মোহাম্মদউল্লাহ
মোহাম্মদউল্লাহ (২১ অক্টোবর ১৯২১ - ১১ নভেম্বর ১৯৯৯; পূর্ণ নাম মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ) ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী, রাজনীতিক এবং বাংলাদেশের ৩য় রাষ্ট্রপতি। তিনি ছিলেন সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পীকার ও স্পীকার।[১][২][৩]
মোহাম্মদউল্লাহ | |
---|---|
![]() | |
বাংলাদেশের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ – ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ | |
পূর্বসূরী | আবু সাঈদ চৌধুরী |
উত্তরসূরী | শেখ মুজিবুর রহমান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সাইচা গ্রাম, রায়পুর , লক্ষ্মীপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ![]() | ২১ অক্টোবর ১৯২১
মৃত্যু | নভেম্বর ১১, ১৯৯৯ ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ বিএনপি (১৯৮০ থেকে) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবনসম্পাদনা
মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ ২১ অক্টোবর ১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সাইচা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুনশী আবদুল ওয়াহাব। তিনি লক্ষ্মীপুর হাইস্কুল থেকে ১৯৩৮ সালে প্রবেশিকা পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৩ সালে ইতিহাসে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতার রিপন কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৮ সালেই এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি ঢাকা জেলা কোর্টে ১৯৫০ সালে আইন ব্যবসা শুরু করেন ও ঢাকা হাইকোর্টে ১৯৬৪ সাল থেকে আইন ব্যবসায়ে যোগ দেন।[১]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবনসম্পাদনা
১৯৫০ সাল থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ গঠিত হলে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি একই পদে বহাল ছিলেন। ১৯৭০ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে তিনি ১৯৭১ সালের অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির সৈয়দ নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রথম ডেপুটি স্পীকার নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম স্পীকার শাহ আবদুল হামিদ ১ মে ১৯৭২ সালে মৃত্যুবরণ করলে তিনি ভারপ্রাপ্ত স্পীকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করে পরে স্পীকার নির্বাচিত হন। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী পদত্যাগ করলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন তিনি। তিনি ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৪ সালে অস্থায়ী থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২৭ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করেন। ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর তাঁকে প্রজাতন্ত্রের উপরাষ্ট্রপতি করা হয়।
১৯৮০ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপির হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে তিনি আবারো আওয়ামী লীগে যোগ দেন।[১][৪]
মৃত্যুসম্পাদনা
মোহাম্মদ মোহাম্মদউল্লাহ ১১ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ এবং তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।[৫]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "মোহাম্মদউল্লাহ, মোহাম্মদ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ↑ "স্বাধীনতার পর যত রাষ্ট্রপতি | বাংলাদেশ প্রতিদিন"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ↑ "বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন যারা"। প্রিয়.কম। ২০২০-১০-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ↑ "জিয়াউর রহমান প্রথম নয় বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন : তথ্যমন্ত্রী | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
- ↑ BanglaNews24.com। "প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১১।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
পূর্বসূরী: আবু সাঈদ চৌধুরী |
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১৯৭৩ - ১৯৭৫ |
উত্তরসূরী: শেখ মুজিবুর রহমান |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |