বম ভাষা
বম ভাষা বম নৃগোষ্ঠীর ভাষা। এই ভাষা চীনা-তিব্বতি ভাষা পরিবারের কুকি-চিন-নাগা শাখার অন্তর্ভুক্ত।[১]
বম | |
---|---|
বম, বন, বাউন, বোনজোগি, বঙ | |
অঞ্চল | বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা |
মাতৃভাষী | (১৯৯১-২০০৪ অনুযায়ী ২১,৫০০)
|
চীনা-তিব্বতি
| |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | bgr |
ইতিহাসসম্পাদনা
১৮৯৪ সালে রেভারেন্ড জে এইচ লরেইন ও রেভারেন্ড এফ ডব্লিউ স্যাভেজ আইজলে রোমান বর্ণমালা অনুসরণে একটি লিপির প্রবর্তন করেন। মিজোরাম থেকে আসা লুসাই ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে এ লিপি বম-পাংখোয়াদের মধ্যে প্রচলিত হয়। এ বর্ণমালায় ২৫টি রোমান বর্ণ ব্যবহার করা হয়।[১]
ভৌগোলিক বিস্তারসম্পাদনা
বমদের বসবাস মূলত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায়। এ ছাড়া রাঙামাটির বিলাইছড়িতেও কিছু কিছু বম বাস করে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এদের লোকসংখ্যা ছয় হাজার ৯৭৮। বমরা একাধিক নামে পরিচিত, যেমন: বম, বন, বাউন, বোনজোগি, বঙ। গবেষকদের ধারণা, এককালে চীনের মূল ভূখণ্ডের চিনলুং এলাকায় এ জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। পরে বার্মার চেনদুইন ও ইরাবতী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে এরা সরে আসে।[১]
ধ্বনিব্যবস্থাসম্পাদনা
রোমান হরফকে বম ধ্বণির সাথে মিলিয়ে ধ (আ) ধ ি(অ) ন (বি) পয (চ) ইত্যাদি ২৫টি বর্ণ বিশিষ্ট বম বর্ণমালা উদ্ভাবন করা হয়।[২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ বম ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-০২-১৫ তারিখে,মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১২-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ বায়ান্ন সালেই এল. দৌলিয়ান প্রকাশ করেন বম ভাষার প্রথম বই,মনু ইসলাম, দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।