মরিচ বা কাঁচা লঙ্কা (বাংলা উচ্চারণ: [মরিচ] (শুনুন)) এক প্রকারের ফল যা মসলা হিসাবে ঝাল স্বাদের জন্য রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ক্যাপসিকাম (Capsicum) গণের সোলানেসি (Solaneceae) পরিবারের[৩] উদ্ভিদের ফলকে সাধারণভাবে মরিচ বলা হয়ে থাকে। মরিচের ফলকে মসলা হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

Chili pepper
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস e
জগৎ/রাজ্য: উদ্ভিদ (প্লান্টি)
গোষ্ঠী: সংবাহী উদ্ভিদ ট্র্যাকিওফাইট
ক্লেড: সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস)
ক্লেড: ইউডিকটস
গোষ্ঠী: অ্যাস্টেরিডস (Asterids)
বর্গ: Solanales
পরিবার: Solanaceae
গোত্র: Capsiceae
L.
গণ: Capsicum
L.
Varieties and Groups
প্রতিশব্দ[২]
Synonymy
  • Capsicum buforum Salisb.

মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র রান্না ও ঔষধি হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কাঁচা মরিচ

নামকরণের ইতিহাস সম্পাদনা

ফলটির নাম 'লংকা' বা 'লঙ্কা' হওয়ার কারণ সম্ভবত শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি হবার কারণে।

ইতিহাস সম্পাদনা

প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। ইকুয়েডর এর দক্ষিণ পশ্চিমাংশে পুরাতাত্ত্বিকেরা ৬০০০ বছর আগে মরিচ চাষের প্রমাণ পেয়েছেন। [৪][৫]

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে মরিচের চাষ করা হতো প্রাচীন কাল থেকেই। [৬]

ইউরোপীয়দের মধ্যে ক্রিস্টোফার কলম্বাস প্রথম ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মরিচের দেখা পান। ভারতবর্ষে উৎপন্ন গোল মরিচের মতো ঝাল বলে তিনি এগুলোকে Pepper নাম দেন। অবশ্য গোল মরিচের গাছের সাথে মরিচ গাছের সম্পর্ক নেই।

কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর থেকে মরিচ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।[৭][৮] দিয়েগো আলভারেজ চানকা নামের একজন চিকিৎসক কলম্বাসের দ্বিতীয় অভিযানের সময়ে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ হতে মরিচ স্পেনে নিয়ে আসেন। তিনি ১৪৯৪ সালে মরিচের ঔষধী গুনাগুণ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেন।

স্পেনীয় ব্যবসায়ীরা মেক্সিকো থেকে মরিচ এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।[৯] প্রথমে ফিলিপাইন্স, এবং তার থেকে ভারতবর্ষ, চীন, কোরিয়া, ও জাপানে মরিচ বিস্তার লাভ করে। ঝাল ও স্বাদের জন্য অচিরেই এটি এশিয়ার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় খাবারের অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়।

প্রজাতি সম্পাদনা

মরিচের বহুল প্রচলিত প্রজাতি গুলো হলোঃ

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মরিচ"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। 
  2. "Capsicum annuum L. — The Plant List"www.theplantlist.org 
  3. "Peppers"hort.purdue.edu। Department of Horticulture and Landscape Architecture - Purdue University। ২০২০-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-০৩ 
  4. Perry, L. et al. 2007. Starch fossils and the domestication and dispersal of chili peppers (Capsicum spp. L.) in the Americas. Science 315: 986-988.
  5. BBC News Online. 2007. Chillies heated ancient cuisine. Friday, 16 February. Available from: http://news.bbc.co.uk/2/hi/americas/6367299.stm. Accessed 16 February 2007.
  6. Bosland, P.W. 1996. Capsicums: Innovative uses of an ancient crop. p. 479-487. In: J. Janick (ed.), Progress in new crops. ASHS Press, Arlington, VA.
  7. Heiser Jr., C.B. 1976. Pp. 265-268 in N.W. Simmonds (ed.). Evolution of Crop Plants. London: Longman.
  8. Eshbaugh, W.H. 1993. Pp. 132-139 in J. Janick and J.E. Simon (eds.). New Crops. New York: Wiley.
  9. Kraft, K. H.; Brown, C. H.; Nabhan, G. P.; Luedeling, E.; Luna Ruiz, J. d. J.; Coppens d'Eeckenbrugge, G.; Hijmans, R. J.; Gepts, P. (২০১৪-০৪-২৯)। "Multiple lines of evidence for the origin of domesticated chili pepper, Capsicum annuum, in Mexico"Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 111 (17): 6165–6170। আইএসএসএন 0027-8424ডিওআই:10.1073/pnas.1308933111পিএমআইডি 24753581পিএমসি 4035960  [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]