সরদার ফজলুল করিম

বাংলাদেশী দার্শনিক

সরদার ফজলুল করিম (মে ১, ১৯২৫-জুন ১৫, ২০১৪) বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি তার নিজ গ্রাম আটিপাড়া তে একটা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম আটিপাড়া মুইনুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা[]

সরদার ফজলুল করিম
সরদার ফজলুল করিম। ২০০৪ সালের এপ্রিলে ভোরের কাগজ অফিসে তোলা। ছবি: হাসান বিপুল
সরদার ফজলুল করিম। ২০০৪ সালের এপ্রিলে ভোরের কাগজ অফিসে তোলা। ছবি: হাসান বিপুল
জন্ম(১৯২৫-০৫-০১)১ মে ১৯২৫
বরিশাল
মৃত্যু১৫ জুন ২০১৪(2014-06-15) (বয়স ৮৯)
শমরিতা হাসপাতাল, ঢাকা
পেশালেখক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
ধরনদর্শন, রাজনীতি, অনুবাদ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিপ্লেটোর রিপাবলিক (অনুবাদ), রুশোর সোশাল কন্ট্রাক্ট (অনুবাদ), আমি সরদার বলছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, দর্শনকোষ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারস্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ২০০০, সা'দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

সরদার ফজলুল করিম ১৯২৫ সালের পহেলা মে বরিশালের, উজিরপুর থানাধীন বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন৷ বাবা খবিরউদ্দিন সরদার কৃষিকাজ করতেন৷ মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী৷ তারা দুই ভাই তিন বোন৷ সরদার ফজলুল করিমের শৈশবকাল কেটেছে গ্রামে৷[] ম্যাট্রিকুলেশন শেষে তিনি প্রথম ঢাকা আসেন ১৯৪০ সালে। ঢাকায় ১৯৪২ সনে তিনি তার আই.এ. পাঠ সমাপ্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৫ সনে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সনে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দি হিসেবে দীর্ঘ ১১ বৎসর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে '৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তান হানাদারবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান৷[]

মৃত্যু

সম্পাদনা

সরদার ফজলুল করিম, ৮৯ বছর বয়সে ২০১৪ সালের জুন ১৫ তারিখে রাত পৌনে একটা নাগাদ ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন৷[]

গ্রন্থতালিকা

সম্পাদনা
  • চল্লিশের দশকে ঢাকা
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ : অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা
  • রুমীর আম্মা
  • নানা কথা
  • নানা কথার পরের কথা
  • নূহের কিশতী ও অন্যান্য প্রবন্ধ
  • গল্পের গল্প

অনুবাদ

সম্পাদনা

অন্যান্য রচনা

সম্পাদনা
  • দর্শনকোষ
  • শহীদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা স্মারকগ্রন্থ
  • সেই সে কাল

পুরস্কার এবং সম্মাননা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১০ 
  2. "সরদার ফজলুল করিমের জীবনাবসান: Reports"প্রথম আলো। জুন ১৫, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১৪ 
  3. "সরদার ফজলুল করিমের জীবনাবসান"দৈনিক প্রথম আলো। জুন ১৫, ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৭, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা