জামাল উদ্দিন আহমেদ (রাজনীতিবিদ)

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

জামাল উদ্দিন আহমেদ (১৯২৯-২০১৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]

জামাল উদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের উপপ্রধানমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
১৯৭৭ – ১৯৮২
প্রধানমন্ত্রীমাশিউর রহমান
শাহ আজিজুর রহমান 
পূর্বসূরী?
উত্তরসূরী?
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯২৯
চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ
মৃত্যুজানুয়ারি ৩, ২০১৫
বারিধারা, ঢাকা, বাংলাদেশ 
বাসস্থানবারিধারা, ঢাকা, বাংলাদেশ 
জীবিকা

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

জামাল উদ্দীন আহমেদের জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার দৌলতপুর গ্রামের জুরাগাজী পরিবারে। তার পিতা ডা: ফজলুল করিম, যিনি চট্টগ্রাম জেলার প্রথম মুসলিম ডাক্তারদের মধ্যে অন্যতম। তার বড় ভাই ডা: কামাল উদ্দীন আহমেদ ছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের একজন গবেষক।

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

১৯৫৪ সালে জামাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৫৬ সালে যুক্তরাজ্যে চাটার্ড একাউনটেনসি পড়ার জন্য যান এবং ১৯৬১ সালে পাশ করে ১৯৬২ সালে দেশে ফিরে আসেন।

রাজনীতি সম্পাদনা

জামাল উদ্দিন আহমেদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের একজন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ও অগ্রণি ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান তাকে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্ঠা করেন, পরে তাকে শিল্প মন্ত্রাণালয়ের দায়িত্ব দেন। ১৯৭৮ সালে মন্ত্রী পরিষদে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে সাধারণ নিবার্চনে জয়ী হবার পর উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদে অসীন হয়ে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া তিনি সার্ক প্রতিষ্ঠায় বিশেষ দূত ছিলেন, ইসলামিক সংস্থা ( ও .আই.সি) তে বাংলাদেশ প্রতিনিধি ছিলেন এবং ইরাক-ইরান যুন্ধ বন্ধের ব্যাপারে দূত হিসেবে কাজ করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

তিনি সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস (সাফা) এর সাবেক সভাপতি ছিলেন। সেই সাথে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (আইসিএবি) এর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।এছাড়া তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইফাক) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

জামাল উদ্দিন আহমেদ ৪ই জানুয়ারি ২০১৫ সালে রাত ১০ টায় নিজের বাড়িতে মারা যান।[২] তখন তার বয়স ছিলো ৮৫। গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাযা (শেষকৃত্যের প্রার্থনা) অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থান, দৌলতপুর ইউনিয়ন, ফটিকছড়ি উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলাতে তাকে দাফন করা হয়। তিনি দুইজন কন্যা সন্তানের জনক।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Former deputy prime minister Jamal Uddin Ahmad dies"Bdnews24.com। ২০১৫-০১-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০১-০৪ 
  2. "সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী জামাল উদ্দিনের ইন্তেকাল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-২৭