প্রবেশদ্বার → এশিয়া → দক্ষিণ এশিয়া → ভারত
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। ‘পঞ্চায়েত’ শব্দটির উৎপত্তি পঞ্চ বা পাঁচ থেকে। প্রাচীন ভারতে পাঁচজন সদস্য নিয়ে যে স্বশাসিত স্বনির্ভর গ্রামীণ পরিষদ গঠিত হত, তাকেই বলা হত পঞ্চায়েত। আধুনিককালে এই শব্দটির সঙ্গে যুক্ত হয় এক সমষ্টিগত চেতনা। ‘পঞ্চায়েত’ শব্দটির লোকপ্রচলিত অর্থ হয়ে দাঁড়ায় ‘পাঁচ জনের জন্য’। সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর বর্তমানে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় স্তরের সরকার। বর্তমানে গ্রামবাংলাকে কেন্দ্র করে যে প্রশাসনিক, জনকল্যানমূলক, বিচারবিভাগীয় ও প্রতিনিধিত্বমূলক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত, তাকেই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নামে অভিহিত করা হয়। ১৮৭০ সালে প্রথম বঙ্গীয় গ্রাম চৌকিদারি আইনের মাধ্যমে আধুনিক গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। স্বাধীনতার পর গণতান্ত্রিক ভারতে এই ব্যবস্থা তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন পাস হয় ও সংবিধান সংশোধন করা হয়। ১৯৫৭ সালে সর্বপ্রথম পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত আইন বিধিবদ্ধ হয়। ১৯৫৭ ও ১৯৬৩ সালের আইন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে চার-স্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে নতুন আইনের মাধ্যমে চালু হয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। ১৯৯১ সালে ভারতীয় সংবিধানের ৭২তম সংশোধনী অনুসারে ১৯৯২ সালে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আইনটিকেও পুনরায় সংশোধিত করা হয়।

সুভাষ চন্দ্র বসু (জানুয়ারি ২৩, ১৮৯৭ - আগস্ট ১৮, ১৯৪৫?টিকা) ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম স্বাধিকার আন্দোলনের নেতা। তিনি নেতাজী হিসাবেও ব্যাপক পরিচিত। তিনি পরপর দুবার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, পরবর্তিতে মহাত্মা গান্ধীর সাথে আদর্শগত মতভেদের কারণে সৃষ্ট দলীয় অনাস্থার ফলে এই পদ থেকে তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়। নেতাজী বিশ্বাস করতেন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি স্বাধীনতা আদায়ে যথেষ্ট নয়, এবং তাই তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধের পক্ষ নিয়েছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লক নামে পৃথক রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেন, অতিসত্ত্বর ব্রিটিশ রাজত্বের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। জাপান-অধিকৃত সিঙ্গাপুরে রাসবিহারী বসুর তত্বাবধানে ভারতীয় উপমহাদেশের যুদ্ধবন্দীদের নিয়ে গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজকে পরিচালনা করে তিনি উত্তরপূর্ব ভারতীয় সীমায় প্রবেশ করে ইম্ফল অবধি দখল করতে সক্ষম হন।১৯২০ সালে সুভাষ চন্দ্র ভারতের সিভিল সার্ভিস (ICS) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ইংরেজীতে সর্বোচ্চ নাম্বার সহ চতুর্থ স্থান লাভ করেন। মেধাতালিকায় উপরের সারিতে থাকা সত্ত্বেও তিনি, ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসে সিভিল সার্ভিসের মর্যাদাপূর্ণ চাকরি ছেড়ে দেন, এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যুক্ত হয়ে এটির যুব শাখায় সক্রিয় হন। তবে, সুভাষ চন্দ্র বসুর দর্শন, মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির সাথে না মেলায়, তিনি কলকাতা ফিরে গিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং স্বরাজ্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা (মতিলাল নেহরুর সাথে) চিত্তরঞ্জন দাসের সাথে যোগ দেন। ১৯২১ সালে ওয়েলসের যুবরাজের ভারত আগমন উদযাপনের বিরোধীতা করে সুভাষ চন্দ্র এক বয়কটের আহবান করেন; ফলশ্রুতিতে তাঁকে জেলে যেতে হয়। ... ... ... আরও জানুন
|
The Toda people are a small pastoral tribe of less than 1,000 people who reside in the Nilgiri hills of Southern India. Shown here is a typical Toda hut, about 3 m (10 ft.) high, 5.5 m (18 ft.) long and 2.7 m (9 ft.) wide. They are built of bamboo fastened with rattan and thatched. The hut has only a tiny (about 0.9 x 0.9 m, 3 x 3 ft.) entrance at the front, which serves as protection from wild animals.
Photo credit: Pratheepps
|
- জানেন কি এবং বার্ষিকীসমূহ যোগ করতে পারেন।
- নির্বাচিত নিবন্ধ এবং নির্বাচিত চিত্র পরিবর্তণ করতে পারেন।
- পদার্থবিজ্ঞান খবর এ যোগ করতে পারেন।
- উইকিপ্রকল্পে এবং উইকিবইয়ে সাহায্য করতে পারেন।
ভারতীয় ভাষায় উইকিপিডিয়া
সার্ভার ক্যাশ খালি করুন
|
|