বাংলার সংস্কৃতি
বাংলার সংস্কৃতি বা বাঙালি সংস্কৃতি ধারণ করে আছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বাঙালিরা, যার মধ্যে বাংলাদেশ, যেখানে বাংলা একমাত্র জাতীয় ও রাষ্ট্রভাষা এবং ভারতের পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা ও আসাম , যেখানে বাংলা ভাষা প্রধান এবং দাপ্তরিক। বাঙালিদের রয়েছে ৪ হাজার বছরের ইতিহাস।[১]ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চলের রয়েছে স্বকীয় ঐতিহ্য এবং স্বতন্ত্র সংস্কৃতি। বাংলা ছিল তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে ধনী অঞ্চল।বাংলা অঞ্চল ছিল তৎকালীন সময়ের উপমহাদেশীয় রাজনীতির এবং সংস্কৃতির রাজধানী। ১৯৪৭ এর দেশভাগের পর বাংলার সংস্কৃতি ক্ষয় হতে থাকে। বাংলাদেশ মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানের সংস্কৃতি মূলত বাঙালি মুসলিমরাই ধারণ করে রাখে। মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে হিন্দুরা সংখ্যায় নগন্য আর হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিবঙ্গে মুসলমানরা নগন্য। এছাড়াও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীও রয়েছে। এখনো বাংলা দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং বাংলা সংস্কৃতির উৎসবগুলো পৃথিবীব্যাপি উদযাপিত হয়।বাঙালি সংস্কৃতি ধর্মীয় ও জাতীয় দিক দিয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।বাংলা মুসলিম ও হিন্দু প্রধান হওয়ায় এখানকার সংস্কৃতি মূলত এই দুই ধর্মাবলম্বীদের হাতেই যৌথভাবে গড়ে উঠেছে।
সাহিত্যসম্পাদনা
বাংলা সাহিত্য | |
---|---|
| |
বাংলা সাহিত্য (বিষয়শ্রেণী তালিকা) বাংলা ভাষা | |
সাহিত্যের ইতিহাস | |
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | |
বাঙালি সাহিত্যিকদের তালিকা | |
কালানুক্রমিক তালিকা - বর্ণানুক্রমিক তালিকা | |
বাঙালি সাহিত্যিক | |
লেখক - ঔপন্যাসিক - কবি | |
সাহিত্যধারা | |
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় চর্যাপদ - মঙ্গলকাব্য - বৈষ্ণব পদাবলি ও সাহিত্য - নাথসাহিত্য - অনুবাদ সাহিত্য -ইসলামি সাহিত্য - শাক্তপদাবলি - বাউল গান আধুনিক সাহিত্য উপন্যাস - কবিতা - নাটক - ছোটোগল্প - প্রবন্ধ - শিশুসাহিত্য - কল্পবিজ্ঞান | |
প্রতিষ্ঠান ও পুরস্কার | |
ভাষা শিক্ষায়ন সাহিত্য পুরস্কার | |
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার সাহিত্য প্রবেশদ্বার বঙ্গ প্রবেশদ্বার | |
বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্য নামে পরিচিত। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। খ্রিষ্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত বৌদ্ধ দোহা-সংকলন চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। আবিষ্কারক হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরও তিনটি গ্রন্থের সঙ্গে চর্যাগানগুলো নিয়ে সম্পাদিত গ্রন্থের নাম দেন " হাজার বছরের পুরনো বাঙ্গালা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ গান ও দোহা "। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য ছিল কাব্যপ্রধান। ইসলাম ধর্ম,হিন্দু ধর্ম ও বাংলার লৌকিক ধর্মবিশ্বাসগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এই সময়কার বাংলা সাহিত্য। ইসলামি ধর্মসাহিত্য,পীরসাহিত্য,বাউল পদাবলি,পবিত্র কুরআনের বঙ্গানুবাদ,মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলি, শাক্তপদাবলি, বৈষ্ণব সন্তজীবনী, রামায়ণ, মহাভারত ও ভাগবতের বঙ্গানুবাদ, নাথসাহিত্য ইত্যাদি ছিল এই সাহিত্যের মূল বিষয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাত হয় খ্রিষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার নবজাগরণের যুগে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। এই সময় থেকে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বদলে মানুষ, মানবতাবাদ ও মানব-মনস্তত্ত্ব বাংলা সাহিত্যের প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর বাংলা সাহিত্যও দুটি ধারায় বিভক্ত হয়: ঢাকা-কেন্দ্রিক বাংলাদেশের সাহিত্য ও কলকাতা-কেন্দ্রিক পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য। বর্তমানে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের একটি অন্যতম, সমৃদ্ধ সাহিত্যধারা হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকসম্পাদনা
মধ্যযুগ (১২০০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ)সম্পাদনা
মধ্যযুগের সমগ্র পরিসর জুড়েই কাব্যের একচ্ছত্র আধিপত্য লক্ষণীয়। বিবিধ শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত ছিলো এই সাহিত্যচর্চা। এখানে এ সময়ের বিভিন্ন শাখার উল্লেখযোগ্য কবির একটি সম্মিলিত তালিকা দেয়া হলো। তালিকা প্রস্তুতে কোনো ধরনের ক্রম অনুসরণ করা হয়নি।
- বড়ু চণ্ডীদাস
- শাহ মুহম্মদ সগীর
- আলাওল
- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
- শ্রীচৈতন্যদেব
- হেয়াত মামুদ
- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
- দৌলত কাজী
- কৃত্তিবাস ওঝা
- সাবিরিদ খান
- চন্দ্রাবতী
- দৌলত উজির বাহরাম খান
- দুর্লভ মল্লিক
- শেখ ফয়জুল্লাহ
- ময়ূর ভট্ট
- আবদুল হাকিম
- মালাধর বসু
- বিদ্যাপতি
- দ্বিজ বংশীবদন
- চম্পাগাজী
- মাগন ঠাকুর
- মাধব কন্দলী
- রামানন্দ যতি
- দ্বিজ তুলসী
- মাণিকরাম দাস
আধুনিক যুগের প্রথম ভাগের সাহিত্যিক (১৮০০ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ)সম্পাদনা
এখানে সেসব কবি ও লেখকদের নাম দেয়া হয়েছে, যাঁরা লেখালেখির মাধ্যমে পরিচিত হয়েছেন দেশভাগের আগেই; যদিও এঁদের অনেকেই দেশবিভাগের পরও সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। কিন্তু এরপরও এঁদেরকে আধুনিক যুগের শুরুর দিককার সাহিত্যিক হিসেবেই ধরা যেতে পারে। তালিকাটি করা হয়েছে সাহিত্যিকদের জন্মসালের ক্রম অনুযায়ী।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯)
- প্যারীচাঁদ মিত্র (১৮১৪-১৮৮৩)
- অক্ষয়কুমার দত্ত (১৮২০-১৮৮৬)
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)
- দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)
- সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪-১৮৮৯)
- বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪)
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪)
- কালীপ্রসন্ন সিংহ (১৮৪০-১৯৭০)
- মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২)
- ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৪৭-১৯১৯)
- রমেশচন্দ্র দত্ত (১৮৪৮-১৯০৯)
- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (১৮৫৩-১৯৩১)
- স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)
- কায়কোবাদ (১৮৫৮-১৯৫২)
- শ্রীশচন্দ্র মজুমদার (১৮৬০-১৯০৮)
- অক্ষয়কুমার বড়াল (১৮৬০-১৯১৯)
- মোহাম্মদ নজিবর রহমান (১৮৬০-১৯২৩)
- মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩)
- অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (১৮৬১-১৯৩০)
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫)
- কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩)
- প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)
- কুসুমকুমারী দাশ (১৮৭৫-১৯৪৮)
- শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)
- যতীন্দ্রমোহন বাগচী (১৮৭৮-১৯৪৮)
- সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৭৯-১৯৩১)
- বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)
- রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০)
- শরৎচন্দ্র পণ্ডিত (১৮৮১-১৯৬৮)
- কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২-১৯২৬)
- সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩)
- মোহিতলাল মজুমদার (১৮৮৮-১৯৫২)
- হেমেন্দ্রকুমার রায় (১৮৮৮-১৯৬৩)
- কালিদাস রায় (১৮৮৯-১৯৭৫)
- তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯১-১৯৭১)
- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)
- ইবরাহীম খাঁ (১৮৯৪-১৯৭৮)
- বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৮৭)
- গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪)
- আবুল মনসুর আহমদ (১৮৯৮-১৯৭৯)
- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭০)
- কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)
- বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (১৮৯৯-১৯৭৯)
- জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)
- অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৭)
- জসীম উদ্ দীন (১৯০২-১৯৭৭)
- শিবরাম চক্রবর্তী (১৯০৩-১৯৮০)
- অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত (১৯০৩-১৯৭৬)
- প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮)
- অন্নদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২)
- বন্দে আলী মিয়া (১৯০৭-১৯৭৮)
- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)
- সুবোধ ঘোষ(১৯০৯-১৯৮০)
- আশাপূর্ণা দেবী (১৯০৯-১৯৯৫)
- অদ্বৈত মল্লবর্মন (১৯১৪-১৯৫১)
- কমলকুমার মজুমদার (১৯১৪-১৯৭৯)
- সোমেন চন্দ (১৯২০-১৯৪২)
- সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৯২৬-১৯৪৭)
সমসাময়িক সাহিত্যিক (১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান)সম্পাদনা
দেশবিভাগের পর দুই বাংলাতেই সাহিত্যচর্চার স্বতন্ত্র বলয় তৈরি হয়। তবে সাহিত্যের জগৎ সবসময়ই বৈশ্বিক, বিশেষতঃ ভাষার মিলের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি প্রকট। দেশভাগের পর থেকে শুরু করে অদ্যাবধি দুই বাংলার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিকদের সম্মিলিত নামের তালিকা এটি। প্রসঙ্গতঃ এই তালিকাটি করা হয়েছে বর্ণানুসারে, এবং এতে বিভিন্ন নাম প্রতিনিয়তই সংযুক্ত হচ্ছে এবং হবে।
- অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
- অনিতা অগ্নিহোত্রী
- অনিল ঘড়াই
- অবধূত
- অমর মিত্র
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
- আনিসুল হক
- আবু ইসহাক
- আবু জাফর শামসুদ্দীন
- আবুল বাশার
- আবুল মনসুর আহমেদ
- আবদুল মান্নান সৈয়দ
- আল মাহমুদ
- আলাউদ্দিন আল আজাদ
- আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
- আসাদ চৌধুরী
- আহমদ ছফা
- আহমাদ মোস্তফা কামাল
- আহসান হাবীব
- ইমদাদুল হক মিলন
- কামাল চৌধুরী
- গজেন্দ্রকুমার মিত্র
- জয় গোস্বামী
- জহির রায়হান
- জাকির তালুকদার
- তসলিমা নাসরিন
- তিলোত্তমা মজুমদার
- দাউদ হায়দার
- দিব্যেন্দু পালিত
- দীপঙ্কর সাহা (দীপ)
- দেবী রায়
- দেবেশ রায়
- নবারুণ ভট্টাচার্য
- নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
- নারায়ণ সান্যাল
- নাসরীন জাহান
- নিমাই ভট্টাচার্য
- নির্মলেন্দু গুণ
- নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
- পূরবী বসু
- পূর্ণেন্দু পত্রী
- প্রমথনাথ বিশী
- প্রফুল্ল রায়
- প্রশান্ত মৃধা
- প্রেমেন্দ্র মিত্র
- ফররুখ আহমদ
- বশীর আল-হেলাল
- বাণী বসু
- বাসুদেব দাশগুপ্ত
- বিমল কর
- বিমল মিত্র
- বিনয় মজুমদার
- বিষ্ণু দে
- বুদ্ধদেব গুহ
- বুদ্ধদেব বসু
- মণিশংকর মুখোপাধ্যায়
- মতি নন্দী
- মলয় রায়চৌধুরী
- মশিউল আলম
- মহাদেব সাহা
- মহাশ্বেতা দেবী
- মাহমুদুল হক
- মুহম্মদ জাফর ইকবাল
- মোহাম্মদ নাসির আলী
- রবিশংকর বল
- রফিক আজাদ
- রাবেয়া খাতুন
- রাহাত খান
- রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
- লীলা মজুমদার
- শওকত ওসমান
- শওকত আলী
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়
- শক্তিপদ রাজগুরু
- শঙ্খ ঘোষ
- শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
- শহীদ কাদরী
- শহীদুল জহির
- শহীদুল্লা কায়সার
- শামসুদ্দীন আবুল কালাম
- শামসুর রাহমান
- শাহাদুজ্জামান
- শাহীন আখতার
- শাহেদ আলী
- শিবরাম চক্রবর্তী
- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
- শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
- সতীনাথ ভাদুড়ী
- সত্যজিৎ রায়
- সত্যেন সেন
- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
- সমরেশ বসু
- সমরেশ মজুমদার
- সমীর রায়চৌধুরী
- সিকান্দার আবু জাফর
- সুচিত্রা ভট্টাচার্য
- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
- সুফিয়া কামাল
- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
- সুবিমল বসাক
- সুবোধ সরকার
- সুভাষ মুখোপাধ্যায়
- সেলিনা হোসেন
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
- সৈয়দ মুজতবা আলী
- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
- সৈয়দ শামসুল হক
- স্বপ্নময় চক্রবর্তী
- হরিশংকর জলদাস
- হাসান আজিজুল হক
- হাসান হাফিজুর রহমান
- হুমায়ুন আজাদ
- হুমায়ূন আহমেদ
- হেলাল হাফিজ
- হাসান হামিদ
- আবিদ আনোয়ার
- তপন বাগচী
- মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
- লুৎফর রহমান রিটন
দর্শনসম্পাদনা
বাঙ্গালী দর্শনবিদদের কাজ চীনের তিব্বতে সংরক্ষিত হয়েছে। যার মধ্যে অতিশিয়া, তিলোপা উল্লেখযোগ্য।[২]
সুফী দর্শন হল বাঙ্গালী মুসলমানদের সৃষ্টি। যাদের মধ্যে রয়েছেন জালালউদ্দিন রুমি, আব্দুল কাদের জিলানী এবং মইনুদ্দিন চিশতী প্রমুখ। বিখ্যাত সূফী শাহ জালাল অন্তর্ভুক্ত।
সঙ্গীতসম্পাদনা
বাংলা-এর সঙ্গীত | |
---|---|
বাউল, বাংলার আধ্যাত্মিক গান | |
ধরন | |
নির্দিষ্ট ধরন | |
ধর্মীয় সঙ্গীত | |
জাতিগত সঙ্গীত | |
ঐতিহ্যবাহি সঙ্গীত | |
মিডিয়া এবং কর্মক্ষমতা | |
সঙ্গীত মিডিয়া | বেতার
টেলিভিশন ইন্টারনেট |
বাংলা সংগীত বাংলার সহস্রাব্দ প্রাচীন ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ সাংগীতিক ঐতিহ্যটিকে নির্দেশ করে। ঐতিহাসিক বাংলা অঞ্চলটি বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশও ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত। বাংলা ভাষায় রচিত ও বিভিন্ন শৈলীর সুরে সমৃদ্ধ বাংলা সংগীতধারাটি এই উভয় অঞ্চলেই ব্যাপক জনপ্রিয়তার অধিকারী।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ধর্মীয় সংগীতসম্পাদনা
বাংলার প্রাচীন সংগীতকলা সংস্কৃত স্তোত্রসঙ্গীত প্রভাবিত। এই সময়কার বৈষ্ণব ভাবাশ্রিত কিছু ধর্মসংগীতিগুলি আজও পূর্ব ভারতীয় মন্দিরগুলিতে গীত হয়। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে কবি জয়দেব বিরচিত গীতগোবিন্দম্ এই জাতীয় সঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ। মধ্যযুগে নবাব ও বারো ভূঁইয়া নামে খ্যাত শক্তিশালী ভূস্বামীবর্গের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিপালিত সংগীতধারায় আবার হিন্দু ও মুসলমান সাংগীতিক রীতির এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় গানগুলির অধিকাংশই ছিল ধর্মীয় সংগীত। মধ্যযুগের প্রথম পাদে বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, ও বলরামদাস প্রমুখ বৈষ্ণব পদকর্তাগণ রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গানে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক প্রেমচেতনার একটি পার্থক্য দর্শিয়েছেন। আবার মধ্যযুগের শেষ পাদে রামপ্রসাদ সেন ও কমলাকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ শাক্তপদাবলিকারগণ তাদের গানে ঈশ্বরকে শুদ্ধ মাতৃরূপে বন্দনার কথা বলেছেন। বৈষ্ণব ও শাক্তপদাবলি (শ্যামাসংগীত ও উমাসংগীত) উভয়েরই মূল উপজীব্য হিন্দু ভক্তিবাদ|ভক্তিবাদী দর্শন। বৈষ্ণব সংগীতে যখন জীবাত্মা-পরমাত্মাকেন্দ্রিক প্রেমভক্তির তত্ত্ব প্রচারিত হয়, তখনই শাক্তগানে তন্ত্র ও শুদ্ধা মাতৃবন্দনার এক সম্মিলন গড়ে ওঠে।
বাউল গানসম্পাদনা
অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলায় বাউল নামে এক অধ্যাত্মবাদী চারণকবি সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটে। মনে করা হয়, তান্ত্রিক কর্তাভজা সম্প্রদায় ও ইসলামি সুফি দর্শনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল এঁদের গানে। বাউলরা তাদের চিরন্তন অন্তর্যামী সত্ত্বা মনের মানুষ-এর ঘুরে ঘুরে গান গাইতেন এবং ধর্মে ধর্মে অযৌক্তিক ভেদাভেদ ও আনুষ্ঠানিকতার কথা তুলে ধরতেন। কুষ্টিয়ার লালন ফকিরকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাউল মনে করা হয়। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বাউল সঙ্গীতের আরও কয়েকজন বিশিষ্ট নাম হলেন মধ্যযুগের হাসন রাজা এবং আধুনিক যুগের বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম ও বাউল-সম্রাট পূর্ণদাস বাউল৷
ভাওয়াইয়া গানসম্পাদনা
এ গানটি উত্তরাঞ্চলের বাংলা গান। আব্বাসউদ্দীন এগানকে সমৃদ্ধ করেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীতসম্পাদনা
বাংলা সঙ্গীতের সর্বাপেক্ষ প্রসিদ্ধ ধারাটি হল রবীন্দ্রসংগীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সারা জীবনে ২,২৩০টি গান রচনা করেছিলেন। ভক্তি, প্রেম, প্রকৃতি, দেশাত্মবোধ ইত্যাদি নানা বিষয়কেন্দ্রিক এই গানগুলিই রবীন্দ্রসঙ্গীত বা রবীন্দ্রগান নামে পরিচিত। এই গানগুলির কথায় প্রাচীন হিন্দু ধর্মশাস্ত্র উপনিষদ ও মধ্যযুগীয় বৈষ্ণব পদাবলি ও বাউল গানের প্রভাব গভীর। সুরের দিক থেকে হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটিক শাস্ত্রীয় সংগীত, কীর্তন, শ্যামাসংগীত, বাউল গান, এমনকি ইংরেজি, আইরিশ ও স্কটিশ লোকসংগীতেরও প্রভাব রয়েছে রবীন্দ্রনাথের গানে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিশিষ্ট গায়ক-গায়িকারা হলেন: শান্তিদেব ঘোষ, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র, পঙ্কজ কুমার মল্লিক, সন্তোষ সেনগুপ্ত, সুবিনয় রায়, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়, অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগর সেন, সুমিত্রা সেন, ঋতু গুহ, পূরবী মুখোপাধ্যায়, পূর্বা দাম, সুশীল মল্লিক, মোহন সিংহ, শর্মিলা রায় পোমো, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী সেন, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, প্রমিতা মল্লিক, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শ্রাবণী সেন, শাসা ঘোষাল প্রমুখ। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত, যথাক্রমে, জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি রবীন্দ্রসংগীত।
নজরুলগীতি ও অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী গানসম্পাদনা
বাংলা সঙ্গীতের আর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল রাঢ়বাংলার বিদ্রোহী কবি তথা বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্ট নজরুলগীতি বা নজরুলসংগীত। সুপ্রভা সরকার, ধীরেন্দ্রচন্দ্র মিত্র, ফিরোজা বেগম, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ড. অঞ্জলি মুখোপাধ্যায়, ধীরেন বসু, পূরবী দত্ত, অনুপ ঘোষাল, সোহরাব হোসেন, ফিরদৌসী আরা প্রমুখ এই ধারার বিশিষ্ট গায়ক। নজরুল রচিত "চল্ চল্ চল্, ঊর্ধগগনে বাজে মাদল" নজরুলগীতিটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রণসংগীত।
রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল ছাড়াও রামনিধি গুপ্ত (নিধুবাবু), অতুলপ্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেনের গানও দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়।
১৮৬৭ সালে আয়োজিত হিন্দুমেলা বা স্বদেশী মেলায় দেশাত্মবোধক গানের ধারণাটির উদ্ভব হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দেমাতরম গানটি দেশাত্মবোধক গান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে এটি ভারতের জাতীয় স্তোত্র। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পর্যন্ত দেশাত্মবোধক গান বাংলা সংগীতে একটি বৃহৎ অংশ অধিকার করে ছিল। শুধুমাত্র ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনই নয়, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ ও পশ্চিমবঙ্গের গণআন্দোলনেও এই দেশাত্মবোধক ও গণসঙ্গীতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রভাতরঞ্জন সরকার-এর ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীত-ও বাংলা সঙ্গীতের এক অনন্য সম্পদ। ।
আধুনিক গানসম্পাদনা
বাংলা আধুনিক গানের ধারাটিও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। এই ধারায় উল্লেখযোগ্য গায়ক-গায়িকারা হলেন: হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, কিশোর কুমার, রাহুল দেব বর্মন, শচীন দেব বর্মন, গীতা দত্ত, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, কানন দেবী, সুধীরলাল চক্রবর্তী, জগন্ময় মিত্র, দিলীপকুমার রায়, আঙুরবালা, ইন্দুবালা, উৎপলা সেন, সুপ্রীতি ঘোষ, আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, কুমার শানু, শান,ও শ্রেয়া ঘোষাল। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, পান্নালাল ভট্টাচার্য, মৃণালকান্তি ঘোষ, ভবানীচরণ দাস, রাধারাণী দেবী ও গীতশ্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় ভক্তিগীতিতে এবং আধুনিক বাংলা লোকসঙ্গীতে আব্বাসউদ্দীন আহমদ,নির্মলেন্দু চৌধুরী ও অমর পাল কয়েকটি অবিস্মরণীয় নাম।
বাংলা গীতিকারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অজয় ভট্টাচার্য, হিমাংশু দত্ত, সলিল চৌধুরী, হিরেন বসু, সুবোধ পুরকায়স্থ, প্রণব রায়, শৈলেন রায়, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, শ্যামল গুপ্ত, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল দত্ত, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও রতন কাহার। অন্যদিকে সুরকারদের মধ্যে উল্লেখ্য রবি শংকর, হিমাংশু দত্ত, সলিল চৌধুরী, কমল দাশগুপ্ত, রাইচাঁদ বড়াল, তিমিরবরণ ভট্টাচার্য, কালীপদ সেন, নচিকেতা ঘোষ, রবিন চট্টোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সুধীন দাশগুপ্ত, শচীন দেব বর্মন, রাহুল দেব বর্মন, ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ব্যান্ডসম্পাদনা
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের আজম খানের ব্যান্ড উচ্চারণ এবং আখন্দ (লাকী আখন্দ ও হ্যাপী আখন্দ) ভাতৃদ্বয় দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। বন্ধু ইশতিয়াকের পরামর্শে সৃষ্টি করেন একটি এসিড-রক ঘরানার গান জীবনে কিছু পাবোনা এ হে হে! তিনি দাবী করেন এটি বাংলা গানের ইতিহাসে- প্রথম হার্ডরক,(আইয়ুব বাচ্চু) ও (এল আর বি) বাংলা সঙ্গীত জগতে নতুন যুগের সূচনা করেন। রবীন্দ্রসদনে কনসার্টের সময়ে মহীনের ঘোড়াগুলি, ১৯৭৯; বাম থেকে: রাজা ব্যানার্জী, প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, তাপস দাস, প্রণব সেনগুপ্ত, গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং রঞ্জন ঘোষাল। এব্রাহাম মজুমদার এবং বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন, যদিও এখানে অদৃশ্যমান। মহীনের ঘোড়াগুলি[৭] পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বাংলা ব্যান্ড সংগীতে প্রথম ব্যান্ড বলে স্বীকৃত [৮][৯] । পরবর্তীকালে ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে যখন পশ্চিমী প্রভাব আরো ব্যাপক হয়ে ওঠে, তখন বাংলা ব্যান্ড ভারত এবং বাংলাদেশে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং তখন থেকে বাংলা সংস্কৃতিতে সংযুক্ত হয়েছে। এর দশক থেকে পাশ্চাত্য ধ্যানধারণা ও আধুনিক নগরজীবনকেন্দ্রিক বাংলা ব্যান্ড সংগীত ও জীবনমুখী গানের উদ্ভব হয় কলকাতা ও ঢাকা শহরে। ----> জীবনমুখী গানে কবীর সুমন, নচিকেতা ও অঞ্জন দত্ত আধুনিক বাংলা গানের এই সময়কার তিন দিকপাল শিল্পী। বাংলা ব্যান্ডগুলির মধ্যে ভূমি, চন্দ্রবিন্দু, লক্ষ্মীছাড়া, মাইলস, নগর বাউল, ফিডব্যাক, সোলস, ফসিলস, ক্যাকটাস, ক্রসউইন্ডজ ও ইনসোমনিয়া। এই সময়েই অজয় চক্রবর্তী, রাশিদ খান প্রমুখ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী রাগাশ্রয়ী বাংলা আধুনিক গানের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন।
থিয়েটারসম্পাদনা
বাংলায় থিয়েটারে সংস্কৃত নাটিকা গুপ্তচর সর্বপ্রথম পরিচালিত হয়। নাচ, গান, যাত্রা সবই মঞ্ছস্থ হয় এখানে।
নাচসম্পাদনা
বাংলার নাচের সংস্কৃতি অতিপ্রাচীন। ক্লাসিকাল,ফোক এবং বাদ্যায়িত নাচের প্রচলন রয়েছে।[৩][৪]
আকা আকিসম্পাদনা
পালা, মূঘল সাম্রাজ্য থেকেই এখানে আকাআকির প্রচলন। কলকাতায় আধুনিক ছিবি আকার স্কুল রয়েছে। পূরব পাকিস্তানের জয়নুল আবেদীনের জন্মও বাংলায়। বাংলার ছবি দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত যাদের মধে এস এম সুলতান, সাহাবুদ্দিন, কনক চাপা চাকমা, কফিল আহামেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ, কাইয়ুম চৌধুরি, রশিদ চৌধুরি, কামরুল হাসান,হাশেম খান উল্লেখযোগ্য। ।
স্থাপত্যসম্পাদনা
|
|
|
বাংলাদেশ ও ভারত এর পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যটি নিয়ে গঠিত বাংলা অঞ্চলটি হাজার বছরের বহুপ্রকার স্থাপত্যশৈলীযুক্ত পুরাকীর্তি ও স্থাপনায় সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল।
স্বর্ণালঙ্কারসম্পাদনা
প্রাকৃতিক ঝিনুক উৎপাদিত হয় চট্টগ্রামে। বাংলাদেশে স্বর্ণের বাজার প্রায় ৬০০মিলিয়ন ডলারের।[৫] বাংলায় হীরকের প্রসার ঘটায় ঢাকার নবাব পরিবার যা সংরক্ষিত আছে জাদুঘরে।[৬]
কাপড়সম্পাদনা
বাংলা অঞ্ছল সুতা রপ্তানীতে শীর্ষে ছিল সেই সময়ে।[৭]
বাংলার সিল্ক এখনো বিশ্বসেরা।[৮] জাপানের সিল্কের কদরে বাংলার বিশেষ করে রাজশাহী সিল্কের কদর কমে যায়। মুরশিদাবাদ এবং মালদহতে সিল্কের ব্যবসা হত। মুঘলরা মসলিন কাপড়ের উৎপাদন করে রপ্তানী করত এই বাংলা থেকেই। জামদানী ইউনেস্কো খ্যাতাবপ্রাপ্ত মূল্যবান কাপড়। আধুনিক বাংলাদেশ বিশ্বের পোশাক চাহিদার অনেকটাই রপ্তানীর মাধ্যমে মিটাচ্ছে।
পোশাকসম্পাদনা
বাংলা নারীদের প্রধান পোশাক শাড়ি আর পুরুষদের লুঙ্গি, ধুতি, পাঞ্জাবী। এছাড়া উপজাতীয়রা নিজেদের পোশাকও ব্যবহার করেন।
মৃৎশিল্পসম্পাদনা
আদিকাল থেকেই বাংলায় এর প্রসার।[৯] নোভেরা আহমেদ, নিতুন কুন্ডুদের মত শিল্পীরা এর সাথে জড়িত।
নৌকাসম্পাদনা
বাংলায় ১৫০রকমের নৌকা রয়েছে। এখানে নোকা বানানো ভাঙ্গা দুটোই বেশ সাশ্রয়ী।জারুল, শাল,সুন্দরী গাছ থেকে স্থানীয়রা নৌকা তৈরী করেন।
রিকশাসম্পাদনা
রিকশা ব্যবহারে বাংলা সবার থেকে এগিয়ে। রঙ্গিন সাজের রিকশা এখানের অন্যতম আকর্ষণ। ঢাকাকে বলা হয় পৃথিবীর রিকশার রাজধানী।
খাবারসম্পাদনা
বাঙ্গালীদের প্রধান খাবার ভাত, ডাল, মাছ সেইসাথে তরকারী,রুটি সবই খায় বাঙ্গালীরা।
চলচ্চিত্রসম্পাদনা
কলকাতা,ঢাকা দুই মহানগরী বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত। মূলত কলকাতাতেই প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত হত। পরে ১৯৫৬ সাল থেকে ঢাকায় বাংলা চলচ্চিত্র নির্মান শুরু হয়। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিত রায়, মৃনাল সেন থেকে তারেক মাসুদ পর্যন্ত সবাই কমবেশ সুপরিচিত।
বিবাহসম্পাদনা
মুসলিম এবং হিন্দুদের রয়েছে পৃথক বিয়ের রীতি।[১০][১১] বাঙ্গালী বিয়ের প্রধান আকর্ষণ গায়ে হলুদ।বাঙালি হিন্দু বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ধীরে ধীরে মুসলিম বিবাহে গৃহীত হয়েছে। বাংলা ছাড়া আর কোথাও মুসলিম বিবাহে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয় না।
উৎসবসম্পাদনা
পুরো বছরজুড়েই চলে বাঙ্গালীদের উৎসব আয়োজন।
মুসলিম | হিন্দু | বৌদ্ধ | খ্রিস্টান | সব বাঙ্গালীর |
---|---|---|---|---|
ঈদ | দুর্গা পূজা | বুদ্ধ পূর্ণিমা | খ্রিস্টমাস | পহেলা বৈশাখ |
দূর্গা পুজোয় আলোক সজ্জা, কলকাতা
খেলাধূলাসম্পাদনা
ক্রিকেট, ফুটবল এখানে খুবই জনপ্রিয় কলকাতা, ঢাকা চট্টগ্রাম এ অঞ্ছলের বিখ্যাত ভ্যানু এবং ক্লাবের নিয়ন্ত্রণঘর। ভারতে কলকাতা খেলাধুলার রাজধানী।কলকাতা ভারতে ফুট বলের মক্কা হিসাবে পরিচিত। এই শহরে ফুট বল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ।বর্তমানে ক্রিকেটও এখানে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।চুনি গোস্বামি মত ফুটবল খেলোয়াড় ও সৌরভ গাঙ্গুলি ]] মত ক্রিকেটারের জন্য কলকাতা পরিচিত খেলাধূলার জগৎ-এ।সাকিব আল-হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি, তামিম বাংলাদেশের বিখ্যাত খেলোয়াড়। পঙ্কজ,সৌরভ গাঙ্গুলি ঋদ্ধীমান সাহা ক্রিকেটার হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত।অনির্বান লাহির মত গলফ খেলোয়াড় ও লিয়ান্ডার পেজ এর মত ব্রঞ্জ জয়ী অলেম্পিক খেলোয়াড় রয়েছেন এই বাংলায়।[১২] খো খো, কাবাডি আঞ্চলিক খেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সল্ট লেক স্টেডিয়াম বা বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন হল ভারতের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা
মিডিয়াসম্পাদনা
প্রথম আলো একইসাথে সারাবিশ্বে এবং বাংলাদেশে সর্বাধিক পঠিত এবং প্রচলিত বাংলা সংবাদপত্র। আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতে সবচেয়ে প্রচলিত বাংলা সংবাদপত্রিকা। বর্তমান, প্রতিদিন, ইত্তেফাক, জনকন্ঠ, ইত্যাদিও বহুল প্রচলিত। দ্য ডেইলি স্টার, নিউ এজ, ঢাকা ট্রিবিউন বিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা। দ্য স্টেটসম্যান কলকাতা থেকে প্রচলিত যা এই বাংলা বা বঙ্গ অঞ্চলের প্রাচীনতম ইংরাজি দৈনিক।
আরো দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Minahan, James B. (২০১২)। Ethnic Groups of South Asia and the Pacific: An Encyclopedia। ABC-CLIO। আইএসবিএন 9781598846607।
- ↑ আমিনুল ইসলাম (২০১২)। "দর্শন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ শেখ মেহেদী হাসান (২০১২)। "নৃত্যকলা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ওয়াকিল আহমদ (২০১২)। "লোকনৃত্য"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Only right policy can help earn $1bn from gold jewellery export"। ১৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭।
- ↑ মোহাম্মদ আলমগীর (২০১২)। "দরিয়া-ই-নূর"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ name="auto1">Snodgrass, Mary Ellen (২০১৫)। World Clothing and Fashion: An Encyclopedia of History, Culture, and Social Influence। Routledge। আইএসবিএন 9781317451679।
- ↑ উইলেম ভ্যান শ্যান্ডেল (২০১২)। "রেশম"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;auto1
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "বাঙ্গালী হিন্দু বিয়ে"।
- ↑ "ভারতীয় বিয়ে"। www.weddingsinindia.com। ২০০৯-০১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২১।
- ↑ Prabhakaran, Shaji (১৮ জানুয়ারি ২০০৩)। "Football in India - A Fact File"। LongLiveSoccer.com। ২৩ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১০-২৬।