ক্রিকেট বিশ্বকাপ
ক্রিকেট বিশ্বকাপ (আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নামে পরিচিত) একদিনের আন্তর্জাতিক (ওয়ানডে) ক্রিকেটের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা।[১] প্রতি চার বছর পরপর খেলাটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে দলগুলো চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি আইসিসির ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে "আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের সেরা প্রতিযোগিতা" হিসাবে বিবেচিত হয়।[২]
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ(পুরুষ) | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) |
খেলার ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ১৯৭৫ ইংল্যান্ড |
শেষ টুর্নামেন্ট | ২০২৩ ভারত |
পরবর্তী টুর্নামেন্ট | ২০২৭ দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ে নামিবিয়া |
প্রতিযোগিতার ধরন | বিবিধ |
দলের সংখ্যা | ২০ (সমস্ত টুর্নামেন্ট) ১০ (বর্তমান) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | অস্ট্রেলিয়া (৬ষ্ঠ শিরোপা) |
সর্বাধিক সফল | অস্ট্রেলিয়া (৬ বার) |
সর্বাধিক রান | শচীন তেন্ডুলকর (২,২৭৮) |
সর্বাধিক উইকেট | গ্লেন ম্যাকগ্রা (৭১) |
প্রতিযোগিতা | |
---|---|
প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচের মাত্র চার বছর পর, ১৯৭৫ সালের জুনে ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরুর দুই বছর আগে মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯১২ সালের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টেস্ট ম্যাচের একটি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম তিনটি বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ থেকে, একটি অনানুষ্ঠানিক ঘূর্ণন ব্যবস্থার অধীনে বিভিন্ন দেশের মধ্যে আয়োজক নির্বাচন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আইসিসির চৌদ্দটি সদস্য দেশ এ প্রতিযোগিতার অন্তত একটি ম্যাচ আয়োজন করেছে।
বর্তমানে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হওয়ার পূর্বের তিন বছরে বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কোন দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে তা নির্ধারণ করা হয়। টুর্নামেন্টে সরাসরিভাবে আয়োজক দেশ সহ ১০টি দল প্রায় এক মাস ধরে আয়োজক দেশের ভেন্যুতে ট্রফির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। মোট বিশটি দল টুর্নামেন্টের এগারটি সংস্করণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, যেখানে সর্বশেষ ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দশটি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। অস্ট্রেলিয়া পাঁচবার করে টুর্নামেন্টটি জিতেছে। ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুইবার করে জিতেছে । অন্যদিকে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ইংল্যান্ড একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। কেনিয়ার ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়া আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সেরা ফলাফল ছিল।
ইংল্যান্ড ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৮৪৪ সালের ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।[৩] যাইহোক, প্রথম স্বীকৃত টেস্ট ম্যাচ ১৮৭৭ সালে সালে খেলা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড এ দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে নিয়মিত অ্যাশেজ হতে থাকে। ১৮৮৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টের স্ট্যাটাস লাভ করে। [৪] প্রতিনিধি ক্রিকেট দলগুলো দ্বিপক্ষীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে থাকে। এছাড়াও ১৯০০ সালে প্যারিস গেমসে অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেখানে গ্রেট ব্রিটেন ফ্রান্সকে পরাজিত করে স্বর্ণপদক জিতে।[৫] একমাত্র এই গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তভুর্ক্ত ছিল।
১৯১২ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে টেস্ট ম্যাচের একটি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পিচ উন্মুক্ত থকার ফলে আর্দ্রতা সৃষ্টি হওয়ায় খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া দর্শক উপস্থিতি অনেক কম ছিল।[৬] তারপর থেকে ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের আগে বহুপাক্ষিক টেস্ট প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়নি।[৭]
সময়ের সাথে ধীরে ধীরে টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯২৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৩০ সালে নিউজিল্যান্ড, ১৯৩২ সালে ভারত এবং ১৯৫২ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট খেলা শুরু করে। তবে তিন, চার বা পাঁচ দিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় টেস্ট ম্যাচ হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অব্যাহত ছিল।
১৯৬০-এর দশকের শুরুতে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট দল সীমিত ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে শুরু করে। ১৯৬২ সালে চার দলের নকআউট প্রতিযোগিতা মিডল্যান্ডস নক-আউট কাপ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জিলেট কাপের একদিনের ক্রিকেট ম্যাচের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৯ সালে একটি জাতীয় সানডে লীগ গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম পাঁচদিনের ম্যাচ বৃষ্টি্র কারণে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষণা করায় পঞ্চম দিনে একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ওভারে আট বল করে ম্যাচটি চল্লিশ ওভারে খেলা হয়েছিল।[৮][৯]
১৯৭০ এর দশকের শেষদিকে কেরি প্যাকার প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট (ডাব্লুএসসি) প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এখনকার প্রচলিত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রবর্তন করেছে, এ প্রতিযোগিতায় রঙিন ইউনিফর্ম সহ, একটি সাদা বল এবং অন্ধকার দর্শনীয় পর্দার সাথে ফ্লাডলাইটের নিচে রাতে ম্যাচ আয়োজন করে। এছাড়া টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য একাধিক ক্যামেরার ব্যবহার, পিচে থাকা খেলোয়াড়ের মাইক্রোফোনে থেকে শব্দ ধারণ, অন-স্ক্রিন গ্রাফিক্সের সুবিধা ছিল। ১৯৭৯ সালে ১লা জানুয়ারি মেলবোর্নের ভিএফএল পার্কে খেলা ডব্লিউএসসি অস্ট্রেলিয়া একাদশ সোনালি রঙের ও ডব্লিউএসসি ওয়েস্ট ইন্ডিজ গোলাপী রঙের জার্সি পরে খেলতে নামে। রঙিন জার্সিতে ইংল্যান্ড এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে ঘরোয়া ওয়ানডে প্রতিযোগিতার সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। ফলে আইসিসি পরবর্তীতে এসব সুবিধা আন্তজার্তিক ম্যাচে অন্তভুর্ক্ত করে।[১০]
বিশ্ব কাপ (১৯৭৫-১৯৮৩)
সম্পাদনা১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ড উদ্বোধনী ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে সক্ষম হয়। ১৯৭৫ সালের ৭ই জুন টুর্নামেন্ট শুরু হয়।[১১] প্রথম তিনটি বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রুডেনশিয়াল কাপ নামে পরিচিতি পায়। ম্যাচে প্রতি দল ছয় বলে ৬০ ওভার করে ব্যাটিং লাভের সুযোগ পায়। সাদা পোশাকে ও লাল বলে দিনের বেলা খেলা অনুষ্ঠিত হত।[১২]
প্রথম টুর্নামেন্টে আটটি দল অংশগ্রহণ করে। দল গুলো হল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সে সময়ের ছয়টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ), শ্রীলঙ্কা এবং পূর্ব আফ্রিকার একটি যৌথ দল।[১৩] বর্ণবাদের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেনি। লর্ডসে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয় ফ্রেড্রিক্স প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি ওয়ানডেতে হিট-উইকেটে আউট হন।[১৪]
১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হয়। শ্রীলঙ্কা ও কানাডার জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[১৫][১৬] ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৯২ রানে পরাজিত করে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর আইসিসি প্রতি চার বছর পরপর বিশ্বকাপের আয়োজনের পরিকল্পনা করে।
১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। এই পর্যায়ে, শ্রীলঙ্কা একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে এবং জিম্বাবুয়ে আইসিসি ট্রফির মাধ্যমে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। স্ট্যাম্প থেকে ৩০ গজ (২৭ মি) দূরে একটি ফিল্ডিং সার্কেল চালু হয়েছিল। বৃত্তের ভিতর চারজন ফিল্ডার ফিল্ডিংয়ের সুযোগ পায়।[১৭] দলগুলো নক আউটে যাওয়ার আগে দু'বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৩ রানে পরাজিত করে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।[১০][১৮]
চ্যাম্পিয়ন দল (১৯৮৭–১৯৯৬)
সম্পাদনাপ্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বাইরে ভারত ও পাকিস্তানে যৌথভাবে ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করা হয়। ইংল্যান্ডের তুলনায় ভারতীয় উপমহাদেশে দিবা-দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় আলোকস্বল্পতার কারণে খেলায় প্রতি ইনিংসে দলগুলো ৬০-এর বদলে ৫০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায়।[১৯] অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে ইংল্যান্ড ৭ রানে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিতে। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে কম ব্যবধানে ম্যাচ জিতে।[২০][২১]
১৯৯২ সালে অনুষ্ঠেয় অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিশকাপে প্রথমবারের মতো রঙিন পোশাক ও সাদা বলে খেলা শুরু হয়। এছাড়াও দিবা-রাত্রি ম্যাচ, এবং ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার নিয়মে পরিবর্তন হয়। বর্ণবাদী শাসনের পতন এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া বয়কটের সমাপ্তির পর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। [২২] পাকিস্তান টুর্নামেন্টের হতাশাজনক শুরুর পর শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে পরাজিত করে চ্যম্পিয়ন হয়।[২৩]
১৯৯৬ সালে দ্বিতীয়বারের মত ভারতীয় উপমহাদেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কা গ্রুপ পর্বের কিছু ম্যাচ আয়োজন করে।[২৪] সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা, ইডেন গার্ডেনে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার পথে স্বাগতিকরা ২৫২ রানের লক্ষ্যে আট উইকেট হারিয়ে ১২০ রান সংগ্রহ করার পরে, ভারতীয় জনতার মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়লে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে জয়ী ঘোষণা করা হয়।[২৫] লাহোরে অনুষ্ঠেয় ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে সাত উইকেটে পরাজিত করে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিল।[২৬]
অস্ট্রেলিয়ার ট্রেবল (১৯৯৯-২০০৭)
সম্পাদনা১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড ছাড়াও কিছু ম্যাচ স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস এবং নেদারল্যান্ডসেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২৭][২৮] বারোটি দল বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সুপার সিক্স ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লক্ষ্যে পৌঁছানোর পর সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[২৯] এরপরে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ম্যাচ টাই হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সুপার সিক্সে শীর্ষস্থানে থাকায় ফাইনালে উঠে। ফাইনালে, অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানকে ১৩২ রানে গুটিয়ে দেয় এবং তারপরে ২০ ওভারেরও কম সময়ে ব্যাটিং করে আট উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। [৩০]
দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়া ২০০৩ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা বারো থেকে বাড়িয়ে চৌদ্দতে করা হয়েছিল। কেনিয়ার শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। নিউজিল্যান্ড নিরাপত্তার কারণে কেনিয়ায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে কেনিয়া প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠে।[৩১] ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া দুটি উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রানের রেকর্ড করে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ১২৫ রানে হারায়। বিশ্বকাপে ফাইনালে রানের দিক থেকে এ হার সর্বোচ্চ ছিল।[৩২][৩৩]
২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় এ বিশ্বকাপে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।[৩৪] গ্রুপ পর্বে বিশ্বকাপ অভিষেক হওয়া আয়ারল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের হতাশাজনক পরাজয়ের পর পাকিস্তানি কোচ বব উলমারকে তার হোটেলের রুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।[৩৫] জামাইকান পুলিশ প্রথমে ওলমারের মৃত্যুর বিষয়ে একটি হত্যার তদন্ত শুরু করে। তবে পরে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। [৩৬] অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে (ডি / এল) পদ্ধতিতে ৫৩ রানে পরাজিত করে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে টানা ২৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকে। এছাড়াও টানা তিন বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। [৩৭]
স্বাগতিকদের শিরোপা (২০১১-২০১৯)
সম্পাদনাভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ একসাথে ২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে বিশ্বকাপে আয়োজন বাতিল করা হয়। মূলত পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত গেমসটি অন্যান্য আয়োজক দেশগুলোতে পুনরায় করা হয়েছিল। [৩৮] বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা কমে চৌদ্দতে নামানো হয়েছিল[৩৯] অস্ট্রেলিয়া ১৯ মার্চ ২০১১ সালে ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের চূড়ান্ত গ্রুপ পর্বের ম্যাচ পরাজিত হয়। ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ২৩ মে ১৯৯৯ শুরু হওয়ার টানা ৩৫ ম্যাচের অপরাজিত থাকার ধারাবাহিকতা শেষ হয়।[৪০] ভারত মুম্বাই ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা লাভ করে। প্রথমবারের মতো কোনো দেশ ঘরের মাটিতে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়।
অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে ২০১৫ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। চৌদ্দটি দল এ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। টুর্নামেন্টে মোট তিনটি জয় নিয়ে আয়ারল্যান্ড সর্বাধিক সফল সহযোগী দেশ ছিল। নিউজিল্যান্ড রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে। মেলবোর্নে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল।[৪১]
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে দ্বাদশ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীদের দলের সংখ্যা কমিয়ে ১০-এ আনা হয়। বৃষ্টির কারণে রিজার্ভের দিনে প্রথম সেমিফাইনাল খেলা হয়। নিউজিল্যান্ড প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে পরাজিত করেছিল।[৪২] দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড এর আগে কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি। ফাইনালে, ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ডকে ২৪১ রানের টার্গেট দেয়। নিউজিল্যান্ডও নির্ধারিত ৫০ ওভারে একই রান সংগ্রহ করে। সুপার ওভারে খেলা গড়ালে দুদলই ১৫ রান করে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বাউন্ডারি সংখ্যা নিউজিল্যান্ড থেকে বেশি হওয়ায় ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে।[৪৩][৪৪]
ফরম্যাট
সম্পাদনাযোগ্যতা
সম্পাদনা১৯৭৫ সালের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দল সরাসরিভাবে যোগ্যতা অর্জন করে।২০১৫ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বেশিরভাগই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ এভাবেই অংশগ্রহণ করে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আইসিসি ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে র্যাঙ্কিংয়ে আটের ভিতরে থাকা দলগুলো সরাসরি সুযোগ পায়।
১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপের পর থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত, সরাসরিভাবে যে দলগুলো যোগ্যতা অর্জন করেছিল তাদের সাথে বাছাইপর্বে আরও কিছু দেশ যোগ দেয়। প্রথমে আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বাছাই হয়।[৪৫] পরবর্তীতে প্রাক-বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টে সম্পন্ন হত। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ অতীতের প্রাক-বাছাইপর্ব "আইসিসি ট্রফি" নাম পরিবর্তন করে "আইসিসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব" করা হয়।[৪৬] বিশ্ব ক্রিকেট লীগের মাধ্যমে আইসিসির সহযোগী সদস্যদের যোগ্যতা অর্জন করত। যোগ্যতা অর্জনকারী দলের সংখ্যা সবসময় একইরকম হতো না।
২০২৩ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুধুমাত্র আয়োজক দেশ সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। অন্যসব দেশ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের জন্য একটি ধারাবাহিক লীগে অংশগ্রহণ করবে, যেখানে পয়েন্ট তালিকায় প্রথম ৮টি দল সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। এরপরে পয়েন্ট তালিকায় শেষে থাকা দলগুলো বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করবে।
টুর্নামেন্ট
সম্পাদনাইতিহাসে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফরম্যাটটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম চারটি টুর্নামেন্টে আটটি দল প্রত্যেক গ্রুপে ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে খেলত।[৪৭] প্রতিযোগিতায় দুটি পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হত। প্রতিযোগিতাটি গ্রুপ পর্যায় এবং নক আউট মঞ্চ নিয়ে খেলা হত। প্রতিযোগিতায় চারটি দল রাউন্ড-রবিন গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হত। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে উঠত। সেমিফাইনালের বিজয়ীরা ফাইনালে একে অপরের বিপক্ষে খেলত। বর্ণবাদ বয়কটের সমাপ্তির পর ১৯৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা পঞ্চম টুর্নামেন্টে ফিরে আসে। এ বিশ্বকাপে নয়টি দল গ্রুপ পর্বে একবার একে অপরের সাথে খেলেছিল এবং শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে উঠেছিল।[৪৮] ছয় দলের দুটি গ্রুপ নিয়ে ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়।[৪৯] প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ চারটি দল কোয়ার্টার ফাইনাল উঠে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী দলগুলো সেমিফাইনালে খেলত।
১৯৯৯ এবং ২০০৩ বিশ্বকাপে নতুন ফরম্যাট চালু করা হয়েছিল। দলগুলোকে দুটি পুলে বিভক্ত করা হয়েছিল। প্রতিটি পুলের শীর্ষ তিনটি দল সুপার সিক্সে খেলার সুযোগ পায়।[৫০] সুপার সিক্সে খেলা শীর্ষস্থানীয় চারটি দল সেমিফাইনালে উঠত। বিজয়ীরা ফাইনাল খেলত।
২০০৭ বিশ্বকাপে প্রতি গ্রুপে ৪টি করে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।[৫১] প্রতিটি গ্রুপের মধ্যে দলগুলো একে অপরকে রাউন্ড-রবিন ফর্ম্যাটে খেলত। দলগুলো জয়ের জন্য ১ পয়েন্ট এবং টাই হলে জন্য আধাপয়েন্ট পেত। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেরা আটে খেলত। সেরা আটে প্রতিটি দল অন্য গ্রুপের ৬টি দলের সাথে খেলত। দলগুলো গ্রুপ পর্বের মতো একইভাবে পয়েন্ট অর্জন করেছিল।[৫২] সেরা আটে শীর্ষ চারটি দল সেমিফাইনালে উঠত। সেমিফাইনালের বিজয়ীরা ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হত।
২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে সাতটি দলের দুটি গ্রুপ করে খেলত। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ চার দল কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং অবশেষে ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা শেষ হত।[৫৩][৫৪]
২০১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা কমে ১০ টিতে দাঁড়ায়। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের মতো সেমিফাইনালে প্রবেশের আগে প্রতিটি দল উন্ড রবিন ফরম্যাটে একে অপরের বিপক্ষে খেলে।[৫৫]
ট্রফি
সম্পাদনাআইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি বিশ্বকাপের বিজয়ীদের দেওয়া হয়। বর্তমান ট্রফিটি ১৯৯৯ বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হয়েছিল। এটি টুর্নামেন্টের ইতিহাসের প্রথম স্থায়ী পুরস্কার ছিল। এর আগে প্রতিটি বিশ্বকাপের জন্য আলাদা আলাদা ট্রফি তৈরি করা হত।[৫৬] ট্রফিটি লন্ডনে দুই মাসের মধ্যে গ্যারার্ড অ্যান্ড কোম্পানির কারিগরদের একটি দল নকশা করে তৈরি করত।
বর্তমান ট্রফিটি রৌপ্য এবং গিল্ড দ্বারা থেকে তৈরি। এতে তিনটি রৌপ্য কলাম দ্বারা আবৃত সোনার গ্লোব রয়েছে। কলামটি স্ট্যাম্প ও বেইল আকৃতির। তিনটি রৌপ্য কলাম দ্বারা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংকে বোঝানো হয়েছে। সোনার গ্লোব দ্বারা বলকে বোঝানো হয়েছে।[৫৭] বলের সেলাইটি পৃথিবীর আক্ষিক আনতির দিকে ঘুরে থাকে। ট্রফির উচ্চতা প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার ও এর ওজন প্রায় ১১ কেজি। পূর্ববর্তী চ্যম্পিয়নদের নাম ট্রফির উপর খোদাই করা থাকে। আইসিসি মূল ট্রফিটা নিজেদের কাছে রাখে। কেবল শিলালিপির তৈরি পৃথক প্রতিলিপি স্থায়ীভাবে বিজয়ী দলকে প্রদান করা হয়।[৫৮]
সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার
সম্পাদনাটুর্নামেন্টটি বিশ্বের সর্বাধিক দেখা একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।[৫৯] ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ সম্প্রচার২০০ এরও বেশি দেশে ২০০ কোটির বেশি দর্শক টেলিভিশনে দেখেছেন।[৬০][৬১][৬২] মূলত ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য, ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি টেলিভিশন স্বত্ব বিক্রি হয়েছিল।[৬৩] এছাড়া আরও ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে স্পনসরশিপ স্বত্ব বিক্রি হয়েছিল। [৬৪] ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচে মোট ৬,২৬,৮৪৫ মানুষ উপস্থিত ছিল।[৬৫] ২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ৬৭২,০০০ টিকেট বিক্রি হয়। ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ১.১ মিলিয়ন টিকেট বিক্রি হয় যা রেকর্ড ছিল।[৬৬][৬৭]
ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আরও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ধারাবাহিক বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টগুলো মিডিয়ায় মনোযোগ বাড়িয়ে তুলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৩ বিশ্বকাপ প্রথম মাস্কটের নাম ছিল দাজলার দ্য জেব্রা।[৬৮] ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাস্কট মেলো নামের একটি বেজি ছিল।[৬৯] স্টাম্পি নামের একটি নীল হাতি ২০১১ বিশ্বকাপের মাস্কট ছিল।[৭০]
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে গুগল ডুডল প্রকাশ করা হয়।[৭১]
ইংল্যান্ড ২০১৯ সালে ফাইনাল ম্যাচ করার কারণে, স্থানীয় টেলিকাস্টার স্কাই স্পোর্টস সম্প্রচার স্বত্ব চ্যানেল ফোর থেকে ম্যাচে পরে মোর ফোরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।[৭২]
আয়োজক বাছাই
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আগ্রহী দেশগুলোর দরপত্র পরীক্ষা করে টুর্নামেন্টের আয়োজকদের জন্য ভোট দেয়।[৭৩]
ইংল্যান্ড প্রথম তিনটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ইংল্যান্ডের প্রথম টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত কারণ উদ্বোধনী আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও অর্থ তাদের রয়েছে।[১১] ভারত স্বেচ্ছায় তৃতীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করে। কিন্তু অধিকাংশ আইসিসি সদস্য জুন মাসে ইংল্যান্ডে দিনের আলোর দীর্ঘ সময়ের জন্য ইংল্যান্ডকে পছন্দ করে।[৭৪] ১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রথম ইংল্যান্ডের বাইরে ভারত ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়।[৭৫]
বেশিরভাগ বিশ্বকাপই যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। ১৯৮৭, ১৯৯৬, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। ২০১৫ সালে সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজন করা হয়। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া যৌথভাবে আয়োজন করে।
ফলাফল
সম্পাদনা- ↑ ইংল্যান্ড একমাত্র মনোনীত আয়োজক ছিল, কিন্তু ওয়েলসও অনেক ম্যাচ খেলা হয়।
- ↑ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড একমাত্র মনোনীত আয়োজক ছিল,কিন্তু এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং স্কটল্যান্ডে ম্যাচ খেলা হয়।
- ↑ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা একমাত্র মনোনীত আয়োজক ছিল, কিন্তু জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়াতেও খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
- ↑ আটটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ আয়োজন করে - অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা, বার্বাডোস, গ্রেনাডা, গায়ানা, জ্যামাইকা, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।
টুর্নামেন্টের সারাংশ
সম্পাদনাবিশটি দেশ কমপক্ষে একবার হলেও ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি টুর্নামেন্টে কমপক্ষে সাতটি দল অংশ নিয়েছে যার মধ্যে ছয়টি দল শিরোপা জিতেছে।[১০] ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দুটি টুর্নামেন্ট জিতেছিল, অস্ট্রেলিয়া পাঁচটি জিতেছে, ভারত দুটি জিতেছে, অন্যদিকে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ইংল্যান্ড একটি করে শিরোপা জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৯৭৫ এবং ১৯৭৯) দুবার করে এবং অস্ট্রেলিয়া (১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫) পাঁচবার একমাত্র দল যারা টানা তিনবার শিরোপা জিতেছে। অস্ট্রেলিয়া বারোটি ফাইনালের মধ্যে সাতটিতে খেলেছে (১৯৭৫, ১৯৮৭, ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১৫)। নিউজিল্যান্ড এখনও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি তবে দুবার (২০১৫এবং ২০১৯) রানার্সআপ হয়েছে। আইসিসির টেস্ট স্ট্যটাসবিহীন কেনিয়ার ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়া সেরা ফলাফল ছিল। এছাড়া আয়ারল্যন্ডের ২০০৭ বিশ্বকাপে সেরা আটে জায়গা করে নেয়।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসাবে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতল, যদিও ফাইনালে পাকিস্তান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১০] ২০১১ সালে ভারত স্বাগতিক হিসাবে প্রথমবারের মতো ঘরের মাটিতে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়।[৭৬] অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড যথাক্রমে ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতে।[৪১] এছাড়া ১৯৭৯ সালে স্বাগতিক হিসেবে ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠেছে। টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক হিসেবে নিউজিল্যান্ড ২০১৫ সালে ফাইনাল খেলে। এছাড়া জিম্বাবুয়ে ২০০৩ সালে সুপার সিক্সে উঠেছিল এবং ২০০৩ সালে কেনিয়া সেমিফাইনাল গিয়েছিল। ১৯৮৭ সালে, স্বাগতিক ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই সেমিফাইনালে উঠলেও যথাক্রমে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া পরাজিত হয়েছিল। স্বাগতিক দল হিসেবে ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েছিল।
দলগত ফলাফল
সম্পাদনা আয়োজক দল |
১৯৭৫ (৮) |
১৯৭৯ (৮) |
১৯৮৩ (৮) |
১৯৮৭ (৮) |
১৯৯২ (৯) |
১৯৯৬ (১২) |
১৯৯৯ (১২) |
২০০৩ (১৪) |
২০০৭ (১৬) |
২০১১ (১৪) |
২০১৫ (১৪) |
২০১৯ (১০) |
২০২৩ (১০) |
২০২৭ (১৪) | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
| ||||||||||||||||||||
আফগানিস্তান | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||
অস্ট্রেলিয়া | রানার্স আপ | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | বিজয়ী | গ্রুপ পর্ব | রানার্স আপ | বিজয়ী | বিজয়ী | বিজয়ী | কোয়ার্টার ফাইনাল | বিজয়ী | সেমি ফাইনাল | বিজয়ী | ||||||||||||||||
বাংলাদেশ | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সুপার এইট | গ্রুপ পর্ব | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||
বারমুডা | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||||
কানাডা | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | |||||||||||||||||||||||||
ইংল্যান্ড | সেমি ফাইনাল | রানার্স আপ | সেমি ফাইনাল | রানার্স আপ | রানার্স আপ | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সুপার এইট | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | বিজয়ী | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||
ভারত | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | বিজয়ী | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | সুপার সিক্স | রানার্স আপ | গ্রুপ পর্ব | বিজয়ী | সেমি ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | রানার্স আপ | ||||||||||||||||
আয়ারল্যান্ড | সুপার এইট | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||
কেনিয়া | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||
নামিবিয়া | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||||
নেদারল্যান্ডস | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||
নিউজিল্যান্ড | সেমি ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | সুপার সিক্স | সেমি ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | রানার্স আপ | রানার্স আপ | সেমি ফাইনাল | ||||||||||||||||
পাকিস্তান | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | বিজয়ী | কোয়ার্টার ফাইনাল | রানার্স আপ | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||
স্কটল্যান্ড | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | কোয়ার্টার ফাইনাল | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | ||||||||||||||||||||
শ্রীলঙ্কা | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | বিজয়ী | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | রানার্স আপ | রানার্স আপ | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||
সংযুক্ত আরব আমিরাত | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||||||||||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | বিজয়ী | বিজয়ী | রানার্স আপ | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সেমি ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সুপার এইট | গ্রুপ পর্ব | কোয়ার্টার ফাইনাল | গ্রুপ পর্ব | |||||||||||||||||
জিম্বাবুয়ে | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | সুপার সিক্স | সুপার সিক্স | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | গ্রুপ পর্ব | ||||||||||||||||||||
বিলুপ্ত দল | |||||||||||||||||||||||||||||
পূর্ব আফ্রিকা | গ্রুপ পর্ব |
- ১৯৯২ সালের আগের বিশ্বকাপেগুলোয় দক্ষিণ আফ্রিকা বর্ণবৈষম্যের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়।
- রান রেট অনুসরণ করা জয়ের সংখ্যা ১৯৮৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত র্যাঙ্কিং নির্ধারণের মাপকাঠি।
- এর পর পয়েন্টের সংখ্যা, হেড টু হেড পারফরম্যান্স এবং তারপর নেট রান রেট ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বকাপের র্যাঙ্কিং নির্ধারণের মাপকাঠি।
নতুন দল
সম্পাদনাবছর | দল |
---|---|
১৯৭৫ | পূর্ব আফ্রিকা †, ইংল্যান্ড ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা ওয়েস্ট ইন্ডিজ |
১৯৭৯ | কানাডা |
১৯৮৩ | জিম্বাবুয়ে |
১৯৮৭ | নেই |
১৯৯২ | দক্ষিণ আফ্রিকা |
১৯৯৬ | কেনিয়া নেদারল্যান্ডস সংযুক্ত আরব আমিরাত |
১৯৯৯ | বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড |
২০০৩ | নামিবিয়া |
২০০৭ | বারমুডা আয়ারল্যান্ড |
২০১১ | নেই |
২০১৫ | আফগানিস্তান |
২০১৯ | নেই |
২০২৩ | নেই |
২০২৭ | নির্ধারিত হবে |
†১৯৮৯ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে
সামগ্রিক ফলাফল
সম্পাদনা২০১৯ টুর্নামেন্ট পর্যন্ত নিচের টেবিলে গত বিশ্বকাপে দলগুলোর পারফরম্যান্সের একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রথমে দলের সেরা পারফরম্যান্স দ্বারা বাছাই করা হয়। তারপর উপস্থিতি, মোট জয়ের সংখ্যা, মোট ম্যাচ সংখ্যা, এবং বর্ণানুক্রমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।
উপস্থিতি | পরিসংখ্যান | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দল | মোট | প্রথম | সবশেষ | সেরা ফলাফল | ম্যাচ. | জয় | হার | টাই | নেট রানরেট | জয়ের শতকরা%* |
অস্ট্রেলিয়া | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০০৭, ২০১৫) | ৯৪ | ৬৯ | ২৩ | ১ | ১ | ৭৪.৭৩ |
ভারত | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (১৯৮৩, ২০১১) | ৮৪ | ৫৩ | ২৯ | ১ | ১ | ৬৪.৪৫ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (১৯৭৫, ১৯৭৯) | ৮০ | ৪৩ | ৩৫ | ০ | ২ | ৫৫.১২ |
ইংল্যান্ড | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (২০১৯) | ৮৩ | ৪৮ | ৩২ | ২ | ১ | ৫৯.৭৫ |
পাকিস্তান | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (১৯৯২) | ৭৯ | ৪৫ | ৩২ | ০ | ২ | ৫৮.৪৪ |
শ্রীলঙ্কা | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | বিজয়ী (১৯৯৬) | ৮০ | ৩৮ | ৩৯ | ১ | ২ | ৪৯.৩৫ |
নিউজিল্যান্ড | ১২ | ১৯৭৫ | ২০১৯ | রানার্স আপ (২০১৫, ২০১৯) | ৮৯ | ৫৪ | ৩৩ | ১ | ১ | ৬১.৯৩ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৮ | ১৯৯২ | ২০১৯ | সেমি ফাইনাল (১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭২০১৫) | ৬৪ | ৩৮ | ২৩ | ২ | ১ | ৬১.৯০ |
কেনিয়া | ৫ | ১৯৯৬ | ২০১৯ | সেমি ফাইনাল (২০০৩) | ২৯ | ৬ | ২২ | ০ | ১ | ২১.৪২ |
জিম্বাবুয়ে | ৯ | ১৯৮৩ | ২০১৫ | সুপার সিক্স (১৯৯৯, ২০০৩) | ৫৭ | ১১ | ৪২ | ১ | ৩ | ২১.২৯ |
বাংলাদেশ | ৬ | ১৯৯৯ | ২০১৯ | কোয়ার্টার ফাইনাল (২০১৫), সুপার এইট (২০০৭) | ৪০ | ১৪ | ২৫ | ০ | ১ | ৩৫.৮৯ |
আয়ারল্যান্ড | ৩ | ২০০৭ | ২০১৫ | সুপার এইট (২০০৭) | ২১ | ৭ | ১৩ | ১ | ০ | ৩৫.৭১ |
নেদারল্যান্ডস | ৪ | ১৯৯৬ | ২০১৫ | গ্রুপ পর্ব (১৯৯৬,২০০৩। ২০০৭, ২০১৫) | ২০ | ২ | ১৮ | ০ | ০ | ১০.০০ |
কানাডা | ৪ | ১৯৭৯ | ২০১১ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১১) | ১৮ | ২ | ১৬ | ০ | ০ | ১১.১১ |
স্কটল্যান্ড | ৩ | ১৯৯৯ | ২০১৫ | গ্রুপ পর্ব (১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫) | ১৪ | ০ | ১৪ | ০ | ০ | ০.০০ |
আফগানিস্তান | ২ | ২০১৫ | ২০১৯ | গ্রুপ পর্ব (২০১৫, ২০১৯) | ১৫ | ১ | ১৪ | ০ | ০ | ৬.৬৬ |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ২ | ১৯৯৬ | ২০১৫ | গ্রুপ পর্ব (১৯৯৬, ২০১৫) | ১১ | ১ | ১০ | ০ | ০ | ৯.০৯ |
নামিবিয়া | ১ | ২০০৩ | ২০০৩ | গ্রুপ পর্ব (২০০৩) | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ০ | ০.০০ |
বারমুডা | ১ | ২০০৭ | ২০০৭ | গ্রুপ পর্ব (২০০৭) | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ০ | ০.০০ |
বিলুপ্ত দল | ||||||||||
পূর্ব আফ্রিকা† | ১ | ১৯৭৫ | ১৯৭৫ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৫) | ৩ | ০ | ৩ | ০ | ০ | ০.০০ |
সর্বশেষ সংষ্করণ: ১৪ জুলাই ২০১৯ সূত্র: ESPNcricinfo |
† আর নেই
আসরভিত্তিক অংশগ্রহণকারী দলসমূহ
সম্পাদনা†১৯৮৯ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
পুরস্কার
সম্পাদনাম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট
সম্পাদনা১৯৯২ সালের আগের বিশ্বকাপে কোন ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার ছিল না। কিন্তু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জন্য ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার সবসময় দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই এ পুরস্কার ফাইনালে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়রা পেয়েছে। প্রতিযোগিতার ফাইনালে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কার প্রদানের তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ [৭৭]
প্রতিযোগিতার সাল | খেলোয়াড়ের নাম | অবদান |
---|---|---|
১৯৯২ | মার্টিন ক্রো | ৪৫৬ রান |
১৯৯৬ | সনাথ জয়াসুরিয়া | ২২১ রান ও ৭ উইকেট |
১৯৯৯ | ল্যান্স ক্লুজনার | ২৮১ রান ও ১৭ উইকেট |
২০০৩ | শচীন টেন্ডুলকার | ৬৭৩ রান ও ২ উইকেট |
২০০৭ | গ্লেন ম্যাকগ্রা | ২৬ উইকেট |
২০১১ | যুবরাজ সিং | ৩৬২ রান ও ১৫ উইকেট |
২০১৫ | মিচেল স্টার্ক | ২২ উইকেট |
২০১৯ | কেন উইলিয়ামসন | ৫৭৮ রান ও ২ উইকেট |
২০২৩ | বিরাট কোহলি | ৭৬৫ রান ও ১ উইকেট |
ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
সম্পাদনানিচে প্রতিযোগিতার ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের তালিকা দেয়া হলোঃ[৭৭]
প্রতিযোগিতার সাল | খেলোয়াড়ের নাম | অবদান |
---|---|---|
১৯৭৫ | ক্লাইভ লয়েড | ১০২ রান |
১৯৭৯ | ভিভ রিচার্ডস | ১৩৮* |
১৯৮৩ | মহিন্দর অমরনাথ | ৩/১২ ও ২৬ রান |
১৯৮৭ | ডেভিড বুন | ৭৫ রান |
১৯৯২ | ওয়াসিম আকরাম | ৩৩ ও ৩/৩৯ |
১৯৯৬ | অরবিন্দ ডি সিলভা | ১০৭* ও ৩/৪২ |
১৯৯৯ | শেন ওয়ার্ন | ৪/৩৩ |
২০০৩ | রিকি পন্টিং | ১৪০ |
২০০৭ | অ্যাডাম গিলক্রিস্ট | ১৪৯ |
২০১১ | মহেন্দ্র সিং ধোনি | ৯১* |
২০১৫ | জেমস ফকনার | ৩/৩৬ |
২০১৯ | বেন স্টোকস | ৮৪* ও ০/২০ |
২০২৩ | ট্রাভিস হেড | ১৩৭ |
টুর্নামেন্টের রেকর্ড
সম্পাদনাবিশ্বকাপ রেকর্ড[৭৮] | ||
---|---|---|
ব্যাটিং | ||
সর্বোচ্চ রান | শচীন তেন্ডুলকর | ২,২৭৮ (১৯৯২-২০১১) |
সর্বোচ্চ গড় (ন্যুনতম ১০ ইনিংস) [৭৯] | ল্যান্স ক্লুজনার | ১২৪.০০ (১৯৯৯,২০০৩) |
সর্বোচ্চ স্কোর | মার্টিন গাপটিল বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২৩৭* (২০১৫) |
সর্বোচ্চ জুটি | ক্রিস গেইল এবং মারলন স্যামুয়েলস (২য় উইকেট) বনাম জিম্বাবুয়ে |
৩৭২ (২০১৫) |
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান | বিরাট কোহলি | ৭৬৫ (২০২৩) |
সর্বাধিক শতক | রোহিত শর্মা | ৭ (২০১৫-২০২৩) |
এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক শতরান | রোহিত শর্মা | ৫ (২০১৯) |
বোলিং | ||
সর্বাধিক উইকেট | গ্লেন ম্যাকগ্রা | ৭১ (১৯৯৬–২০০৭) |
গড় (ন্যূনতম ৪০০ বল) | মিচেল স্টার্ক | ১৪.৮১ (২০১৫–২০১৯) |
সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট (ন্যূনতম ২০ উইকেট) | মোহাম্মদ শামি | ১৮.৬ (২০১৫–২০১৯) |
সর্বোচ্চ ইকোনমি রেট (ন্যূনতম ১০০০ বল) | অ্যান্ডি রবার্টস | ৩.২৪ (১৯৭৫–১৯৮৩) |
সেরা বোলিং ফিগার | গ্লেন ম্যাকগ্রা ব নামিবিয়া | ৭/১৫ (২০০৩) |
এক টুর্নামেন্ট সর্বাধিক উইকেট | মিচেল স্টার্ক | ২৭ (২০১৯) |
ফিল্ডিং | ||
সর্বোচ্চ ডিসমিসাল (উইকেট-রক্ষক) | কুমার সাঙ্গাকারা | ৫৪ (২০০৩-২০১৫) |
সর্বোচ্চ ক্যাচ(ফিল্ডার) | রিকি পন্টিং | ২৮ (১৯৯৬–২০১১) |
দল | ||
সর্বোচ্চ স্কোর | দক্ষিণ আফ্রিকা ব শ্রীলঙ্কা | ৪২৮/৫ (২০২৩) |
সর্বনিম্ন স্কোর | কানাডা ব শ্রীলঙ্কা | ৩৬ (২০০৩) |
সর্বোচ্চ জয় % | অস্ট্রেলিয়া | ৭৪.৭৩% (ম্যাচ ৯৪, জয় ৬৯)[৮০] |
সবচেয়ে ধারাবাহিক জয় | অস্ট্রেলিয়া | ২৭ (২০ জুন ১৯৯৯ - ১৯ মার্চ ২০১১, একটি ফলাফলহীন বাদ)[৮১] |
সবচেয়ে ধারাবাহিক টুর্নামেন্ট বিজয়ী | অস্ট্রেলিয়া | ৩ (১৯৯৯–২০০৭) |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ICC Cricket World Cup England and Wales 2019"। ICC। ২৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০২০।
- ↑ ICC Cricket World Cup: About ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুন ২০১৩ তারিখে – International Cricket Council. Retrieved 30 June 2013.
- ↑ Martin Williamson। "The oldest international contest of them all"। ESPN। ১৫ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১২।
- ↑ "1st Test Scorecard"। ESPNcricinfo। ১৫ মার্চ ১৮৭৭। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Olympic Games, 1900, Final"। ESPNcricinfo। ১৯ আগস্ট ১৯০০। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
- ↑ "The original damp squib"। ESPNcricinfo। ২৩ এপ্রিল ২০০৫। ১৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০০৬।
- ↑ "The run-out that sparked a riot"। ESPNcricinfo। ৩০ অক্টোবর ২০১০। ২২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "The low-key birth of one-day cricket"। ESPNcricinfo। ৯ এপ্রিল ২০১১। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "What is One-Day International cricket?"। newicc.cricket.org। ১৯ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "The World Cup – A brief history"। ESPNcricinfo। ২৮ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৬।
- ↑ ক খ "The History of World Cup's"। cricworld.com। ১৩ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
- ↑ Browning (1999), pp. 5–9
- ↑ Browning (1999), pp. 26–31
- ↑ "50 fascinating facts about World Cups – Part 1"। Cricbuzz (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "ICC Trophy – A brief history"। ESPNcricinfo। ২৬ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০০৬।
- ↑ Browning (1999), pp. 32–35
- ↑ Browning (1999), pp. 61–62
- ↑ Browning (1999), pp. 105–110
- ↑ Browning (1999), pp. 111–116
- ↑ Browning (1999), pp. 155–159
- ↑ "Cricket World Cup 2003"। A.Srinivas। ২ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ Browning (1999), pp. 160–161
- ↑ Browning (1999), pp. 211–214
- ↑ Browning (1999), pp. 215–217
- ↑ "1996 Semi-final scoreboard"। cricketfundas। ৭ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ Browning (1999), pp. 264–274
- ↑ Browning (1999), p. 274
- ↑ French Toast (২০১৪)। Cricket World Cup: A Summary of the Tournaments Since 1975। Smashwords। আইএসবিএন 9781311429230। ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল (e-book) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ Browning (1999), pp. 229–231
- ↑ Browning (1999), pp. 232–238
- ↑ "Washouts, walkovers, and black armband protests"। ESPNcricinfo। ৩০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Ruthless Aussies lift World Cup"। London: BBC। ২৩ মার্চ ২০০৩। ২৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Full tournament schedule"। London: BBC। ২৩ মার্চ ২০০৩। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Australia triumph in a tournament to forget"। ESPNcricinfo। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Bob Woolmer's death stuns cricket world"। ESPNcricinfo। ২৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Bob Woolmer investigation round-up"। Cricinfo। ১৬ মে ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৭।
- ↑ "Australia v Sri Lanka, World Cup final, Barbados"। Cricinfo। ২৮ এপ্রিল ২০০৭। ২৪ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০০৭।
- ↑ "No World Cup matches in Pakistan"। BBC। ১৮ এপ্রিল ২০০৯। ১৮ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "India end a 28-year-long wait"। ESPNcricinfo। ২৫ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Pakistan top group after ending Australia's unbeaten World Cup streak"। CNN। ২০ মার্চ ২০১১। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ "Cricket World Cup 2015: Australia crush New Zealand in final"। BBC Sport। ২৯ মার্চ ২০১৫। ২৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "India vs New Zealand Highlights, World Cup 2019 semi-final: Match defers to reserve day"। Times of India। ৯ জুলাই ২০১৯। ১১ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Epic final tied, Super Over tied,England win World Cup on boundary count"। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Fordyce, Tom (১৪ জুলাই ২০১৯)। "England win Cricket World Cup: A golden hour ends in a champagne super over"। ১৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Cricinfo – 2005 ICC Trophy in Ireland
- ↑ "World Cricket League"। ICC। ১৯ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "1st tournament"। icc.cricket.org। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "92 tournament"। icc.cricket.org। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "96 tournament"। icc.cricket.org। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Super 6"। Cricinfo। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "World Cup groups"। cricket world cup। ২৬ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "About the Event" (পিডিএফ)। cricketworldcup.com। পৃষ্ঠা 1। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
- ↑ "2015 Cricket World Cup"। cricknews.net। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Nayar, K.R. (২৯ জুন ২০১১)। "International Cricket Council approves 14-team cup"। Gulf News। ১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Smale, Simon (৪ জুন ২০১৯)। "The Cricket World Cup 2019 has shrunk to exclude the minnows, but why? And how come it's still so long?"। Australian Broadcasting Corporation। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ "Trophy is first permanent prize in Cricket World Cup"। cricket-worldcup2015.net। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০০৭।
- ↑ "Cricket World Cup- Past Glimpses"। webindia123.com। ২৩ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৭।
- ↑ "About the Tournament"। International Cricket Council। ২৫ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Cricket World Cup 2015 3rd Most Watched Sports Event In The World"। Total Sportek। ১১ জানুয়ারি ২০১৫। ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "More money, more viewers and fewer runs in prospect for intriguing World Cup"। The Guardian। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "World Cup Overview"। cricketworldcup.com। ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Papa John's CEO Introduces Cricket to Jerry Jones and Daniel Snyder"। ir.papajohns.com। ১১ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Cricinfo staff (৯ ডিসেম্বর ২০০৬)। "ICC rights for to ESPN-star"। Cricinfo। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ Cricinfo staff (১৮ জানুয়ারি ২০০৬)। "ICC set to cash in on sponsorship rights"। Cricinfo। ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "Cricket World Cup 2003" (পিডিএফ)। ICC। পৃষ্ঠা 12। ২১ মার্চ ২০০৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "World Cup profits boost debt-ridden Windies board"। Content-usa.cricinfo.com। ২৪ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১২।
- ↑ "ICC CWC 2007 Match Attendance Soars Past 400,000"। cricketworld.com। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ "2003 World Cup launched in Soweto"। ESPNcricinfo। ৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "ICC cricket mascot Mello tours Guyana to raise AIDS awareness"। UNICEF। ৪ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "2011 World Cup mascot named as 'Stumpy'"। The Times of India। ২ আগস্ট ২০১০। ২৯ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ "Google release Doodle to mark the start of the 2015 Cricket World Cup"। The Independent। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৯।
- ↑ Jones, Paul (১১ জুলাই ২০১৯)। "Channel 4 to show live coverage of England's Cricket World Cup final"। Radio Times। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Asia to host 2011 World Cup"। Cricinfo। ৩০ এপ্রিল ২০০৬। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৭।
- ↑ "The 1979 World Cup in England – West Indies retain their title"। Cricinfo। ২৩ মে ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬।
- ↑ "The 1987 World Cup in India and Pakistan – Australia win tight tournament"। Cricinfo। ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "India power past Sri Lanka to Cricket World Cup triumph"। BBC Sport। ২ এপ্রিল ২০১১। ৩ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ "Cricket World Cup Past Glimpses"। webindia123.com। ২৩ মার্চ ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৭।
- ↑ All records are based on statistics at Cricinfo.com's list of World Cup records ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে
- ↑ "Best Average in Cricket World Cup"। ESPN Cricinfo। ২৬ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "World Cup Cricket Team Records & Stats"। ESPNCricinfo। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৯।
- ↑ "Statistics / Statsguru / One-Day Internationals / Team records"। Cricinfo। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৫।
উৎস
সম্পাদনা- Browning, Mark (১৯৯৯)। A complete history of World Cup Cricket। Simon & Schuster। আইএসবিএন 0-7318-0833-9।