বাংলাদেশের সঙ্গীত
আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে সঙ্গীতের ব্যাপক প্রচার রয়েছে। সাধারণত সঙ্গীতকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায়ঃ সঙ্গীত=ছন্দ+সুর অর্থাৎ দুইটি ছন্দযুক্ত বাক্য সুর করে উচ্চারণ করা হলে তাকে বলা হয় গান বা সঙ্গীত।
বাংলাদেশ-এর সঙ্গীত | |
---|---|
![]() বাউল, বাংলার আধ্যাত্মিক গান | |
ধরন | |
নির্দিষ্ট ধরন | |
ধর্মীয় সঙ্গীত | |
জাতিগত সঙ্গীত | |
ঐতিহ্যবাহি সঙ্গীত | |
মিডিয়া এবং কর্মক্ষমতা | |
সঙ্গীত পুরস্কার | |
সঙ্গীত উৎসব | |
সঙ্গীত মিডিয়া | বেতার
টেলিভিশন ইন্টারনেট |
জাতীয় এবং দেশাত্মবোধক গান | |
জাতীয় সঙ্গীত | আমার সোনার বাংলা |
অন্যান্য | নতুনের গান (রণসঙ্গীত) একুশের গান (ভাষা আন্দোলন গাথা) |
আঞ্চলিক সঙ্গীত | |
সম্পর্কিত এলাকা | |
অন্যান্য এলাকা | |
প্রাচীন বাংলায় সঙ্গীতসম্পাদনা
প্রাচীন বাংলায় সাধারণ মানুষ চিঠি লিখত পদ্যাকারে।কিন্তু উচ্চারণ করার সময় একটু সুর দিয়ে উচ্চারণ করত। তখন থেকেই সঙ্গীতের প্রচলন শুরু। তখনকার বৌদ্ধ সমাজে চর্যাপদ একটি বিশেষ জায়গা দখল করে ছিল। বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারকেরা তা গানের সুরে উচ্চারণ করতেন। ফলে পাঠকের মন জয় করা সহজ হত। তেমনি একটি পদ্য হল:
“ | “কা আ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল
চঞ্চল চী এ পইঠা বি কাল” |
” |
— লুই পা |
তখনকার হিন্দু সমাজেও দেবীর পূজায় গান গেয়ে সাধারণ মানুষ দেবীর পূজা করত।
মধ্যযুগে সঙ্গীতসম্পাদনা
এদেশে মধ্যযুগে সঙ্গীতচর্চা ছিল উচ্চমানের। মধ্যযুগে আলাওল রচিত মঙ্গলকাব্য ছিল এক প্রকারের সঙ্গীতের ভান্ডার। এছাড়া মধ্যযুগের কবিদের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, লালন শাহ, শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজা, রাধারমণ প্রমূখ। সে সময়ে হিন্দুদের দেবীদের উদ্দেশ্যে কীর্তন রচিত হত। এছাড়া রচিত হয়েছে বৈষ্ণব পদাবলি। এটি রচিত হত মূলত কৃষ্ণা ও রাধার কাহিনীকে ঘিরে। এসব বৈষ্ণব পদাবলীর বিখ্যাত পদকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বিদ্যাপতি,চন্ডীদাস,জ্ঞানদাস,গোবিন্দ দাস প্রমূখ।[১]
মধ্যযুগীয় মুসলিম সমাজে সঙ্গীতসম্পাদনা
মধ্যযুগে মুসলিম সমাজে পুঁথি পাঠের আসর বসত। পুঁথিগুলো পাঠ করা হত গানের সুরে। পুঁথিগুলো নেওয়া হত আরব্য উপন্যাস,পারস্য থেকে পাওয়া বিভিন্ন আখ্যান থেকে। কয়েকটি পুঁথি হলঃ
এছাড়া সে যুগে বাদ্য ছাড়া একধরনের সৃষ্টিকর্তার স্তুতি গাওয়া হত যা গজল নামে পরিচিত ছিল।
মধ্যযুগীয় হিন্দুসমাজে সঙ্গীতসম্পাদনা
মধ্যযুগের হিন্দু সমাজে সবচেয়ে বেশি সঙ্গীতে প্রচলন ছিল। হিন্দুরা পূজায় দেবতার উদ্দেশ্যে গান গাইত। তখনকার হিন্দু সমাজে কীর্তন গান হত। এছাড়া ছিল বৈষ্ণব পদাবলি।
আধুনিক যুগে সঙ্গীতসম্পাদনা
আধুনিক যুগে বাংলাদেশ এদেশে সঙ্গীত অনেক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেঃ
লোকগীতিসম্পাদনা
লোকগীতি বলতে বোঝানো হয় নজরুলগীতি,রবীন্দ্রসঙ্গীত,পল্লীগীতি ইত্যাদি অর্থাৎ মধ্যযুগীয় গায়কদের গান।নিচে কিছু লোকগীতির তালিকা দেওয়া হলঃ
লোকগীতি | রচয়িতা |
---|---|
নজরুলগীতি | কাজী নজরুল ইসলাম |
রবীন্দ্রসঙ্গীত | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
পল্লীগীতি | জসিমউদ্দীন |
লালনসঙ্গীত | লালন শাহ |
এছাড়াও রয়েছে ভাওয়াইয়্যা,ভাটিয়ালি,মুর্শিদি,গম্ভীরা,বারমাস্যা,বাউলসঙ্গীত , নির্ব্বান সঙ্গীতইত্যাদি।বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা গানটির সুর নেওয়া হয়েছে এক বাউলগান এর সুর থেকে।
আধুনিক গানসম্পাদনা
আধুনিক গান হল আধুনিক বাদ্যযন্ত্র যেমনঃগিটার,পিয়ানো,হারমোনিয়াম,বাঁশি,ড্রাম,বেহালা ইত্যাদি সহযোগে যে গান গাওয়া হয়।এসব গান অনেক ধরনের হয়ঃ
কয়েকজন আধুনিক গানের শিল্পী হলঃ
ধরন | গায়ক |
---|---|
ব্যান্ড সঙ্গীত | জেমস |
পপসঙ্গীত | রুনা লায়লা,ফিরোজ সাঁই,ফকির আলমগীর,আজম খান |
ব্যান্ড সঙ্গীতসম্পাদনা
প্রতিষ্ঠিত | নাম | ধরন | ভাষা | শহর |
---|---|---|---|---|
১৯৭০ | সোলস | pop/rock | বাংলা | চট্টগ্রাম |
১৯৭০ | উচ্চারন | Pop rock | বাংলা | ঢাকা |
১৯৭২ | স্পন্দন | pop/rock | বাংলা | ঢাকা |
১৯৭৬ | ফীডব্যাক | রক | বাংলা | ঢাকা |
১৯৭৮ | মাইলস | Pop rock | বাংলা | ঢাকা |
১৯৮০ | নগর বাউল | হার্ড রক, সাইকেডেলিক রক | বাংলা | চট্টগ্রাম |
১৯৮০ | ডিফারেন্ট টাচ | পপ রক | বাংলা | খুলনা |
১৯৮৪ | ওয়ারফেজ | হার্ড রক, হেভি মেটাল | বাংলা | ঢাকা |
1985 | Rockstrata | হেভি মেটাল সঙ্গীত | বাংলা | ঢাকা |
1986 | নোভা | রক সঙ্গীত, হার্ড রক, সাইকেডেলিক রক | বাংলা | ঢাকা |
1991 | লাভ রান্স ব্লাইন্ড (এলআরবি) | অল্টারনেটিভ রক | বাংলা | চট্টগ্রাম |
1991 | আর্ক | পপ রক | বাংলা | চট্টগ্রাম |
1993 | ক্রিপটিক ফেইট | Progressive metal | বাংলা | ঢাকা |
1996 | শিরোনামহীন | Folk music, alternative rock, psychedelic rock | বাংলা | ঢাকা |
1996 | দলছুট | রক | বাংলা | ঢাকা |
1998 | অর্থহীন | রক, হেভি মেটাল | বাংলা | ঢাকা |
1998 | Black | Rock music, alternative rock, grunge | বাংলা | ঢাকা |
1998 | Poizon Green | Thrash/Power Metal | English | ঢাকা |
1999 | আর্টসেল | Progressive metal, progressive rock | বাংলা | ঢাকা |
1999 | Scarecrow | থ্রাশ মেটাল, মেটাল কোর | বাংলা | ঢাকা |
1999 | নেমেসিস | অল্টারনেটিভ রক | বাংলা | ঢাকা |
2000 | লালন | রক | বাংলা | ঢাকা |
2001 | Stentorian | Hard rock, heavy metal | বাংলা | ঢাকা |
2001 | Vibe | Heavy Metal | বাংলা | ঢাকা |
2001 | Satanik | Black Metal | English | ঢাকা |
2002 | Arbovirus | Experimental music, alternative rock, Nu metal | বাংলা | ঢাকা |
2004 | Severe Dementia | ডেথ মেটাল | English | ঢাকা |
2004 | Funeral Anthem | পাওয়ার মেটাল | বাংলা | ঢাকা |
2005 | শহরতলী | Theatrical rock | বাংলা | ঢাকা |
2006 | De-illumination | Symphonic rock, সাইকেডেলিক রক | বাংলা | ঢাকা |
2006 | Mechanix | Heavy Metal | বাংলা | ঢাকা |
2006 | Powersurge | Thrash Metal | বাংলা | ঢাকা |
2007 | শূন্য | Pop rock | বাংলা | ঢাকা |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাঙালীর সংস্কৃতি ও শিল্পকলা-বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পাঠ্যবই-৮ম শ্রেণী
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |