রসুন
উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্মত অবস্থায় আনতে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদের উইকিকরণ প্রয়োজন। অনুগ্রহ করে সম্পর্কিত আন্তঃসংযোগ প্রয়োগের মাধ্যমে নিবন্ধের উন্নয়নে সহায়তা করুন। |
রসুন হল পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো সবজি যা রান্নার মশলা ও ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।[২] রসুন সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলি শ্রেণির বহুবর্ষজীবী গুল্ম। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রসুন উৎপাদনকারী জেলা নাটোর। নাটোর জেলা বাংলাদেশের রসুনের চাহিদার শতকরা ৩০ ভাগ এবং একক জেলা হিসেবে শতকরা ৭০ ভাগ উৎপাদনকারী জেলা।
রসুন / Garlic | |
---|---|
Allium sativum, উইলিয়াম উডসভিলের Medical Botany, ১৭৯৩, বই থেকে নেয়া। | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
বিভাগ: | Magnoliophyta |
শ্রেণী: | Liliopsida |
বর্গ: | Asparagales |
পরিবার: | Alliaceae |
উপপরিবার: | Allioideae |
গোত্র: | Allieae |
গণ: | Allium |
প্রজাতি: | A. sativum |
দ্বিপদী নাম | |
Allium sativum L.[১] |
উপযুক্ত জমি ও মাটি
সম্পাদনাজৈব পদার্থ সমৃদ্ধ ও সহজেই গুঁড়ো হয় এমন মাটি রসুনের উপযোগী।
জাত পরিচিতি
সম্পাদনাঅনুমোদিত জাত নেই। স্থানীয় জাত চাষ করা হয়।
চারা তৈরি
সম্পাদনাবীজ বপনঃ শুকনো রসুনের বাহিরের সারির কোয়া লাগানো হয়। ১৫ সে.মি. দূরত্বে সারি করে ১০ সে.মি. দূরে ৩-৪ সে.মি. গভীরে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। প্রতি হেক্টরে ৩০০-৩৫০ কেজি বীজ রসুনের প্রয়োজন হয়।
সার ব্যবস্থাপনা
সম্পাদনারসুনে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ হলো-গোবর ১০ টন, ইউরিয়া ২০০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি, এমওপি ১০০ কেজি, জিংক সালফেট ২০ কেজি, বোরাক্স ১০ কেজি ও জিপসাম ১০০ কেজি। জমি তৈরির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, জিংক সালফেট, বোরাক্স ও জিপসাম মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। রসুন লাগানোর ৩০ দিন ও ৬০ দিন পর যথাক্রমে ১ম ও ২য় কিস্তির উপরি সার প্রয়োগ করা হয়। প্রতিবারে প্রতি হেক্টরে ১০০ কেজি ইউরিয়া ও ৫০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা
সম্পাদনামাটিতে রসের অভাব থাকলে মাঝে মাঝে সেচ দিতে হবে। প্রতিবার সেচ দেওয়ার পর মাটি নিড়ানি দিয়ে কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে দিতে হবে। আগাছা দেখা দিলে তা পরিষ্কার করতে হবে।
পোকা
সম্পাদনাপোকার নাম : থ্রিপস ভূমিকা : থ্রিপস ছোট আকারের পোকা বলে সহজে নজরে আসে না কিন্তু' পাতার রস চুষে খায় বলে অধিক আক্রমণে পাতা শুকিয়ে গাছ মরে যায় ও ফলন কম হয়।
পোকা চেনার উপায় : স্ত্রী পোকা সরম্ন, হলুদাভ। পুরম্নষ গাঢ় বাদামী । বাচ্চা পোকা হলুদ অথবা সাদা । এদের পিঠের উপর লম্বা দাগ দেখা যায়।
ক্ষতির নমুনা : রস চুষে খায় বলে পাতা রূপালী রং ধারণ করে অথবা ক্ষুদ্রাকৃতির বাদামী দাগ বা ফোটা দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে পাতা শুকিয়ে মরে যায়। কন্দ আকারে ছোট ও বিকৃত হয়।
অনুকূল পরিবেশ : বিকল্প পোষকের উপস্তিতি।
জীবন চক্র : স্ত্রী পোকা পাতার কোষের মধ্যে ৪৫-৫০ টি ডিম পাড়ে।
৫-১০ দিনে ডিম হতে নিম্ফ (বাচ্চা) বের হয়। নিম্ফ ১৫-৩০ দিনে দুটি ধাপ অতিক্রম করে । প্রথম ধাপে খাদ্য গ্রহণ করে এবং দ্বিতীয় ধাপে খাদ্য গ্রহণ না করে মাটিতে থাকে । এরা বছরে ৮ বার বংশ বিস্তার করে এবং স্ত্রী পোকা পুরুষ পোকার সাথে মিলন ছাড়াই বাচ্চা দিতে সক্ষম ।
ব্যবস্থাপনা : সাদা রংয়ের আঠালো ফাঁদ ব্যবহার ক্ষেতে মাকড়সার সংখ্যা বৃদ্ধি করে এ পোকা দমন করা যায়। অনুমোদিত কীটনাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
রোগ ব্যবস্থাপনা
সম্পাদনারোগের নাম : পার্পল বস্নচ / বস্নাইট ভূমিকা : এ রোগ পেঁয়াজের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যে কোন বয়সে গাছের পাতা ও কাণ্ড আক্রান্ত হয়। অধিক আক্রমণে পেঁয়াজে ফুল আসে না ও ফসল কম হয়। আক্রান্ত বীজ বেশিদিন গুদামে রাখা যায়না । বাজার মূল্য কমে যায়।
রোগের কারণ : অল্টারনারিয়া পোরি ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাইওসাম নামক ছত্রাকদ্বয় দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।
ক্ষতির নমুনা : কাণ্ডে প্রথমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা হালকা বেগুনী রংয়ের দাগের সৃষ্টি হয়। দাগগুলি বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয় এবং আক্রান্ত স্থান খড়ের মত হয়ে শুকিয়ে যায়।
- আক্রান্ত পাতা ক্রমান্বয়ে উপরের দিক হতে মরতে শুরু করে। - পাতা বা কাণ্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ পাতা বা বীজবাহী কাণ্ড ভেঙ্গে পড়ে এতে বীজ অপুষ্ট হয় ও ফলন কম হয়।
অনুকূল পরিবেশ : বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
বিস্তার : আক্রান্ত বীজ, গাছের পরিত্যাক্ত অংশ ও বায়ুর মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে।
ব্যবস্থাপনা : - রোগ প্রতিরোধী বা সহনশীল জাত ব্যবহার - রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার - ফসল পর্যায় অনুসরণ করা অঅর্থাৎ একই জমিতে পর পর কমপক্ষে ৪ বছর পেঁয়াজ না করা - পেঁয়াজ গাছের পরিত্যাক্ত অংশ, আগাছা ধ্বংস করা - অনুমোদিত ছত্রাক নাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করা ।
কাণ্ড পচা রোগ
সম্পাদনারোগের নাম : কাণ্ড পচা রোগের কারণ : স্ক্লেরোসিয়াম রলফসি ও ফিউজারিয়াম নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়। ভূমিকা : যে কোন বয়সে গাছ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কন্দ ও শিকড়ে এর আক্রমণ দেখা যায়। আক্রান্ত কন্দে পচন ধরে এবং আক্রান্ত কন্দ গুদামজাত করে বেশি দিন রাখা যায় না।
ক্ষতির নমুনা : আক্রান্ত গাছের পাতা হলদে হয়ে যায় ও ঢলে পড়ে । - টান দিলে আক্রান্ত গাছ খুব সহজে মাটি থেকে কন্দসহ ( রসুন) উঠে আসে। - আক্রান্ত স্থানে সাদা সাদা ছত্রাক এবং বাদামী বর্ণের গোলাকার ছত্রাক গুটিকা (স্ক্লেরোসিয়াম ) দেখা যায়।
অনুকূল পরিবেশ : অধিক তাপ ও আর্দ্রতা পূর্ণ মাটিতে এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে। ক্ষেতে সেচ দিলেও এ রোগ বৃদ্ধি পায়। বিস্তার : এ রোগের জীবাণু মাটিতে বসবাস করে বিধায় সেচের পানির মাধ্যমে ও মাটিতে আন্তঃ পরিচর্যার সময় কাজের হাতিয়ারের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার হয়।
ব্যবস্থাপনা : - আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করতে হবে। - মাটি সব সময় স্যাঁত স্যাঁতে রাখা যাবে না। - আক্রান্ত জমিতে প্রতি বছর পেঁয়াজ /রসুন চাষ করা যাবে না। - অনুমোদিত ছত্রাক নাশক নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ
সম্পাদনারসুন গাছের পাতা শুকিয়ে বাদামী রং ধারণ করলে ঢলে পড়ে তখন রসুন তোলার উপযোগী হয়। গাছসহ রসুন তোলা হয় এবং ঐ ভাবে ছায়াতে ভালোভাবে শুকিয়ে মরা পাতা কেটে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হেক্টরে ১০–১২ টন ফলন পাওয়া যায়।
রসুন গাছের বিটপের নিম্নাংশ পরিবর্তিত হয়ে বাল্ব জাতীয় সঞ্চয়ী অঙ্গ তৈরি করে যা মশলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। পেয়াঁজের সঙ্গে প্রধান পার্থক্য হল সাদা রঙ এবং অনেক কোয়ার গুচ্ছ।
উৎপাদন
সম্পাদনাCountry | Production (millions of tonnes) |
---|---|
গণচীন | 22.3 |
ভারত | 1.7 |
বাংলাদেশ | 0.5 |
মিশর | 0.3 |
স্পেন | 0.3 |
World | 28.5 |
May include official, semi-official or estimated data Source: UN Food and Agriculture Organization[৩] |
ব্যবহার
সম্পাদনামসলা হিসেবে রসুন ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন আচার ও মুখরোচক খাবার তৈরিতে রসুনের ব্যবহার রয়েছে। রসুন যেমন আমাদের রসনাতৃপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তেমনি রসুন দিয়ে নাকি ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো হয়। শতকের পর শতক ধরে রসুন নিয়ে এমনই সব কাহিনি ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এমনকিছু ‘মিথ’ আছে, যা ৭০০০ বছরেরও বেশি পুরানো।
১) ইউরোপে ‘হোয়াইট ম্যাজিক’-এর নাকি মূল মাধ্যমই হচ্ছে রসুন। এমনকী, এই রসুন দিয়ে ইউরোপিয়ানরা ভ্যাম্পায়ারদের মোকাবিলা করেন। রসুনের মালা বা রসুন ঘরের সামনে ঝুলিয়ে রাখলে ভ্যাম্পায়াররা আসতে পারে না বলে বিশ্বাস।
২) ইসলাম মতে রসুন খেয়ে মসজিদে যাওয়া মানা। কারণ, রসুনের গন্ধে আল্লার নাম করতে গিয়ে মন অন্যদিকে চলে যেতে পারে।[৪][৫]
হিন্দুরাও এই একই কারণে ভগবানের পুজো-অর্চনার সময়ে বা মন্দিরে যেতে গেলে রসুনকে এড়িয়ে চলেন। কারণ, রসুনের গন্ধে মনের পবিত্রতা নষ্ট হয় বলে বহু হিন্দু মনে করেন।
৩) কর্পূরের সঙ্গে পোড়া রসুন মেশালে মশা, মাছি, পোকামাকড়ের হাত রেহাই পাওয়া যায়। রসুনকে পিষে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘর মুছলেও পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪) রসুনে ১৭ মাত্রার অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরের ভিতরের অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলোকে কাজ করতে সাহায্য করে। কারণ, মানুষের শরীরে ৭৫ শতাংশে থাকে এই অ্যামিনো অ্যাসিড।
৫) চাইনিজ খাবারে রসুন বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণ সেখানে বিশ্বের ৬৬% রসুন উৎপাদন হয়।
৬) প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জখম সৈনিকদের গ্যাংগ্রিনের চিকিৎসাতে সালফারের ভাণ্ডার কম পড়লে রসুন ব্যবহার করা হত।
৭) রসুন হার্টের পক্ষে খুবই ভাল। কারণ, কাঁচা রসুন খেলে কোলেস্টেরল কমে। সর্দি-কাশিতেও রসুনের পথ্য ভালো রকমের কার্যকারি।
৮) হাত থেকে রসুনের গন্ধ দূর করতে, ঠান্ডা জলের মধ্যে স্টিলের বাসনে হাত ঘসুন। গন্ধ দূর হবে।
৯) ১৯ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে ‘গার্লিক ডে’ পালিত হয়।
১০) বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবারেও রসুন ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘লাসুন কি ক্ষীর’।
১১) রসুনে থাকা এসেলিল নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দূর করতে সহায়তা করে। এতে যৌন চাহিদা বেড়ে যায়।
১২) এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন বি৬ মানসিক চাপ, অনিদ্রা এবং মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
১৩) রসুনের ক্রিয়েটিনিন, ভিটামিন বি 1 থেকে প্রাপ্ত অ্যালিথিয়ামিন এবং রসুনে পাওয়া অ্যালিসিনের মতো যৌগগুলি পেশীর কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা ক্লান্তি মোকাবেলা করতে এবং পুরুষদের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে, যা বৈবাহিক জীবনে বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। রসুনের ব্যবহার শুধুমাত্র সামগ্রিক স্বাস্থ্যই বাড়ায় না বরং পুরুষদের জীবনী শক্তিকেও উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে।
ভেষজ ব্যবহার
সম্পাদনারসুন বিশ্বে বাণিজ্যিক ভেষজ হিসাবে সফলতম। ২০০৪ সালে ২৭ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ভেষজ রসুনজাত ওষুধ বিক্রয় হয়[৬]। রসুন নিম্নলিখিত উপকার করে বলে মনে করা হয়ঃ
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে (কিছু প্রমাণ আছে)। [৬]
- রক্তচাপ কম করে (কিছু প্রমাণ আছে)[৬]।
- করনারি (হার্ট) ধমনী রোগে উপকারী (নির্ভরযোগ্য প্রমাণের অভাব আছে)[৬]।
ক্রিয়া প্রণালী
সম্পাদনাএর প্রধান সক্রিয় উপাদান অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ। অ্যালিসিন রসুনের কুখ্যাত গন্ধ ও বিখ্যাত ভেষজ গুণ দুইয়ের-ই প্রধাণ কারণ। অক্ষত রসুনে অ্যালিসিন থাকে না, থাকে অ্যালিইন - একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা প্রোটিন তৈরীতে অংশ গ্রহণ করে না (যা নিজে আরেক অ্যামিনো অ্যাসিড সিস্টিন থেকে তৈরি হয়) । রসুনকে কাটলে বা ক্ষত করলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরি করে। অ্যালিসিন খুবই স্বল্পস্থায়ী। রান্না করলে বা অ্যাসিডের প্রভাবে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশি উপকারী। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরির উৎসেচক এইচএমজিকোএ রিডাক্টেজ কে বাধা দেয় বলে জানা গেছে[৬]। অনেকে বিশ্বাস করেন অণুচক্রিকার উপরে কাজ করে এটি রক্ততঞ্চনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, যা হৃদরোগে উপকারী। কিন্তু এর নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি[৬]।
পুষ্টি মূল্য
সম্পাদনারসুন হল পেঁয়াজ পরিবারের একটি উদ্ভিদ যা এর স্বতন্ত্র স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য জন্মায়। এটিতে সালফার যৌগ রয়েছে, যা এই স্বাস্থ্যের কিছু উপকারের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।
রসুন অত্যন্ত পুষ্টিকর কিন্তু খুব কম ক্যালোরি আছে
কাঁচা রসুনের একটি লবঙ্গ (৩ গ্রামে) থাকে :
ম্যাঙ্গানিজ: দৈনিক মূল্যের ২% (dv)
ভিটামিন বি 6: ডিভির ২%
ভিটামিন সি: ডিভির ১%
সেলেনিয়াম: ডিভির ১%
ফাইবার: ০.০৬ গ্রাম
এটি ৪.৫ ক্যালোরি, ০.২ গ্রাম প্রোটিন এবং ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের সাথে আসে।
ভেষজ গুণ
সম্পাদনা১) কৃমি নাশক ২) শ্বাস কষ্ট কমায় ৩) হজমে সহায়তা করে ৪) প্রস্রাবের বেগ বাড়ায় ৫) শ্বাসনালীর মিউকাস বের করে দেয় ৬) এ্যাজমা রোগীর উপশম দেয় ৭) হাইপারটেনশন কমায় ৮) চুল পাকানো কমায় ৯) শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমায় ১০) হাড়ের বিভিন্ন রোগ সারায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ৬২৩ কিজু (১৪৯ kcal) |
৩৩.০৬ g | |
চিনি | ১ g |
খাদ্য আঁশ | ২.১ g |
০.৫ g | |
৬.৩৬ g | |
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
থায়ামিন (বি১) | ১৭% ০.২ মিগ্রা |
রিবোফ্লাভিন (বি২) | ৯% ০.১১ মিগ্রা |
নায়াসিন (বি৩) | ৫% ০.৭ মিগ্রা |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) | ১২% ০.৫৯৬ মিগ্রা |
ভিটামিন বি৬ | ৯৫% ১.২৩৫ মিগ্রা |
ফোলেট (বি৯) | ১% ৩ μg |
ভিটামিন সি | ৩৮% ৩১.২ মিগ্রা |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ক্যালসিয়াম | ১৮% ১৮১ মিগ্রা |
লৌহ | ১৩% ১.৭ মিগ্রা |
ম্যাগনেসিয়াম | ৭% ২৫ মিগ্রা |
ম্যাঙ্গানিজ | ৮০% ১.৬৭২ মিগ্রা |
ফসফরাস | ২২% ১৫৩ মিগ্রা |
পটাশিয়াম | ৯% ৪০১ মিগ্রা |
সোডিয়াম | ১% ১৭ মিগ্রা |
জিংক | ১২% ১.১৬ মিগ্রা |
অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ |
Selenium | 14.2 μg |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল |
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
ঢাকার বাজারে রসুন
-
Chopped garlic
-
Garlic plant
-
Freshly harvested garlic
-
Blended garlic confit
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Allium sativum L."। Kewscience; Plants of the World Online; Royal Botanic Gardens, Kew, England। সংগ্রহের তারিখ মে ২৬, ২০১৭।
- ↑ Simonetti, Gualtiero; Pergher, Italo (Photography) (১৯৯১)। Schuler, Stanley, সম্পাদক। Simon & Schuster's Guide to Herbs and Spices। Simon & Schuster, Inc। আইএসবিএন 0-671-73489-X।
- ↑ "Garlic production in 2018: Crops/World Regions/Production Quantity (from pick lists)"। Food and Agriculture Organization of the United Nations, Statistics Division (FAOSTAT)। ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Hadith – Book of Call to Prayers (Adhaan) – Sahih al-Bukhari – Sayings and Teachings of Prophet Muhammad (صلى الله عليه و سلم)"। Sunnah।
- ↑ "Hadith – The Book of Mosques and Places of Prayer – Sahih Muslim – Sayings and Teachings of Prophet Muhammad (صلى الله عليه و سلم)"। Sunnah।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ কারেন্ট মেডিকাল ডায়াগ্নসিস & ট্রিটমেন্ট ২০০৭
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |