বাংলাদেশী ইংরেজি
বাংলাদেশী ইংরেজি হলো বাংলাদেশে তৈরি হওয়া ইংরেজির একটি উপভাষা।
বাংলাদেশী ইংরেজি | |
---|---|
Bangladeshi English | |
দেশোদ্ভব | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | বঙ্গ |
মাতৃভাষী | |
পূর্বসূরীরা | |
লাতিন | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | – |
আইইটিএফ | en-BD |
ধরন ও বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা
বাংলাদেশী ইংরেজির মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর নিজস্ব ধ্বনিতত্ত্ব। ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকান ইংরেজি থেকে এর যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। ব্রিটিশ ইংরেজির দন্তমূলীয় ধ্বনিগুলি বাংলাদেশী ইংরেজিতে মূর্ধন্য ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য উচ্চারণগত পার্থক্য লক্ষণীয়। তাছাড়া বাংলাদেশী ইংরেজিতে কিছু আলাদা শব্দভাণ্ডার এবং আলাদা রীতি রয়েছে।
ব্যবহার সম্পাদনা
বাংলাদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষ দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষা জানে। বাংলাদেশে ইংরেজি সংবাদ পত্র, ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
আদালতি ভাষা সম্পাদনা
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত এবং উচ্চ আদালতে সাধারণত ইংরেজিতে রায় প্রদান করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য বিচারিক কাজে ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহার হয়। বাংলাদেশের বর্তমান সকল আইন বাংলা লিখিত হয় ও পরে ইংরেজিতে সেগুলির অনুবাদ প্রকাশ করা হয়।
ইতিহাস সম্পাদনা
বাংলাদেশে ইংরেজির ব্যবহার শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামলে। সে সময়ের অভিজাত পরিবারেরা ইংরেজদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। স্যার সৈয়দ আহমেদ বাঙালি মুসলিমদের ইংরেজি শিক্ষার অগ্রদূত ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই লেখা হয়। তখন থেকে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষাও ইংরেজিতে দেয়া হতো।
১৯৮৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদ বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭ জারি করে সর্বস্তরে বাংলা চালুর আইন করেন। ফলে অনেকাংশেই ইংরেজির জায়গায় বাংলা ব্যবহার হতে শুরু করে। যদিও আইনটি এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। ২০১২ সালে উচ্চ আদালতের এক আদেশ মতে বাংলিশকে (বাংলা এবং ইংরেজির এক অপ্রাসঙ্গিক মিশ্রণ) টিভি, রেডিও সহ সকল গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১]