বাংলাদেশের সংবিধান
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে।[১]
বাংলাদেশের সংবিধান | |
---|---|
![]() বাংলায় বাংলাদেশের মূল সংবিধানের প্রথম পৃষ্ঠা | |
সাধারণ | |
এখতিয়ার | বাংলাদেশ |
অনুমোদন | ৪ নভেম্বর ১৯৭২ |
কার্যকরের তারিখ | ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ |
পদ্ধতি | একক সংসদীয় সাংবিধানিক গণতন্ত্র |
সরকারি কাঠামো | |
শাখা | তিন (শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ) |
কক্ষ | এক |
নির্বাহী | বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যের নিকট প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ দায়বদ্ধ। |
বিচারব্যবস্থা | সুপ্রিম কোর্ট |
মৈত্রীতন্ত্র | না |
নির্বাচনী কলেজ | না |
ইতিহাস | |
সংশোধনী | ১৭ |
সর্বশেষ সংশোধনী | ৮ জুলাই ২০১৮ |
উদ্ধৃতি | Constitution of the People's Republic of Bangladesh, ২০২১-০৬-১৩ |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
লেখক | কামাল হোসেন সংবিধানের খসড়া কমিটির চেয়ারম্যান এবং গণপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ |
স্বাক্ষরকারী | গণপরিষদের ৪০৩ এর মধ্যে ৩৯৯ জন সদস্য |
স্থানান্তর | বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র |
সম্পূর্ণ পাঠ্য | |
![]() |
১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনী সহ বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। এই সংবিধান সংশোধনের জন্য সংবিধানের ১৪২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। তবে পঞ্চম সংশোধনী , সপ্তম সংশোধনী , ত্রয়োদশ সংশোধনী ও ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আদেশে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছে যে, সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না; আনা হলে তা হবে এখতিয়ার বহির্ভূত।[২]
বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনই নয়;- সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা বিধৃত আছে। দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা -কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবিধান প্রণয়ন ও মুদ্রণের ইতিহাস সম্পাদনা
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা হলেন ড. কামাল হোসেন (ঢাকা-৯, জাতীয় পরিষদ), মো. লুৎফর রহমান (রংপুর-৪, জাতীয় পরিষদ),অধ্যাপক আবু সাইয়িদ(সর্বকনিষ্ঠ সদস্য)(পাবনা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম আবদুর রহিম (দিনাজপুর-৭, প্রাদেশিক পরিষদ), এম আমীর-উল ইসলাম (কুষ্টিয়া-১, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর (বাকেরগঞ্জ-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মুনতাকীম চৌধুরী (সিলেট-৫, জাতীয় পরিষদ), ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র (বাকেরগঞ্জ-১৫, প্রাদেশিক পরিষদ), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (সিলেট-২, প্রাদেশিক পরিষদ), সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ময়মনসিংহ-১৭, জাতীয় পরিষদ), তাজউদ্দীন আহমদ (ঢাকা-৫, জাতীয় পরিষদ), খন্দকার মোশতাক আহমেদ (কুমিল্লা-৮, জাতীয় পরিষদ), এ এইচ এম কামারুজ্জামান (রাজশাহী-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন তালুকদার (পাবনা-৩, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রউফ (রংপুর-১, ডোমার, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ (রাজশাহী-৩, জাতীয় পরিষদ), বাদল রশীদ, বার অ্যাট ল, খন্দকার আবদুল হাফিজ (যশোর-৭, জাতীয় পরিষদ), শওকত আলী খান (টাঙ্গাইল-২, জাতীয় পরিষদ), মো. হুমায়ুন খালিদ, আছাদুজ্জামান খান (যশোর-১০, প্রাদেশিক পরিষদ), এ কে মোশাররফ হোসেন আখন্দ (ময়মনসিংহ-৬, জাতীয় পরিষদ), আবদুল মমিন, শামসুদ্দিন মোল্লা (ফরিদপুর-৪, জাতীয় পরিষদ), শেখ আবদুর রহমান (খুলনা-২, প্রাদেশিক পরিষদ), ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক খোরশেদ আলম (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), এম. মোজাফ্ফর আলী (জাতীয় পরিষদ হোমনা - দাউদকান্দি), অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (কুমিল্লা-৪, জাতীয় পরিষদ), দেওয়ান আবু আব্বাছ (কুমিল্লা-৫, জাতীয় পরিষদ), হাফেজ হাবিবুর রহমান (কুমিল্লা-১২, জাতীয় পরিষদ), আবদুর রশিদ (নোয়াখালী-১, জাতীয় পরিষদ) , নুরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬, জাতীয় পরিষদ), মোহাম্মদ খালেদ (চট্টগ্রাম-৫, জাতীয় পরিষদ) ও বেগম রাজিয়া বানু (নারী আসন, জাতীয় পরিষদ)। [৩]
একই বছরের ১৭ই এপ্রিল থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে। জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয়। সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়। গণপরিষদে সংবিধানের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন,
এই সংবিধান শহীদের রক্তে লিখিত, এ সংবিধান সমগ্র জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে থাকবে।[৪]
সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেয়া হয়।
গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি।
সংবিধান ছাপাতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিলো। সংবিধান অলংকরণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছিল যার প্রধান ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই কমিটির সদস্য ছিলেন শিল্পী জনাবুল ইসলাম, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী ও হাশেম খান। শিল্পী হাশেম খান অলংকরণ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তৈরি ক্র্যাবটি ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপা হয়। একটি মেশিন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বহিরাঙ্গনে ২০১৫ সালে সংস্থাপন করা হয়েছে।
মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।[৫]
সংবিধান সম্পাদনা
প্রস্তাবনা সম্পাদনা
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা সাধু ভাষায় লিখিত। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর পর থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনা ইসলামি বাক্যাংশ বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম দিয়ে শুরু হয়, যার অর্থ "পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে"। এরপর শপথ আকারে (আমরা, বাংলাদেশের জনগণ,...) স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর পুনরায় শপথ আকারে (আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে,...) সংবিধানের মূলনীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর শপথ আকারে (আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে,...) রাষ্ট্রের "অন্যতম মূল লক্ষ্য" হিসেবে গণতান্ত্রিক উপায়ে "শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা"-র ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই সমাজের স্বরূপ উল্লেখ করা হয়েছে। পরের অংশে শপথ আকারে (আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে,...) জাতীয় সমৃদ্ধি এবং প্রগতিশীলতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার স্বার্থে সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা, সংরক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধানকে "পবিত্র কর্তব্য" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শেষাংশে বাংলা ও ইংরেজি তারিখে গণপরিষদ কর্তৃক সংবিধান গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।[৬]
মূল সংবিধান সম্পাদনা
প্রস্তাবনার মতো মূল সংবিধানও সাধু ভাষায় লিখিত এবং এতে এগারো ভাগে মোট ১৫৩ টি অনুচ্ছেদ ও সাতটি তফসিল রয়েছে।
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ১-৭নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১৷ প্রজাতন্ত্র ২৷ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা ২ক৷ রাষ্ট্রধর্ম ৩৷ রাষ্ট্রভাষা ৪৷ জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক ৪ক। জাতির পিতার প্রতিকৃতি ৫৷ রাজধানী ৬৷ নাগরিকত্ব ৭৷ সংবিধানের প্রাধান্য ৭ক। সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ ৭খ। সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ৮-২৫ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ৮৷ মূলনীতিসমূহ ৯। জাতীয়তাবাদ ১০। সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি ১১৷ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ১২। ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা ১৩৷ মালিকানার নীতি ১৪৷ কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি ১৫৷ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা ১৬৷ গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব ১৭৷ অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা ১৮৷ জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা ১৮ক। পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন ১৯৷ সুযোগের সমতা ২০৷ অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম ২১৷ নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য ২২৷ নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ২৩৷ জাতীয় সংস্কৃতি ২৩ক। উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ২৪৷ জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন, প্রভৃতি ২৫৷ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ২৬-৪৭ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ২৬। মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল ২৭। আইনের দৃষ্টিতে সমতা ২৮। ধর্ম, প্রভৃতি কারণে বৈষম্য ২৯। সরকারী নিয়োগ-লাভে সুযোগের সমতা ৩০। বিদেশী, খেতাব, প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ ৩১। আইনের আশ্রয়-লাভের অধিকার ৩২। জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকাররক্ষণ ৩৩। গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ ৩৪। জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরণ ৩৫। বিচার ও দন্ড সম্পর্কে রক্ষণ ৩৬। চলাফেরার স্বাধীনতা ৩৭। সমাবেশের স্বাধীনতা ৩৮। সংগঠনের স্বাধীনতা ৩৯। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা ৪০। পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা ৪১। ধর্মীয় স্বাধীনতা ৪২। সম্পত্তির অধিকার ৪৩। গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ ৪৪। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ ৪৫। শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন ৪৬। দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা ৪৭। কতিপয় আইনের হেফাজত ৪৭ক। সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ৪৮-৬৪ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: রাষ্ট্রপতি
৪৮। রাষ্ট্রপতি ৪৯। ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার ৫০। রাষ্ট্রপতি-পদের মেয়াদ ৫১। রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি ৫২। রাষ্ট্রপতির অভিশংসন ৫৩। অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ৫৪। অনুপস্থিতি প্রভৃতির-কালে রাষ্ট্রপতি-পদে স্পীকার
- ২য় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা
৫৫। মন্ত্রিসভা ৫৬। মন্ত্রিগণ ৫৭। প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ ৫৮। অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ ৫৮ক [বিলুপ্ত] ২ক পরিচ্ছেদ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার [সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ২১ ধারাবলে পরিচ্ছেদটি বিলুপ্ত।] [বিলুপ্ত]
- ৩য় পরিচ্ছেদ: স্থানীয় শাসন
৫৯। স্থানীয় শাসন ৬০। স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা
- ৪র্থ পরিচ্ছেদ: প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ
৬১। সর্বাধিনায়কতা ৬২। প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভৃতি ৬৩। যুদ্ধ
- ৫ম পরিচ্ছেদ: অ্যাটর্নি-জেনারেল
৬৪। অ্যাটর্নি-জেনারেল
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ৬৫-৯৩ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: সংসদ
৬৫। সংসদ-প্রতিষ্ঠা ৬৬। সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা ৬৭। সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া ৬৮। সংসদ-সদস্যদের [পারিশ্রমিক] প্রভৃতি ৬৯। শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড ৭০। রাজনৈতিক দল হইতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া ৭১। দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা ৭২। সংসদের অধিবেশন ৭৩। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী ৭৩ক। সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার ৭৪। স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার ৭৫। কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভৃতি ৭৬। সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ ৭৭। ন্যায়পাল ৭৮। সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি ৭৯। সংসদ-সচিবালয়
- ২য় পরিচ্ছেদ: আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি
৮০। আইন প্রণয়ন পদ্ধতি ৮১। অর্থবিল ৮২। আর্থিক ব্যবস্থাবলীর সুপারিশ ৮৩। সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা ৮৪। সংযুক্ত তহবিল ও প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাব ৮৫। সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রণ ৮৬। প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিসাবে প্রদেয় অর্থ ৮৭। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি ৮৮। সংযুক্ত তহবিলের উপর দায় ৮৯। বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি ৯০। নির্দিষ্টকরণ আইন ৯১। সম্পূরক ও অতিরিক্ত মঞ্জুরী ৯২। হিসাব, ঋণ প্রভৃতির উপর ভোট ৯২ক। [বিলুপ্ত]
- ৩য় পরিচ্ছেদ: অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা
৯৩। অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা
ষষ্ঠ ভাগ: বিচারবিভাগ সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ৯৪-১১৭ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: সুপ্রীম কোর্ট
৯৪। সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা ৯৫। বিচারক-নিয়োগ ৯৬। বিচারকের পদের মেয়াদ ৯৭। অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ৯৮। সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ ৯৯। অবসর গ্রহণের পর বিচারগণের অক্ষমতা ১০০। সুপ্রীম কোর্টের আসন ১০১। হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার ১০২। কতিপয় আদেশ ও নির্দেশ প্রভৃতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ১০৩। আপীল বিভাগের এখতিয়ার ১০৪। আপীল বিভাগের পরোয়ানা জারী ও নির্বাহ ১০৫। আপীল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা ১০৬। সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার ১০৭। সুপ্রীম কোর্টের বিধি-প্রণয়ন-ক্ষমতা ১০৮। "কোর্ট অব রেকর্ড" রূপে সুপ্রীম কোর্ট ১০৯। আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ১১০। অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগে মামলা স্থানান্তর ১১১। সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকরতা ১১২। সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা ১১৩। সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ
- ২য় পরিচ্ছেদ: অধস্তন আদালত
১১৪। অধস্তন আদালত-সমূহ প্রতিষ্ঠা ১১৫। অধস্তন আদালতে নিয়োগ ১১৬। অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা ১১৬ক। বিচারবিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন
- ৩য় পরিচ্ছেদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল
১১৭। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমূহ ষষ্ঠ ক ভাগ-জাতীয়দল [সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৪১ ধারাবলে বিলুপ্ত।] [বিলুপ্ত]
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ১১৮-১২৬ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১১৮। নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা ১১৯। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ১২০। নির্বাচন কমিশনের কর্মচারীগণ ১২১। প্রতি এলাকার জন্য একটিমাত্র ভোটার তালিকা ১২২। ভোটার-তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা ১২৩। নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময় ১২৪। নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা ১২৫। নির্বাচনী আইন ও নির্বাচনের বৈধতা ১২৬। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ১২৭-১৩২- নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১২৭। মহা হিসাব-নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা ১২৮। মহা-হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব ১২৯। মহা হিসাব-নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ ১৩০। অস্থায়ী মহা হিসাব-নিরীক্ষক ১৩১। প্রজাতন্ত্রের হিসাব-রক্ষার আকার ও পদ্ধতি ১৩২। সংসদে মহা হিসাব-নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ১৩৩-১৪১ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো:
- ১ম পরিচ্ছেদ: কর্মবিভাগ
১৩৩। নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলী ১৩৪। কর্মের মেয়াদ ১৩৫। অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বরখাস্ত প্রভৃতি ১৩৬। কর্মবিভাগ-পুনর্গঠন
- ২য় পরিচ্ছেদ: সরকারী কর্ম কমিশন
১৩৭। কমিশন-প্রতিষ্ঠা ১৩৮। সদস্য-নিয়োগ ১৩৯। পদের মেয়াদ ১৪০। কমিশনের দায়িত্ব ১৪১। বার্ষিক রিপোর্ট ৫ নবম-ক ভাগ জরুরী বিধানাবলী(১৪১ক-১৪১গ) ১৪১ক। জরুরী-অবস্থা ঘোষণা ১৪১খ। জরুরী-অবস্থার সময় সংবিধানের কতিপয় অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ ১৪১গ। জরুরী-অবস্থার সময় মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিতকরণ
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের কেবল ১৪২ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১৪২। সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা
একাদশ ভাগ: বিবিধ সম্পাদনা
এই অংশে সংবিধানের ১৪৩-১৫৩ নং অনুচ্ছেদ বর্ণিত রয়েছে। অনুচ্ছেদগুলো হলো: ১৪৩। প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি ১৪৪। সম্পত্তি ও কারবার প্রভৃতি-প্রসঙ্গে নির্বাহী কর্তৃত্ব ১৪৫। চুক্তি ও দলিল ১৪৫ক। আন্তর্জাতিক চুক্তি ১৪৬। বাংলাদেশের নামে মামলা ১৪৭। কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভৃতি ১৪৮। পদের শপথ ১৪৯। প্রচলিত আইনের হেফাজত ১৫০। ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী ১৫১। রহিতকরণ ১৫২। ব্যাখ্যা ১৫৩। প্রবর্তন, উল্লেখ ও নির্ভরযোগ্য পাঠ
তফসিল সম্পাদনা
আরো দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫৩ অনুচ্ছেদের ৩ দফা।
- ↑ Samarendra Nath Goshwami (ed), The Constitution (Thirteenth Amendment) Act's Case, Supreme Bar Building, Dhaka-1000, 2012, Page: 208-209.
- ↑ [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (নবম-দশম শ্রেণী) (২০১৫)। "স্বাধীন বাংলাদেশ"। ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন ও পটভূমি। পৃষ্ঠা ২৮।
- ↑ "প্রথম আলো ৪ঠা নভেম্বর ২০১০"। ২০১৭-০৩-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-১২।
- ↑ "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। Bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৫।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |