শের বাহাদুর দেউবা
শের বহাদুর দেউবা শুনুন (সাহায্য·তথ্য)(নেপালি: शेर बहादुर देउवा (জন্ম: ১৫ জুন ১৯৪৬) একজন নেপালি রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৫, ২০০১ থেকে ২০০২, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এবং ২০১৭ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি এবং ২০১৬ সালে পার্টির ১৩ তম সম্মেলনে ৬০% এর বেশি ভোট নিয়ে এই পদে নির্বাচিত হয়ছেন।[২] তিনি দুবার নেপাল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন, এভাবে তিনি দুবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে সক্ষম হন।
শের বাহাদুর দেউবা | |
---|---|
![]() | |
৪০ তম প্রধানমন্ত্রী (নেপাল) | |
কাজের মেয়াদ বি.স. ২০৭৪। ০২। ২৪ – ২০৭৪। ১১। ০৫ | |
রাষ্ট্রপতি | বিদ্যাদেবী ভণ্ডারী |
পূর্বসূরী | পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ড |
উত্তরসূরী | খড়্গপ্রসাদ ওলী |
৩২ তম প্রধানমন্ত্রী (নেপাল) | |
কাজের মেয়াদ ২০৫২ ভাদ্র ২৭ – ২০৫৩ ফাগুন ২৯ | |
সার্বভৌম শাসক | রাজা বীরেন্দ্র |
পূর্বসূরী | মনমোহন অধিকারী |
উত্তরসূরী | লোকেন্দ্রবাহাদুর চন্দ |
কাজের মেয়াদ ২০৫৮ সাউন ১১ – ২০৫৯ অশোজ ১৮ | |
সার্বভৌম শাসক | জ্ঞানেন্দ্র শাহ |
পূর্বসূরী | গিরিজা প্রসাদ কোইরালা |
উত্তরসূরী | রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ |
কাজের মেয়াদ २०६१ जेठ २१ – २०६१ माघ १९ | |
সার্বভৌম শাসক | রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ |
পূর্বসূরী | সূর্য় বাহাদুর থাপা |
উত্তরসূরী | রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২০০৩ জেঠ ৩১[১] | ১৩ জুন ১৯৪৬
দাম্পত্য সঙ্গী | আরজু রাণা দেউবা |
স্বাক্ষর | ![]() |
২০০১ সালের জুলাই মাসে গিরিজা প্রসাদ কৈরালা পদত্যাগ করলে তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নতুন নির্বাচনের জন্য দেউবা ২০০২ সালের মে মাসে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেন, কিন্তু চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে তিনি নির্বাচন দিতে পারছিলেন না। এর ফলে নেপালি কংগ্রেস দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, যার একভাগ তথা নেপালি কংগ্রেস (গণতান্ত্রিক) দলের নেতৃত্বে ছিলেন দেউবা। সংসদীয় নির্বাচন না দেয়ার জন্য ২০০২ সালের অক্টোবরে রাজা জ্ঞানেন্দ্র দেউবাকে অপসারণ করেন।[৩][৪] পরে আবার দুই সরকারের পর, জ্ঞানেন্দ্র ২০০৪ সালে দেউবাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান। তবে তিন বছরের জন্য সরকার ভেঙে দিয়ে সরাসরি ক্ষমতা দখল করার কারণে ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে রাজা জ্ঞানেন্দ্র তাঁকে আবার এই পদ থেকে সরিয়ে দেন।
শের বাহাদুর দেউবা চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷ তিনি ডডেলধুরা জেলার নির্বাচন এলাকা নং ১ এবং কঞ্চনপুর জেলার নির্বাচন এলাকা নং ৪-এর প্রতিনিধি হয়ে গণপরিষদে প্রতিনিধিত্ব করেন।[৩][৪] তিনি মাওবাদী সমস্যা সমাধানের জন্য গঠিত একটি উচ্চ-স্তরের কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া দেউবা নেপালি ইউনিয়নের প্রথম সভাপতি ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমে নেপালি কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচিত হন। রাজনৈতিক লড়াইয়ের সময় তিনি নয় বছর কারাগারে কাটিয়েছেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ http://lokaantar.com/biswo/14881/ सिंहदरबारमा चौथो इनिङ, को हुन् शेरबहादुर देउवा ?
- ↑ "शेर बहादुर देउवा नेपालका ४० औँ प्रधानमन्त्रीको रूपमा नियुक्त भएका छन्" (नेपाली ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ Bogue, Janet। "DEUBA DUBBED PRIME MINISTER; CONGRESS' KOIRALA OUT IN THE COLD"। Wikileaks। Wikileaks। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ Bhattarai, Kamal Dev। "Can Nepal's New Prime Minister Avert a Crisis?"। The Diplomat। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।