চাক ভাষা
চাক হচ্ছে সিনো-তিব্বতীয় ভাষা গোষ্ঠীর সাল শাখা। বার্মা এবং চীনে এই ভাষায় কথা বলা হয়। চাক ভাষার একাধিক কথ্যরূপ বিদ্যমান। কাদো, কানান ইত্যাদি। আন্দ্রো এবং সেংমাই উপভাষাদ্বয় বিলুপ্তির পথে। এই ভাষায় কথা বলা লোক গুলো এখন মৈতৈ ভাষায় কথা বলে।[৩][৪] কাদো/কানান ভাষী লোকেরা বার্মিজ এবং চাকমা বাংলায় কথা বলে। প্রাচীন পিয়ু ভাষা এই ভাষা থেকেই উৎপত্তি লাভ করেছিলো।[২]
চাক | |
---|---|
লুইশ | |
কাদো | |
দেশোদ্ভব | বার্মা, চীন |
অঞ্চল | উত্তর পশ্চিম রাখাইন রাজ্য |
জাতি | কাদু জনগোষ্ঠী |
মাতৃভাষী | ৪০,০০০ (2007)[১]
|
সিনো-তিব্বতীয়
| |
উপভাষা |
|
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | kdv – সমেত কোডপৃথক কোডসমূহ: zkd – কাদুzkn – কানানckh – চাকlba – ্লুই (old generic name) |
গ্লোটোলগ | sakk1239 [২] |
চাক জনগোষ্ঠী যে ভাষায় কথা বলে সেটি চাক ভাষা নামে পরিচিত। এ ভাষা চীনা-তিব্বতি পরিবারের সদস্য। জর্জ গ্রিয়ারসনের মতে, মণিপুরের আন্দো, সেংমাই এবং বাইরেল উপভাষার সঙ্গে চাক ভাষার সাদৃশ্য রয়েছে। যদিও কেউ কেউ এটিকে অশনাক্ত ভাষারূপে চিহ্নিত করেছেন। চাক মূলত টোনাল বা সুরপ্রধান ভাষা। এই ভাষার বাক্য গঠন বাংলার মতোই। অর্থাৎ কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া। যেমনঃ বাংলা 'আমি ভাত খাই', চাক ভাষায় 'ঙা পুক সেহে'। বাংলার সাথে চাক ভাষার আরো কিছু মিল আছে। বাংলার মতো চাক ভাষাতেও বহুবচনে 'রা' প্রত্যয় যুক্ত হয়। বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যবহারের পাশাপাশি চাক ভাষায় সাহিত্য চর্চাও হচ্ছে।
আরোও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ এথ্নোলগে চাক (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
এথ্নোলগে কাদু (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
এথ্নোলগে কানান (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
এথ্নোলগে চাক (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫)
এথ্নোলগে ্লুই (old generic name) (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫) - ↑ ক খ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Sak"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ Burling, Robbins (২০০৩)। "The Tibeto-Burman languages of northeast India"। Thurgood, Graham; LaPolla, Randy J.। Sino-Tibetan Languages। London: Routledge। পৃষ্ঠা 169–191। আইএসবিএন 978-0-7007-1129-1।
- ↑ McCulloch, W. (১৮৫৯)। Account of the Valley of Munnipore and of the Hill tribes with a comparative vocabulary of the Munnipore and other languages। Calcutta: Bengal Printing Company।
- বাংলাদেশের নানান ভাষা; মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান; পৃষ্ঠা নম্বর – ৩০; প্রথমা প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ – অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪