বাংলাদেশের ভাষা
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলা ভাষা বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি ভাষা তথা রাষ্ট্রভাষা ও জাতীয় ভাষা।[১] প্রায় ৯৯% বাংলাদেশির মাতৃভাষা বাংলা। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র ও বিশ্বের অন্যতম ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭ অনুযায়ী, বৈদেশিক সম্পর্ক ব্যতীত অন্যান্য সকল সরকারি কাজে বাংলা ভাষার ব্যবহার আবশ্যিক করেছে।[২]
বাংলাদেশ ভাষা | |
---|---|
সরকারী ভাষা(সমূহ) | বাংলা |
উল্লেখযোগ্য বেসরকারী ভাষাসমূহ | (আঞ্চলিক ভাষা:চিটাইঙ্গা,ওসিলেটি,) চাকমা আলাদা ভাষাচাকমা |
আঞ্চলিক ভাষা(সমূহ) | বাংলা উপভাষা |
সংখ্যালঘু ভাষা(সমূহ) | বর্মী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী, চাকমা, ঢাকাইয়া উর্দু, হাজং, তঞ্চঙ্গ্যা, সাদরি, হিন্দি-উর্দু, খাসি, কোডা, মুন্ডারি, প্নার, সাঁওতালি, ওয়ার-জৈন্তিয়া, করুখ, সাউরিয়া পাহাড়িয়া, আটং, চাক, কুকি-চিন, শো, বম, ফালাম, হাকা, খুমি, কোচ, গারো, মেগাম, মৈতৈ, ককবরক, মিজো, ম্রু, পাংখুয়া, মারমা |
প্রধান অভিবাসী ভাষা(সমূহ) | বিহারি, বর্মী, রোহিঙ্গা, উর্দু |
সাধারণ কীবোর্ড লেআউট(সমূহ) |
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র একভাষী রাষ্ট্র বলে বিবেচিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বসবাস করে এমন বাংলাদেশি উপজাতিরা তাদের নিজ নিজ ভাষা (যেমন চাকমা, মারমা ইত্যাদি) ভাষায় কথা বলে।[৩] এছাড়াও বাংলাদেশে চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেট অঞ্চল এর ভাষা আদর্শ বাংলা থেকে অনেকটাই ভিন্ন। স্বাধীনতা পূর্ব পর্যন্ত চাটগাঁইয়া ভাষা নাস্তালিক হরফে লিখা হতো। এথনোলগ অনুসারে, বাংলাদেশে ৩৬টি আদিবাসী ভাষা রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি তিব্বতী-বর্মী, ১০টি ইন্দো-আর্য, ৭টি অস্ট্রোএশিয়াটিকএবং ২টি দ্রাবিড় ভাষা রয়েছে।[৪] অধ্যাপক শামীম রেজার মতে বাংলাদেশে ৪৪টি উপজাতি ভাষা রয়েছে।[৫]
বাংলাদেশ ও বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলের ভাষা
সম্পাদনাভাষা | জনসংখ্যা |
---|---|
বাংলা | ১৬৩,৫০৭,০২৯ |
অন্যান্য | ১,৬৫১,৫৮৭ |
মোট | ১৬৫,১৫৮,৬১৬ |
এথ্নোলগ-এর ২১তম সংস্করণ (২০১৮) অনুসারে বাংলাদেশে ৪১টি ভাষা প্রচলিত আছে সবকটি ভাষাই জীবিত। নিচের সারণিতে এগুলোর বিবরণ দেয়া হল।
ইন্দো-আর্য ভাষা
সম্পাদনাবাংলাদেশের নিম্নভূমিগুলো বাংলার জাতি-ভাষাগত অঞ্চলের বৃহত্তর, কেন্দ্রীয় এবং পূর্ব অর্ধেক গঠন করে এবং বাংলা ভাষা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী অর্থাৎ বাঙালিরা বলে। এছাড়াও কিছু পূর্ব ভারতীয় ভাষার বৈচিত্র্য রয়েছে, যেগুলোকে বাংলার উপভাষা বা পৃথক কিন্তু ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ভাষা হিসাবে বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলোকে একটি উপভাষা ধারাবাহিকতা গঠন হিসাবে ভাবা যেতে পারে।
- বাংলা শাখা:
- প্রমিত বাংলা: সারা দেশে কথ্য – মূলত নদীয়া অঞ্চলের উপভাষা (আংশিকভাবে খুলনা বিভাগে), খুলনা বিভাগের বাকি উপভাষার খুব কাছাকাছি
- বাঙ্গালী: বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চলে (ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বরিশাল অঞ্চল) সাধারণ পূর্ব বাংলা উপভাষা (প্রমিত বাংলার পাশে) কথ্য।
- চট্টগ্রামী: চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসীদের দ্বারাও বলা হয়।
- সিলেটি: সুরমা উপত্যকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (সিলেট বিভাগ) সিলেটিদের দ্বারা কথ্য।
- ঢাকাইয়া কুট্টি: পুরান ঢাকার লোকেরা এই উপভাষায় কথা বলে।
- নোয়াখাইল্লা: নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের পাশাপাশি চাঁদপুরের কয়েকটা উপজেলা ও বৃহত্তর কুমিল্লা ও উত্তর চট্টগ্রাম জেলার কিছু অঞ্চলের লোকেরা এই উপভাষাটি বলে।
- বরেন্দ্রী: পশ্চিম অঞ্চলের লোকেদের দ্বারা কথ্য (রাজশাহী বিভাগ); উত্তর বাংলা উপভাষার অংশ।
- রংপুরী: উত্তরাঞ্চলের মানুষের দ্বারা কথ্য (রংপুর বিভাগ); বরেন্দ্রী উপভাষার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
- উপজাতি ভাষা:
- চাকমা: পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কথ্য। তিব্বতী-বর্মী ভাষার সাথে সম্পর্কহীন যা সাধারণত এই অঞ্চলে পাওয়া যায়। অনেকটা চট্টগ্রামের সাথে মিলে যায়।
- বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী: বাংলাদেশে বসবাসকারী বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের দ্বারা একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী বাংলা ভাষা থেকে আলাদা এবং এতে তিব্বতী-বর্মী ভাষার অনেক বৈশিষ্ট্য ও উপাদান রয়েছে।
- হাজং: মূলত একটি তিব্বত-বর্মীয় ভাষা যা সময়ের সাথে সাথে একটি ভারতীয় ভাষায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
- তংচঙ্গ্যা: পার্বত্য চট্টগ্রামের তঞ্চঙ্গ্যা জনগণ কথিত। এটি চাকমাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
- সাদরি: এটি ভারতের ঝাড়খণ্ডেরও একটি প্রধান ভাষা। আদিবাসীরা যারা তাদের পুরানো ভাষা পরিত্যাগ করেছে তাদের দ্বারা সারা বাংলাদেশে চা বাগানে ব্যাপকভাবে কথা বলা হয়।
- বিহারী ভাষা: বিহার, ভারতের বিহার থেকে আসা বিহারি মুসলমানদের ভাষা যারা দেশভাগের সময় এসেছিলেন।
অ-ইন্দো-আর্য ভাষা
সম্পাদনাএই অঞ্চলের অ-ইন্দো-আর্য আদিবাসী ভাষাগুলো অস্ট্রোএশিয়াটিক, দ্রাবিড় এবং তিব্বতী-বর্মী পরিবারের সদস্য। এসব ভাষার বেশির ভাগই পাহাড়ি এলাকায় কথ্য।
অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষা
সম্পাদনাদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (যেমন খ্মের এবং ভিয়েতনামী) আরও ব্যাপকভাবে কথ্য এবং সুপরিচিত অস্ট্রোএশিয়াটিক ভাষাগুলো কথ্য হলেও, সেই পরিবারের ছোট ভাষাগুলো উত্তর ও পূর্ব বাংলাদেশের উপজাতি সম্প্রদায়ের দ্বারা বলা হয়। বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্বকারী অস্ট্রো-এশিয়াটিক দুটি শাখা রয়েছে।
- খাসি: সিলেট বিভাগে কথ্য। এছাড়াও মেঘালয়, ভারতের একটি প্রধান ভাষা
- প্নার/জয়ন্তিয়া: সিলেট বিভাগে কথ্য
- ওয়ার: সিলেট বিভাগে কথিত
- সাঁওতালি: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে কথ্য। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডে ব্যাপকভাবে কথ্য
- মুন্ডারি: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে কথ্য।
- কোডা: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে কথ্য।
দ্রাবিড় ভাষা
সম্পাদনাপশ্চিম বাংলাদেশের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে দুটি দ্রাবিড় ভাষা বলা হয়ে থাকে।
- কুরুখ- সিলেটের চা বাগানে কিছু কুরুখ লোক বাস করলেও প্রধানত সাদরি ভাষায় কথা বলে
- সাউরিয়া পাহাড়িয়া
তিব্বতী-বর্মী ভাষা
সম্পাদনাভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ও পূর্ব প্রান্ত বরাবর পার্বত্য অঞ্চলে মূলত তিব্বতী-বর্মী ভাষার ভাষাভাষীরা বসবাস করে। আদিবাসী তিব্বতী-বর্মী-ভাষী সম্প্রদায়গুলো বাংলাদেশের উত্তর, পূর্ব এবং বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব অংশে, প্রাথমিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাধ্যমে পাওয়া যায়।
- আরাকানি: আরকানি বা মারমা বা রাখাইন ভাষাও বলা হয়। প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণ কক্সবাজারে কথা বলা হয়। এছাড়াও রাখাইন রাজ্য, মিয়ানমারের একটি প্রধান ভাষা।
- আ'টং: ময়মনসিংহ বিভাগে কথ্য।
- চাক: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য।
- চিন ভাষা: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য
- কোচ: ময়মনসিংহ বিভাগে কথ্য
- গারো: প্রধানত ময়মনসিংহ বিভাগে কথ্য। এছাড়াও মেঘালয়, ভারতের একটি প্রধান ভাষা।
- মেগাম: ময়মনসিংহ বিভাগে কথিত গারোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত
- মৈতৈ (মণিপুরী): সিলেট বিভাগে কথ্য। এছাড়াও ভারতের মণিপুর রাজ্যের একটি প্রধান ভাষা
- মিজো: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য। এছাড়াও ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একটি প্রধান ভাষা
- ম্রু: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য।
- পাংখুয়া: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য
- ত্রিপুরী: পার্বত্য চট্টগ্রামে কথ্য। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি প্রধান ভাষা
ভাষার নাম | ভাষাভাষীর সংখ্যা | অবস্থান | উপভাষা | শ্রেণীকরণ |
---|---|---|---|---|
অসমীয়া | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |||
আরাকানীয় | ২ লক্ষ | দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ; পার্বত্য চট্টগ্রাম | মারমা (পাহাড়ি), রাখাইন (উপকূলীয়) | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, লোলো-বর্মী, বর্মী, দক্ষিণ বর্মী |
আশো চিন | ১৪২২ (১৯৮১ আদমশুমারি) | পার্বত্য চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম, লেমিয়ো, মিনবু, সাইংবাউন, সান্দোওয়ে, থায়েতমিয়ো | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, দক্ষিণী, শো |
উসুই | ৪ হাজার | পার্বত্য চট্টগ্রাম | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, শ্রেণীকরণ নেই | |
ওয়ার | ১৬ হাজার | উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশে ভারতের সাথে সীমান্তে | অস্ট্রো-এশীয়, মন-খমের, উত্তর মন-খমের, খাসীয় | |
ওঁরাও / কুরুখ/কোঙ্কণী ভাষা | ১৬৫,৬৮৩ | রাজশাহী বিভাগ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা | বরাইল সাদরি, নুরপুর সাদরি, উচাই সাদরি, মকান টিলা সাদরি | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বিহারি |
কক বরক | ১ লক্ষ | জামাতিয়া, নোয়াতিয়া, রিয়াং, হালাম, দেববর্ম | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, ঝিংপো-কোনিয়াক-বোডো, কোনিয়াক-বোডো-গারো, বোডো-গারো, বোডো | |
কুরুখ | দ্রাবিড়, উত্তর | |||
কোচ | বানাই, হারিগায়া, সাতপারিয়া, তিনতেকিয়া, ওয়ানাং | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, ঝিংপো-কোনিয়াক-বোডো, কোনিয়াক-বোডো-গারো, বোডো-গারো, কোচ | ||
খুমি চিন | ১১৮৮ (১৯৮১ আদমশুমারি) | খিমি, য়িন্দি, খামি, ন্গালা | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, দক্ষিণী, খুমি | |
খাসি | মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ | খাসি (চেরাপুঞ্জি), লিঙন্গাম | অস্ট্রো-এশীয়, মন-খমের, উত্তর মন-খমের, খাসীয় | |
গারো | ১ লক্ষ | ময়মনসিংহ, টাংগাইল, শ্রীপুর, জামালপুর, নেত্রকোণা, সিলেট, ঢাকা | আবেং, আচিক | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, ঝিংপো-কোনিয়াক-বোডো, কোনিয়াক-বোডো-গারো, বোডো-গারো, গারো |
চাক | সাড়ে ৫ হাজার | আরাকান নীল পাহাড়, বান্দরবান, ইত্যাদি | নেই | |
চাকমা | ৩ লক্ষের বেশি | পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম শহর | ৬টি উপভাষা আছে | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া |
চাটগাঁইয়া | ১ কোটি ৪০ লক্ষ | চট্টগ্রাম বিভাগ ও আরাকান রাজ্য | রোহিঙ্গা, চাকমা | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া |
তঞ্চঙ্গ্যা | ১৭,৬৯৫ | পার্বত্য চট্টগ্রাম | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |
তিপ্পেরা | ১ লক্ষ | পার্বত্য চট্টগ্রাম | ৩৬টি উপভাষা | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, শ্রেণীকরণ নেই |
দারলং | ৯০০০ | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, মধ্য | ||
প্নার | ৪ হাজার | উত্তর-পূর্বে ভারতের সাথে সীমান্তে; জাফলং, তামাবিল, জৈন্তাপুর | অস্ট্রো-এশীয়, মন-খমের, উত্তর মন-খমের, খাসীয় | |
পাংখু | ২২৭৮ (১৯৮১ আদমশুমারি) | বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, মধ্য | |
ফালাম চিন | চোরেই, জান্নিয়াত | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, উত্তর | ||
বর্মী | ৩ লক্ষ | মায়ানমার সীমান্তে | বোমাং | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, লোলো-বর্মী, বর্মী, দক্ষিণ বর্মী |
বাংলা | ২৬ কোটির বেশি | কেন্দ্রীয়, পশ্চিমী (খারিয়া ঠার, মাল পাহাড়িয়া, সারাকি), দক্ষিণ-পশ্চিমী বাংলা, উত্তর বাংলা (কোচ, শ্রীপুরী), রাজবংশী, বাহে, পূর্ব বাংলা (পূর্ব কেন্দ্রীয়, সিলেটি), হাইজং, দক্ষিণ-পূর্বী বাংলা (চাকমা), গান্ডা, ভাঙ্গা | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |
বাওম চিন | ৫৭৩৩ (১৯৮১ আদমশুমারি) | পার্বত্য চট্টগ্রাম | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, মধ্য | |
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী | ৪০ হাজার | রাজার গাং, মাদই গাং | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |
ভারতীয় প্রতীকী ভাষা | বধিরদের প্রতীকী ভাষা | |||
মুন্ডারি | হাসাদা, লাতার, নাগুরি, কেরা | অস্ট্রো-এশীয়, মুন্ডা, উত্তর মুন্ডা, খেরওয়ারি, মুন্ডারি | ||
ম্রু | ৮০ হাজার | পার্বত্য চট্টগ্রামের ২০০টি গ্রামে | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, ম্রু | |
মিজো | ১ হাজার | মিজো পাহাড়, চট্টগ্রাম, সিলেট | রালতে, দুলিয়েন, নগেলতে, মিজো, লে | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, মধ্য |
মেগাম | ৬৮৭২ | উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, ঝিংপো-কোনিয়াক-বোডো, কোনিয়াক-বোডো-গারো, বোডো-গারো, গারো | |
মৈতৈ | ১৫ হাজার | সিলেট | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, মৈতৈ | |
রংপুরী | ১.৫ কোটি | বাহে | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |
শেন্দু | ১ হাজার | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, দক্ষিণী, শো | ||
সাঁওতালি | দেড় লক্ষ | কারমালি, কমরি-সাঁওতালি, লোহারি-সাঁওতালি, পাহারিয়া, মাহালি মাঁঝি | অস্ট্রো-এশীয়, মুন্ডা, উত্তর মুন্ডা, খেরওয়ারি, সাঁওতালি | |
সিলেটি | ১ কোটি | সিলেট বিভাগ | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |
হাকা চিন | ১২৬৪ | ক্লাংক্লাং, জোখুয়া, শোনশে | চীনা-তিব্বতী, তিবতী-বর্মী, কুকি-চিন-নাগা, কুকি-চিন, মধ্য | |
হাজং | ইন্দো-ইউরোপীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইন্দো-আর্য, পূর্ব অঞ্চল, বাংলা-অসমীয়া | |||
[[হো ভাষা |
অন্যান্য ভাষা
সম্পাদনাইংরেজি
সম্পাদনা২০২৩ সালে ইংরেজি এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভাষা। ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন আইন শুরু হওয়ার আগে, সরকারি কাজে ইংরেজির যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল, তবে ১৯৮৭ সাল থেকে সরকারে ইংরেজির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দেশের ব্রিটিশ উপনিবেশের কারণে, ইংরেজি এখনও বাংলাদেশে একটি ব্যাপকভাবে কথিত এবং সাধারণভাবে বুঝতে পারা ভাষা।[৭] সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়। উপরন্তু, বাংলাদেশে ইংরেজি-মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে।[৮] ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ইংরেজি ভাষার কোর্স অফার করে।
অন্যান্য সার্ক দেশগুলোর পরিস্থিতির মতো, ইংরেজি ভাষার জ্ঞানে উল্লেখযোগ্য বৈষম্য রয়েছে; জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সাবলীলভাবে বা এমনকি স্থানীয়ভাবে ইংরেজিতে কথা বলে (বিশেষ করে শিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে), যখন জনসংখ্যার এমনকি একটি বড় অংশের ইংরেজি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান নেই। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের মধ্যে অনেকেই পেশাগত প্রয়োজনের কারণে সাবলীলভাবে পড়তে ও লিখতে পারে, তবে ইংরেজি বলতে তাদের অসুবিধা হতে পারে।
ঔপনিবেশিক আমলে আইনগুলো ইংরেজিতে লেখা হতো। বর্তমানে, বেশিরভাগ আইন বাংলায় লেখা হয়, ব্যতিক্রম হল ১৯৮৭ সালের আগে পাস করা আইনগুলোর সংশোধন, যা সাধারণত ইংরেজিতে লেখা হয়। সরকার এবং ব্যাঙ্কসমূহে ব্যবহৃত অনেক আইনি, প্রশাসনিক এবং আর্থিক ফর্ম কেবলই ইংরেজিতে। বিচার বিভাগেও ইংরেজি ব্যবহৃত হয়।[৯]
আরবি
সম্পাদনা১২০৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির বাংলা জয়ের পর থেকে আরবি (عربي) ব্রিটিশ রাজের সময় পর্যন্ত একটি সরকারী ভাষার মর্যাদা উপভোগ করেছিল। যাইহোক, এটির উপস্থিতি 8ম শতাব্দীতে বাণিজ্যের ভাষা হিসাবে। ১৩শ শতাব্দীতে, মুসলিম ধর্ম প্রচারক তাকিউদ্দীন আল-আরাবি বাংলাদেশের প্রথম দিকের ইসলামিক প্রতিষ্ঠান যা অক্ষত ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হয় তা প্রতিষ্ঠা করেন। কাদি রুকনুদ্দিন সমরকান্দির Ḥawḍ al-Ḥayāh (দ্বাদশ শতক), আবু তাওওয়ামার Maqāmāt, Majmūʿah Khānī fī ʿAyn al-Maʿānī (১২৮০) কামিলুদ্দিনের কৃতকর্ম হিসেবে মধ্যযুগীয় বাংলায় আরবি সাহিত্য প্রথম বিকাশ লাভ করে। ১৪শতকের বাঙালি পণ্ডিত নূর কুতুব আলমের। ইসলামিক পণ্ডিত মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজদান বখশ বাংলা একডালায় হাতে সহীহ আল-বুখারির তিনটি খণ্ড প্রতিলিপি করে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহকে উপহার দেন। এই কাজের পাণ্ডুলিপি বর্তমানে ভারতের পার্শ্ববর্তী প্রজাতন্ত্রের খুদা বখশ ওরিয়েন্টাল লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে।[১০] আজ অবধি, সুলতান জাউক নদভি এবং মুহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ বাংলাদেশিদের দ্বারা ইসলামসম্পর্কিত আরবি সাহিত্য নিয়মিতভাবে লেখা ও প্রকাশিত হচ্ছে।[১১]
ঔপনিবেশিক সময় থেকে সরকারী মর্যাদা হারানো সত্ত্বেও, আরবি ভাষাটি অনেক মুসলিম জামাতে ব্যবহৃত হয় যেমন সাপ্তাহিক জুমার নামাজ যেখানে বাংলা ছাড়াও আরবি ভাষায় খুতবা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সংবিধান আরবি শব্দগুচ্ছ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ দিয়ে শুরু হয়েছে যার অর্থ, “পরম করুণাময়, করুণাময় আল্লাহর নামে”।[১২]
আরবি মুসলমানদের ধর্মীয় ভাষা। কুরআন, সুন্নাহ, হাদিস এবং মুসলিম ধর্মতত্ত্ব বাংলা অনুবাদ সহ আরবি ভাষায় পড়ানো হয়। মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা বাংলাদেশে আরবি বলতে পারে এমন লোকের সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে। মসজিদ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মুসলিম পরিবারগুলোতে আরবি একটি ধর্মীয় ভাষা হিসাবে পড়ানো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় আরবি একটি বাধ্যতামূলক বিষয়। বাংলাদেশের মুসলিম জনসংখ্যার একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের ধর্মীয় শিক্ষার অংশ হিসেবে আরবি ভাষার পঠন, লেখা এবং উচ্চারণে কোনো না কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা রয়েছে। আরবি বাংলা ভাষাকেও[১৩] প্রভাবিত করেছে। এর একটি উদাহরণ হল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, যেখানে অনেক আরবি-উদ্ভুত বাংলা শব্দ ব্যবহার করা ছাড়াও শেষের দিকে ইনশাল্লাহ ('আল্লাহর-ইচ্ছা') উল্লেখ করা হয়েছে।[১৪]
ফার্সি
সম্পাদনাপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলা ও পারস্য একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে আসছিল এবং উপকূলীয় বাংলার আশেপাশে অনেক বাণিজ্য পোস্ট ছিল। লোকেরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার সাথে সাথে তারা সুফি প্রচারকদের ভাষা ফার্সির সাথে পরিচিত হয়।[১৫] বাংলা ফারসি পণ্ডিত, আইনজীবী, শিক্ষক এবং ধর্মগুরুদের আগমনের সাক্ষী ছিল। দিল্লি সালতানাত, বাংলা সালতানাত এবং সুবাহ বাংলারঅধীনে ৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে (১২০৩-১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ) দরবার ভাষার মর্যাদা পাওয়ার পর ভাষার প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলায় হাজার হাজার ফারসি বই ও পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হয়। সুলতান গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের রাজত্বকালকে "বাংলায় ফার্সি সাহিত্যের স্বর্ণযুগ" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। পারস্যের কবি হাফেজের সাথে সুলতানের নিজস্ব চিঠিপত্র এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এর আকার চিত্রিত হয়েছিল; একটি কবিতা যা আজ হাফেজের দিওয়ানে পাওয়া যাবে।[১৬]
বর্তমানে, কিছু মাদ্রাসায় ফারসি পড়ানো হয়, যার বেশিরভাগই বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বোর্ডের, পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও।[১৭]
দোভাষী বাংলার একটি ঐতিহাসিক ভাষাশৈলীকে বোঝায় যেখানে উল্লেখযোগ্য ফারসি প্রভাব রয়েছে, উর্দুতে ফারসি ভাষার প্রভাবের মতোই।
উর্দু
সম্পাদনা১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালের বিভাজন-পরবর্তী সময়ে উর্দু (اردو) একটি সরকারী ভাষা ছিল। এটি এখনও বিহার এবং উত্তর প্রদেশেরবসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা উচ্চারিত হয়। তারা সৈয়দপুর, ঢাকার বিশেষ করে পুরান ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাস করছে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "৩৷ রাষ্ট্রভাষা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬।
- ↑ "বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭"। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৬।
- ↑ ফকির, এ বি এম রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০১০)। "Language Situation in Bangladesh"। The Dhaka University Studies। ৬৭: ৬৬–৭৭।
- ↑ "Bangladesh"। Ethnologue। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৯।
- ↑ "ULAB introduces Bangla and Literature Department"। Dhaka Tribune। ২০২৩-০২-২৩। ২০২৩-০২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৬।
- ↑ ক খ http://www.bbs.gov.bd › site › page
Population-and-Housing-Census - বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "bbs.gov.bd" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "'Language of Bangladesh, Culture"। Bangladesh.com।
- ↑ "English medium education system in Bangladesh"। The Daily Observer। ৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২৪।
- ↑ "Bangla Rules in All Domains of National Life"। Daily Sun। ২০১৯-০৪-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৫।
- ↑ Mawlana Nur Muhammad Azmi। "2.2 বঙ্গে এলমে হাদীছ" [2.2 Knowledge of Hadith in Bengal]। হাদীছের তত্ত্ব ও ইতিহাস। Emdadia Library। পৃষ্ঠা 24।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "The Constitution of the People's Republic of Bangladesh"। Laws of Bangladesh। Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Unesco recognises Bangabandhu's 7th March speech"। The Daily Star। ৩১ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Sarah Anjum Bari (১২ এপ্রিল ২০১৯)। "A Tale of Two Languages: How the Persian language seeped into Bengali"। The Daily Star (Bangladesh)।
- ↑ ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ"। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ Sakurai, Keiko (৭ মার্চ ২০১১)। The Moral Economy of the Madrasa: Islam and Education Today। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 74।