কানাডা জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল
কানাডা জাতীয় পুরুষ ফুটবল দল (ফরাসি: Équipe du Canada de soccer masculin,[৩][৪][৫] ইংরেজি: Canada men's national soccer team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে কানাডার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম কানাডার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কানাডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯১২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬১ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৬] ১৮৮৫ সালের ২৮শে নভেম্বর তারিখে, কানাডা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউয়ার্কে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে কানাডা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কাছে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
![]() | |||
ডাকনাম | দ্য কানুকস (কানুক) লে রুজ (লাল) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | কানাডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | কনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | জন হার্ডম্যান | ||
অধিনায়ক | স্কট আর্টফিল্ড | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | জুলিয়ান দে গুসমান (৮৯) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | ডোয়াইন ডে রোসারিও (২২) | ||
মাঠ | বিএমও ফিল্ড | ||
ফিফা কোড | CAN | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৪৩ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ৪০ (ডিসেম্বর ১৯৯৬) | ||
সর্বনিম্ন | ১২২ (আগস্ট ২০১৪, অক্টোবর ২০১৪) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৮ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ২৭ (জুলাই ১৯২৪, জুন ১৯২৫, জুলাই ১৯২৭) | ||
সর্বনিম্ন | ৯২ (মে ১৯৭৯, জুন ২০১৪) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (নিউয়ার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ২৮ নভেম্বর ১৮৮৫) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (ব্র্যান্ডেন্টন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো; ১৮ জুলাই ১৯৯৩) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (১৯৮৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (১৯৮৬) | ||
কনকাকাফ গোল্ড কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১৭ (১৯৭৭-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৫, ২০০০) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০০১-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০১) |
৩০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বিএমও ফিল্ডে দ্য কানুকস নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় কানাডার রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জন হার্ডম্যান এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রেঞ্জার্সের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় স্কট আর্টফিল্ড।
কানাডা এপর্যন্ত কেবলমাত্র ১ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তাদের সাফল্য হচ্ছে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করা। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপে কানাডা অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ২টি (১৯৮৫ এবং ২০০০) শিরোপা জয়লাভ করেছে। এছাড়াও, কানাডা ২০০১ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।
জুলিয়ান দে গুসমান, পল স্ট্যাল্টেরি, আটিবা হাচিনসন, ডোয়াইন ডে রোসারিও এবং তোসাঁ রিকেতসের মতো খেলোয়াড়গণ কানাডার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিং সম্পাদনা
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে কানাডা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৪০তম) অর্জন করে এবং ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১২২তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে কানাডার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২৭ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯২৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৯২। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৪১ | তুরস্ক | ১৪৮৪.৪৭ | |
৪২ | ১ | ক্যামেরুন | ১৪৭০.৯৭ |
৪৩ | ২ | কানাডা | ১৪৫৮.৫৮ |
৪৪ | নরওয়ে | ১৪৫৮.৪৭ | |
৪৫ | ১২ | পানামা | ১৪৫৩.৯৪ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২৬ | ৫ | দক্ষিণ কোরিয়া | ১৮০০ |
২৭ | ৫ | পোল্যান্ড | ১৭৯৯ |
২৮ | ২৭ | কানাডা | ১৭৯৮ |
২৯ | ২ | জাপান | ১৭৯৬ |
৩০ | ৯ | চিলি | ১৭৬৮ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্য সম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ সম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ||
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৩৪ | ||||||||||||||||
১৯৩৮ | ||||||||||||||||
১৯৫০ | ||||||||||||||||
১৯৫৪ | ||||||||||||||||
১৯৫৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৮ | ৮ | |||||||||
১৯৬২ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | ||||||||||||||
১৯৬৬ | ||||||||||||||||
১৯৭০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৮ | ৩ | |||||||||
১৯৭৪ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৬ | ৭ | ||||||||||
১৯৭৮ | ১০ | ৪ | ৩ | ৩ | ১২ | ১১ | ||||||||||
১৯৮২ | ৯ | ২ | ৬ | ১ | ১০ | ৯ | ||||||||||
১৯৮৬ | গ্রুপ পর্ব | ২৪তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ৫ | ৮ | ৫ | ৩ | ০ | ১১ | ৪ | ||
১৯৯০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ২ | ১ | ০ | ১ | ৩ | ৩ | |||||||||
১৯৯৪ | ১৪ | ৬ | ৪ | ৪ | ২২ | ২০ | ||||||||||
১৯৯৮ | ১৬ | ৬ | ৪ | ৬ | ১৫ | ২১ | ||||||||||
২০০২ | ৮ | ২ | ৩ | ৩ | ২ | ৮ | ||||||||||
২০০৬ | ৮ | ৩ | ২ | ৩ | ১২ | ৮ | ||||||||||
২০১০ | ৮ | ২ | ২ | ৪ | ১৩ | ১৪ | ||||||||||
২০১৪ | ১২ | ৭ | ৩ | ২ | ২৪ | ১১ | ||||||||||
২০১৮ | ১০ | ৫ | ২ | ৩ | ১৫ | ৯ | ||||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | ||||||||||||||
মোট | গ্রুপ পর্ব | ১/২৩ | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ৫ | ১১৭ | ৪৮ | ৩৪ | ৩৫ | ১৬১ | ১৩৬ |
অর্জন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ২০ জুলাই ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৩।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ Wiebe, Andrew (জুন ২৮, ২০১৯)। "(bleep)-show circus for USWNT, Pulisic's place & CanMNT dreams"। MLS Soccer। জুলাই ১৭, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৯।
- ↑ Murray, Nicholas (আগস্ট ৬, ২০১৯)। "Fury FC's Haworth Has Earned CanMNT Call"। USL Championship। আগস্ট ৩০, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৯।
- ↑ Prusna, Sandra (আগস্ট ২৮, ২০১৯)। "Carducci plays hero vs. Pacific after CanMNT nod"। CanPL.ca। আগস্ট ৩০, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩০, ২০১৯।
- ↑ "Ramón Coll, electo Presidente de la Confederación de Futbol de América del Norte, América Central y el Caribe"। La Nación (Google News Archive)। সেপ্টেম্বর ২৩, ১৯৬১।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ফরাসি) (ইংরেজি)
- ফিফা-এ কানাডা জাতীয় ফুটবল দল ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে (ইংরেজি)
- কনকাকাফ-এ কানাডা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)