রাজশাহী রেশম

রাজশাহীতে উৎপন্ন সুক্ষ এবং নরম মোলায়েম রেশম আঁশ

রাজশাহীর সিল্ক   নামটি  দেয়া  হয়েছে কারণ রাজশাহী,বাংলাদেশ এর রেশম তন্তু দিয়ে এটি উৎপন্ন । এটি একটি জনপ্রিয় একটি নাম , বিশেষ করে শাড়িতে

রাজশাহী সিল্ক শাড়ি

রাজশাহীর সিল্ক অনেক সুক্ষ এবং নরম মোলায়েম আঁশ।  আঁশের উপাদান  পিউপা[১] যা আসে তুঁত রেশম  থেকে এবং  এটি  প্রোটিন এর আবরন যা সারসিনা নামে ডাকা হয়। সাধারনত তিন ধরনের সিল্ক হয়:

  • তুঁত সিল্ক
  • ইরি(অথবা ইন্ডি) সিল্ক এবং
  • তসর সিল্ক

এসকল বিভিন্ন পণ্যগুলো , তুঁত রেশম সুক্ষ এবং সেইজন্য সবচেয়ে মূল্যবান।

রাজশাহীর সিল্ক দিয়ে তৈরি শাড়ি এবং অন্যন্য পণ্যগুলি গ্রাহকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এবং দেশ ও দেশের বাইরেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা।  রাজশাহীর সিল্কের তৈরি শাড়ি রঙিন এবং রকমারি নকশা ও ডিজাইনে পাওয়া যায় । সিল্ক তন্তু বস্ত্র এবং এ সম্পর্কিত অন্যন্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

রাজশাহী রেশম শিল্পের জন্য একটি সিল্ক কারখানা এবং একটি সিল্ক গবেষণা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এ অঞ্চলের রেশম চাষ সমগ্র বাংলাদেশের সিল্কের যোগানদাতা হিসাবে গ্রাহ্য করা হয়। প্রায় ১০০,০০ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতের নিযুক্ত রয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

রেকর্ড অনুযায়ী ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এই অঞ্চলে রেশম উৎপাদনের সূচনা হয়।[২] এটি তখন বেঙ্গল সিল্ক বা গঙ্গার রেশম নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকার রাজশাহীতে রেশম উৎপাদন শুরু করে। রাজশাহী সিল্ক কারখানা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা যা ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে এটি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের হাতে হস্তান্তরিত হয়। তার পর থেকে এটি ক্ষতির বোঝা বয়ে চলেছিলো, এটি ৩০ নভেম্বর ২০০২ এ বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৩] এই কারখানাটি দ্বারা ২০০২ সালের পূর্বে ৩০০ টন রেশম উৎপাদিত হতো। ২০১১ সালে এটি ছিল মাত্র ৫০ টন।[৪] ২০১১ সালে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত,[৫] রাজশাহী রেশম কারখানাটি আবার চালু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু বেসরকারীকরণ কমিশন এই কাজটিকে উদ্বেগজনক বলে অস্বীকার করেছিল।[৬]

২০২১ সালে, এটি বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[৭]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. www.thefreedictionary.com/silk
  2. "Silk of Bengal"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৩ 
  3. "Rajshahi Silk Factory to reopen this year"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৩ 
  4. "Rajshahi Silk Losing Shine"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৩ 
  5. "Muhith backs plan to revive Rajshahi Silk Factory"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৮-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৩ 
  6. "Reopening of Rajshahi Silk Factory uncertain"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-২৩ 
  7. "রাজশাহী সিল্ক এখন জিআই পণ্য"Samakal। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০২১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা