জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Zimbabwe national cricket team) জিম্বাবুয়ের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্বকারী দল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃক দলটি পরিচালিত হচ্ছে। পূর্বেকার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন বর্তমানে 'জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট' নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বা আইসিসি'র পূর্ণ সদস্যরূপে দলটি টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং টি২০আই খেলায় অংশগ্রহণ করছে।
![]() জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতীক | |||||||||||||
ডাকনাম | শেভরন[১][২] | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংঘ | জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট | ||||||||||||
কর্মীবৃন্দ | |||||||||||||
টেস্ট অধিনায়ক | শন উইলিয়ামস | ||||||||||||
ওডিআই অধিনায়ক | ক্রেইগ আরভাইন | ||||||||||||
টি২০আই অধিনায়ক | ক্রেইগ আরভাইন | ||||||||||||
কোচ | লালচান্দ রাজপুত | ||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||
টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তি | ১৯৯১ | ||||||||||||
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল | |||||||||||||
আইসিসি মর্যাদা | পূর্ণ সদস্য (১৯৯১) সহযোগী সদস্য (১৯৮১) | ||||||||||||
আইসিসি অঞ্চল | আফ্রিকা | ||||||||||||
| |||||||||||||
টেস্ট | |||||||||||||
প্রথম টেস্ট | বনাম ![]() | ||||||||||||
সর্বশেষ টেস্ট | বনাম ![]() | ||||||||||||
| |||||||||||||
একদিনের আন্তর্জাতিক | |||||||||||||
প্রথম ওডিআই | বনাম ![]() | ||||||||||||
সর্বশেষ ওডিআই | বনাম ![]() | ||||||||||||
| |||||||||||||
বিশ্বকাপ উপস্থিতি | ৯ (১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম) | ||||||||||||
সেরা ফলাফল | সুপার সিক্স (১৯৯৯, ২০০৩) | ||||||||||||
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উপস্থিতি | ৪ (১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম) | ||||||||||||
সেরা ফলাফল | চ্যাম্পিয়ন (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০) | ||||||||||||
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক | |||||||||||||
প্রথম টি২০আই | বনাম ![]() | ||||||||||||
সর্বশেষ টি২০আই | বনাম ![]() | ||||||||||||
| |||||||||||||
টি২০ বিশ্বকাপ উপস্থিতি | ৫ (২০০৭ সালে সর্বপ্রথম) | ||||||||||||
সেরা ফলাফল | গ্রুপ পর্ব (২০০৭, ২০১০, ২০১২, ২০১৪, ২০১৬) | ||||||||||||
| |||||||||||||
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ অনুযায়ী |
১৫ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে জিম্বাবুয়ে দল আইসিসি প্রণীত টেস্ট, ওডিআই ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে যথাক্রমে ১০ম, ১১শ ও ১২শ স্থানে অবস্থান করেছিল।[১০]
ইতিহাসসম্পাদনা
আইসিসি'র অন্যান্য পূর্ণ সদস্যভূক্ত দেশের ন্যায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে টেস্ট ক্রিকেটে মর্যাদা প্রাপ্তির লক্ষ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্যে যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন পড়েনি। কেননা, দেশ দু'টো ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম টেস্ট খেলাটিতে অংশগ্রহণ করেছিল।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সংক্ষিপ্ত ঘটনাবহুল মুহুর্তগুলো নিম্নরূপ :-
রোডেশিয়া যুদ্ধকালীন সময়ে এবং ১৯৪৬ সাল থেকে পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকান টুর্নামেন্ট, কারি কাপে অংশ নেয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৮০ সালে দেশটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে শুরু করে। ২১ জুলাই, ১৯৮১ সালে জিম্বাবুয়ে আইসিসি'র সহযোগী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৮৩, ১৯৮৭ এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেয়।[১১]
টেস্ট ক্রিকেটসম্পাদনা
৯ম টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে জিম্বাবুয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট খেলে। হারারেতে অনুষ্ঠিত ভারতের বিরুদ্ধে এ খেলাটি ড্র হয়েছিল।[১২]
শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ে দলটি টেস্ট খেলায় বেশ দূর্বল ছিল। অভিজ্ঞজনদের ধারণা, তাদেরকে অপরিপক্ক অবস্থায় টেস্টের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একদিনের ক্রিকেট খেলায় দলটি বেশ প্রতিযোগিতামূখী ভাব বজায় রাখে; যদিও সর্বদিক দিয়ে শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে তাদের ফিল্ডিংয়ের দক্ষতা বেশ নজর কেড়েছিল। বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের পদত্যাগজনিত কারণে কয়েকটি টেস্ট সিরিজে বেশ দূর্বল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ২০০৫ সালের শেষ দিকে আইসিসি'র সমর্থনে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।[১৩]
আগস্ট, ২০১১ সালে প্রায় ছয় বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে এসে টেস্টভূক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবতীর্ণ হয় ও ১৩০ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে।[১৪]
দলীয় সদস্যসম্পাদনা
কোচিং কর্মকর্তাসম্পাদনা
- জাতীয় কোচিং পরিচালক: অ্যান্ডি ওয়ালার
- প্রধান কোচ: মাখায়া এনটিনি (অন্তর্বর্তীকালীন)[১৫]
- সহকারী কোচ: ওয়েন জেমস
- ব্যাটিং কোচ: ল্যান্স ক্লুজনার[১৫]
- বোলিং কোচ: মাখায়া এনটিনি
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "How our cricketers became Chevrons"। দ্য জিম্বাবুয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Chevrons stars Happy to be back playing cricket again"। নিউ জিম্বাবুয়ে (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Men's Team Rankings"। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records for Test Matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records in 2023 in Test matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records for ODI Matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records in 2023 in ODI matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records for T20I Matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "Records in 2023 in T20I matches"। ইএসপিএনক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ICCrankings
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ A brief history of Zimbabwe cricket Cricinfo. Retrieved 4 November 2011
- ↑ Zimbabwe vs India at Harare, 1992 Cricinfo. Retrieved 5 November 2011
- ↑ Zimbabwe Cricket Team SuperSport Profile SuperSport. Retrieved 6 November 2011
- ↑ http://www.espncricinfo.com/zimbabwe-v-bangladesh-2011/content/story/526504.html
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Sacking
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি