২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ (আরবি: كَأسُ اَلعَالَمِ ٢٠٢٢, প্রতিবর্ণীকৃত: কা'সু আল আলামি ২০২২; উপসাগরীয় আরবি: كَاسُ اَلعَالَمِ ٢٠٢٢, প্রতিবর্ণী. কাসু আল আলামি ২০২২) হচ্ছে ফিফা দ্বারা আয়োজিত চতুর্বার্ষিক আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব, যেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার অন্তর্ভুক্ত ৩২টি জাতীয় ফুটবল দল (পুরুষ) প্রতিযোগিতা হয়েছে। এই আসরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ আরব বিশ্বের কোন দেশে অনুষ্ঠিত হয়;[১] এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের পর এটি এশিয়ায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ফিফা বিশ্বকাপ।[ক] এটি ৩২ দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসর; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় অনুষ্ঠিত ২০২৬ সালের আসর হতে ৪৮ দলের সমন্বয়ে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের তীব্র গ্রীষ্মকালীন উত্তাপের কারণে এই আসরটি ২০২২ সালের ২০শে নভেম্বর হতে ১৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারের ৫টি শহরের ৮টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় [২] যার ফলে এটি মে, জুন অথবা জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত না হওয়া এবং উত্তর শরৎকালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসর হয়েছে এটি প্রায় ২৯ দিনের সময়সীমায় অনুষ্ঠিত হয়।[৩] এই আসরে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে আল খুরের আল বাইত স্টেডিয়ামে কাতার এবং ইকুয়েডর মুখোমুখি হয়, এই ম্যাচে ইকুয়েডর জয়লাভ করে। অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে কাতার জাতীয় দিবসে ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | কাতার |
তারিখ | ২০ নভেম্বর – ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ |
দল | ৩২ (৫টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ৮ (৫টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | আর্জেন্টিনা (৩য় শিরোপা) |
রানার-আপ | ফ্রান্স |
তৃতীয় স্থান | ক্রোয়েশিয়া |
চতুর্থ স্থান | মরক্কো |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৬৪ |
গোল সংখ্যা | ১৭২ (ম্যাচ প্রতি ২.৬৯টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩৪,০৪,২৫২ (ম্যাচ প্রতি ৫৩,১৯১ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | কিলিয়ান এমবাপে (৮টি গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | লিওনেল মেসি |
সেরা যুব খেলোয়াড় | এনসো ফের্নান্দেস |
সেরা গোলরক্ষক | এমিলিয়ানো মার্তিনেস |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | ইংল্যান্ড |
২০১১ সালের মে মাসে, কাতারের এই আসরটি আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে ফিফার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দুর্নীতির বিষয়ে ফিফার তদন্ত প্রতিবেদনে কাতারকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে তবে প্রধান তদন্তকারী মাইকেল জে গার্সিয়া তখন থেকে তার তদন্তের বিষয়ে ফিফার প্রতিবেদনে "অসংখ্য বস্তুগতভাবে অসম্পূর্ণ এবং ভুল উপস্থাপনা" র্যেছে বলে বর্ণনা করেছেন।[৪] ২০১৫ সালের ২৭শে মে তারিখে, সুইস ফেডারেল অভিশংসকরা ২০১৮ ও ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ নিলাম প্রক্রিয়া বিষয়ে দুর্নীতি এবং অর্থপাচারের তদন্ত শুরু করেছিলেন।[৫][৬] ২০১৮ সালের ৬ই আগস্ট তারিখে, ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্লাটার দাবি করেছিলেন যে কাতার "ব্ল্যাক অপস" ব্যবহার করেছে, যা ইঙ্গিত করে যে নিলাম প্রক্রিয়া কমিটি আয়োজন অধিকার অর্জনের জন্য প্রতারণা করেছে।[৭] উপরন্তু, কাতার বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সাথে জড়িত বিদেশি কর্মীরা তাদের আচরণের কারণে কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল "জোরপূর্বক শ্রম"-এর কথা উল্লেখ করে বলেছে যে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং অসতর্ক ও অমানবিক কাজের অবস্থার কারণে শত শত অথবা হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছে;[৮] এছাড়াও অনেক অভিবাসী শ্রমিককে চাকরি পাওয়ার জন্য অধিক পরিমাণ "নিয়োগ ফি" দিতে হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।[৯] দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি তদন্তে দাবি করা হয়েছে যে অনেক শ্রমিককে খাদ্য ও জল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, তাদের পরিচয়পত্র তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তাদের সময়মতো অথবা একেবারেই বেতন দেওয়া হয়নি এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে কার্যত ক্রীতদাস করা হয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ানের হিসাব অনুযায়ী, এই আসরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা ও অন্যান্য কারণে ৪,০০০ কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। ২০১৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, কাতারি সরকার এই আসরের কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য নতুন শ্রম সংস্কার গ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে সকল শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি এবং কাফালা ব্যবস্থা অপসারণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, গত কয়েক বছরে বিদেশি শ্রমিকদের বসবাস ও কাজের অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।[১০]
ফ্রান্স ফিফা বিশ্বকাপের পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন,[১১][১২] যারা ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[১৩]
আয়োজক নির্ধারণ
সম্পাদনা২০১৮ ও ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নিলামের প্রক্রিয়া ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল এবং জাতীয় ফুটবল ক্লাব সংস্থাগুলো তাদের আগ্রহ নিবন্ধনের জন্য ২০০৯ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত সময় পেয়েছিল।[১৪] প্রাথমিকভাবে, ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য ১১টি আবেদনপত্র জমা হয়েছিল, কিন্তু মেক্সিকো পরবর্তীতে এই কার্যক্রম থেকে তাদের নাম প্রত্যাহার করে দিয়েছিল[১৫][১৬] এবং ইন্দোনেশিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাদের আবেদনপত্রের পক্ষে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনাপত্তিপত্রএকটি চিঠি জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফিফা ইন্দোনেশিয়ার আবেদনপত্রটি প্রত্যাখ্যান করেছিল।[১৭] কাতারকে ২০২২ সালের আসরটি প্রদান করার পূর্ব পর্যন্ত ইন্দোনেশীয় কর্মকর্তারা ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য আবেদন বাতিল করেনি। আয়োজক নির্ধারণ প্রক্রিয়া চলাকালীন, সকল উয়েফা বহির্ভূত দেশগুলো ধীরে ধীরে ২০১৮ সালের আসরের জন্য করা তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, যার ফলে এটি নিশ্চিত হয়েছিল যে একটি উয়েফা জাতি ২০১৮ সালের আসরটি আয়োজন করবে এবং এর ফলে উয়েফা দেশগুলো ২০২২ সালের আয়োজক নির্ধারণ প্রক্রিয়ার জন্য অযোগ্য হয়ে উঠবে।
শেষ পর্যন্ত ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল: অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফিফার ২২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি ২০১০ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে উভয় আসরের আয়োজক নির্বাচন করার জন্য ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।[১৮] ফিফার নির্বাহী কমিটির দুই সদস্যকে তাদের ভোট সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে ভোটের পূর্বে বরখাস্ত করা হয়েছিল।.[১৯] কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত, যা "উচ্চ কর্মক্ষম ঝুঁকি" হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করার পাশাপাশি গণমাধ্যম ধারাভাষ্যকারদের কাছ থেকে সমালোচনা সৃষ্টি করেছিল।[২০][২১] ফিফা দুর্নীতি কেলেঙ্কারির অংশ হিসেবে অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন।[২২]
এই আসরের আয়োজক নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের ভোটের ধরণগুলো নিম্নরূপ:[২৩]
দেশ | ভোট | |||
---|---|---|---|---|
প্রথম পর্ব | দ্বিতীয় পর্ব | তৃতীয় পর্ব | চতুর্থ পর্ব | |
কাতার | ১১ | ১০ | ১১ | ১৪ |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩ | ৫ | ৬ | ৮ |
দক্ষিণ কোরিয়া | ৪ | ৫ | ৫ | অপনীত |
জাপান | ৩ | ২ | অপনীত | |
অস্ট্রেলিয়া | ১ | অপনীত |
কাতার আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ যাকে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার প্রদান করা হয়েছে – আয়তনের দিক থেকে পরবর্তী ক্ষুদ্রতম দেশ সুইজারল্যান্ড, যারা ১৯৫৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল, তারা কাতারের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি বড়। বর্তমান ৩২টির পরিবর্তে কেবলমাত্র ১৬টি দল সমন্বিত দেশকে আয়োজন করার অধিকার প্রদান করা হয়। কাতার দ্বিতীয় দেশ (প্রথম দেশ ছিল উরুগুয়ে, যারা ১৯৩০ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে) ফিফা বিশ্বকাপের পূর্ববর্তী কোন আসরে উত্তীর্ণ না হয়েও ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার অর্জন করেছে। পূর্বে জাপানকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সহ-আয়োজক হিসেবে ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করার অধিকার প্রদান করা ছিল, যদিও তারা আয়োজন নির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বের জন্য কখনো উত্তীর্ণ হয়নি, তবে পরবর্তীতে তারা ১৯৯৮ ফিফা বিশ্বকাপের উত্তীর্ণ হয়েছিল।
কিছু তদন্তে লক্ষ্য করা গিয়েছে যে কাতার সিআইএ-এর প্রাক্তন কর্মকর্তা থেকে ব্যক্তিগত ঠিকাদার, কেভিন চকারকে আয়োজন অধিকার সুরক্ষিত করতে, নিলামে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশ এবং ফুটবলের মূল কর্মকর্তাদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য নিয়োগ করেছিল।[২৪] অতঃপর ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগগুলো ফিফা দ্বারা তদন্ত করা হয়েছে।
সম্ভাব্য সম্প্রসারণ
সম্পাদনাপ্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের চার বছর পূর্বে ২০১৮ সালের ১২ই এপ্রিল তারিখে, কনমেবল ফিফাকে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপকে ৩২ থেকে ৪৮টি দলে সম্প্রসারণ করার জন্য অনুরোধ করেছিল।[২৫][২৬] উক্ত সময় ফিফার সভাপতি জান্নি ইনফান্তিনো এই অনুরোধটি বিবেচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।[২৭] তবে, ফিফা কংগ্রেস ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর কিছুদিন পূর্বে এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল। ইনফান্তিনো বলেছিলেন, বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৪৮ দলের বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে না এবং তারা প্রথমে আয়োজক দেশের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে।[২৮]
২০১৯ সালের মার্চ মাসে, একটি "ফিফা সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন" এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে "এক বা একাধিক" প্রতিবেশী দেশ এবং "দুই থেকে চারটি অতিরিক্ত মাঠ"-এর সহায়তায় এই আসরটি ৪৮টি দলে সম্প্রসারণ করা সম্ভব ছিল। ফিফা আরো জানিয়েছিল, "যদিও তারা [এই আসরের] বিন্যাস পরিবর্তন করে পৃষ্ঠপোষক হারানোর আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না, তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৪৮টি দলে সম্প্রসারণ করার ঝুঁকি কম ছিল। ফিফা এবং কাতার জুন মাসের শেষের দিকে ফিফা কাউন্সিল এবং ফিফা কংগ্রেসে জমা দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য যৌথ প্রস্তাবগুলো অন্বেষণ করেছিল। যদি একটি যৌথ প্রস্তাব পেশ করা হতো, তাহলে ফিফার সদস্য সংগঠনগুলো ৫ই জুন তারিখে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৬৯তম ফিফা কংগ্রেসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ভোট দিতো।[২৯][৩০] তবে, ২২শে মে তারিখে ফিফা ঘোষণা করেছিল যে তারা এই আসরে দল সংখ্যা বর্ধিত করবে না।[৩১]
দল
সম্পাদনাবাছাইপর্ব
সম্পাদনাফিফার ছয়টি মহাদেশীয় কনফেডারেশন তাদের নিজস্ব বাছাইপর্ব আয়োজন করেছিল। ফিফার অন্তর্ভুক্ত সকল সদস্য সংস্থা (বর্তমানে ২১১টি রয়েছে) বাছাইপর্বে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। আয়োজক হিসেবে কাতার এই আসরের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তবে, এএফসি কাতারকে এশীয় বাছাইপর্বে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল, কেননা প্রথম দুটি পর্ব ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।[৩২] কাতার তাদের গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হওয়ার পৌঁছানোর পর, লেবানন পঞ্চম সেরা দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দল হিসেবে অগ্রসর হয়েছিল।[৩৩]
পূর্ববর্তী আসরের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও স্বাভাবিকভাবেই বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে।[৩৪] সেন্ট লুসিয়া প্রাথমিকভাবে বাছাইপর্বের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল, তবে তাদের প্রথম ম্যাচের পূর্বে তারা তাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে দেখিয়ে উত্তর কোরিয়া বাছাইপর্ব থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে দিয়েছিল। মার্কিন সামোয়া এবং সামোয়া উভয়ই ওএফসি ড্রয়ের পূর্বে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ২০২২ হাঙ্গা টোঙ্গ–হাঙ্গা হা'আপাই অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির পর টোঙ্গা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। নিজেদের দলে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে ভানুয়াতু এবং কুক দ্বীপপুঞ্জও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
২০১৫ সালের ৩০শে মে তারিখে ফিফা কংগ্রেসের পর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার নির্বাহী কমিটি প্রতিটি কনফেডারেশনের জন্য স্থান বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করেছিল।[৩৫] কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে ২০০৬ সালে বরাদ্দকৃত দলের স্থান সংখ্যা, যা ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জন্য অপরিবর্তিত ছিল, এই আসরের জন্যও একই থাকবে:[৩৬]
- ক্যাফ (আফ্রিকা): ৫
- এএফসি (এশিয়া): ৪.৫ (আয়োজক দেশ ব্যতীত)
- উয়েফা (ইউরোপ): ১৩
- কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয়): ৩.৫
- ওএফসি (ওশেনিয়া): ০.৫
- কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা): ৪.৫
২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাছাইপর্বের একটি ড্র হওয়ার কথা ছিল; এটি পরে বাতিল করা হয়েছিল যেন প্রতিটি কনফেডারেশন তাদের নিজস্ব বাছাইপর্বের জন্য তাদের নিজস্ব ড্র আয়োজন করতে পারে।[৩৭] ২০১৯ সালের ৬ই জুন তারিখে এশীয় বাছাইপর্বের প্রথম পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে মঙ্গোলিয়া ব্রুনাইকে ২–০ গোলে্র ব্যবধানে পরাজিত করেছিল, উক্ত ম্যাচে মঙ্গোলীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নরজমুগিন সেদেনবাল বাছাইপর্বের প্রথম গোলটি করেছিলেন।[৩৮]
গরম নিয়ে উদ্বেগের কারণে, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাবগুলো চেয়েছিল যে সাধারণ জুন এবং জুলাই মাসের পরিবর্তে ২৮শে এপ্রিল থেকে ২৯শে মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হোক।[৩৯]
উত্তীর্ণ দল
সম্পাদনা২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ ৩২টি দেশের মধ্যে ২৪টি দেশ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।[৪০] কাতারই একমাত্র দল, যারা ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করবে, ১৯৩৪ সালে ইতালির পর দ্বিতীয় আয়োজক দেশ হিসেবে কাতার এই আসরে অভিষেক করবে। এর ফলস্বরূপ, ২০২২ সালের আসরটি প্রথম বিশ্বকাপ, যেখানে বাছাইপর্বের মাধ্যমে উত্তীর্ণ কোন দলই অভিষেক করবে না। নেদারল্যান্ডস, ইকুয়েডর, ঘানা, ক্যামেরুন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালের আসরে অনুপস্থিত থাকার পর এই আসরের মাধ্যমে পুনরায় ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। ৩৬ বছর পর কানাডা পুনরায় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, তারা সর্বশেষ উপস্থিতি ১৯৮৬ সালে অংশগ্রহণ করেছিল।[৪১][৪২] অন্যদিকে, ৬৪ বছর পর ওয়েলস পুনরায় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, যা কোন ইউরোপীয় দলের জন্য একটি রেকর্ড ব্যবধান; তারা সর্বশেষ উপস্থিতি ১৯৫৮ সালে অংশগ্রহণ করেছিল।[৪৩]
চারবারের চ্যাম্পিয়ন এবং উয়েফা ইউরো ২০২০-এর বিজয়ী, ইতালি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপের মতো চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে ব্যর্থ হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪শে মার্চ তারিখে উত্তর মেসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে প্লে-অফ সেমি-ফাইনালে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[৪৪] ইতালি একমাত্র সাবেক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এই আসরে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে গত বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়াকে এই আসর থেকে অপনয়ন করা হয়েছে।[৪৫] পূর্বের টানা তিন আসরে অংশগ্রহণকারী এবং সর্বশেষ সাত আসরের ছয় আসরে অংশগ্রহণকারী নাইজেরিয়া ক্যাফের চূড়ান্ত প্লে-অফ পর্বে ঘানার কাছে অ্যাওয়ে গোলে পরাজিত হয়ে এই আসরে অংশগ্রহণ করে ব্যর্থ হয়েছে।
এএফসি (৬)
ক্যাফ (৫)
|
কনকাকাফ (৪) কনমেবল (৪) ওএফসি (০)
|
উয়েফা (১৩)
|
|
ড্র
সম্পাদনাএই আসরের চূড়ান্ত ড্র ২০২২ সালের ১লা এপ্রিল তারিখে ১৯:০০টায় (এএসটি) কাতারের দোহার দোহা এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৪৬] যেহেতু ড্রটি বাছাইপর্বের ম্যাচ সমাপ্তির পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই আন্ত-কনফেডারেশন প্লে-অফের দুই বিজয়ী এবং উয়েফা প্লে-অফের পথ এ-এর বিজয়ী দলের নাম উক্ত সময়ে নিশ্চিত হয়নি।[৪৭]
এই আসরের ড্রয়ের জন্য ২০২২ সালের ৩১শে মার্চ তারিখে প্রকাশিত পুরুষদের ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ওপর ভিত্তি করে ৩২টি দলকে চারটি পাত্রে বিভক্ত করা হয়েছিল।[৪৮] পাত্র ১-এ স্বাগতিক কাতার (যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ১ স্থানে নিযুক্ত হয়েছিল) এবং বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা সেরা সাতটি দল ছিল। পাত্র ২-এ পরবর্তী সেরা আটটি দল ছিল, পরবর্তী সেরা আটটি দল পাত্র ৩-এ ছিল। পাত্র ৪-এ সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচটি দলের পাশাপাশি আন্ত-কনফেডারেশন প্লে-অফের দুই বিজয়ী দল এবং উয়েফা প্লে-অফের পথ এ-এর বিজয়ী দল স্থান ছিল। ড্রয়ের সময় একটি নিয়ম ছিল; উয়েফার দল ব্যতীত একই কনফেডারেশনের দলগুলো একই গ্রুপে ড্র করা যাবে না, যার জন্য প্রতি গ্রুপে কমপক্ষে একটি এবং দুটির বেশি ছিল না। এই নিয়মটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত দলের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়েছিল, প্রতিটি প্লে-অফের সম্ভাব্য বিজয়ীদের ক্ষেত্রেও কনফেডারেশনের এই নিয়মটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। ড্রটি পাত্র ১-এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং পাত্র ৪-এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল, প্রতিটি পাত্রের একটি দল নির্বাচিত হওয়ার পর ইংরেজি বর্ণানুক্রমিকভাবে প্রথম উপলব্ধ গ্রুপে পরবর্তী দলের স্থান বরাদ্দ করা হয়েছিল। অতঃপর (ম্যাচের সময়সূচীর উদ্দেশ্যে) গ্রুপের মধ্যে দলের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেখানে পাত্র ১-এর দলগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি গ্রুপের প্রথম অবস্থান ধারণ করেছিল।[৪৯] ড্রয়ের জন্য ব্যবহৃত পাত্রগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:[৫০]
|
|
|
|
রেফারি
সম্পাদনা২০২২ সালের ১৯শে মে তারিখে, ফিফা এই আসরের জন্য ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভিডিও সহকারী রেফারির তালিকা ঘোষণা করেছিল। ৩৬ জন রেফারির মধ্যে ফিফা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দুইজন করে রেফারি অন্তর্ভুক্ত করেছে।[৫১][৫২] এই আসরের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মহিলা রেফারি ফিফাভুক্ত পুরুষদের কোন বড় প্রতিযোগিতার ম্যাচ পরিচালনা করবেন।
ফ্রান্সের স্তেফানি ফ্রাপার্ত, রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা এবং জাপানের ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে পুরুষদের বিশ্বকাপে নিযুক্ত হয়েছেন।[৫৩] তাদের সাথে তিনজন মহিলা সহকারী রেফারি যোগ দেবেন, এটিও ফিফা বিশ্বকাপে প্রথম। ফ্রাপার্ত ইতিমধ্যে ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন।[৫৪] গাম্বিয়ার রেফারি বাকারি গাসামা এবং আর্জেন্টিনার সহকারী রেফারি হুয়ান পাবলো বেলাতি এই আসরের মাধ্যমে তৃতীয় ফিফা বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন করবেন। বেলাতি ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৫৫][৫৬][৫৭] এছাড়াও পূর্ববর্তী বিশ্বকাপে অনুপস্থিত থাকার পর এই আসরে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রেফারিগণ হলেন: মেক্সিকোর সেসার আর্তুরো রামোস এবং জাম্বিয়ার জানি সিকাজুয়ে এবং ইরানের সহকারী রেফারি মুহাম্মদরেজা মন্সুরি।[৫৮][৫৯][৬০]
মাঠ
সম্পাদনা২০১০ সালের মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিশ্বকাপের এই আসরের জন্য প্রস্তাবিত পাঁচটি মাঠের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। কাতার স্টেডিয়ামগুলোতে কাতারের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিকগুলো প্রতিফলিত করতে এবং স্টেডিয়ামগুলোর নকশায় বেশ কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে চেয়েছিল, যেগুলো হলো: উত্তরাধিকার, স্বাচ্ছন্দ্য, অভিগম্যতা এবং স্থায়িত্ব।[৬১] কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে, স্টেডিয়ামগুলো শীতলকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সজ্জিত করা হবে, যা স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরের তাপমাত্রা ২০ °C (৩৬ °F) পর্যন্ত হ্রাস করার লক্ষ্যে কাজ করবে, তবে এটি তখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে এটি প্রকৃতপক্ষে খোলা স্টেডিয়ামে কাজ করবে কিনা। বিপণনের ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামগুলোকে শূন্য বর্জ্য হিসেবে বর্ণনা করে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছিল এবং বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামগুলোর উপরের স্তরগুলো বিচ্ছিন্ন করে কম উন্নত ক্রীড়া অবকাঠামোর দেশগুলোতে দান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।[৬২][৬৩] কাতার বিশ্বকাপের সকল স্টেডিয়ামের জন্য গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট সিস্টেম (জিএসএএস) দ্বারা অনুগত এবং প্রত্যয়িত হতে চেয়েছিল। যে পাঁচটি স্টেডিয়াম প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, তার সবগুলোই জার্মান স্থপতি আলবার্ট স্পেয়ার অ্যান্ড পার্টনার্স দ্বারা নকশা করা হয়েছে।[৬৪] আল বাইত স্টেডিয়ামটি এই আসরের জন্য ব্যবহৃত আটটির মধ্যে একমাত্র ইন্ডোর স্টেডিয়াম হবে।[৬৫]
২০১০ সালের ৯ই ডিসেম্বর তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ফিফার তৎকালীন সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল যে অন্যান্য দেশগুলো বিশ্বকাপের সময় কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।[৬৬] ব্ল্যাটার জানিয়েছিলেন যে এই জাতীয় কোন সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রথমে কাতারকে নিতে হবে এবং তারপরে ফিফার নির্বাহী কমিটি দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।[৬৭] জর্ডানের রাজপুত্র আলি বিন আল হুসেন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছিলেন যে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সম্ভবত সৌদি আরবে খেলা আয়োজন করা এই অঞ্চলের জনগণকে একত্র করতে সহায়তা করবে।[৬৮]
ব্যাংক অব আমেরিকার বিনিয়োগ ব্যাংকিং বিভাগ মেরিল লিঞ্চ কর্তৃক ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাতারের আয়োজকরা ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে ফিফাকে আরও কম সংখ্যক স্টেডিয়াম অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেছে।[৬৯] ব্লুমবার্গ.কম জানিয়েছিল যে, কাতার মাঠের সংখ্যা মূলত পরিকল্পিত ১২টি থেকে কমিয়ে ৮ বা ৯-এ নামিয়ে আনতে চায়।[৭০]
যদিও ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে, পাঁচ বছরের মধ্যে কাতারকে কতগুলি স্টেডিয়াম প্রস্তুত করতে হবে তা ফিফা চূড়ান্ত করতে পারেনি, কাতারের সর্বোচ্চ বিতরণ ও উত্তরাধিকার কমিটি জানিয়েছিল যে তারা আশা করেছিল যে দোহা এবং এর নিকটবর্তী আটটি (আল খুর ব্যতীত) মাঠ থাকবে।[৭১][৭২] ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে, জান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছিলেন যে ফিফা রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস করার জন্য এই আসর চলাকালীন প্রতিবেশী দেশগুলোতে ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।[৭৩]
স্টেডিয়াম ৯৭৪ (পূর্বে রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম নামে পরিচিত) সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লেগাসি (এসসি) দ্বারা এই আসরের সপ্তম মাঠ হিসেবে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এর নামকরণ স্টেডিয়ামে নির্মাণে ব্যবহৃত শিপিং কন্টেইনারের সংখ্যা এবং কাতারের আন্তর্জাতিক সংযোগ নম্বর অনুযায়ী করা হয়েছে। স্টেডিয়ামটি এই প্রতিযোগিতার সময় সাতটি ম্যাচ আয়োজন করবে।[৭৪]
লুসাইল | আল খুর | দোহা | |
---|---|---|---|
লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম | আল বাইত স্টেডিয়াম | স্টেডিয়াম ৯৭৪ | আল সুমামাহ স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা: ৮০,০০০ | ধারণক্ষমতা: ৬০,০০০[৭৫] | ধারণক্ষমতা: ৪০,০০০[৭৬] | ধারণক্ষমতা: ৪০,০০০[৭৭] |
কাতারের আয়োজক শহর | দোহা অঞ্চলের স্টেডিয়াম | ||
আল রাইয়ান | আল ওয়াক্রাহ | ||
খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম | আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম[ঙ] | আল জানুব স্টেডিয়াম |
ধারণক্ষমতা: ৪৫,৪১৬[৭৮] | ধারণক্ষমতা: ৪৫,৩৫০[৭৯] | ধারণক্ষমতা: ৪৪,৭৪০[৮০] | ধারণক্ষমতা: ৪০,০০০[৮১] |
টুর্নামেন্টের বর্ণনা
সম্পাদনাউদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সম্পাদনা২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে স্বাগতিক কাতার এবং ইকুয়েডরের মধ্যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের পূর্বে আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।[৮২] এতে দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক এবং বিটিএস সদস্য জংকুকের পরিবেশন করেন।[৮৩] ইংরেজ গায়ক রবি উইলিয়ামস পূর্বের সংস্করণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অংশ ছিলেন। কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরার প্রাথমিকভাবে পরিবেশন করার কথা ছিল, কিন্তু চার দিন আগে তিনি তার প্রত্যাহার নিশ্চিত করেন।[৮৪] এছাড়াও ইংরেজি গায়িকা ডুয়া লিপা প্রাথমিকভাবে অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণের কথা জানা গিয়েছিল; যাইহোক, তিনি কাতারকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সমকামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে "সমঝোতাকারী যেকোনো আলোচনায়" তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।[৮৫][৮৬]
সময়সূচী
সম্পাদনাকাতারের গ্রীষ্মের তীব্র তাপ এড়ানোর জন্য পূর্ববর্তী ফিফা বিশ্বকাপের বিপরীতে (যা সাধারণত জুন এবং জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে) এই বিশ্বকাপটি নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, জুলাই অথবা আগস্ট মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া ঘরোয়া ফুটবল লিগগুলোর মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এই বিশ্বকাপটি অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে সকল প্রধান ইউরোপীয় লিগ রয়েছে, যেগুলো বিশ্বকাপের জন্য তাদের ঘরোয়া সময়সূচীতে বর্ধিত বিরতি অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়েছে। এর বিপরীতে, যেসকল ঘরোয়া লিগ সাধারণত উত্তর বসন্তে তাদের ঋতু শুরু হয় এবং গ্রীষ্মের সকল আয়োজিত হয় (যেমন মেজর লিগ সকার) এই আসর শুরু হওয়ার পূর্বে তাদের মৌসুম শেষ করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২০ সালের ১৫শে জুলাই তারিখে, ফিফা এই আসরের ম্যাচের সময়সূচী নিশ্চিত করেছে।[৮৭] এই আসরের উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক কাতারের ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে, যা ২০২২ সালের ২১শে নভেম্বর তারিখে আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। গ্রুপ পর্বে প্রতিদিন চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রথম দুই পর্বের জন্য কিক-অফের সময় হচ্ছে ১৩:০০, ১৬:০০, ১৯:০০ এবং ২২:০০ এবং শেষ পর্বের একই সাথে সকল ম্যাচের কিক-অফ হয়, অন্যদিকে নকআউট পর্বের ম্যাচের জন্য সময় হচ্ছে ১৮:০০ এবং ২২:০০। ২০২২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর তারিখে খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে; উভয় ম্যাচই ১৮:০০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৮৮]
পূর্ববর্তী আসরের বিপরীতে (যেখানে প্রতিটি ম্যাচের জন্য মাঠ এবং কিক-অফ সময় ড্রয়ের পূর্বে নির্ধারণ করা হতো) প্রতিটি ম্যাচদিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাঠ এবং কিক-অফের সময় গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের পরে নির্ধারণ করা হয়েছিল। মাঠের ঘনিষ্ঠ নৈকট্যের কারণে, যা কাতারের দর্শকদের জন্য স্টেডিয়াম বরাদ্দ এবং টেলিভিশন দর্শকদের জন্য কিক-অফ সময়কে সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয়।[৮৭] প্রতিটি গ্রুপের জন্য গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো নিম্নলিখিত স্টেডিয়ামগুলোতে বরাদ্দ করা হয়েছে:[৮৮]
- গ্রুপ এ, বি, ই, এফ: আল বাইত স্টেডিয়াম, খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, আল সুমামাহ স্টেডিয়াম, আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়াম
- গ্রুপ সি, ডি, জি, এইচ: লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম, স্টেডিয়াম ৯৭৪, এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল জানুব স্টেডিয়াম
২০২২ সালের ১লা এপ্রিল তারিখে, ড্রয়ের পর ফিফা গ্রুপ পর্বের মাঠ এবং কিক-অফের সময় নিশ্চিত করেছে।[৮৯][৯০] ১১ই আগস্ট তারিখে, ফিফা জানায় যে কাতার বনাম ইকুয়েডরের ম্যাচটি একদিন নির্ধারিত দিনের একদিন পূর্বে অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে ম্যাচটি এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছে। এই সংশোধনীর পূর্বে সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটি এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল, যা সংশোধনীর পর মুক্ত সময়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।[৯১]
গ্রুপ পর্ব
সম্পাদনাটাইব্রেকার |
---|
প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্ণয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট) এবং যদি পয়েন্টের সমতা হয় তবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হবে (নিয়ম ১৭.০১):[৯২]
|
গ্রুপ এ
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | নেদারল্যান্ডস | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৫ | ১ | +৪ | ৭ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | সেনেগাল | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ৪ | +১ | ৬ | |
৩ | ইকুয়েডর | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৪ | |
৪ | কাতার (H) | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৭ | −৬ | ০ |
গ্রুপ বি
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইংল্যান্ড | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৯ | ২ | +৭ | ৭ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩ | ১ | ২ | ০ | ২ | ১ | +১ | ৫ | |
৩ | ইরান | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৭ | −৩ | ৩ | |
৪ | ওয়েলস | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৬ | −৫ | ১ |
গ্রুপ সি
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | আর্জেন্টিনা | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ২ | +৩ | ৬ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | পোল্যান্ড | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ২ | ০ | ৪ | |
৩ | মেক্সিকো | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ৩ | −১ | ৪ | |
৪ | সৌদি আরব | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ৫ | −২ | ৩ |
আর্জেন্টিনা | ১-২ | সৌদি আরব |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
গ্রুপ ডি
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ফ্রান্স | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৬ | ৩ | +৩ | ৬ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | অস্ট্রেলিয়া | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৩ | ৪ | −১ | ৬ | |
৩ | তিউনিসিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ১ | ১ | ০ | ৪ | |
৪ | ডেনমার্ক | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৩ | −২ | ১ |
গ্রুপ ই
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জাপান | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৬ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | স্পেন | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৯ | ৩ | +৬ | ৪ | |
৩ | জার্মানি | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৬ | ৫ | +১ | ৪ | |
৪ | কোস্টা রিকা | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ১১ | −৮ | ৩ |
গ্রুপ এফ
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | মরক্কো | ৩ | ২ | ১ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৭ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | ক্রোয়েশিয়া | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৫ | |
৩ | বেলজিয়াম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ১ | ২ | −১ | ৪ | |
৪ | কানাডা | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ২ | ৭ | −৫ | ০ |
গ্রুপ জি
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ব্রাজিল | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৩ | ১ | +২ | ৬ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | সুইজারল্যান্ড | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৪ | ৩ | +১ | ৬ | |
৩ | ক্যামেরুন | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪ | |
৪ | সার্বিয়া | ৩ | ০ | ১ | ২ | ৫ | ৮ | −৩ | ১ |
গ্রুপ এইচ
সম্পাদনাঅব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | পর্তুগাল | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৬ | ৪ | +২ | ৬ | নকআউট পর্বে উন্নীত |
২ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৪ | ৪ | ০ | ৪ | |
৩ | উরুগুয়ে | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ২ | ০ | ৪ | |
৪ | ঘানা | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৫ | ৭ | −২ | ৩ |
নকআউট পর্ব
সম্পাদনানকআউট পর্বে, যদি একটি খেলার ফলাফল ৯০ মিনিট পরেও সমতায় থাকে, অতিরিক্ত সময়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে (১৫ মিনিট করে দুই অর্ধে ৩০ মিনিট), যেখানে প্রতিটি দলের ষষ্ঠ খেলোয়াড় বদল করার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল সমতায় থাকে, তবে খেলার ফলাফল পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।[৯২]
বন্ধনী
সম্পাদনাশেষ ১৬ পর্ব | কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||||||||
৩ ডিসেম্বর – আল রাইয়ান (খলিফা) | ||||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ৩ | |||||||||||||
৯ ডিসেম্বর – লুসাইল | ||||||||||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১ | |||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | ২(৩) | |||||||||||||
৩ ডিসেম্বর – আল রাইয়ান (আহমেদ) | ||||||||||||||
আর্জেন্টিনা (পে.) | ২(৪) | |||||||||||||
আর্জেন্টিনা | ২ | |||||||||||||
১২ ডিসেম্বর – লুসাইল | ||||||||||||||
অস্ট্রেলিয়া | ১ | |||||||||||||
আর্জেন্টিনা | ৩ | |||||||||||||
৫ ডিসেম্বর – আল ওয়াক্রাহ | ||||||||||||||
ক্রোয়েশিয়া | ০ | |||||||||||||
জাপান | ১(১) | |||||||||||||
৯ ডিসেম্বর – আল রাইয়ান (এডুকেশন) | ||||||||||||||
ক্রোয়েশিয়া (পে.) | ১(৩) | |||||||||||||
ক্রোয়েশিয়া(পে.) | ১(৪) | |||||||||||||
৫ ডিসেম্বর – দোহা (আবু আবুদ) | ||||||||||||||
ব্রাজিল | ১(২) | |||||||||||||
ব্রাজিল | ৪ | |||||||||||||
১৮ ডিসেম্বর – লুসাইল | ||||||||||||||
দক্ষিণ কোরিয়া | ১ | |||||||||||||
আর্জেন্টিনা (পে.) | ৩ (৪) | |||||||||||||
৪ ডিসেম্বর – আল খুর | ||||||||||||||
ফ্রান্স | ৩ (২) | |||||||||||||
ইংল্যান্ড | ৩ | |||||||||||||
১০ ডিসেম্বর – আল খুর | ||||||||||||||
সেনেগাল | ০ | |||||||||||||
ইংল্যান্ড | ১ | |||||||||||||
৪ ডিসেম্বর – দোহা (সুমামাহ) | ||||||||||||||
ফ্রান্স | ২ | |||||||||||||
ফ্রান্স | ৩ | |||||||||||||
১৩ ডিসেম্বর – আল খুর | ||||||||||||||
পোল্যান্ড | ১ | |||||||||||||
মরক্কো | ০ | |||||||||||||
৬ ডিসেম্বর – আল রাইয়ান (এডুকেশন) | ||||||||||||||
ফ্রান্স | ২ | তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | ||||||||||||
মরক্কো (পে.) | ০(৩) | |||||||||||||
১০ ডিসেম্বর – দোহা (সুমামাহ) | ১৭ ডিসেম্বর – আল রাইয়ান (খলিফা) | |||||||||||||
স্পেন | ০(০) | |||||||||||||
মরক্কো | ১ | ক্রোয়েশিয়া | ২ | |||||||||||
৬ ডিসেম্বর – লুসাইল | ||||||||||||||
পর্তুগাল | ০ | মরক্কো | ১ | |||||||||||
পর্তুগাল | ৬ | |||||||||||||
সুইজারল্যান্ড | ১ | |||||||||||||
১৬ দলের পর্ব
সম্পাদনাব্রাজিল | ৪-১ | দক্ষিণ কোরিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
কোয়ার্টার-ফাইনাল
সম্পাদনানেদারল্যান্ডস | ২-২ (অ.স.প.) | আর্জেন্টিনা |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন | |
পেনাল্টি | ||
৩–৪ |