চাটগাঁইয়া ভাষা
চাটগাঁইয়া বা চিটাইঙ্গা হল ইন্দো-আর্য ভাষাগোষ্ঠির একটি সদস্য ভাষা এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের তথা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির প্রধান ভাষা। বাংলা ভাষার অন্যান্য উপভাষাগুলোর সাথে চাটগাঁইয়ার শব্দগত এবং ব্যাকরণগত সম্বন্ধ বিদ্যমান থাকায় একে ভাষাবিদদের দ্বারা সাধারণত বাংলার উপভাষা গণ্য করা হয়, যদিও ভাষাদ্বয় পারস্পরিক একই অর্থে বোধগম্য হয় না।[৭] এই কারণে আবার অনেকে এই ভাষাকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।[৮]
চাটগাঁইয়া | |
---|---|
চাটগাঁইয়া বাংলা[১][২] | |
চিটাইঙ্গা ভাষা | |
![]() | |
উচ্চারণ | [siʈaiŋga] [saʈgaiya vasha] |
দেশোদ্ভব | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | চট্টগ্রাম অঞ্চল |
জাতি | বাঙালি[৩][৪] |
মাতৃভাষী | ১ কোটি ৩০ লাখ (২০২০)[৫]
|
ইন্দো-ইউরোপীয়
| |
বাংলা লিপি লাতিন লিপি আরবী হরফ | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | ctg |
ভাষাবিদ তালিকা | ctg |
গ্লোটোলগ | chit1275 [৬] |
লিঙ্গুয়াস্ফেরা | 73-DEE-aa |

শ্রেণিবিন্যাস
চাটগাঁইয়া ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের ইন্দো-আর্য শাখার পূর্বাঞ্চলীয় ইন্দো-আর্যের উপশাখা বাংলা-অসমীয়ের সদস্য। সমগোত্রীয় অন্যান্য ভাষাসমূহ হল সিলেটি, রোহিঙ্গা, অসমীয়া, ওড়িয়া এবং বিহারি ভাষা তাছাড়া ইন্দো-আর্যের হিন্দির সাথে চাটগাঁইয়ার পরোক্ষ মিল রয়েছে। অন্যান্য বাংলা-অসমীয়া ভাষাসমূহের মত চাটগাঁইয়া প্রাকৃত ভাষা থেকে এসেছে যা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের একটি কল্পিত পূর্বসূরী প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা এর উত্তরসূরী।[৯] আইরিশ ভাষাবিদ গ্রিয়ারসন (১৯০৩) চাটগাঁইয়াকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষার অন্তর্ভুক্ত করে শ্রেণীবদ্ধ করেছিলেন। অন্যদিকে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মাগধী প্রাকৃত থেকে আগত বাংলা ভাষার বঙ্গীয় উপভাষাদলের অন্তর্গত করেছেন।[১০]
ভৌগোলিক বিস্তার
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল প্রধানত চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম জেলা এবং কক্সবাজার জেলার মানুষের প্রধান ভাষা চাটগাঁইয়া ভাষা। এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় অনেকে এ ভাষা ব্যবহার করে।
অঞ্চলভেদে চাটগাঁইয়া ভাষার প্রধানত ৪টি উপভাষা পাওয়া যায়। যথা: ১. উত্তর চাটগাঁইয়া ভাষা ২. দক্ষিণ চাটগাঁইয়া ভাষা ৩. চট্টগ্রাম শহরের চাটগাঁইয়া ভাষা ৪. বড়ুয়াদের চাটগাঁইয়া ভাষা ৫. সনাতন ধর্মালম্বীদের চাটগাঁইয়া ভাষা
বলা হয় চট্টগ্রামে হাঁড়ি-ডোম ছত্রিশ জাতির বসবাস ফলে প্রাচীনকাল থেকে নানা জাতির নানা গোষ্ঠি চট্টগ্রামে এসে স্থায়ী হওয়াতে তাদের নিজস্ব ভাষার সাথে চট্টগ্রামের ভাষার সংমিশ্রনে কিছু বিকৃত চাটগাঁইয়া ভাষীও দেখা যায়। এছাড়াও ধর্মভেদে চাটগাঁইয়া ভাষার পার্থক্য দেখা যায়। চট্টগ্রামের বসবাসরত হিন্দু এবং বৌদ্ধদের পরস্পরের ব্যবহৃত চাটগাঁইয়া ভাষা চট্টগ্রামের মূল জনগোষ্ঠী মুসলমানদের তুলনায় ভিন্ন। এছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামে রয়েছে রোঁয়াই জনগোষ্ঠির রোঁয়াই ভাষা যা প্রথম শুনায় চাটগাঁইয়া মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ১৭৮৪ সালে বার্মা যুদ্ধে পালিয়ে এসে ব্রিটিশ গভর্নর হিরামকক্স কর্তৃক পুনর্বাসিত রোয়াইঙ্গা জনগোষ্ঠির ভাষা। রোঁয়াই শব্দটি রোয়াইঙ্গা শব্দের সংক্ষিপ্ত রুপ, স্থানীয়দের উচ্চারণে লোয়াই। মূলত অতীতে এই ভাষাগত পার্থক্য দিয়ে চাটগাঁইয়া(চাঁডি) এবং রোয়াইঙ্গা(রোঁয়াই) চিহ্নিত করা হত।
ব্যাকরণ
চাটগাঁইয়া ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা নেই। তাই এর লিখিত রুপ হিসেবে অনেকেই বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে থাকেন।
- চাটগাঁইয়া ভাষাতে
পশ্চিমাঞ্চলীয় বাংলার মতোই না বোধক অব্যয় সবসময় ক্রিয়ার আগে বসে। যেমন-
- আমি যাবো না > আঁই ন যাইয়্যুম
- আমি এই কাজ করতে পারবো না > আঁই হাম ইয়েন/ইয়ান গরিত ন ফাইজ্জুম/ফাইরগুম।
- চাটগাঁইয়ায় সর্বনামের ক্ষেত্রে খুবই সম্প্রতি আধুনিক বাংলার আমি, তুমি, ইত্যাদি সর্বনাম থেকে মধ্যবর্তী 'ম' ধ্বনি লুপ্ত এবং বির্বর্তিত হয়ে নাসিক্যধ্বনি সৃষ্টি হয়েছে। যেমন-
- আহ্মি (প্রাচীন বাংলা) > আমি > আঁই, তুহ্মি (প্রাচীন বাংলা) > তুমি > তুঁই, আহ্মার (প্রাচীন বাংলা) > আমার > আঁর ইত্যাদি।
- চাটগাঁইয়া ব্যাকরণে স্বরের পরিবর্তনের (টান) মাধ্যমে কাল এর পরিবর্তন হয়, যা প্রমিত বাংলা থেকে স্বতন্ত্র একটি নিয়ম। যেমন-
- আমি স্কুলে যাই না > আঁই স্কুলত ন যাই
- আমি স্কুলে যাই নি > আঁই স্কুলত নঅ যাই
- এছাড়াও উপসর্গ, অনুসর্গ এবং অন্যান্য উপায়ে শব্দের কলেবর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য রয়েছে। যেমন-
- কাজটি গতকাল করেছি > হাম ইয়েন/ইয়ান গেলদে হালিয়ে গইজ্জি/গইরগি।
- কাজটি এখন করছি > হাম ইয়েন ইয়া/এহন গরির
- কাজটি আগামীকাল করব > হাম ইয়েন আইয়েদ্যে হালিয়ে গইজ্জুম।
- দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় চট্টগ্রামে একমাত্র স্বরধ্বনির মাঝে থাকা ব্যঞ্জনধ্বনি এবং মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলোর ব্যাপক মাত্রায় লোপ ঘটে। সেখানে "l-ch > l-j" এবং "r-ch > r-j" ধ্বনিগত রূপান্তরও দেখা যায়। এইসব পরিবর্তনের ফলে গঠিত ধ্বনিগুলো আরো বিকৃত হয়ে *'h(y)'y, -rg(y)- ইত্যাদি রূপ ধারণ করে। যেমন-
- প্রমিত বাংলায়:চলিয়াছি>চলিছি/চলেছি, করিয়াছি>করিছি/করেছি ইত্যাদি চট্টগ্রামের ভাষায় রূপান্তরিত হয়ে:চইল-ছি, কইর-ছি → চইলজি, কইর্জি → চইল্যি, কইজ্জি → চইলগ্যি, কইরগ্যি, চইলগি, কইরগি হয়।[১১]
- অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় বাংলা উপভাষাগুলো সহ চাটগাঁইয়াতে স্বরসংক্রান্ত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। অর্থাৎ চাটগাঁইয়া ভাষায় একই শব্দ স্বর এর পরিবর্তনের মাধ্যমে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করতে পারে। যেমন-
- ফর - পড়
- ফঅর - আলো
- হানা - অন্ধ
- হাঁনা - খাবার
- ব্যভার,হাস্তা - ব্যবহার
- হাসিয়ুত - অভ্যাস
- অন্য ভাষার শব্দ চাটগাঁইয়া ভাষায় ব্যবহৃত হলে, সেইসব শব্দের মধ্যে বা শেষে যদি 'হ' থাকে, তাহলে সেই 'হ' উহ্য হয়ে যায় এবং 'হ' এর স্থানে টেনে বলতে হয়।
- প্রমিত বাংলা: পাহাড় > চাটগাঁইয়া: ফাআর
- ফারসি: মহব্বত > চাটগাঁইয়া: মঅব্বত
- ফারসি: মেহেরবানি > চাটগাঁইয়া: মে'রবানি
- আরবি: রুহ > চাটগাঁইয়া: রুও
- আরবি: সহি > চাটগাঁইয়া: সই
- চাটগাঁইয়াসহ অধিকাংশ বঙ্গালী উপভাষায়, সেইসব শব্দের শুরুতে যদি 'হ' থাকে, তাহলে সেই 'হ' উহ্য হয়ে যায় এবং 'হ' এর স্থানে চাপ দিয়ে বলতে হয়।
- প্রমিত বাংলা: হলুদ > চাটগাঁইয়া: অলইদ
- আরবি: হয়রান > চাটগাঁইয়া: অরান
- আরবি: হুজুর > চাটগাঁইয়া: উজুর
শব্দ বিন্যাস
চাটগাঁইয়া ভাষার শব্দ বিন্যাস বা বাক্যগঠন হয় কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া ধারায়।
যেমন: ইতারা (তারা) হামত (কাজে) জারগোই (চলে যাচ্ছে)।
কর্তা | কর্ম | ক্রিয়া |
---|---|---|
আঁই (আমি) | ভাত (ভাত) | হাআই (খাই)। |
ইতি (সে) | টিভি (টিভি) | চাআর (দেখছে/চেয়ে আছে)। |
ইতে (সে) | সাইকেলত (সাইকেলে) | চরের (চড়ছে)। |
ইতারা (তারা) | খেলা (খেলা) | হাঁর (খেলছে)। |
কয়েকটি চাটগাঁইয়া শব্দের উদাহরণ
(একবচন) | (বহুবচন) |
---|---|
কেতি য়ান/কেতি গান (ক্ষেত টি) | কেতি গিন/কেতি ইন (ক্ষেত গুলি) |
ফটু আন/ফটু গান (ছবি টি) | ফটু গিন/ফটু ইন (ছবি গুলি) |
ফাতা-ওভা (পাতা টি) | ফাতা গুন/ফাতা উন (পাতা গুলি) |
তার গান (তার টি) | তার গিন (তার গুলি) |
কেবার গান (দরজা টি) | কেবার গিন (দরজা গুলি) |
ফাআর-গো (পাহাড় টি) | ফাআর গুন (পাহাড় গুলি) |
ডেবাল ইবা (দেয়ালটি) | ডেবাল উন (দেয়াল গুলি) |
বই ইবা (বইটি) | বই উন (বইগুলো) |
মানুষ ইবে (মানুষ) | মানুষ উন (মানুষ গুলো) |
উগ্গা ফাতা (একটি পাতা) | হদূন ফাতা (কিছু পাতা) |
এক্কান ফটু (একটি ছবি) | হতিক্কিন/হদিন ফটু (কিছু ছবি) |
…---------অথবা---------- … | …----------অথবা----------- … |
ফাতা উগ্গা (একটি পাতা) | ফাতা হদুন (কিছু পাতা) |
ফটু এক্কান (একটি ছবি) | ফটু হদিন (কিছু ছবি) |
মরদ ফোয়া ইবা (ছেলেটি) | মরদ ফোয়া এগুন (ছেলে গুলা) |
মেইফোয়া ইবা (মেয়েটি) | মেইফোয়া এগুন (মেয়েগুলো) |
(প্রমিত বাংলা) | (চাটগাঁইয়া) |
---|---|
লেবু | হঁজি |
ছাগল | চঅল |
মুরগি | কুঁরি কুরা |
মোরগ | রাতা কুরা |
প্রধান দরজা | মেইন দুয়ার |
চালচলন | হাস্তা হাসিয়ত/হাসলত |
বাড়ির পিছনে | বারিসদি |
মই | আঁট্টা/দঅর |
টাকা | টিঁয়া |
সাঁকো | অঁ |
সকাল | বেইন্না |
সন্ধ্যা | আজুইন্না/আজিন্না |
ভাল | গম |
চাকরি | চঁরি |
বজ্রপাত | টাডাল |
একটু করে | ইক্কিনি গরি/এক্কানা গরি |
দাড়াঁন | তিয়্যন |
দক্ষিণ | দইন |
ঝগড়া | হইজ্জে/ফজাত |
গোয়ালঘর | গরুর গোতাইল/গরুর ওরা |
মুরগিরঘর | কুরার আরাইল |
পাকঘর | বওসহানা, অঁলা |
পায়খানা | ফেহানা/টাট্টি |
পাগল | ফঅল |
হাতি | আতি |
মসজিদ | মসইদ |
বেড়া | টিঁয়ারা, জলি |
ঢেঁড়স | বেরেলা/ভেন্ডি |
আসমান | আস্সান |
মেঘ | মেওলা |
সাঁতার | আঁসুর |
ভর্তা | চান্নি |
জাম্বুরা | তরুনজা/হন্নাল |
আগামি কাল | আইদ্দে হালিয়া |
তুই | তুই |
আপনি | অনে |
তুমি | তুঁই |
আসল | আসল |
অভদ্র | বেরাইজ্জে |
কলম | হলম |
গম | গিঁও |
চাল | চইল |
ছেলেমেয়ে | ফোয়াসা |
খাওয়াদাওয়া | হানাফিনা |
জ্যোৎস্না | জোনাফ্ফর |
বৃহস্পতিবার | বিশিদবার |
শুক্রবার | শুক্কুর বার |
ভাই | বদ্দা |
খারাপ | হরাপ/গম নয় |
ব্যাথা | বিস/দুক |
কাঠাল | হাট্টল |
কমলা | হঁলা |
একটু দেখি | এক্কানা চাই |
আজকে | আজিয়া |
কালকে | হালিয়া |
অয়াওও | অবুক |
আরেকটু | আরেক্কানা |
চাটগাঁইয়া ভাষায় বাংলা বার মাস
(প্রমিত বাংলা) | (চাটগাঁইয়া) |
---|---|
বৈশাখ | বইশাক |
জৈষ্ঠ | জেঢ/জের |
আষাঢ় | আশার |
শ্রাবন | শঅন |
ভাদ্র | ভাদঅ |
আশ্বিন | আশিন |
কার্তিক | হাতি |
অগ্রহায়ণ | অঁন |
পৌষ | ফোশ |
মাঘ | মাগ |
ফাল্গুন | ফঅওন |
চৈত্র | চইত |
গণমাধ্যম ও গানে ব্যবহার
শেফালী ঘোষ এবং শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবকে বলা হয় চট্টগ্রামের চাটগাঁইয়া গানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞি। এছাড়াও রয়েছেন চাটগাঁইয়া ভাষার শিল্পী সিরাজুল ইসলাম আজাদ। মাইজভান্ডারী গান ও কবিয়াল গান চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্য। কবিয়াল রমেশ শীল একজন বিখ্যাত কিংবদন্তি শিল্পী ও গীতিকার। আবদুল গফুর হালী চাটগাঁইয়া ভাষায় বেশিরভাগ জনপ্রিয় গানগুলোর গীতিকার ও সুর করেছেন। তিনি প্রায় দুই হাজারেরও অধিক চাটগাঁইয়া ভাষায় গান রচনা করেছেন এবং সুর করেছেন।
চট্টগ্রামের ভাষায় অনেক গান রয়েছে। তার মধ্যে কিছু গানের নাম উল্লেখ করা হলো:
- মন হাসারা মাঝি তোর সাম্পানত সইত্তাম নঁ
- অ জেডা ফইরার বাফ
- বাঁশহালি মইশহালি ফাল ওড়ায় দিলে সাম্পান
- সাম্পান কেককুরত
- মধু হই হই আঁরে বিষ হাবাইলা
- টেকনাইফফা ফনা শুয়ারি মইশহালির পান রে
- বাইক্কা টিঁয়া দে
- আইজকাল আঁই আইলে এনকা গরঅ
- হেড মাস্টরে তোঁয়ারে তোয়ার
- আই ভাত নহায়ুম গোশশা অইয়ুম
- যার গরত গাই গরু নাই তারত বেসের দই
- ঘুম যারে বাসা তুই
- শুর্য উডেরে ভাই লাল মারি
- ওরেও হালা ভোওঁরা আঁই আইজো ফুলর হঁরা
- বন্ধু আঁর দুয়ার দি যঅর
- আইলা অশমত বেইন্না ফজরত
- হতদিন অইয়্যেদে বারিত নজাইদ্দি
- অ হালাচান গলার মালা
- পিরিত মানি ফুডুর ফাডুর
- নযাইও দুবাই বন্ধু আঁরে ফেলাই
- যদি সুন্দর এক্কান মন ফাইতাম
- বানু রে অ বানু
- কুতুবদিয়া আঁর বাড়ি
- নাতিন বরই হা
- রশর হতা হই হই
- হইলজার ভিতুর গাঁথি রাইক্কুম তোঁয়ারে
- বাইন দুয়ার দি নোআইশ্শো তুই
- ও ভাই আঁরা চাটগাইয়া নওজোয়ান
- রইশ্যা বন্ধু সারি গেলগই
বাংলাদেশ বেতার এবং বিটিভি চট্টগ্রাম চাটগাঁইয়া ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "Bengali (Chittagong) at wals"।
- ↑ "Olac resources in and about Chittagonian"।
- ↑ Masica, Colin (১৯৯১)। The Indo-Aryan Languages। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 25।
- ↑ Gordon Jr., Raymond G. (২০০৫), Ethnologue: Languages of the World (15th edition), Dallas, Texas: SIL International, আইএসবিএন 978-1-55671-159-6, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;vc
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Chittagonian"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ "Chittagonian A language of Bangladesh"। এথনোলগ: ল্যাঙ্গুয়েজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, ১৬তম সংস্করণ। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ মাসিকা, কলিন (১৯৯১)। The Indo-Aryan Languages। ক্যামব্রিজ: ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ১৬।
The dialect of Chittagong, in southeast Bangladesh, is different enough to be considered a separate language. [দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এই উপভাষার যথেষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে, যা একটি পৃথক ভাষা হিসাবে বিবেচিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট।]
- ↑ Ethnologue (২০০৫)। "Chittagonian, a language of Bangladesh"।
- ↑ Grierson, G A, সম্পাদক (১৯০৩)। Linguistic Survey of India: Indo-Aryan Family Eastern Group। V। ২৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০২০।
- ↑ SK Chatterji, The Origin and Development of the Bengali Language, Calcutta University, Calcutta, 1926, p.143;