নেপাল–পাকিস্তান সম্পর্ক

নেপাল ও পাকিস্তান দ্বিদেশীয় সম্পর্ক
(নেপাল-পাকিস্তান সম্পর্ক থেকে পুনর্নির্দেশিত)

নেপাল-পাকিস্তান সম্পর্ক হল সংঘীয় লোকতান্ত্রিক গণতন্ত্র নেপাল এবং ইসলামী গণতন্ত্র পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। নেপাল ও পাকিস্তান, উভয় হিমালয়ের রাষ্ট্র, তাঁদের মধ্যে ২৯ মার্চ, ১৯৬০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়।[১] এই সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং সম্প্রতি মোল্ভি নেপালি ও রিচা জোশীর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে সাক্ষাতের মাধ্যমে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং এই সম্পর্ক উন্নীত করার জন্য মোল্ভি নেপালী সম্প্রতি জিন্নাহ বিমানবন্দর করাচি[২] থেকে নেপালে একটি আনঅফিসিয়াল সফর করেন।

পাকিস্তান-নেপাল সম্পর্ক
মানচিত্র Pakistan এবং Nepal অবস্থান নির্দেশ করছে

পাকিস্তান

নেপাল

পেক্ষাপট সম্পাদনা

১৯৪৭ সালে নেপালের স্বাধীনতার পর নেপাল ভারতের সাথে তাঁদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, কিন্তু পাকিস্তানের সাথে তা করেননি। ১৯৫০ সালে, নেপালের সঙ্গে ভারতের শান্তি ও বন্ধুত্বের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, ফলে অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ব্যাপক সম্পর্ক তৈরি হয়। নেপাল এইভাবে পাকিস্তান থেকে আলাদা ছিল, যা ভারতের সাথে বিরোধে ছিল।[৩][৪][৫] তবে, নেপাল ভারতীয় প্রভাবের অত্যধিক্য থেকে চীন ও পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানায়।[৫][৬][৭]

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন সম্পাদনা

১৯৬২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য নেপালপাকিস্তান একটি প্রোটোকল স্বাক্ষর করে। ১৯৬৩ সালে তারা রাষ্ট্রদূত বিনিময় করেন এবং দূতাবাস স্থাপন করেন, যখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান নেপালের একটি বিশেষ সফর করেন।[২] উভয় দেশ বাণিজ্য ও সহযোগিতার উন্নয়নের জন্য "সর্বাধিক অনুগ্রহশীল রাষ্ট্র" রাষ্ট্রীয় গুরুত্বের বিনিময়ে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।[২] ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তান (এখন বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিনামূল্যে বাণিজ্য সুবিধা ও পরিবহন সুবিধা প্রদানের জন্য নেপালের সাথে সহযোগিতা করতে সম্মত হয় এবং একটি এয়ার লিংক স্থাপন করে। এই ব্যবস্থার বাণিজ্য ভারসাম্যের জন্য নেপালের ভারত নির্ভরতা কমে যায়।[২] যদিও ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় নেপাল আনুষ্ঠানিকভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছিল, তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নেপাল বাংলাদেশকে প্রথম দেয়। প্রতিশোধ হিসেবে ইসলামাবাদ দুই দিন পর কাঠমান্ডুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পাদনা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উভয় দেশই সামরিক সহযোগিতা অব্যাহতভাবে শুরু করে, নেপাল তাদের প্রয়োজনিয় অস্ত্র পাকিস্তান থেকে আমদানি করে।[৮] গণতন্ত্রকে দমন করার জন্য ২০০৪ এবং ২০০৬ সালের মধ্যে ভারত, গ্রেট ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিন্দা ও সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতার কারণে, নেপালী রাজতন্ত্র চীন ও পাকিস্তানের সাথে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করেছে, যারা ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজতন্ত্রের জন্য এবং মাওবাদী বিদ্রোহের সাথে লড়াই করার জন্য ব্যাপক সামরিক সহায়তা, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল।[৮][৯] পাকিস্তান ও চীনের উভয়ই নেপালের মাঝারি কারিগরি অস্ত্র সরবরাহ করেছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Nepal - Pakistan and Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. "The Tribune, Chandigarh, India - Editorial" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  4. Dick Hodder, Sarah J. Lloyd, Keith Stanley McLachlan. Land-locked States of Africa and Asia. page 177. Routledge, 1998. আইএসবিএন ০-৭১৪৬-৪৮২৯-৯
  5. "India - Nepal" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  6. "Nepal's China-Card - Scoop News" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  7. "Sino-Nepalese relations" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  8. Pike, John। "Nepal gov't procuring military articles from China, Pakistan" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭ 
  9. "BBC NEWS - South Asia - Nepal, Pakistan in economy talks" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭