উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল
উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল (স্পেনীয়: Selección de fútbol de Uruguay, ইংরেজি: Uruguay national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে উরুগুয়ের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম উরুগুয়ের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উরুগুয়েয়ীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৩ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯১৬ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনমেবলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০১ সালের ১৬ই মে তারিখে, উরুগুয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; উরুগুয়ের মোন্তেবিদেওতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনার কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
![]() | |||
ডাকনাম | লা সেলেস্তে (আকাশী) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | উরুগুয়েয়ীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) | ||
প্রধান কোচ | অস্কার তাভারেজ | ||
অধিনায়ক | দিয়েগো গোদিন | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | দিয়েগো গোদিন (১৩৮) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | লুইস সুয়ারেস (৬৩) | ||
মাঠ | সেন্সেনারিও স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | URU | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৮ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ২ (জুন ২০১২) | ||
সর্বনিম্ন | ৭৬ (ডিসেম্বর ১৯৯৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১১ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ১ (১৯২০–১৯২৯) | ||
সর্বনিম্ন | ৪৮ (সেপ্টেম্বর ১৯৭৯) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (মোন্তেবিদেও, উরুগুয়ে; ১৬ মে ১৯০১)[৩] | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (লিমা, পেরু; ৯ নভেম্বর ১৯২৭) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (মোন্তেবিদেও, উরুগুয়ে; ২০ জুলাই ১৯০২) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১৩ (১৯৩০-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯৩০, ১৯৫০) | ||
কোপা আমেরিকা | |||
অংশগ্রহণ | ৪৪ (১৯১৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (১৯১৬, ১৯১৭, ১৯২০, ১৯২৩, ১৯২৪, ১৯২৬, ১৯৩৫, ১৯৪২, ১৯৫৬, ১৯৫৯, ১৯৬৭, ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯৫, ২০১১) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ২ (১৯৯৭-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চতুর্থ স্থান (১৯৯৭, ২০১৩) |
৬০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট সেন্সেনারিও স্টেডিয়ামে লা সেলেস্তে নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় উরুগুয়ের রাজধানী মোন্তেবিদেওতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন অস্কার তাভারেজ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন কাইয়ারির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় দিয়েগো গোদিন।
উরুগুয়ে ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ২ বার (১৯৩০ এবং ১৯৫০) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া কোপা আমেরিকায় উরুগুয়ে সফলতম দল, যেখানে তারা ১৫টি (১৯১৬, ১৯১৭, ১৯২০, ১৯২৩, ১৯২৪, ১৯২৬, ১৯৩৫, ১৯৪২, ১৯৫৬, ১৯৫৯, ১৯৬৭, ১৯৮৩, ১৯৮৭, ১৯৯৫ এবং ২০১১) শিরোপা জয়লাভ করেছে।
দিয়েগো গোদিন, মাক্সি পেরেইরা, এদিনসন কাভানি, লুইস সুয়ারেস এবং দিয়েগো ফরলানের মতো খেলোয়াড়গণ উরুগুয়ের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
র্যাঙ্কিংসম্পাদনা
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০১২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে উরুগুয়ে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (২য়) অর্জন করে এবং ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ৭৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে উরুগুয়ের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯২০ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৪৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
- ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৬ | স্পেন | ১৬৪৫ | |
৭ | আর্জেন্টিনা | ১৬৪২ | |
৮ | উরুগুয়ে | ১৬৩৯ | |
৯ | মেক্সিকো | ১৬৩২ | |
১০ | ইতালি | ১৬২৫ |
- বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৯ | ৩ | ইংল্যান্ড | ১৯৬২ |
১০ | ১ | জার্মানি | ১৯৫৬ |
১১ | ২ | উরুগুয়ে | ১৯৫৪ |
১২ | ২ | মেক্সিকো | ১৯৩১ |
১৩ | ৩ | ডেনমার্ক | ১৯২৭ |
প্রতিযোগিতামূলক তথ্যসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপসম্পাদনা
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | ফাইনাল | ১ম | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ১৫ | ৩ | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | ||||||
১৯৩৪ | অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি | পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ | |||||||||||||
১৯৩৮ | অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি | ||||||||||||||
১৯৫০ | ফাইনাল | ১ম | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ১৫ | ৫ | স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তীর্ণ | ||||||
১৯৫৪ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ১৬ | ৯ | পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উত্তীর্ণ | ||||||
১৯৫৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৪ | ৬ | ||||||||
১৯৬২ | গ্রুপ পর্ব | ১৩তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৬ | ২ | ১ | ১ | ০ | ৩ | ২ | |
১৯৬৬ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৭ম | ৪ | ১ | ২ | ১ | ২ | ৫ | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ১১ | ২ | |
১৯৭০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৬ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ৫ | ৪ | ৩ | ১ | ০ | ৫ | ০ | |
১৯৭৪ | গ্রুপ পর্ব | ১৩তম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৬ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ৬ | ২ | |
১৯৭৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৫ | ৪ | ||||||||
১৯৮২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৫ | ৫ | ||||||||
১৯৮৬ | ১৬ দলের পর্ব | ১৬তম | ৪ | ০ | ২ | ২ | ২ | ৮ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৬ | ৪ | |
১৯৯০ | ১৬ দলের পর্ব | ১৬তম | ৪ | ১ | ১ | ২ | ২ | ৫ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৭ | ২ | |
১৯৯৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ১০ | ৭ | ||||||||
১৯৯৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১৬ | ৬ | ৩ | ৭ | ১৮ | ২১ | ||||||||
২০০২ | গ্রুপ পর্ব | ২৬তম | ৩ | ০ | ২ | ১ | ৪ | ৫ | ২০ | ৮ | ৬ | ৬ | ২২ | ১৪ | |
২০০৬ | উত্তীর্ণ হয়নি | ২০ | ৭ | ৭ | ৬ | ২৪ | ২৯ | ||||||||
২০১০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৭ | ৩ | ২ | ২ | ১১ | ৮ | ২০ | ৭ | ৭ | ৬ | ৩০ | ২১ | |
২০১৪ | ১৬ দলের পর্ব | ১২তম | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৪ | ৬ | ১৮ | ৮ | ৫ | ৫ | ৩০ | ২৫ | |
২০১৮ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৫ম | ৫ | ৪ | ০ | ১ | ৭ | ৩ | ১৮ | ৯ | ৪ | ৫ | ৩২ | ২০ | |
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ২টি শিরোপা | ১৩/২১ | ৫৬ | ২৪ | ১২ | ২০ | ৮৭ | ৭৪ | ১৫৭ | ৭১ | ৪২ | ৪৪ | ২২৫ | ১৬৯ |
অর্জনসম্পাদনা
শিরোপাসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র্যাঙ্কিং"। ফিফা। ১০ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"। eloratings.net। ২২ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Pelayes, Héctor Darío (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "ARGENTINA-URUGUAY Matches 1902–2009"। RSSSF। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১০।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (ইংরেজি)
- ফিফা-এ উরুগুয়ে জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি)