প্রবেশদ্বার:নেপাল
নেপাল (নেপালি: नेपाल), আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রী নেপাল (নেপালি: सङ्घीय लोकतान्त्रिक गणतन्त्र नेपाल) হিমালয় অধ্যুষিত একটি দক্ষিণ এশিয়ার স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। যার সাথে উত্তরে চীন এবং দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। এর শতকরা ৮১ ভাগ জনগণই হিন্দু ধর্মের অনুসারী। বেশ ছোট আয়তনের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের ভূমিরূপ অত্যন্ত বিচিত্র। আর্দ্র আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল, তরাই থেকে শুরু করে সুবিশাল হিমালয়; সর্বত্রই এই বৈচিত্র্যের পরিচয় পাওয়া যায়। নেপাল এবং চীনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০ টি পর্বতের ৮ টিই অবস্থিত। এখানেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) নির্বাচিত নিবন্ধ -এভারেস্ট পর্বত বা মাউন্ট এভারেস্ট (ইংরেজি: Mount Everest), যা নেপালে সগরমাথা (নেপালি: सगरमाथा) এবং তিব্বতে চোমোলাংমা (তিব্বতি: ཇོ་མོ་གླང་མ, ওয়াইলি: jo mo glang ma) নামে পরিচিত, বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এই শৃঙ্গটি হিমালয়ের মহালঙ্গুর হিমাল পর্বতমালায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফু) হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দূরত্ব সর্বাধিক নয়। চীন ও নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভারেস্ট পর্বতের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে। এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিম জানিয়েছেন এভারেস্ট শৃঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হলো ৩০ ফুট ও ৬ ফুট। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণের ফলে এভারেস্ট পর্বতের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪০ মি (২৯,০০২ ফু)। ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর সুপারিশে রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি তার পূর্বসূরী জর্জ এভারেস্টের ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে এভারেস্ট পর্বত রাখে। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪৮ মি (২৯,০২৯ ফু), যা ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি চীনা জরিপ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। ব্রিটিশ পর্বতারোহীরা সর্বপ্রথম এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা শুরু করেন। নেপালে এই সময় বিদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে এই পর্বতের উত্তর শৈলশিরা ধরে বেশ কয়েক বার আরহণের চেষ্টা করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এভারেস্ট পর্বত অভিযানে ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে ৭,০০০ মি (২২,৯৭০ ফু) উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠেন। এরপর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দের অভিযানে তারা এই পথে ৮,৩২০ মি (২৭,৩০০ ফু) উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠে মানবেতিহাসের নতূন কীর্তি স্থাপন করেন। এই অভিযানে অবতরনের সময় তুষারধ্বসে সাতজন মালবাহকের মৃত্যু ঘটে। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের অভিযান এভারেস্ট আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় অভিযান: জর্জ ম্যালোরি ও অ্যান্ড্রিউ আরউইন শৃঙ্গের দিকে আরোহণের একটি অন্তিম প্রচেষ্টা করেন কিন্তু আর ফিরে আসতে ব্যর্থ হন, যার ফলে তাদের আরোহণই প্রথম সফল আরোহণ কি না সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৯ মে এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং নোরগে নেপালের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে প্রথম এই শৃঙ্গজয় করেন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মে, চীনা পর্বতারোহী ওয়াং ফুঝোউ, গোনপো এবং চু ইয়িনহুয়া উত্তর শৈলশিরা ধরে এই শৃঙ্গ জয় করেন । (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) ভূপ্রকৃতি -ফেওয়া হ্রদ নেপালের পোখরা উপত্যকায় অবস্থিত একটি স্বাদুপানির হ্রদ। সারাংকোট এবং কাসিকোট গ্রামের সন্নিকটে এই হ্রদের অবস্থান। প্রাকৃতিক ঝর্ণা এই হ্রদের পানির উৎস হলেও বাধের মাধ্যমে পানি ধরে রাখা হয়, তাই এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক হ্রদ নয়। ফেওয়া হ্রদ নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। নেপালের গণ্ডকী অঞ্চলের বৃহত্তম হ্রদ এটি, বেগনাস হ্রদ এর চেয়ে কিছুটা আকারে ছোট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪২ মিটার উচ্চতায় ফেওয়া হ্রদের অবস্থান। ফেওয়া হ্রদের আকার ৫.২৩ বর্গকিলোমিটার (২ বর্গমাইল)। এর গড় গভীরতা ৮.৬ মিটার (২৮ ফুট) এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ২৪ মিটার (৭৯ ফুট)। ফেওয়া হ্রদের সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা ৪৩,০০০,০০০ ঘনমিটার (৩৫,০০০ একর-ফুট)। অন্নপূর্ণা পর্বতশ্রেণী এই হ্রদের উত্তর প্রান্ত থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মাছাপুছারে পর্বতের অপূর্ব প্রতিফলনের জন্য এই হ্রদ বিশেষ জনপ্রিয়। এই হ্রদের একটি দ্বীপে তাল বরাহী মন্দির রয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
উল্লিখিত তথ্যগুলি উইকিপিডিয়া:আপনি জানেন কি প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান পাতায় প্রদর্শিত হয়েছে।
আপনি যা করতে পারেন
নির্বাচিত জীবনী -ফত্তেবাহাদুর সিংহ (নেপালি: फत्तेबहादुर सिंह्; ১৯০২–১৯৮৩) ছিলেন একজন নেপালি কবি ও সাংবাদিক। তিনি নেপাল ভাষায় সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র চালু করেন। আপন মাতৃভাষার উন্নয়নের স্বার্থে জড়িত থাকার জন্য তাকে তৎকালীন শাসকদের সাজার মুখোমুখি হতে হয় এবং নেপাল ভাষার অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সাথে তিনি জেলও খাটেন। ফত্তেবাহাদুর কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম কুলদীপ সিংহ এবং মাতার নাম দেবলানি সিংহ। তার দাদা সিদ্ধিদাস মহাজু ছিলেন নেপাল ভাষার অন্যতম কবি এবং নেপাল ভাষার চার স্তম্ভের অন্যতম। ১৯৩০ সালে বুদ্ধধর্ম ওয়া নেপাল ভাষা পত্রিকায় ফত্তেবাহাদুরের প্রথম কবিতা “বানমলাহগু চাল” (অর্থ “বদচাল”) প্রকাশিত হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) নির্বাচিত চিত্র-নেপাল সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধে ব্যবহৃত চিত্র
স্বীকৃত ভুক্তিভাল নিবন্ধআজাকি নিবন্ধউইকিপ্রকল্পবিষয়
বিষয়শ্রেণীসমূহউপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন
অন্যান্য প্রবেশদ্বারউইকিমিডিয়া |