নাইমা হায়দার

বাংলাদেশী বিচারক

নাইমা হায়দার (জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯৬২) বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক[১]। তিনি বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত নারী বিচারকদের মধ্যে পঞ্চম।

মাননীয় বিচারপতি
নাইমা হায়দার
বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩০ জুন ২০০৯
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশি
বাসস্থানঢাকা
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
জীবিকাবিচারক
ধর্মইসলাম

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

নাইমা হায়দারের বাবার নাম বদরুল হায়দার চৌধুরী। তার মায়ের নাম আনোয়ারা হায়দার[২]ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে তার স্নাতক ডিগ্রী এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

নাইমা হায়দার ১৯৮৯ সালে জেলা আদালতের একজন আইনজীবী হিসাবে নাম নথিভুক্ত হন। ১৯৮৯ এবং ১৯৯৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নথিভুক্ত হন। তিনি ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে উন্নীত হন[৩]। এবং ২০১১ সালের ৩০ জুন একই বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন[৪]। তিনি ২০২৯ সালের ১৮ মার্চ অবসর গ্রহণ করবেন।

২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল, নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী একটি আদেশ জারি করেন যে, মৃত ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা নমিনি নয় উত্তরাধিকারীরা পাবেন।[৫]

নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট, বিয়ের কাবিননামার ফরমের ৫ নম্বর কলামে "কনে কুমারী কিনা", এ শব্দ উঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কুমারী শব্দের স্থলে অবিবাহিত লিখতে বলেন।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা