প্রবেশদ্বার:সার্ক

সার্ক প্রবেশদ্বার

সম্পাদনা

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) হল দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক সংগঠন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতামূলক বানিজ্য অঞ্চল গড়ার প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে ১৯৮১ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা প্রতিনিধিগন কলোম্বোতে মিলিত হয়। এরপর আগস্ট ১৯৮৩ সালে, দিল্লিতে রাষ্ট্রপ্রধানগনের এক সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশ নিয়ে সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়, যাতে নিন্মোক্ত ৫টি বিষয়ে সহযোগিতার করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়:

  • কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন
  • টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আবহাওয়াবিদ্যা
  • স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা কার্যক্রম
  • যোগাযোগ*
  • মানব সম্পদ উন্নয়ন

২০০৫ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতের প্রচেষ্টায় আফগানিস্তানকে এ আঞ্চলিক সংগঠন যোগ করা হয়েছিল, আফগানিস্তানকে সদস্যপদ দেওয়ার পর সার্কের সদস্য দেশের সংখ্যা ৭ থেকে ৮ এ উন্নীত হয়। অস্ট্রেলিয়া, ইরান, মায়ানমার, মরিশাস, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সার্কের পর্যবেক্ষক সদস্য। (বিস্তারিত)

নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্র

টেমপ্লেট:Localurl: সম্পাদনা


Flag of India
Flag of India
Emblem of India
Emblem of India

ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল তথা বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সুপ্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। ঐতিহাসিক সিন্ধু সভ্যতা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে এখানেই স্থাপিত হয়েছিল একাধিক বিশালাকার সাম্রাজ্য। নানা ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বাণিজ্যপথ এই অঞ্চলের সঙ্গে বিশ্বের অন্যান্য সভ্যতার বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রক্ষা করত। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, ও শিখ—এই চার বিশ্বধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম, ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই দেশ পুরোদস্তুর একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে ভারত একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। বর্তমানে ভারত ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট এক সংসদীয় সাধারণতন্ত্র

এক নজরে

সম্পাদনা

সদস্য রাষ্ট্র রাজধানী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী
আফগানিস্তান কাবুল আশরাফ গনি
বাংলাদেশ ঢাকা আব্দুল হামিদ শেখ হাসিনা
ভুটান থিম্ফু জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক লোটে শেরিং
ভারত নয়াদিল্লি রাম নাথ কোবিন্দ নরেন্দ্র মোদী
মালদ্বীপ মালে ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ
নেপাল কাঠমান্ডু বিদ্যা ভণ্ডারী শের বাহাদুর দেউবা
পাকিস্তান ইসলামাবাদ আরিফ আলভী ইমরান খান
শ্রীলঙ্কা শ্রী জয়াবর্ধেনেপুরা কোট্টে গোতাবায়া রাজাপক্ষ মহিন্দ রাজাপক্ষ
নির্বাচিত মানচিত্র

সম্পাদনা

কৃতিত্ব: নাসা

বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিমে, ভারত মহাসাগরের বুকে শ্রীলঙ্কা দ্বীপ।

[[|আরো...]]

নির্বাচিত জীবনী

সম্পাদনা

মোহাম্মদ নাশিদ (ধিবেহী: މުހައްމަދު ނަޝީދު; জন্ম ১৭ মে ১৯৬৭) মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালে দেশটির গণতান্ত্রিক ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত অবাধ এবং নিরপেক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। জলবায়ুর পরিবর্তন ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, বিশ্বে প্রথম পানির নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠান, দেশের পর্যটন শিল্পের আয় দিয়ে নতুন দেশ গড়ার পরিকল্পনা প্রভৃতি কারণে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছিলেন। মামুন আব্দুল গাইয়ুম ১৯৭৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার পালনের পর ২০০৮ সালে মালদ্বীপে প্রথম বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এ নির্বাচনে মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে পরাজিত করে এমডিপির মোহাম্মদ নাশিদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার হাত ধরেই মালদ্বীপে নতুন করে গণতন্ত্রের জয়যাত্রা শুরু হয়। কিনতু তিন বৎসর ক্ষমতায় থাকার পর বিচার বিভাগ ও পুলিশ বাহিনীর সাথে মতপার্থক্যের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।

উইকিপিডিয়ায় দক্ষিণ এশীয় ভাষা

সম্পাদনা

عربى (আরবি) • অসমীয়া (অসমিয়া) • भोजपुरी (ভোজপূরী) • বাংলা (বাংলা) • ইমার ঠার/বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী (মণিপুরী) • މަހަލް (দিভেহী) • ગુજરાતી (গুজরাটী) • हिन्दी (হিন্দি) • ಕನ್ನಡ (কন্নাড়া) • کٲشُر (কাশ্মীরি) • मैथिली (মইথিলী) • മലയാളം (মালায়ালাম) • मराठी (মারাঠি) • नेपाली (নেপালি) • ଓଡ଼ିଆ (উড়িয়া) • پښتو (পশতু) • فارسی (ফার্সি) • ਪੰਜਾਬੀ (পাঞ্জাবি) • संस्कृत (সংস্কৃতি) • سنڌي (সিন্দি) • සිංහල (সিংহলী) • தமிழ் (তামিল) • తెలుగు (তেলুগু) • پنجابی (পশ্চিমাঞ্চলীয় পাঞ্জাবি) • اردو (উর্দু)

নির্বাচিত গন্তব্য

সম্পাদনা

কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্হিত একটি শহর। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অভঙ্গুর প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ১৫২ কিঃমিঃ দক্ষিণে অবস্হিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কি.মি.। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র। কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালংকি। আধুনিক কক্সবাজারের নাম রাখা হয়েছে ল্যাঃ কক্স (মৃত্যু ১৭৯৮) এর নামানুসারে যিনি ব্রিটিশ আমলে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। এটি বাংলাদেশের একটি মৎস্য বন্দরও। দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারে সৈকত সংলগ্ন আরও অনেক দর্শনীয় এলাকা রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। সৈকত সংলগ্ন আকর্ষণীয় এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছ, ইনানী সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত।

সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার