আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (International Labour Organisation) শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি ও তাদের সুযোগ-সুবিধার সমতা বিধান করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থা।[১] সংক্ষেপে আইএলও (ILO) নামে পরিচিত। ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ১৯১৯ সালের ১১ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। জেনেভা শহরে এই সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত। বর্তমান সদস্য ১৮৭ টি দেশ।
![]() International Labour Organisation Organisation internationale du travail (ফরাসি) | |
---|---|
![]() | |
সংস্থার ধরন | জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা |
সংক্ষিপ্ত নাম | ILO / OIT |
প্রধান | মহা-পরিচালক![]() |
মর্যাদা | সক্রিয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৯ অক্টোবর ১৯১৯ |
প্রধান কার্যালয় | জেনেভা, সুইজারল্যান্ড |
ওয়েবসাইট | ilo |
মাতৃ সংস্থা | Economic and Social Council of the United Nations |
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ILO-International Labour Organization.
শ্রমিকদের উন্নতি, তাদের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত [২][৩] আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা International Labour Organization (ILO)। ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ১৯১৯ সালের ১১ এপ্রিল সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এটি জাতিসংঘের সবচেয়ে পুরনো ও প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা। এটি জাতিসংঘের একমাত্র ত্রিপক্ষীয় সংস্থা, যা সরকার, নিয়োগকর্তা বা মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে। ১৯৬৯ সালে সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশে শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কারণে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। [৪]
আইএলওর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। বিশ্বে ৪০টিরও বেশি দেশে আঞ্চলিক দপ্তর (ফিল্ড অফিস) রয়েছে। আইএলওর পরিচালনা পরিষদ (গভর্নিং বডি) হচ্ছে সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদ। বছরে তিনবার (মার্চ, জুন ও নভেম্বর) জেনেভায় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক হয়। ১০টি দেশ স্থায়ী সদস্য। এগুলো হলো ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ১৮ সরকারি সদস্য প্রতি তিন বছর অন্তর সম্মেলনে নির্বাচিত হয়।
সংস্থাটি বছরে একবার আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলন আয়োজন করে। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক শ্রমের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয় এবং আইএলওর বাজেট ও পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ILO এর ১০০ তম বর্ষপূর্তি পালিত হয় । বাংলাদেশ আইএলওর মৌলিক সাতটিসহ মোট ৩৫টি কনভেনশনে অনুসমর্থন দিয়েছে।
একনজরে
প্রতিষ্ঠাকাল : ১৯১৯
সদস্য দেশ : ১৮৭টি
সদর দপ্তর : জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
প্রথম মহাপরিচালক : আলবার্ট থমাস, ফ্রান্স (১৯১৯-১৯৩২)।
বর্তমান মহাপরিচালক : গিলবার্ড এফ. হাউংবো, একাদশ (০১. ১০. ২০২২)
বাংলাদেশ সদস্য হয় : ২২ জুন ১৯৭২।
যেসব দেশ সদস্য নয় : এন্ডোরা, ভুটান, লিচেনস্টেইন, মাইক্রোনেশিয়া, মোনাকো, নাউরু ও উত্তর কোরিয়া।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Mission and impact of the ILO"। ilo.org।
- ↑ St, International Labour; Switzerl, ards DepartmentRoute des Morillons 4 CH-1211 Geneva 22। "Labour standards"। www.ilo.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৭।
- ↑ "Introduction to International Labour Standards"। ilo.org।
- ↑ "The Nobel Peace Prize 1969"। Nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০০৬।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- Official site of the International Labour Organization
- The International Labour Organization: A Handbook for Minorities and Indigenous Peoples, London, Minority Rights Group, 2002
- The International Training Centre of the ILO
- Special Action Programme to Combat Forced Labour (SAP-FL)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |