বুদ্ধ পূর্ণিমা

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব

বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়।বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকেন[১]

বুদ্ধ পূর্ণিমা
Dharma Wheel.svg
আনুষ্ঠানিক নামবৈশাখী পূর্ণিমা
পালনকারীবৌদ্ধ
তাৎপর্যগৌতম বুদ্ধের জন্মদিন বা বুদ্ধদিবস
তারিখবঙ্গাব্দঃ বৈশাখ ৩০

বিভিন্ন দেশে উদ্‌যাপনসম্পাদনা

বাংলাদেশসম্পাদনা

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছরই পালিত হয়। বৌদ্ধধর্মের উৎসব হলেও ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সর্বসাধারণের জন্য এই দিনটি সরকারি ছুটি থাকে। প্যাগোডায় প্যাগোডায় চলতে থাকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দিবস উদ্‌যাপনের যাবতীয় কার্যক্রম। এছাড়া বিভিন্ন গ্রাম ও বিহারে এই দিনে মেলা বসে। সবচেয়ে বড় মেলাটি বসে চট্টগ্রামের বৈদ্যপাড়া গ্রামে, যা বোধিদ্রুম মেলা নামে সমধিক পরিচিত।[১]

শ্রীলঙ্কাসম্পাদনা

শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি বৌদ্ধ ধর্মে প্রভাবিত দেশসমূহে বিশেষ মর্যাদা সহকারে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এইসকল দেশে এই দিনে সরকার কর্তৃক মদ্য, মাছ, মাংসাদির বিক্রয়ের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত থাকে। দেশবাসীগণকে সাদা রঙের পোশাক পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ফেলোশিপ অফ বুদ্ধিস্ট’ এর প্রথম কনফারেন্সে বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমা তিথিটিতে বুদ্ধের জন্মদিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ বন্দনা ও করে থাকেন।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "বুদ্ধ পূর্ণিমা", সিলেবাসে নেই, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ১১ মে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ। পৃ. ৪। পরিদর্শনের তারিখ: ১৭ মে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।