া খাতুন। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে আহমদ ছফা ছিলেন বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান।[৩৪]
শিক্ষা ও জীবন
সম্পাদনাআহমদ ছফার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ গাছবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে নিজের গ্রামের নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।[৩৫] ছাত্রাবস্থায় সুধাংশু বিমল দত্তের মাধ্যমে কৃষক সমিতি-ন্যাপ বা তৎকালীন গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন। মাস্টারদা সূর্যসেনের বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অণুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা কয়েকজন বন্ধু মিলে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইন উপড়ে ফেলেন। পরে গ্রেপ্তার এড়াতে কিছুকাল পার্বত্য চট্টগ্রামে আত্মগোপন করেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম নাজিরহাট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন; একই বৎসরে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে।[৩৬] পরে বাংলা বিভাগে ক্লাশ করা অব্যাহত রাখেননি। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ থেকে প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এমএ পরীক্ষা দেয়ার আগেই বাংলা একাডেমির পিএইচডি গবেষণা বৃত্তির জন্য আবেদন করেন এবং তিন বছরের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য মনোনীত হন। গবেষণার বিষয় ছিল ‘১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব, বিকাশ, এবং বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার প্রভাব’।[৩৭][৩৮] ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পিএইচডি অভিসন্দর্ভের জন্য জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সান্নিধ্যে আসেন। দীর্ঘকাল তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে প্রাইভেটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পরীক্ষা দেন।[৩৯] মৌখিক পরীক্ষা হয় একুশে মার্চ। পিএইচডি সম্পন্ন করা পরে আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।[৪০] ১৯৭১ সালে ‘লেখক সংগ্রাম শিবির’ গঠন ও এর বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেন। ৭ই মার্চ ‘স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা’ হিসেবে প্রতিরোধ প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এপ্রিল মাসে কলকাতা চলে যান। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সেখান থেকে দাবানল নামের পত্রিকা সম্পাদনা করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশে ফিরে লেখালেখি করতে থাকেন।
১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন মোস্তানের সহায়তায় কাঁটাবন বস্তিতে ‘শিল্পী সুলতান কর্ম ও শিক্ষাকেন্দ্র’ চালু করেন।
পরে ১৯৮৬-তে জার্মান ভাষার ওপর গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ডিগ্রিও লাভ করেন তিনি, যা তাঁকে পরবর্তী সময়ে গ্যেটের অমর সাহিত্যকর্ম ফাউস্ট অনুবাদে সহায়তা করেছিল।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাআহমদ ছফা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন দীপ্তিময়ভাবে। গল্প, গান, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ইতিহাস, ভ্রমণকাহিনি মিলিয়ে তিরিশটির বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন।[৪১] তাঁর জীবদ্দশায় আহমদ ছফা রচনাবলি প্রকাশ শুরু হয়। তাঁর রচনাবলি ৯ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।[৪২] জীবিত থাকাকালীন আহমদ ছফা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কলাম লেখা অব্যাহত রেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয় একটি লেখা হলো অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে নিয়ে লেখা "যদ্যপি আমার গুরু"।
মননশীল সাহিত্য
সম্পাদনাস্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম গ্রন্থ হিসেবে মুক্তধারা থেকে প্রকাশ পায় ছফার প্রবন্ধ গ্রন্থ জাগ্রত বাংলাদেশ।[৪৩] প্রকাশকাল- শ্রাবণ ১৩৭৮ বা জুলাই ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দ।[৪৪] ১৯৭২-এ প্রকাশ পায় বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহী বিদ্রোহের ইতিহাস এবং ১৯৮১-এ বাঙালি মুসলমানের মন গ্রন্থ প্রকাশ পায়।
বর্তমান মুহূর্তে আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীরাই হচ্ছেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রেণি। এরা চিরদিন হুকুম তামিল করতেই অভ্যস্ত। প্রবৃত্তিগত কারণে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারকেই কামনা করে। কেননা একমাত্র ফ্যাসিস্ট সরকারই কিছুসংখ্যক বুদ্ধিজীবী সম্মান শিরোপা দিয়ে পুষে থাকে। অল্পসংখ্যক বাছাই করা লোককে দিয়ে নিজেদের প্রচার প্রোপাগান্ডা করিয়ে দেশের জনসমাজের স্বাধীন চিন্তা এবং প্রাণস্পন্দন রুদ্ধ করেই ফ্যাসিবাদ সমাজে শক্ত হয়ে বসে। চিন্তাশূন্যতা এবং কল্পনাশূন্য আস্ফালনই হল ফ্যাসিবাদের চারিত্র্য লক্ষণ।
—বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (১৯৭২)[৪৫]
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক গণকণ্ঠ-এ ধারাবাহিকভাবে বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস রচনা প্রকাশ করেন। 'বিতর্ক বা আলোড়ন সৃষ্টিকারী'[৪৬] এই প্রবন্ধের কারণে তৎকালীন সরকারের রোষে পড়তে হয় তাকে।[৪৭] বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস বইয়ে আহমদ ছফা বাঙালি চিন্তকদের সম্পর্কে যুক্তিসহ রূঢ় সব মন্তব্য করেছেন।[৪৮] সেই সময় দেশের প্রতিষ্ঠিত-অপ্রতিষ্ঠিত লেখক-বুদ্ধিজীবীরা প্রতি সপ্তাহের কিস্তির দিকে তাকিয়ে থাকতেন আগ্রহ এবং আতঙ্ক নিয়ে।[৪৯] আহমদ ছফার সর্বাধিক আলোচিত সাতচল্লিশের দেশভাগ থেকে শুরু করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ—দীর্ঘ এ কালখণ্ডে বুদ্ধিজীবীরা কীভাবে আত্মবিক্রির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলেন, কীভাবে পুরস্কার, পদক-পদবির জন্য মরিয়া ছিলেন, তা তথ্য উপাত্তসহ উপস্থাপন করেছেন। ছফার ভাষায়:
“ | আগে বুদ্ধিজীবীরা পাকিস্তানি ছিলেন, বিশ্বাসের কারণে নয়—প্রয়োজনে। এখন অধিকাংশ বাঙালি হয়েছেন—সেও ঠেলায় পড়ে। | ” |
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, গল্প-উপন্যাসে পাকিস্তান প্রশস্তি, স্বৈরশাসকের জীবনী অনুবাদ—এসব বিষয়কে ছফা দেখেছেন লেখকদের মেরুদণ্ডহীনতার চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগ মুহূর্তে লেখকসমাজের নিষ্ক্রিয়তা, যুদ্ধের সময় দ্বিধান্বিত ভূমিকা, ভারতে পালিয়ে বেড়ানো, ভোগবিলাসে মত্ত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ছফা তুলে ধরেছেন, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বাংলাদেশের লেখকসমাজ কতটা অপরিণামদর্শী ও অদূরদর্শী ছিলেন। ছফা বলেন, সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীরা ‘প্রয়োজনে-ঠেলায়’ পড়ে বিশেষ বিশেষ ঘটনার আগে যে ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি দেন, ঘটনার পরে লেখেন তার উল্টো কাসুন্দি। ফলে তাঁদের কোনো চিন্তা-কর্ম-উপদেশ সমাজের বিশেষ কোনো কাজে আসে না।[৪৮] তাই ছফা বলেন, বুদ্ধিজীবীরা যা বলতেন, শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না। এখন যা বলছেন, শুনলে বাংলাদেশের সমাজ-কাঠামো আমূল পরিবর্তন হবে না।[৫০]
আমি জাতি হিসেবে বাঙালি মুসলমানের অপূর্ণতা, অক্ষমতা এবং অসহায়তার দিকটাই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। বাঙালি মুসলমানরা এ দেশের মাটির আসল সন্তান। তারা প্রভুত্বকামী আর্যদের সঙ্গে যেমন সম্পর্কিত নয়, তেমনি আগ্রাসী তুর্কি, তাতার, ইরানী, তুরানীদেরও কেউ নয়। শুরু থেকেই বাঙালি মুসলমান একটা নির্যাতিত মানবগোষ্ঠী।
— আহমদ ছফা, ১৯৯৪[৫১]
বাংলা একাডেমি থেকে বাঙালি মুসলমানের মন প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশ পায় ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে।[৫২] গ্রন্থের নাম প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে মাসিক সমকালে। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ও বিতর্কিত প্রবন্ধ "বাঙালি মুসলমানের মন।" "বাঙালি মুসলমানের মন" প্রবন্ধে ছফা বাঙালি মুসলমানদের হীনম্মন্যতার ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং পাশাপাশি এর বাস্তব ও যৌক্তিক কারণগুলো তুলে ধরেছেন।[৫৩] ছফার মতে, হিন্দু বর্ণাশ্রম প্রথাই এদেশের সাম্প্রদায়িকতার আদিতম উৎস।[৫৩] তাঁর মতে, বাঙালি মুসলমানের হীনম্মন্যতার শিকড়ও বর্ণাশ্রম প্রথাতে প্রোথিত আছে। আর শাসকশ্রেণির পৃষ্ঠপোষকতার অনুপস্থিতির কারণে বাঙালি মুসলমান আজ পর্যন্ত তাদের জাতিগত হীনম্মন্যতা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নি। আর তাই 'বাঙালি মুসলমান সমাজ স্বাধীন চিন্তাকেই সবচেয়ে ভয় করে।' প্রবন্ধটির পটভূমি ব্যাখ্যা করে সলিমুল্লাহ খান মন্তব্য করেছেন, বাঙালি মুসলমান আসলে কোনও জাতিগোষ্ঠী নয়। এটি একটি বিশেষ শ্রেণির নাম, যারা মুসলমান ও বাংলায় কথা বলেন এবং এ নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। 'বাঙালি ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর শোষিত শ্রেণির একটি বিশেষ অংশ, যাদের হীনম্মন্যতার অবসান হয়নি, তারাই এই বাঙালি মুসলমান। সময় বদলালেও এই হীনম্মন্যতার সংকটের অবসান হয়নি। এর কারণেই সব স্তরে বাংলা ভাষার দুরবস্থা এখনও কাটেনি।'[৫৪]
১৯৯২ সালে রচিত "বাংলাদেশের উঁচুবিত্ত শ্রেণি এবং সমাজবিপ্লব প্রসঙ্গ" প্রবন্ধে ছফা বলেছেন, দরিদ্র ও সংগ্রামরত বিশাল আম জনতার সাথে দেশের শহুরে সুশীল সমাজ ও শাসক শ্রেণির কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের অভিজাতরা বিদেশিদের চেয়ে বেশি বিদেশি সেজে থাকে। তারা কাল্পনিক বৈশ্বিক সংস্কৃতির সাথে একাত্মতা বোধ করে, যার কোনো শিকড় বাংলাদেশের কোটি জনতার রূঢ় বাস্তবতায় নেই।[১০] ছফা আরো বলেন, বাঙালি সাধারণ মুসলমানরা আদৌ গোঁড়া বা প্রতিক্রিয়াশীল না, কিন্তু শাসকশ্রেণির সাথে তাদের সতত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দূরত্ব ও নিরবচ্ছিন্ন শোষণ ও আর্থরাজনৈতিক বঞ্চনা তাদের মাঝে ক্রোধ ও ক্ষোভে পূর্ণ পলকা অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যে অবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক উগ্রপন্থী ধর্মীয় সংগঠনগুলো বাংলাদেশে জনমত গঠন করতে পারছে।[১০]
কথাসাহিত্য
সম্পাদনাসলিমুল্লাহ খান ও আরো অনেকের মতে, আহমদ ছফা বাংলা সাহিত্য তথা বিশ্ব সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক।[২০][৫৫] আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতে, ছফা গল্প বলার কলা অল্পবয়সেই রপ্ত করেছিলেন।[৫৬] তাই পাঠকরা তার ডাকে সাড়া দেয়।[৫৬]
সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭) আহমদ ছফার প্রথম উপন্যাস ও গ্রন্থ।[৫৭] উপন্যাসটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির হৃদয়গ্রাহী উপাখ্যান বলা হয়েছে।[১৭] যদিও বরুমতির আঁকেবাঁকে নামক একটি গ্রন্থও তাঁর প্রথম গ্রন্থের দাবিদার।[৫৮]
ওঙ্কার (১৯৭৫) ছফার দ্বিতীয় উপন্যাস। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ওঙ্কারে একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে ধারণ করেছেন লেখক।[৫৯] ওঙ্কারে বোবা বউয়ের 'বাঙলা' উচ্চারণের সমান্তরালে "জাতিসত্তার জাগরণের অন্তর্সত্য বিধৃত হয়েছে।"[৬০] আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লিখেছেন, ওঙ্কারে "ছফার কোনো চরিত্রই শুধু একটি ব্যক্তি নয়, বহু কালের বহু মানুষের বহন করার শক্তি দিয়েই তিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন।"[৫৬] ইলিয়াস আরো বলেন, একটি জনগোষ্ঠী থেকে পরিপূর্ণ একটি জাতিতে পরিণত হওয়ার সংকল্প ঘোষিত হয়েছে ওঙ্কারে।[৫৬]
একজন আলী কেনানের উত্থান-পতনে (১৯৮৮) ছফা বাংলাদেশের মাজার সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে আলী কেনান নামের মূল চরিত্রের উত্থান ও পতন উপস্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান থেকে শুরু শেখ মুজিবের শাসনামল পর্যন্ত রাজনীতির উত্থান পতন আলী কেনানের উত্থান পতনের সমান্তরালে প্রতিবিম্বিত হয়েছে। সলিমুল্লাহ খান আলী কেনানকে শেখ মুজিবুর রহমানের রূপক মনে করেন।[৬১]
মরণবিলাসে (১৯৮৯) চিত্রায়িত হয়েছে মৃত্যুশয্যায় এক মন্ত্রী যে তার রাজনৈতিক অনুসারী মাওলা বক্সের কাছে তার সারা জীবনে কৃত অপকর্মের বর্ণনা দেয়।[৬২] মন্ত্রীর অপকর্মগুলো খুন, ব্যভিচার, ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘিরে আবর্তিত হয়।
অলাতচক্র (১৯৯৩) প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে রচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গতি-প্রকৃতি, তার নানা পর্যায়, সবলতা ও দুর্বলতাগুলোসহ কোটি নিরাশ্রয় মানুষের আকুতি, বেদনা ও স্বজন হারানোর শোক শাশ্বতরূপ পেয়েছে উপন্যাসটিতে। সেই সঙ্গে ব্যক্তি মানুষের ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, প্রেমাবেগ এবং দ্বন্দ্বের বিষয়টিও লেখক শৈল্পিকভাবে তুলে ধরেছেন নানা ঘটনা ও চরিত্রের মধ্য দিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতির গোপন-রহস্য, শৌর্য মৃত্যু ও কপটতার তথা ব্যক্তিগত প্রেমের গীতিকা এই উপন্যাস।[৬৩] যুদ্ধের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাসের চরিত্রগুলো সবাই রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মানুষ।
গাভী বিত্তান্ত (১৯৯৫) উপন্যাসের মূল কেন্দ্র একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা লোক বিশ্ববিদ্যালয়, উপন্যাসের ভাষায়, 'দেশের সবচাইতে প্রাচীন এবং সম্ভ্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়' এবং মূল চরিত্র সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত উপাচার্য মিঞা মোহাম্মদ আবু জুনায়েদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে আবু জুনায়েদের আরোহণ এবং এর আগে ও পরে শিক্ষক রাজনীতিকে ঘিরে ঘটনাচক্র উপন্যাসটির বিষয়বস্তু।[৬৪]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬) একটি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। জাপানি ভাষায় পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ উপন্যাসের অনুবাদ প্রকাশ পায় ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ।[৬৫] পুষ্প, বৃক্ষ, বিহঙ্গ ঘুরে সুশীল সমাজের ব্যবচ্ছেদ হয়েছে তার এই উপন্যাসে।
অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬) উপন্যাসটি ছফার ব্যক্তিগত প্রেমকে উপজীব্য করে রচিত।[৬৬] অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পূর্বে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রাণপূর্ণিমার চান নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ছফাঅর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরীকে তাঁর প্রেমের সৌধ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন।[৬৭]
কাব্য সাহিত্য ও অন্যান্য
সম্পাদনাছফা চারটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। ছফা জার্মান সাহিত্যিক গ্যেটের ফাউস্ট অনুবাদ শুরু করেন ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে। মুক্তধারা থেকে ফাউস্টের অনুবাদ বের হয় ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক ও সমসাময়িক কালের বিশিষ্ট পণ্ডিত অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের প্রসঙ্গে রচিত স্মৃতিচারণ গ্রন্থ যদ্যপি আমার গুরু প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রভাব ও উত্তরাধিকার
সম্পাদনাবাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক বলে বিবেচিত[১] আহমদ ছফা ছিলেন 'সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং আদর্শনিষ্ঠ ও প্রগতিপন্থি একজন সংস্কৃতিকর্মী।'[৬৮] 'ছফার লেখালেখিতে, তার বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় বর্তমানময়তা আছে, আছে ইতিহাসের পরিচ্ছন্নতা। তৃতীয় উপাদান গণমানুষের প্রতি অঙ্গীকার, এবং তা রাজনৈতিক অর্থে। ছফার আরও ছিল সাহস। তার ক্ষেত্রে এ সাহস এসেছে ইতিহাসবোধ থেকে, অঙ্গীকার থেকে।'[৬৯] জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের মতে, ছফার রচনাবলি গুপ্তধনের খনি[৭০] এবং তার সাহিত্যকর্ম স্বকীয় এক জগতের সৃষ্টি করে যে জগতে যেকোন পাঠক হারিয়ে যেতে পারে।[৭১] হুমায়ূন আহমদ আহমদ ছফাকে 'অসম্ভব শক্তিধর একজন লেখক' বলে অভিহিত করেছেন[৭২] এবং তাকে নিজের মেন্টর বলে উল্লেখ করেছেন।[২২] মুহম্মদ জাফর ইকবালের মতে, আহমদ ছফা 'চুলের ডগা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত' 'একশ ভাগ খাঁটি সাহিত্যিক।'[২৫] ইকবাল আরো লিখেছেন, 'আমাদের বড় সৌভাগ্য তার মতো একজন প্রতিভাবান মানুষের জন্ম হয়েছিল।'[৭৩] আহমদ ছফা সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেছেন 'সে [ছফা] গাছবাড়িয়া গ্রাম থেকে আসা অতি সাধারণ একটি গ্রামের ছেলে। কিন্তু সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিন্তা ও রাজনীতির জগতে সে যে উথালপাথাল ধাক্কা দিয়ে গেল তার ফলে বাংলাদেশের সাহিত্য বলি, সংস্কৃতি বলি, রাজনীতি বলি, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড বলি তার সঙ্গে খোদ একটা বোঝাপড়া না করে কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রসর হওয়া যাবে না।'[২৯][৭৪] আহমদ শরীফ বলেছিলেন "সুবিধাবাদীর 'Life is a compromise' তত্ত্বে ছফার আস্থা নেই। আজকের বাংলাদেশে এমনি স্পষ্ট ও অপ্রিয়ভাষী আরো কয়েকজন ছফা যদি আমরা পেতাম, তাহলে শ্রেয়তর পথ স্পষ্ট হয়ে উঠত।"[৭৫] সলিমুল্লাহ খান তাকে একজন দ্রষ্টা[৭৬], রাষ্ট্রচিন্তাবিদ[৭৭], বিশ্বের সেরা কাহিনী-কথকদের একজন[৫৫] ও বাংলা ভাষার মহান কথাসাহিত্যিক[২০] বলেছেন। খান মনে করেন ছফা কাজী নজরুল ইসলামের উত্তরাধিকারী।[৭৮] সরদার ফজলুল করিম বলেছিলেন, ছফা কেবল পাঠ করার বিষয় নয়, চর্চা করার বিষয়।[৫৯] "আহমদ ছফা : প্রথার বাইরের মানুষ" নামের এক নিবন্ধে রাশেদ খান মেনন লিখেছেন, 'বাংলাদেশের সাহিত্য, বাংলাদেশের মননজগৎ ও বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডল [ছফাকে] হারিয়ে অনেকখানি রিক্ত হয়ে পড়েছে।'[৭৯][৮০][৮১] রশীদ করীম লিখেছেন, আহমদ ছফার এক একটি শব্দ শিলাখণ্ডের মতন কঠিন, আপাত-উদাসীন নির্মম অথচ তারই অন্তরে গভীর বেদনা ভালোবাসা কী পরিমাণ তার কোন সীমা নেই।[৮২] ছফার উপন্যাস নিয়ে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস লিখেছেন 'ব্যক্তির মধ্যে ইতিহাসকে ও ইতিহাসে বর্তমান ব্যক্তিটিকে নিবিড় করে অনুভব করার তাগিদে পাঠক আহমদ ছফার অনুসন্ধানী অভিযানে শরিক হবেন।'[৫৬]
ঢাকায় 'আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা'[৮৩][৮৪] ও চট্টগ্রামে 'আহমদ ছফা কেন্দ্র' সভা, সেমিনারের মাধ্যমে আহমদ ছফার জীবন ও কর্মকে উদ্যাপন করে। ছফার অনেক গল্প, উপন্যাস মঞ্চনাটক, টেলিভিশন নাটক ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে।[৬২][৮৫][৮৬] গাজী তানজিয়া প্রণীত কালের নায়ক (২০১৪) আহমদ ছফার জীবনভিত্তিক একটি উপন্যাস।[৮৭][৮৮]
পুরস্কার
সম্পাদনাতিনি লেখক শিবির পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি কর্তৃক সাদত আলী আখন্দ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। [৪৭][৬৫] ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। তাকে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয় ।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাআহমদ ছফা সারাজীবন অকৃতদার ছিলেন। তবে কয়েকজন নারীর সাথে তার প্রণয়সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন শামীম শিকদার ও সুরাইয়া খানম।[৬৬] এদের সাথে সম্পর্কের ভিত্তিতে ছফা অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (১৯৯৬) আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস রচনা করেছিলেন।[৬৬]
মৃত্যু
সম্পাদনা২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুলাই অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। "পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী গোরস্থানের পাশে বিশ হাজার টাকা চাদা তুলে জায়গায় কিনে তাকে দাফন করা হয়।"[৮৯][৯০]
নির্বাচিত গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনাখড়গ্ হস্তে নৃত্য কর জল্লাদ সময়
তোমার সুস্থির হওয়া বড় প্রয়োজন
সকলে বিশদ জানে তবু হয় অন্ধকারে খুন
অস্ত্রহীন তাই কেউ বিনা খুনে দায়ভাগী হয়।কেন্দ্রহীন হে সময় ছিন্ন ডানা রাক্ষসীর মত
শরীরে গড়িয়ে চল একটানা নীতিহীন বলে
তোমার রথের চাকা ঠেকে দেখ কোন্ রসাতলে।
মূল্যের বৃক্ষের মূলে অহরহ হানছ আঘাত।সময়ের জানু চিরে বেরিয়েছ জারজ সময়
টাট্কা মনুষ্য প্রাণ মনে কর খেলার পুতুল
ইচ্ছেমত ভাঙ্গ তুমি মর্জিমত বসাও মাশুল
তোমার গর্ভের পাপে বঙ্গদেশে জেগেছ প্রলয়।দাঁতাল জন্তুর মত গর্জমান নির্দয় সময়
তোমার আশ্রয়ে বাড়ে পুষ্ট হয় শূয়রের দল
যা পারে তছনছ করে দুঃখিনীর অন্তিম সম্বল
শোন না প্রজ্ঞার বাণী অনাচারে কর না সংশয়।সূর্যালোকে পিঠ দেয়া আততায়ী লজ্জিত সময়
যা কিছু প্রকাশ্য তুমি বামহস্তে করছ গোপন
সমূহ ধ্বংসের বীজ গর্ভাশয়ে করেছ রোপণ
কিছু কিছু সত্য আছে কোনদিন লুকোবার নয়।
— "জল্লাদ সময়", আহমদ ছফা[৯১]
প্রবন্ধ
সম্পাদনা- জাগ্রত বাংলাদেশ (১৯৭১)
- বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (১৯৭২)
- বাংলা ভাষা: রাজনীতির আলোকে (১৯৭৫)
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতা (১৯৭৭)
- বাঙালি মুসলমানের মন (১৯৮১)
- শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ (১৯৮৯)
- রাজনীতির লেখা (১৯৯৩)
- আনুপূর্বিক তসলিমা ও অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ (১৯৯৪)
- নিকট ও দূরের প্রসঙ্গ (১৯৯৫)
- সঙ্কটের নানা চেহারা (১৯৯৬)
- সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস (১৯৯৭)
- শতবর্ষের ফেরারী: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৯৭)
- শান্তিচুক্তি ও নির্বাচিত প্রবন্ধ (১৯৯৮)
- বাঙালি জাতি এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র (২০০১)
- উপলক্ষের লেখা (২০০১)
- আমার কথা ও অন্যান্য প্রবন্ধ (২০০২)
- সেইসব লেখা (২০০৮)
- সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস (১৯৭৯)
উপন্যাস
সম্পাদনা- সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭)
- ওঙ্কার (১৯৭৫)
- একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন (১৯৮৮)
- মরণবিলাস (১৯৮৯)
- অলাতচক্র (১৯৯৩)
- গাভী বিত্তান্ত (১৯৯৫)
- অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী (আত্মজৈবনিক প্রেমের উপন্যাস,১৯৯৬)
- পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ (১৯৯৬)
সৃজনশীল জীবনী
সম্পাদনা- যদ্যপি আমার গুরু (১৯৯৮)
অনুুবাদ
সম্পাদনা- তানিয়া (মূল: পি. লিডভ) (১৯৬৭)
- সংশয়ী রচনা: বার্টাণ্ড রাসেল (১৯৮২)
- ফাউস্ট (মূল: ইয়োহান ভোলফ্ গাঙ ফন গ্যোতে) (১৯৮৬)
কবিতা
সম্পাদনা- জল্লাদ সময় (১৯৭৫)
- দুঃখের দিনের দোহা (১৯৭৫)
- একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা (১৯৭৭)
- লেনিন ঘুমোবে এবার (১৯৯৯)
- আহিতাগ্নি(২০০১)
গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা- নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)
কিশোর গল্প
সম্পাদনা- দোলো আমার কনকচাঁপা (১৯৬৮)
শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ
সম্পাদনাগো-হাকিম (১৯৭৭)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ খান, সলিমুল্লাহ (ডিসেম্বর ২০১৩) [গ্রন্থের প্রথমপ্রকাশকাল ২০১০, প্রবন্ধের ২০০৯]। "নামে আসে নামে যায়"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২১। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ আনোয়ার, নূরুল (২০১০)। "ভূমিকা"। ছফামৃত। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ১। আইএসবিএন 984-408-171-8।
- ↑ "The voice of the deprived" [বঞ্চিতদের কণ্ঠস্বর]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ২৮ জুলাই ২০১৫। ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
Among the contemporary fiction writers in Bangladesh, Sofa ranked first for his thought-provoking and contemplative writings.
- ↑ ক খ খান, সলিমুল্লাহ (২৮ জুলাই ২০১২)। "আহমদ ছফা বিষয়ে সলিমুল্লাহ খান, সাতরং"। এটিএন বাংলা। ঢাকা: এশিয়ান টেলিভিসন নেটওয়ার্ক। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
আহমদ ছফা হচ্ছেন, আমি মনে করে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় চিন্তাবিদ। [২:৩৩ মিনিট ] মীর মোশাররফ হোসেনের পরে, একমাত্র কাজী নজরুল ইসলামকে বাদ দিলে, আহমদ ছফাই সম্ভবত সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মুসলাম লেখক [৪:০০ মিনিটে] -[সলিমুল্লা খান]
- ↑ মিলন, ইমদাদুল হক, সম্পাদক (৭ অক্টোবর ২০১২)। "আহমদ ছফা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক আহমদ ছফা। প্রতিবাদ আর প্রগতিতে অনন্য ছিলেন মেধাবী এই লেখক। প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, সমালোচনা, কবিতাসহ সাহিত্যের নানা শাখায় অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন আহমদ ছফা। তার মতো ব্যক্তিত্ববোধসম্পন্ন লেখক বাংলায় খুব কমই জন্মেছেন।
- ↑ আমীন, ড. মোহাম্মদ (১৭ মার্চ ২০১৭)। "আহমদ ছফা: বাংলা সাহিত্যের অনবদ্য রূপকার"। দৈনিক সংগ্রাম। বাংলাদেশ পাবলিকেশন লিঃ। ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
বাংলা সাহিত্যে এ পর্যন্ত যত প্রাবন্ধিক, লেখক এবং সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন তন্মধ্যে আহমদ ছফাই সবচেয়ে সাহসী, বুদ্ধিমান, স্বতঃস্ফূর্ত, নির্লোভ, ঋদ্ধ, কুশলী, বহুমুখী, সাধারণ এবং তেজময়।... তার প্রবন্ধে গবেষণার ঐকান্তিকতা, ইতিহাসের নিবিড়তা, কাব্যের প্রাণবন্ততা, উপন্যাসের বিমূর্ততা আর নাটকের পরিণতি ত্রিকালদর্শীর মতো চিরন্তন, সতত বর্তমান এবং সংগতকারণে সর্বজনীন।
- ↑ উমর, বদরুদ্দীন (২০১১) [রচনাকাল ১৯৭২]। "ভূমিকা"। সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ৪৬। আইএসবিএন 9844081378।
- ↑ তালুকদার, জাকির (১৫ আগস্ট ২০১৩)। "আহমদ ছফা যখন বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস কামনা করেন"। ঢাকা। ২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ হক, আবুল কাসেম ফজলুল (২০১৮) [অধ্যারের রচনাকাল ১৯৭৩]। "বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস প্রসঙ্গে"। রাষ্ট্রচিন্তায় বাংলাদেশ। ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৪২৫–৪৩২। আইএসবিএন 978 984 8036 04 4।
- ↑ ক খ গ ইব্রাহিম, আহমেদ (২৯ এপ্রিল ২০১৭)। "Ahmed Sofa In Posterity - Muslim Anxiety In A 'Muslim World'" [ভবিষ্যৎ প্রজন্মপরম্পরায় আহমদ ছফা - একটি 'মুসলিম বিশ্বে' মুসলিম উদ্বেগ]। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ ক খ খান, সলিমুল্লাহ (ডিসেম্বর ২০১৩) [প্রবন্ধের প্রথমপ্রকাশকাল ২০০১]। "আহমদ ছফার সাধনা"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩৯–৪৭। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ ক খ একবাল, নিখাত (২০০৯)। "Ahmed Sofa" [আহমদ ছফা]। Great Muslims of Undivided India [অবিভক্ত ভারতের বিখ্যাত মুসলিম ব্যক্তিত্বসমূহ] (ইংরেজি ভাষায়)। দিল্লি: কালপাজ পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১৬৫–১৬৯। আইএসবিএন 9788178357560।
- ↑ রহমান, মুহাম্মদ হাবিবুর (২০১৬) [প্রথম প্রকাশিত ১৯৮৫; সংশোধিত ২০০৮]। গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ (সংশোধিত সংস্করণ)। ঢাকা: বংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ২২০। আইএসবিএন 984 07 5479 3।
- ↑ হাননান, ড. সুদীপ্ত (২০১৭)। আহমদ ছফার উপন্যাস : বাংলাদেশের উদ্ভব এবং বিকাশের ব্যাকরণ। ঢাকা: পুথিনিলয় প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৯–২০। আইএসবিএন 9789849212430।
- ↑ খোরশেদ, আলম (১০ আগস্ট ২০০১)। "Ahmed Sofa: The death of an iconoclast" [আহমদ ছফা: একজন কালাপাহাড়ের প্রয়াণ]। ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৮।
In fiction he has penned such immortal story as 'Ongkaar', which till today remains the best literary expression of our great language movement.
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (২০১৩) [রচনাকাল ২০১০]। "ওঙ্কার: অঙ্গ ও ব্যঙ্গ"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৯৬–২১২। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ ক খ গ রায়, রাজিব কান্তি (২৩ জুলাই ২০১৫)। "Ahmed Sofa: An Outstanding Intellectual" [আহমদ ছফা: একজন অসামান্য বুদ্ধিজীবী]। ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৮।
He [Sofa] may be considered as the most influential intellectual of independent Bangladesh. [ছফা স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।]
- ↑ "Gabhi Bittranto: Timely Review of a Satire"। নিউ এজ (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৯।
- ↑ "Ahmed Sofa's 'Gabhi Bittanto' : A Timeless Political Allegory"। দ্য ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১৯।
- ↑ ক খ গ খান, সলিমুল্লাহ (২০১৩) [প্রবন্ধটির প্রথমপ্রকাশকাল ২০০২]। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৮৪–৩০২। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ করিম, লামিয়া (২৮ জুলাই ২০১৭)। "A humanist for all seasons" [সকল ঋতুর এক মানবতাবাদী]। নিউ এইজ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৮।
In thinking about recent events that have rocked Bangladeshi society, I often think what Sofa Bhai would say to our current predicament. The answer, I think, lies in his finest and most remarkable work Pushpo, Brikkho O Brihango Puran where he describes humanism in its most intimate form, an existential reality where we are inextricably connected with the environment that sustains us through our bonds with animals and plants.
- ↑ ক খ আহমেদ, হুমায়ূন (২০০৯)। বলপয়েন্ট। ঢাকা: অন্যপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৯। আইএসবিএন 984 868 516 2।
ছফা ভাই ছিলেন আমার Mentor। এই ইংরেজি শব্দটির সঠিক বাংলা নেই। Mentor এমন গুরু যার প্রধান চেষ্টা শিষ্যকে পথ দেখিয়ে উঁচুতে তোলা। ছফা ভাই শুধু যে একা আমার মেন্টর ছিলেন তা না, অনেকেরই ছিলেন।
- ↑ আহমাদ, রিয়াজ (২৮ জুলাই ২০১২)। "Sofa's inspiration..." [ছফার প্রেরণা...]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ২৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ খান, সিদ্দিকুর রহমান (২৭ জুন ২০১৪)। "আহমদ ছফার 'বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মা'"। দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা: ইত্তেফাক পাবলিকেশন গ্রুপ লিমিটেড। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ ক খ ইকবাল, মুহাম্মদ জাফর (২০০৮) [প্রথমপ্রকাশ ২০০৩]। "আহমদ ছফা এবং বাংলা একাডেমী পুরস্কার"। কলাম সমগ্র ১। ঢাকা: অনন্যা। পৃষ্ঠা ৫৩৮। আইএসবিএন 984 412 301 1।
- ↑ নাসরুল্লাহ, শরীফ (১০ আগস্ট ২০১৭)। "চলচ্চিত্র–প্রাণ এক পরিচালক"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
১৯৮৭ সালের দিক। আহমদ ছফায় বুঁদ তরুণেরা। ছফা সেই সময়ের বোহেমিয়ান তরুণ শিল্পী-সাহিত্যিকদের নিয়ে আড্ডা দেন। বাংলাদেশে গবেষণা করতে আসা ক্যাথরিনও জড়িয়ে যান সে আড্ডায়। সেখানে পরিচয় তারেকের সঙ্গে।...তারেকের প্রথম ছবির সাবজেক্ট যেমন আহমদ ছফার আবিষ্কার, তেমনি ছবির সংসারের এই মানুষটিও ছফার আবিষ্কার। আহমদ ছফা তারেককে বলতেন, ‘তোমাকে আমি ক্যাথরিন দিয়েছিলাম।’
- ↑ মাসুদ, ক্যাথরিন (৬ ডিসেম্বর ২০১৭)। "'তারেক তো তোমার প্রেমে পড়েছে'"। প্রথম আলো। ট্রান্সকম গ্রুপ। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
ছফা ভাই ছিলেন তারেকের ‘গুরু’। ছফা ভাই তাকে বলেছিলেন, ‘আমেরিকা থেকে একটা মেয়ে আসছে, দেখো, সে হয়তো তোমাকে সাহায্য করতে পারে।’
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (১৫ আগস্ট ২০১১)। "আমার শিক্ষক তারেক মাসুদ"। আর্টস বিডিনিউজডটকম। ঢাকা: বাংলাদেশ নিউজ টোয়েন্টিফোর আওয়ার্স লিমিটেড।
যৌবনের প্রারম্ভে আমরা দুইজনেই আহমদ ছফার পদতলে বসিয়া প্রজ্ঞা ভিক্ষা করিয়াছি।
- ↑ ক খ মজহার, ফরহাদ (১ জুলাই ২০১০) [২০০৭ সালে দৈনিক সমকালের সাহিত্য সাময়িকী কালের খেয়ায় প্রথম প্রকাশিত]। "আহমদ ছফা এবং ব্যক্তির মুক্তিতত্ত্ব"। চিন্তা। ১ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
সে [ছফা] গাছবাড়িয়া গ্রাম থেকে আসা অতি সাধারণ একটি গ্রামের ছেলে। কিন্তু সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিন্তা ও রাজনীতির জগতে সে যে উথালপাথাল ধাক্কা দিয়ে গেল তার ফলে বাংলাদেশের সাহিত্য বলি, সংস্কৃতি বলি, রাজনীতি বলি, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড বলি তার সঙ্গে খোদ একটা বোঝাপড়া না করে কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রসর হওয়া যাবে না।
- ↑ আনোয়ার, নূরুল (২০১০)। ছফামৃত। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ১৮৩। আইএসবিএন 984-408-171-8।
- ↑ জাহাঙ্গীর, কামরুজ্জামান (২৯ জুলাই ২০১১)। "মানুষ আহমদ ছফা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেড। ৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ সেলিনা হোসেন, নুরুল ইসলাম, ও মোবারক হোসেন, সম্পাদক (২০০০)। Bangla Academy Dictionary of Writers [বাংলা একাডেমি লেখক অভিধান] (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। পৃষ্ঠা ২২–২৩। আইএসবিএন 984-07-4052-0।
- ↑ সলিমুল্লাহ খান, আহমদ ছফা সঞ্জীবনী ; আগামী প্রকাশনী। বাংলাবাজার, ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০১০,পৃষ্ঠা ২১।
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি; অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার, ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৮৩]
- ↑ শামসুল আরেফীন। আহমদ ছফার অন্দরমহল। বলাকা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২৪–২৫। আইএসবিএন 984-8433-02-3।
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৮৪]
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৮৬]
- ↑ চৌধুরী, জাফরুল্লাহ। "আহমদ ছফা"। বণিক বার্তা। ৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০৫।
- ↑ আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু; মাওলা ব্রাদার্স, বাংলা বাজার, ঢাকা। মে, ২০০০। [পৃষ্ঠা ১২]
- ↑ আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু; মাওলা ব্রাদার্স, বাংলা বাজার, ঢাকা। মে, ২০০০।[ পৃষ্ঠা ১৩]
- ↑ "কিস্তি ১ছফামৃত"। ২৮ জুলাই ২০০৯। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১০।
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৯২]।
- ↑ আরিফ, মেহেদী (২৮ জুলাই ২০১৬)। "আহমদ ছফা যেখানে অনন্য"। ntvbd.com। ঢাকা: এনটিভি (বাংলাদেশ)। ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ আহমদ ছফা, জাগ্রত বাংলাদেশ; মুক্তধারা। ফরাশগঞ্জ, ঢাকা। পঞ্চম সংস্করণ। জ্যৈষ্ঠ্য, ১৪০৩। [পৃষ্ঠা ২]
- ↑ আহমদ ছফা (২০১১) [রচনাকাল ১৯৭২]। সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ৬৩। আইএসবিএন 984 408 137 8।
- ↑ হাসান, মোরশেদ শফিউল (২০০২)। ছফা ভাই: আমার দেখা আমার চেনা। ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১১। আইএসবিএন 984 410 283 9।
- ↑ ক খ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৮৮]।
- ↑ ক খ হক, মোহাম্মদ নূরুল (২৮ জুন ২০১৭)। "আহমদ ছফার বাঙালি দর্শন"। চিন্তাসূত্র: শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ম্যাগাজিন। ৩ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৮।
- ↑ তালুকদার, জাকির। "অস্বস্তিকর আহমদ ছফা"। এনটিভি। ৫ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০৫।
- ↑ আসকারি, ডঃ রশিদ (১৮ জানুয়ারি ২০১৫)। "Intellectuals in Bangladesh" [বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা]। দ্য ডেইলি অবজারভার। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৮।
- ↑ ছফা, আহমদ (১৯৯৬)। "এক সন্ধ্যার সংলাপ"। আহমদ ছফা বললেন... (সাক্ষাৎকার)। সাক্ষাত্কার গ্রহণ করেন মীজানুর রহমান মীজান। ঢাকা: র্যামন পাবলিশার্স।
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৮৯]।
- ↑ ক খ উদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম (২৬ জুলাই ২০১৩)। "'বাঙালী মুসলমানের মন' এবং পুথিসাহিত্যের নানাদিক"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৮।
- ↑ "বাঙালি মুসলমানের সংকটের অবসান হয়নি"। বাংলা ট্রিবিউন। ২ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ ক খ খান, সলিমুল্লাহ (ডিসেম্বর ২০১৩) [প্রবন্ধটির প্রথমপ্রকাশকাল ২০০৪]। "পরিবার গোষ্ঠী রাষ্ট্র"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৫৭। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ইলিয়াস, আখতারুজ্জামান (২০১৩) [রচনাকাল ১৯৯৫]। "আহমদ ছফার উপন্যাস"। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচনাসমগ্র ৩। ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ৪১১–৪১৬। আইএসবিএন 984410363-0।
- ↑ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৯৪]
- ↑ শামসুল আরেফীন। আহমদ ছফার অন্দরমহল। বলাকা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৩৩। আইএসবিএন 984-8433-02-3।
- ↑ ক খ মোহন, আবদুল্লাহ আল (১১ নভেম্বর ২০১২)। "আহমদ ছফা: বুদ্ধিবৃত্তির দুঃসাহসী নায়ক"। দৈনিক জনতা। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮।
- ↑ খান, রফিকউল্লাহ (২০০৭)। মোরশেদ, আবুল কালাম মনজুর, সম্পাদক। ভাষা ও সাহিত্য। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪০৬।
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (ডিসেম্বর ২০১৩)। "পরিবার গোষ্ঠী রাষ্ট্র"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৫৭–১৬৩। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ ক খ রায়হান, নাসির (৯ ডিসেম্বর ২০১৭)। "Ahmed Sofa's 'Moron Bilash' to go on stage" [আহমদ ছফার ‘মরণবিলাস’ মঞ্চে যাচ্ছে]। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ২এ মিডিয়া লিমিটেড। ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৮।
“Moron Bilash,” the political novel by Ahmed Sofa, revolves around a wrecked politician named Fazle Elahi. The ex-home minister narrates his political career to Mawla Box lying on his sickbed. The witty and humorous confession of the politician, in fact, turns out to be a reflective commentary of the contemporary society and regional politics, and brings out the dirty secrets of the sub-continental politics and politicians, while scrutinising history, economics, religion, sexuality, polygamy in the light of the sub-continental politics.
- ↑ সলিমুল্লাহ খান, আহমদ ছফা সঞ্জীবনী; আগামী প্রকাশনী। বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০১০। [পৃষ্ঠা ২৪৩]
- ↑ সারওয়ার, ফাহিম ইবনে (২৭ আগস্ট ২০১৫)। "আহমদ ছফার 'গাভী-বিত্তান্ত'"। এনটিভি অনলাইন। ঢাকা: এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-০৬।
- ↑ ক খ আহমদ ছফা রচনাবলি, অষ্টম খণ্ড। নূরুল আনোয়ার সম্পাদিত। খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি, বাংলাবাজার , ঢাকা। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। [পৃষ্ঠা ৪৯১]।
- ↑ ক খ গ আনোয়ার, নূরুল (২০১০)। ছফামৃত। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা 92, 93। আইএসবিএন 984-408-171-8।
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (২০১৩) [২০১০]। "পুরুষ ও প্রকৃতি"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩০৪। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল, সম্পাদক (২০১২)। "ছফা, আহমদ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।
- ↑ আজম, মোহাম্মদ (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "আহমদ ছফার প্রশ্ন ও অনুসন্ধান"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা। ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "AHMED SOFA IN WEIMAR: A Bangali tribute to Goethe"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৭-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০১।
- ↑ আব্দুর, রাজ্জাক (২০১৩)। "Preface (to Ahmed Sofa's _German Perspective_)" [জার্মান পার্স্পেক্টিভের ভূমিকা]। আহমদ ছফা রচনাবলি ৮। ঢাকা: খান ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ১৯৭। আইএসবিএন 984-408-126-2।
- ↑ আহমেদ, হুমায়ূন (ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "আহমদ ছফা: পড়বে না তাঁর পায়ের চিহ্ন"। বসন্ত বিলাপ। ঢাকা: প্রথমা। পৃষ্ঠা ৬৭। আইএসবিএন 9789849019244।
- ↑ ইকবাল, মুহাম্মদ জাফর (২০০৮) [প্রথমপ্রকাশ ২০০৩]। "আহমদ ছফা এবং বাংলা একাডেমী পুরস্কার"। কলাম সমগ্র ১। ঢাকা: অনন্যা। পৃষ্ঠা ৫৪৩। আইএসবিএন 984 412 301 1।
- ↑ মজহার, ফরহাদ। "আহমদ ছফা এবং ব্যক্তির মুক্তিতত্ত্ব"। ১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৮।
সে [ছফা] গাছবাড়িয়া গ্রাম থেকে আসা অতি সাধারণ একটি গ্রামের ছেলে। কিন্তু সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিন্তা ও রাজনীতির জগতে সে যে উথালপাথাল ধাক্কা দিয়ে গেল তার ফলে বাংলাদেশের সাহিত্য বলি, সংস্কৃতি বলি, রাজনীতি বলি, বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ড বলি তার সঙ্গে খোদ একটা বোঝাপড়া না করে কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রসর হওয়া যাবে না।
- ↑ শরীফ, আহমদ (২০১৩) [রচনাকাল ১৯৭২]। আনোয়ার, নূরুল, সম্পাদক। আহমদ ছফা রচনাবলি ৬। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ১৯৩। আইএসবিএন 9844081289।
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (৩০ জুন ২০১৬)। "আহমদ ছফা: দ্রষ্টা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (২ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "রাষ্ট্রচিন্তাবিদ আহমদ ছফা"। bdnews24.com। ঢাকা। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "আহমদ ছফার জন্মদিনে"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০ জুন ২০১৫। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ মেনন, রাশেদ খান। "আহমদ ছফা : প্রথার বাইরের মানুষ," বই, বর্ষ ৩৯, সংখ্যা ১১ (জুন ২০০৮), পৃ. ৮৩-৮৫।
- ↑ "আহমদ ছফার জাতি : রক্ত দিয়ে চিন্তা"। NTV Online। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "আহমদ ছফার জাতি : রক্ত দিয়ে চিন্তা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন।
- ↑ রশীদ করীমের ভাষ্য উল্লেখ করেছেন খান, সলিমুল্লাহ (ডিসেম্বর ২০১৩) [প্রবন্ধটির প্রথমপ্রকাশকাল ২০০৪]। "পরিবার গোষ্ঠী রাষ্ট্র"। আহমেদ ছফা সঞ্জীবনী। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৫৯। আইএসবিএন 978-984-04-1585-4।
- ↑ Hossain, Takir। Anam, Mahfuz, সম্পাদক। "Ahmed Sofa: The voice of the deprived"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Ahmed Sofa wrote for underprivileged"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ১ নভেম্বর ২০১৪। ২৫ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "'ওংকার'–এ ভাবনা"। দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা: ট্রান্সকম গ্রুপ। ১৩ জানুয়ারি ২০১৬। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ রহমান, মোখলেছুর (১৮ জানুয়ারি ২০১৬)। "আহমদ ছফার 'পারুল' চরিত্রে ভাবনা"। Risingbd.com। ঢাকা। ৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ তানজিয়া, গাজী (২০১৪)। কালের নায়ক। ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৬৯। আইএসবিএন 9789842003820।
- ↑ "আহমদ ছফাকে নিয়ে গাজী তানজিয়ার উপন্যাস"। BanglaNews24.com। ঢাকা: An EWMGL Company। ২৪ জুন ২০১৪। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ শামসুল আরেফীন। আহমদ ছফার অন্দরমহল। বলাকা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৭৭। আইএসবিএন 984-8433-02-3।
- ↑ খান, সলিমুল্লাহ (২৯ জুন ২০১৬)। "আহমদ ছফা : দ্রষ্টা"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। ২৯ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ ছফা, আহমদ (২০১৩)। "জল্লাদ সময়"। আহমদ ছফা রচনাবলি। ৭ম খণ্ড। ঢাকা: খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি। পৃষ্ঠা ৫০৯। আইএসবিএন 984-408-125-4।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাপিডিয়ায় আহমদ ছফা
- ছফামৃত - আহমদ ছফার জীবনী ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ নভেম্বর ২০১১ তারিখে